খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১৬ বৈশাখ, ১৪৩২

মিশন হেক্সা, আনচেলত্তির সঙ্গে ব্রাজিলের চুক্তি চূড়ান্ত, ঘোষণা শিগগিরই

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:৫২ অপরাহ্ণ
মিশন হেক্সা, আনচেলত্তির সঙ্গে ব্রাজিলের চুক্তি চূড়ান্ত, ঘোষণা শিগগিরই

বিশ্ব ফুটবলে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে। রিয়াল মাদ্রিদের কিংবদন্তি কোচ কার্লো আনচেলত্তি ব্রাজিল জাতীয় দলের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন।

ইতালিয়ান এই কোচ ইতোমধ্যেই ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)–এর সঙ্গে একটি মৌখিক সমঝোতায় পৌঁছেছেন। এখন কেবল আনুষ্ঠানিক চুক্তি ও ঘোষণা বাকি।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’র খবরে বলা হয়েছে, আনচেলত্তির বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই, অর্থাৎ মে মাসের শেষ দিকে, তিনি রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়তে পারেন। এতে করে তিনি ক্লাব বিশ্বকাপে রিয়ালের ডাগআউটে থাকবেন না—এমন সম্ভাবনাও উঁকি দিচ্ছে। বিদায়ের আগে ক্লাব ও কোচের মধ্যে একটি সম্মানজনক সমঝোতা গড়ে তোলার কাজ চলছে।

লক্ষ্য একটাই—ব্রাজিলের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ
আনচেলত্তির সামনে এবার আরেকটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব— ব্রাজিলের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন বাস্তব করা। এই চ্যালেঞ্জকে ক্যারিয়ারের শেষ ও সবচেয়ে গর্বের প্রকল্প হিসেবে দেখছেন তিনি। ইউরোপিয়ান ফুটবলের শীর্ষ ক্লাবগুলোর সাফল্যগাঁথা এবার তিনি নিয়ে যেতে চান আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ মঞ্চে।

পরিচিত মুখের সঙ্গে নতুন দল
ব্রাজিলের বর্তমান দলে রয়েছেন ভিনিসিউস জুনিয়র, রদ্রিগো, মিলিতাও এবং উঠতি প্রতিভা এন্দ্রিকের মতো রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়েরা—যারা আনচেলত্তির অধীনে নিয়মিত খেলছেন। তাদের সঙ্গে রয়েছে লা লিগার আরও ব্রাজিলিয়ান তারকা যেমন রাফিনহা, যাদের সঙ্গে আনচেলত্তির পরিচয় ও বোঝাপড়া ইতোমধ্যেই গড়ে উঠেছে।

সম্মান ও কৌশলের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে সমঝোতা
সিবিএফ-এর বিশেষ দূত দিয়েগো ফার্নান্দেস-এর নেতৃত্বে আনচেলত্তির সঙ্গে আলোচনা দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে, সাবধানতা ও শ্রদ্ধাবোধ বজায় রেখে দুপক্ষ একমত হয়েছে।

ফার্নান্দেস গত কয়েক মাসে ইউরোপে একাধিকবার আনচেলত্তির সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করেন। ১৬ এপ্রিল রিয়াল-আর্সেনালের ম্যাচেও উপস্থিত ছিলেন তিনি।

সম্মানজনক বিদায়ের প্রস্তুতি রিয়ালেও
রিয়াল মাদ্রিদও ধীরে ধীরে পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। আনচেলত্তির অবদান স্বীকার করে, তাকে ভবিষ্যতে ক্লাবের উচ্চপর্যায়ের ভূমিকায় দেখা যেতে পারে বলেও ইঙ্গিত রয়েছে। সব পক্ষই চাইছে—এই অধ্যায় শেষ হোক সম্মান আর সৌহার্দ্যের আবহে।

মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:১৭ অপরাহ্ণ
মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় মানববন্ধন

দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহমুদুর রহমানসহ পত্রিকার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের করা মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় মানববন্ধন করেছেন আমার দেশ পাঠক মেলা।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে এ মানববন্ধন করেন তারা।

মানববন্ধনে সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

মানববন্ধন বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু জুবায়েদ রিপন,কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু,বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা মিথ্যা মামলা ও সত্য প্রকাশের বাঁধা সৃষ্টির প্রতিবাদ করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহার এবং বিগত পতিত আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসর মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের বিদেশে টাকা পাচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ এবং গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

