খুঁজুন
শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ২৩ কার্তিক, ১৪৩২

অনৈতিকভাবে হাতিয়েছেন অর্ধশত কোটি টাকা

টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ যেন অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন মিয়ার টাকা কামানোর মেশিন !

মোঃ কামরুল ইসলাম
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪, ৬:০৫ অপরাহ্ণ
টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ যেন অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন মিয়ার টাকা কামানোর মেশিন !

গাজীপুরে টঙ্গীর আউচপাড়া এলাকা অবস্থিত টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজকে চরম অনিয়ম, দূর্নীতি ও ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের নিপীড়নের প্রতীক বানিয়ে তুলেছেন প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান বিতর্কিত অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন মিয়া।

এ বিষয়ে সাম্প্রতিক অনুসন্ধান ও নথি পর্যালোচনা এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সূত্রে উঠে এসেছে আলাউদ্দিন মিয়ার ভয়াবহ দূর্নীতি ও অপতৎপরতার চিত্র।

অনুসন্ধানে জানা গেছে- ২০০৯ সালে স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা ও প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের পৃষ্ঠপোষকতায় বিধিবহির্ভূতভাবে স্কুল কমিটির অভিভাবক সদস্য থেকে টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজের অধ্যক্ষের পদ বাগিয়ে নেন আলাউদ্দিন মিয়া৷

এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানটিতে দেদারসে চালিয়ে গেছেন একের পর এক জালিয়াতি, দূর্নীতি, ও অনিয়মের। অদ্যবধি হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় ৫০ কোটি টাকা।

২০১৩ সালে বিদ্যালয়টিতে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নিয়োগবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ ছিলো সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ। কিন্ত তাদের অনেককেই প্রভাষক পদে নিয়োগ প্রদান করেন আলাউদ্দিন। বেতন স্কেলও দেয়া হয় প্রভাষক সমমানের। কিন্ত ক্লাস নেয়ানো হয় বিদ্যালয়টির স্কুল শাখার।

ওদিকে ২০১৮ সালের পরে বিদ্যালয়টিতে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নিয়োগের কোন বিজ্ঞপ্তিই প্রকাশ করেননি অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন। তাদের দেয়া হয়নি কোন নিয়োগপত্র। জানা গেছে এসব নিয়োগে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়েছেন তিনি। এই অনিয়ম প্রকাশ্যে আসার ভয়ে রেজুলেশন বইও রেখেছেন গায়েব করে৷

সম্প্রতি গাজীপুর জেলা প্রশাসন নোটিশ জারী করে টঙ্গী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের, নিয়োগবিজ্ঞপ্তি, রেজুলেশন ও নিয়োগপত্র তলব করলেও তা দেখাতে পারেননি আলাউদ্দিন। ফলে গত ২ মাস ধরে প্রতিষ্ঠানটির সকল শিক্ষকদের বেতন বন্ধ রাখা হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে।

অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসা অধ্যক্ষ আলাউদ্দিনের অন্যতম বড় জালিয়াতি হলো- টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ থেকে এমপিওভুক্ত যেসব শিক্ষক চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন বা মারা গেছেন তাদের নাম এমপিও শীট থেকে কেটে না দিয়ে সরকারের সাথে জালিয়াতি করে নিজের মত করে নিয়োগ দিচ্ছেন।

এমন অন্তত ২৫ জন শিক্ষকের নাম এখনও এমপিও শীটে তুলে রেখেছেন আলাউদ্দিন যার মধ্যে মারা গেছেন এমন শিক্ষকও আছেন। সরকারি বিধি অনুযায়ী এমপিও ভুক্ত কোন শিক্ষক চাকরি ছেড়ে দিলে তার বদলে সরকারিভাবে সে পদে নতুন শিক্ষক আসবে। কিন্ত জালিয়াতি করে অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন এমপিও শীট থেকে বিদায়ী শিক্ষকদের নাম না কেটে সেখানে অর্থ বাণিজ্যের বিনিময়ে নিজের মতো করে নিয়োগ দেন৷

