খুঁজুন
বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০ পৌষ, ১৪৩১

আমার কাছে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নেই: রাষ্ট্রপতি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৪, ২:২৯ অপরাহ্ণ
আমার কাছে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নেই: রাষ্ট্রপতি

ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন-
গণমাধ্যমে ঠিক এমন তথ্যই জানিয়েছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তবে তার পদত্যাগের কোনো সরকারি বা দালিলিক প্রমাণ এখনো মেলেনি।

রাষ্ট্রপতি বলেছেন, শুনেছি তিনি (শেখ হাসিনা) পদত্যাগ করেছেন। তবে বহু চেষ্টা করেও পদত্যাগপত্র খুঁজে পাইনি। তিনি হয়তো জানানোর সময় পাননি।

সম্প্রতি শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে অনুসন্ধান করেছেন দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী। পত্রিকাটির রাজনৈতিক ম্যাগাজিন ‘জনতার চোখে’ গত শনিবার (১৯ অক্টোবর) প্রকাশিত ‘উনি তো কিছুই বলে গেলেন না’ শীর্ষক প্রতিবেদনে তিনি তুলে ধরেছেন এর বিস্তারিত।

৫ আগস্ট ছাত্র-আন্দোলন ও গণবিক্ষোভের মুখে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। সংবিধানের ৫৭ (ক) ধারা অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। কিন্তু রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, তার কাছে শেখ হাসিনার কোনো পদত্যাগপত্র বা সংশ্লিষ্ট কোনো প্রমাণ পৌঁছায়নি।

রাষ্ট্রপতির ভাষ্য, ‘আমি বহুবার পদত্যাগপত্র সংগ্রহের চেষ্টা করেছি, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি। হয়ত তার সময় হয়নি’।

মতিউর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে কথোপকথনের সময় রাষ্ট্রপতি বলেন, ৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে বঙ্গভবনে ফোন আসে, যেখানে বলা হয়েছিল যে প্রধানমন্ত্রী প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আসবেন। এরপরই বঙ্গভবনে প্রস্তুতি শুরু হয়। কিন্তু এক ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি ফোন আসে যে তিনি (শেখ হাসিনা) আসছেন না।

তিনি বলেন, ‘চারদিকে অস্থিরতার খবর। কী হতে যাচ্ছে জানি না। আমি তো গুজবের ওপর নির্ভর করে বসে থাকতে পারি না। তাই সামরিক সচিব জেনারেল আদিলকে বললাম খোঁজ নিতে। তার কাছেও কোনো খবর নেই। আমরা অপেক্ষা করছি। টেলিভিশনের স্ক্রলও দেখছি। কোথাও কোনো খবর নেই। এক পর্যায়ে শুনলাম, তিনি দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। আমাকে কিছুই বলে গেলেন না।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার যখন বঙ্গভবনে এলেন তখন জানার চেষ্টা করেছি প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন কি না? একই জবাব। শুনেছি তিনি পদত্যাগ করেছেন। মনে হয় সে সময় পাননি জানানোর।’

তিনি বলেন, ‘সব কিছু যখন নিয়ন্ত্রণে এলো তখন একদিন মন্ত্রিপরিষদ সচিব এলেন পদত্যাগপত্রের কপি সংগ্রহ করতে। তাকে বললাম, আমিও খুঁজছি’।

আলাপচারিতার এক পর্যায়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, এ বিষয়ে আর বিতর্কের সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী চলে গেছেন এবং এটাই সত্য। তবুও এই প্রশ্নটি যাতে আর কখনও না ওঠে তা নিশ্চিত করতে আমি সুপ্রিম কোর্টের মতামত চেয়েছি।

রাষ্ট্রপতির পাঠানো রেফারেন্সের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ ৮ আগস্ট এ সম্পর্কে তাদের মতামত দেন। এতে বলা হয়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাংবিধানিক শূন্যতা দূর করতে এবং নির্বাহী কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালনার উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা যেতে পারে। প্রেসিডেন্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টামণ্ডলীকে শপথবাক্য পাঠ করাতে পারবেন বলে আপিল বিভাগ মতামত দেন।