বন্ধুত্ব চাইলে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে: গোলাম পরওয়ার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:১৫ অপরাহ্ণ
বন্ধুত্ব চাইলে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে: গোলাম পরওয়ার

সীমান্তে দুইজন বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ভারতের এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের কারণেই দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের কোনো উন্নতি হচ্ছে না। বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাইলে ভারত সরকারকে অবশ্যই সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ২৭ এপ্রিল ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ২ জন বাংলাদেশি নাগরিক যথাক্রমে গোপালপুর গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে মিকাইল ও হানিফ আলীর ছেলে মো. ওবায়দুল নিহত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, ভারতীয় বিএসএফ ঠান্ডা মাথায় অব্যাহতভাবে বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের পাখির মতো একের পর এক গুলি করে হত্যা করেই যাচ্ছে।

জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, গত ৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত বিএসএফ ১৬ জন বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে এবং ৪৮ জনকে আহত করেছে। বাংলাদেশ সরকার ভারতীয় বিএসএফের সব হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করা সত্ত্বেও ভারত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করছে না।

ভারতের এ ধরনের একগুঁয়েমীর কারণেই দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের কোনো উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাইলে ভারত সরকারকে অবশ্যই সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ কতৃক বাংলাদেশিদের হত্যাকাণ্ড বন্ধ এবং সীমান্ত এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে জোরালো আহ্বান জানান তিনি।

রাখাইনে ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:১২ অপরাহ্ণ
রাখাইনে ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব

কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিসংঘের ‘মানবিক করিডোর’ স্থাপন নিয়ে অবস্থান পরিষ্কার করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত ব্যাখ্যা তুলে ধরেন তিনি।

রাখাইন রাজ্যে ‘মানবিক করিডোর’ বিষয়ে প্রশ্নোত্তর শিরোনামে প্রশ্ন হিসেবে শফিকুল আলম লিখেছেন, বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন নিয়ে নানা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। বলা হচ্ছে, এটি একটি বড় বিশ্বশক্তির ভূ-রাজনৈতিক পরিকল্পনার অংশ এবং এতে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। এমনকি একটি প্রধান রাজনৈতিক দল মন্তব্য করেছে যে, এ ধরনের করিডোর স্থাপনের বিষয়ে দেশের মূল স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত হয়নি। আসলে কী ঘটছে, দয়া করে বলবেন?

এর উত্তরে তিনি লিখেছেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, সরকার জাতিসংঘ বা অন্য কোনো সংস্থার সঙ্গে তথাকথিত ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে কোনো আলোচনা করেনি। আমাদের অবস্থান হলো, যদি জাতিসংঘের নেতৃত্বে রাখাইনে মানবিক সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়, তবে বাংলাদেশ তাৎপর্যপূর্ণভাবে লজিস্টিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) অনুযায়ী, রাখাইন রাজ্যে বর্তমানে চরম মানবিক সংকট বিরাজ করছে। বাংলাদেশ সবসময়ই সংকটকালে অন্যান্য দেশকে সহায়তা করেছে, যেমন সম্প্রতি মিয়ানমারে ভূমিকম্পের পর আমরা যে মানবিক সাহায্য পাঠিয়েছি।

প্রেস সচিব বলেন, আমরা এ বিষয়েও উদ্বিগ্ন যে, রাখাইনে মানবিক দুর্দশা অব্যাহত থাকলে তা বাংলাদেশে নতুন করে বাস্তুচ্যুত মানুষের ঢল নামার কারণ হতে পারে, যা আমরা আর বহন করতে পারবো না।

তিনি লেখেন, আমরা বিশ্বাস করি, জাতিসংঘের সহায়তায় মানবিক ত্রাণ সহায়তা রাখাইনকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে এবং শরণার্থীদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করবে।

শফিকুল আলম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে রাখাইনে সহায়তা পৌঁছানোর একমাত্র কার্যকর রুট হচ্ছে বাংলাদেশের মাধ্যমে। এ পথে ত্রাণ পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ নীতিগতভাবে লজিস্টিক সহায়তা দিতে সম্মত।

‘তবে এখনো রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আমরা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। যথাসময়ে এ বিষয়ে দেশের প্রাসঙ্গিক স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’

যেখানে একটি বড় শক্তির সংশ্লিষ্টতার কথা বলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং কল্পিত অপপ্রচার। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে ধারাবাহিক মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক প্রচার চালানো হয়েছে, এটি তারই অংশ। এ ধরনের অপপ্রচার আমরা আগেও দেখেছি, এখনো চলছে বলেও যোগ করেন প্রেস সচিব।