এছাড়া আলাউদ্দিন মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে- স্কুল মাঠের জমিতে মার্কেট নির্মাণ করে ৪৪ টি দোকানের প্রতিটি দোকান মূলত বিক্রি করেছেন ৩০-৩৫ লক্ষ টাকায়। কিন্ত দলিল করেছেন ১০/১২ লক্ষ টাকার। এভাবে তিনি ভয়াবহ জালিয়াতি করেছেন স্কুল ও সরকার উভয়ের সাথেই৷ এ খাতে তিনি হাতিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা৷

ওদিকে সরকারি খরচে নির্মিত স্কুলের মোজাইক করা কয়েকটি ভবন অপ্রয়োজনীয়ভাবে ভেঙ্গে নিজ স্বার্থে টাইলস বসিয়ে নিজের মন মতো বিল বানিয়ে অর্থ হাতিয়েছেন বলেও অভিযোগ আসে। শুধু তাই নয়, নিজের জন্য বানিয়েছেন রাজদরবার সমতূল্য সুবিশাল অফিস কক্ষ। সেই অফিস কক্ষের সাথে রয়েছে একটি গোপন ঘর যা আয়নাঘর হিসেবে খ্যাত। সেই আয়না ঘরেই নিজের যাবতীয় দূর্নীতির বৈঠকসহ বিভিন্ন অপকর্মের নীলনকশা করেন তিনি৷

মহামারী করোনাকালে স্কুল কলেজ যখন বন্ধ ছিলো তখন শিক্ষকদের বেতন না দিয়ে স্কুলের সৌন্দর্য বর্ধনের নামে সকল ক্লাসকক্ষে রং করিয়েছেন নিজের মত বিল বানিয়ে, যদিও তখন ক্লাসই হচ্ছিলো না।

ওদিকে উন্নয়নের নামে এসব কাজে কোন রকম টেন্ডার না দিয়ে নিজেই গায়ের জোরে বিধিবহির্ভূতভাবে ঠুনকো কাজ দেখিয়ে বিদ্যালয় ফান্ডের মোটা অংকের টাকা সরিয়েছেন। এসব কাজে প্রায় ৮ কোটি টাকা গায়েব করার অভিযোগ আছে আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে।

অধ্যক্ষ আলাউদ্দিনের ভয়াবহ দূর্নীতি ও অপতৎপরতা থেকে রেহাই পায়নি কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও। প্রতি বছর দশম শ্রেনীর প্রায় ১০০ পরীক্ষার্থীকে পরিকল্পিতভাবে ৫ থেকে ৮ বিষয়ে ফেল করিয়ে প্রত্যেককে একপ্রকার জিম্মি করে জনপ্রতি ২০ হাজার টাকা করে কোচিং ফি আদায় করেন জালিয়াত অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন।

এমনকি ২০ হাজার টাকা না দেয়ায় ফেল করানো হয়েছে এমন অসংখ্য শিক্ষার্থীর আবেদনের নথিও এসেছে প্রতিবেদকের হাতে। এছাড়া গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বরাতে জানা গেছে, অধ্যক্ষ আলাউদ্দিনের সহযোগিতায় ও তাকে মাসোয়ারা দিয়ে আবু জাফর আহমেদ ও আমজাদ হোসেন নামের ২জন শিক্ষক সনদ জালিয়াতি করেও স্কুলটিতে বহাল তবিয়তে চাকরি করে যাচ্ছেন।

আর এভাবেই বছরের পর বছর ধরে গোটা টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজকে নিজের জালিয়াতি, দূর্নীতি, ও অনিয়মের আখড়ায় পরিণত করেছেন অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন মিয়া। অনৈতিকভাবে নিজের প্রভাব খাটিয়ে এভাবেই হাতিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।

তাই এ ব্যাপারে অতিদ্রুত তদন্তপূর্বক প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজকে আলাউদ্দিনের রাহু মুক্ত করার দাবি সচেতন মহলের৷

সংস্কারবিরোধী রাজনীতি মুজিববাদকে প্রাসঙ্গিক করে তুলছে: আসিফ মাহমুদ

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ২:১০ অপরাহ্ণ
সংস্কারবিরোধী রাজনীতি মুজিববাদকে প্রাসঙ্গিক করে তুলছে: আসিফ মাহমুদ