জনতার চোখ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে- পালিয়ে যাওয়ার আগ মুহূর্তে রেডিও-টেলিভিশনে ভাষণ দেয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছিলেন শেখ হাসিনা। বলেছিলেন- দীর্ঘ নয়, অল্প সময় কথা বলবেন তিনি। কিন্তু পরিবেশ পরিস্থিতি এবং সেনাপ্রধানের অনাগ্রহে সে সুযোগ পাননি শেখ হাসিনা। তখন তাকে বলা হয়, চারদিকে লোকজন জড়ো হয়ে গেছে। সবাই মারমুখো। অল্প সময়ের মধ্যেই তারা গণভবনে পৌঁছে যেতে পারে। তার নিরাপত্তার কথা ভেবেই তাকে সে সুযোগ দেয়া যাবে না। হাসিনা বিরক্ত, ক্ষুব্ধ। কিন্তু কিছুই করার ছিল না। বক্তৃতার একটি খসড়া তৈরি করেছিলেন তিনি। নানা সূত্রে জানা যায়, এতে তিনি বলতে চেয়েছিলেন- তার ইচ্ছায় নয়, বলপূর্বক তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। কারা এবং কোন বিদেশি শক্তি তার সরকারকে উৎখাত করতে চেয়েছে এটাও তিনি দেশবাসীকে জানাতে চেয়েছিলেন। তাঁর শাসনকালে দেশের কি কি উন্নয়ন হয়েছে তারও বয়ান ছিল। সকাল থেকে দুপুর, এ সময় নানাভাবে দরকষাকষিও চলছিল। বারবার ফোন আসছিল নয়াদিল্লি থেকে। বলা হচ্ছিল, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা যেন বিঘ্নিত না হয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ঢাকার তরফে দিল্লিকে বলা হয়েছিল- তারা যেন বিমান পাঠিয়ে হাসিনাকে নিয়ে যান। সে অনুরোধে সাড়া দেয়নি দিল্লি। এরপর বাংলাদেশের স্ব-উদ্যোগে বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০ বিমানে তাকে দিল্লি পাঠানো হয়। হাসিনাকে বহনকারী বিমানে আরও দু’জন ছিলেন। তার ছোটবোন শেখ রেহানা ও নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক।

ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের পদ বঞ্চিতদের বিক্ষোভ

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:২২ অপরাহ্ণ
ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের পদ বঞ্চিতদের বিক্ষোভ

সম্প্রতি আজ বিকেলেই ঘোষণা করা হয়েছে ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রদলের ৩৬ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি। এরপরই কমিটিতে স্থান না পাওয়া অন্যান্য নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করেছেন। এমনকি তারা দাবি করছেন, ঘোষিত এই আহ্বায়ক কমিটিতে ৩-৪ জন ছাত্রলীগ কর্মীও রয়েছেন। অথচ যোগ্যরা স্থান পায়নি।

পরে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা কলেজ থেকে মিছিল নিয়ে সড়কে এসে অবরোধ করেন। এ সময় তাদের আগুন জ্বেলে বিভিন্ন স্লোগান দিতেও দেখা গেছে। এর ফলে সন্ধ্যার পর বেশকিছু সময় সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

বিষয়টি নিয়ে ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারেক জামিল গণমাধ্যমে বলেন, গত ১ মাস আগে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সেক্রেটারি নাছিরের এলাকার উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে সায়েন্সল্যাব থেকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করছিলাম। পরে সে নিজে এসে থানা থেকে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। সেই ক্ষোভের কারণে আমাকে ও আমার সহযোদ্ধাদের কমিটি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ঢাকা কলেজের ৩৬ সদস্য বিশিষ্ট যে কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সেখানে ৩-৪ জন ছাত্রলীগ কর্মী আছে।