৫ আগস্টের পর সংস্কারবিরোধী এবং প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতি মুজিবাদী রাজনীতিকে আবার প্রাসঙ্গিক করে তুলছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ৫ আগস্টের পরে আমাদের মধ্যে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে, বিপ্লবের যারা স্টেকহোল্ডার তাদের মধ্যে কেউ কেউ সংস্কারবিরোধী রাজনীতিটা করল; মানে এটার আউটকামটা আসলে দেশের জন্য কী, এটা একটা প্রশ্ন। আরেকটা প্রশ্ন থাকে যে, কেউ কেউ রিঅ্যাকশনারি (প্রতিক্রিয়াশীল) রাজনীতিতে ঢুকে গেল এবং এই রিঅ্যাকশনারি পলিটিক্সে ঢোকার মাধ্যমে তারা মুজিববাদী রাজনীতিকে আবার প্রাসঙ্গিক করে তুলল।

তিনি বলেন, মুজিববাদী রাজনীতি একটা সময় পর্যন্ত ছিল না, যখন আপনি আবার জাতীয় সংগীতের বিতর্কে ঢুকলেন, যখন আপনি আবার এই রিঅ্যাকশন দেওয়া শুরু করলেন নতুন রাজনীতি বিনির্মাণ না করে; তখনই কিন্তু মুজিববাদী রাজনীতি আবার প্রাসঙ্গিক হওয়া শুরু করল এবং যতদিন যাচ্ছে তত বেশি প্রাসঙ্গিক করে তুলছেন আপনারা, এটা দিয়ে আসলে আমাদের কী উপকার হলো বা এর দায়টাই বা কার?

২০২৪ গণঅভ্যুত্থানের প্রাপ্তি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, যদি ২০২৪ সালের গণভুত্থানের আউটকামের বিষয়ে আলাপ আসে, আমরা গণভুত্থানের পর পর তিনটা বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছিল যে সংস্কার, বিচার এবং গণতান্ত্রিক রূপান্তর। বিচারের বিষয়ে যতটুকু অবগত আছি, অগ্রগতি হচ্ছে। আগামী ১৩ নভেম্বর একটা রায়ও হওয়ার কথা এবং এর প্রেক্ষিতে ফ্যাসিবাদী শক্তি আবার লকডাউন ডেকেছে ঢাকায়।

তিনি বলেন, অন্যদিকে যদি সংস্কারের কথা বলি, আমরা দেখেছি যারা সংস্কারের কথা সবচেয়ে বেশি বলতো ৫ আগস্টের পরে তারা কেন জানি সংস্কারবিরোধী রাজনীতিতে ঢুকে গেল। আমরা আসলে জানি না এই সংস্কারবিরোধী রাজনীতির আউটকামটা তাদের জন্য কী? আমাদের দেশের জন্য অবশ্যই ক্ষতি কিন্তু তাদের জন্য কোন দিক দিয়ে সফলতা বয়ে আনছে?

নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত কী জানেন না জানিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, খুব জনপ্রিয় একটা শব্দ নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমরা এখনো জানি না যে আসলে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তটা কী? মানে এটা কি জিনিস? মানে কিছু পপুলিস্ট কার্যক্রম করলেই নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত হয়ে যায় না। এটার রূপরেখাটা কি লিখিত আছে? এখন পর্যন্ত বা সেটা কী যারা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের রাজনীতি করছেন বা নির্মাণ করার চেষ্টা করছেন, তারা এটা দিতে পেরেছেন কি না?

তিনি বলেন, আমিও আমার এই ক্যাপাসিটি থেকে বের হলে আমিও রাজনীতি করব। তখন আমার আসলে খুঁজতে হবে যে, আসলে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত জিনিসটা কী? বা এটা কোথায় আছে? আমাকে যদি কেউ একটা লিফলেট বা একটা পেপার না দিতে পারে যে, এটা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তাহলে আমি কীসের আশায়, কোন নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের দিকে যাব? সেটা তো আমি নিজেই কনফিউজড হয়ে যাব!