বিষয়টি নিয়ে ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি তাসবিরুল ইসলাম বলেন, শুধু আমি নয় দীর্ঘদিন যারা রাজপথে ছিল, আন্দোলন করেছে, কারা নির্যাতিত হয়েছে তাদের এই কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি-সেক্রেটারি নিজস্ব লোকদের নেতা বানানোর জন্য এবং সেই কমিটিকে টিকিয়ে রাখার জন্য তারা তাদের অনুগতদের দিয়ে কমিটি করেছে। এ কমিটি আমরা মানি না।

তিনি বলেন, আমরা গত ১৬ বছর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। সেই আন্দোলন আমরা আমাদের জীবনের সবকিছু দিয়ে আন্দোলন করেছি। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি। আমরা এই অবৈধ কমিটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে ন্যায্য অধিকার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালবে।

এর আগে, বিকেলে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসিরের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রদল, ঢাকা কলেজ শাখার ৩৬ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে কলেজের বাংলা বিভাগের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী পিয়াল হাসানকে আহ্বায়ক এবং ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মিল্লাদ হোসেনকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।

এছাড়া আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্যও এতে নির্দেশে দেওয়া হয়েছে।

বিবাহিত-অছাত্রদের পদ দেয়ার অভিযোগ

বাঙলা কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:১৯ অপরাহ্ণ
বাঙলা কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিক্ষোভ

দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর আজ বিকেলেই ঘোষণা করা হয়েছে সরকারি বাঙলা কলেজ ছাত্রদলের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি। এরই মধ্যে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটিকে “অছাত্র, অনিয়মিত ও বিবাহিত” নিয়ে পকেট কমিটি’ আখ্যা দিয়ে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছে ছাত্রদলের বৃহৎ একটি অংশ। এমনকি সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরাট একটি অংশ এমনটাই বলছে।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বাঙলা কলেজ শাখায় মোখলেছুর রহমানকে আহ্বায়ক ও ফয়সাল রেজাকে সদস্য সচিব করে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ঠিক তার পরই সন্ধ্যায় কলেজের গেট থেকে প্রধান সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে শাখা ছাত্রদলের পদ বঞ্চিত বড় একটি অংশ।

কমিটিতে স্পষ্ট অনিয়মের কথা উল্লেখ করে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীরা বলেন, “বাঙলা কলেজ ছাত্রদলের যেসকল নেতাকর্মীরা আন্দোলন সংগ্রামে নিজের জীবনকে উপেক্ষা করে দলীয় কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে, আজ সেই সকল নেতাকর্মীদের উপেক্ষা করে অনিয়মিত ও শাখা ছাত্রদলের ব্যানারে আন্দোলন না করা কর্মীদের কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে। এমনকি বিবাহিত লোককেও বড় পদে বসানো হয়েছে। বিগত ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে যারা সর্বাধিক কারাভোগ করেছে তাদেরকেও রাজনীতি থেকে মাইনাস করার একটি পাঁয়তারা হিসেবে এ কমিটি দেওয়া হয়েছে। যা রীতিমতো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে অপদস্ত করার শামিল।”

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে কমিটিতে পদ পাওয়া একাধিক নেতা বলেন, “দেশ ও জাতি গঠনে যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আহ্বায়ক কমিটি দেওয়া হয়েছে তার বিন্দুমাত্র উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারবে না এই কমিটি। বরং ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের গৌরবোজ্জ্বল ইমেজকে নষ্ট করে বিভেদের সৃষ্টি করবে এ কমিটি। আমরা এ কমিটিতে থাকতে চাই না। কারণ যেখানে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বিবাহিত লোককে নেতা বানানো হয়। সেই কমিটি আজ হোক, কাল হোক বিতর্কিত হবেই।”

আগের কমিটিতে সদস্য পদে থাকা কিছু কর্মী অভিযোগ করেন, “কেন্দ্রীয় নেতারা বিভিন্ন শাখা কমিটিতে নিজেদের পছন্দের লোক বসাতে গিয়ে ত্যাগীদের সাথে তামাশা শুরু করেছে। এভাবে চলতে থাকলে ত্যাগীরা দল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে। আর ওই সময়ে আওয়ামিলীগ আবারও সুযোগ নিবে।”