আসিফ মাহমুদ বলেন, আমাদের মতো যাদের একটু জিজ্ঞাসা আছে তাদের সবারই আসলে কনফিউশনটা আছে। কারণ কিছু পপুলিস্ট অ্যাক্টিভিটি দিয়ে তো আর নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত হয় না। সেটা যে কেউ এসে করতে পারে। আপনার রূপরেখাটা কোথায়, সেটা আসলে জনগণের কাছে বিশেষ করে তরুণদের কাছে তাদের আগ্রহটা বেশি, আমার মনে হয় পরিষ্কার করা প্রয়োজন।

১৯৭৫ সালের সিপাহী-জনতার বিপ্লব এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের যে প্রেক্ষাপট তাতে খুব বেশি পার্থক্য নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, যেটা ৫০ বছর ধরে বারবার বলা হয়েছে যে, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়। এখন বাস্তব পরিসরে আমরা এসে দেখি আসলে আমাদের কারো সঙ্গেই বন্ধুত্ব নেই। আমি যদি রুমে যারা আছে ১৫০, ২০০ মানুষ সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে যাই তাহলে আমার কারো সঙ্গেই আসলে প্রকৃত বন্ধুত্ব হয়ে উঠবে না। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে চেষ্টা করছি যে, মিনিংফুল ফ্রেন্ডশিপ যাদের সঙ্গে করা যায় তাদের সঙ্গে করা, যাদের সঙ্গে আমাদের আন্তর্জাতিক পরিসরের স্বার্থটা মেলে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদের সঞ্চালনায় এই গোলটেবিল বৈঠকে কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম, কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান, এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন, পুসাবের স্থায়ী কমিটির সদস্য ফাহমিদুর রহমান, অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট মোহাম্মদ সজল বক্তব্য দেন।

আমি নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে আসিনি: আসিফ নজরুল

রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ২:০৪ অপরাহ্ণ
আমি নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে আসিনি: আসিফ নজরুল

রাজশাহীর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে পরিদর্শন শেষে সেখানে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা তাকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করলেও, তিনি এর কোনো জবাব দেননি। সে সময় আসিফ নজরুল বলেন, ‘নির্বাচনের ব্যাপার নিয়ে কথা বলতে আমি রাজশাহীতে আসিনি।’

পরে তিনি বলেন, ‘প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি)। সারাদেশে শতাধিক টিটিসি আছে। এখানে যারা কাজ করেন, তারা কর্মসংস্থানের জন্য দেশে-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মেয়েদের যে টিটিসি রাজশাহীতে অবস্থিত সেটি বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম।

এর আগে সকাল সোয়া ১০টার দিকে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন ও প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় রাজশাহী জেলা প্রশাসকসহ টিটিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

হাসিনা-আওয়ামী লীগ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১:৫৮ অপরাহ্ণ
হাসিনা-আওয়ামী লীগ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে হবে। প্রধান উপদেষ্টা, অন্য উপদেষ্টামণ্ডলী সবাই কাজ করছেন। নির্বাচন নিয়ে কোনো সংশয় নেই।

শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

গণভোট ইস্যু নিয়ে তিনি বলেন, এখন যদি পলিটিক্যাল পার্টিগুলো ডিসিশন না নিতে পারে তাহলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ডিসিশন নেবে। অনকেই বলছেন জুলাই চার্টার করতে কৃষক, নারী, লেবারদের সঙ্গে কথা হয়নি। তাহলে পলিটিক্যাল পার্টিগুলো কি এসব মানুষদের রিপ্রেজেন্ট করে না?

তিনি বলেন, জুলাই চার্টারে সব কিছুই এসেছে। নির্বাচনের পর নতুন করে আনার ডায়ালগ হতে পারে।

শফিকুল আলম বলেন, শেখ হাসিনা ১৮ কোটি মানুষকে টেররিস্ট বলেছে। তার মানে দেশের সবাই টেররিস্ট। সবাইকে হত্যা করে উনি ক্ষমতায় আসবে। আমার মনে হয় শেখ হাসিনা-আওয়ামী লীগ নিয়ে সব রাজনৈতিক দলগুলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

সংস্কারবিরোধী রাজনীতি মুজিববাদকে প্রাসঙ্গিক করে তুলছে: আসিফ মাহমুদ আমি নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে আসিনি: আসিফ নজরুল হাসিনা-আওয়ামী লীগ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে সেমির আগেই শেষ বাংলাদেশ নতুন খসড়ায় ব্যাংক-বহির্ভূত প্রতিষ্ঠান ই-মানি ইস্যু করতে পারবে