বাঙলা কলেজের পাশেই দীর্ঘদিন ধরে বসবাসরত এক ছাত্রদল নেতা বলেন, ‘একটা দীর্ঘ সময় পর আমাদের আহ্বায়ক কমিটি হয়েছে। অথচ এই কমিটিতে বিগত দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে জীবন বাজি রেখে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে থেকেছে, তাদের বাদ দিয়ে নিজস্ব মাইম্যান সেটাপ করতে সিন্ডিকেট করে পকেট কমিটি গঠন করেছে। কারণ বাঙলা কলেজের সবচেয়ে অ্যাক্টিভ নেতাকর্মীদের অধিকাংশই কমিটিতে রাখা হয়নি। বরং ছাত্রলীগ থেকে ৫ তারিখের পর ছাত্রদলে যোগ দেওয়া হাইব্রিড ছেলেদের কমিটিতে রাখা হয়েছে। এমনকি কেউ কেউ বাঙলা কলেজের ছাত্র না হয়েও এই কমিটিতে স্থান পেয়েছে। সুতরাং এই কমিটি আমরা ৪৫ দিন তো দূরের কথা, একদিনও মানি না। এই সুবিধাবাদ পকেট কমিটি আমরা প্রতাক্ষাণ করছি।”

বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করা অসংখ্য ছাত্র ও কর্মীরা বলেন, “যারা আন্দোলন সংগ্রামে ব্যানার ধরার জন্য দ্বিতীয় ব্যক্তি খুঁজে পেত না, তারা এখন নেতা। যারা ছাত্রলীগ করে ৫ তারিখের পরে ছাত্রদলে ইনক্লুড হয়েছে, সেও কমিটিতে এসেছে। আমরা এ কমিটিকে মানি না। আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের কাছে দাবি জানাই অযোগ্যদের নিয়ে ঘোষিত এ কমিটিকে বাতিল করে যারা সবচেয়ে বেশি ত্যাগ শিকার করে ছাত্রদলের পতাকাকে সমুন্নত করেছে তাদের এবং ক্যাম্পাসে রানিং শিক্ষার্থীদের আস্থাভাজন তাদের হাতে বাঙলা ছাত্রদলের নেতৃত্ব দেওয়া হোক। অন্যথায় এই বিভাজন বৃহত্তর আন্দোলনে প্রভাব ফেলবে।”

মূলত মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে অন্যান্য শাখার সাথে সরকারি বাঙলা কলেজ ছাত্রদলের আংশিক এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশও প্রদান করা হয়। এরই মধ্যে কমিটিকে বিতর্কিত বলে প্রত্যাক্ষাণ করে প্রতিবাদী মিছিল করলো শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

পাইকগাছা-কয়রায় বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমীরের সফর উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়

মোঃ রেজাউল ইসলাম, পাইকগাছা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:০০ অপরাহ্ণ
পাইকগাছা-কয়রায় বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমীরের সফর উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়

খুলনার (পাইকগাছা-কয়রায়) বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমানের সফর উপলক্ষে উপজেলা জামায়াতের ইসলামীর পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে পাইকগাছা পৌরসভার সিরাতুল হুদা- ট্র্যাষ্টে উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওঃ সাঈদুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওঃ আবুল কালাম আজাদ।

২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় পাইকগাছা- কয়রায় বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমানের রাজনৈতিক ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমীর মরহুম মাওলানা শামছুর রহমানের কবর জিয়ারত করতে আগমন উপলক্ষে সাংবাদিকের কাছে বিষদ ব্যাখা দেন।

মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর খুলনা জেলা সেক্রেটারী মুন্সি মিজানুর রহমান,জেলা নাবেবে আমীর মাওঃ গোলাম সরোয়ার, সহ-সম্পাদক গোলাম কুদ্দুস, পিন্সিপাল গাউসুল আযম হাদি,জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওঃ আমিনুল ইসলাম, নুরুজ্জামান মল্লিক,এ্যাড, লিয়াকত আলী সরদার,উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওঃ আঃ হান্নান,সাবেক ছাত্র নেতা সম আব্দুল্লাহ আল মামুন।