খুঁজুন
বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫, ১৭ বৈশাখ, ১৪৩২

সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বনখেকো চক্রের ষড়যন্ত্র

সংবাদ প্রচারের জেরে মিথ্যা অপপ্রচার, প্রতিবাদে মানববন্ধন

রাঙ্গাবালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫, ৬:৪৬ অপরাহ্ণ
সংবাদ প্রচারের জেরে মিথ্যা অপপ্রচার, প্রতিবাদে মানববন্ধন

সংরক্ষিত বন উজাড় করে বনখেকো চক্রের বনভূমি দখলের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক যুগান্তরের ষ্টাফ রিপোর্টার ও একাত্তর টেলিভিশনের প্রতিনিধি কামরুল হাসানের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করা হয়েছে।

শুক্রবার (৭ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১ টায় রাঙ্গাবালী প্রেস ক্লাবের সামনে এ আয়োজন করা হয়।
রাঙ্গাবালী প্রেস ক্লাব ও সুশীল সমাজের ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার শতাধিক মানুষ অংশ নেন।

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, বনখেকো চক্রের বিরুদ্ধে সাহসী অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশের জেরে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে দৈনিক যুগান্তর ও একাত্তর টেলিভিশনের সাংবাদিক কামরুল হাসানের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা বানোয়াট অপপ্রচার চালাচ্ছে বনখেকো চক্র। এ ধরণের ঘটনা সাংবাদিকদের বাকস্বাধীনতার জন্য হুমকি বলে উল্লেখ করেন তারা।

অপপ্রচারকারীদের হুশিয়ারি দিয়ে বক্তারা বলেন, স্বাধীন সাংবাদিকতায় হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে। প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচির ডাক দিবে সচেতন মহল ও সাংবাদিক সমাজ। তাই অনতিবিলম্বে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা। সেই সঙ্গে মিথ্যা ও বানোয়াট অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানানো হয় এ কর্মসূচিতে। পরে রাঙ্গাবালী প্রেস ক্লাবে প্রতিবাদ সভা করেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।

উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ দৈনিক যুগান্তরে ‘গাছ কেটে ভু‚মি দখল’ শিরোনামে রাঙ্গাবালীর মাঝের চরের সংরক্ষিত বন উজাড় করে বনভূমি দখলের সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরদিন ৫ মার্চ একাত্তর টেলিভিশনে ‘রাঙ্গাবালীতে সংরক্ষিত বনের গাছ উজাড়: গাছ কাটছে বনখেকোরা, দখল হচ্ছে বনভূমি, তবুও উদাসীন বন বিভাগ’ শীর্ষক প্রতিবেদন ও লাইভ সম্প্রচার করা হয়।

মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:১৭ অপরাহ্ণ
মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় মানববন্ধন

দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহমুদুর রহমানসহ পত্রিকার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের করা মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় মানববন্ধন করেছেন আমার দেশ পাঠক মেলা।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে এ মানববন্ধন করেন তারা।

মানববন্ধনে সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

মানববন্ধন বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু জুবায়েদ রিপন,কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু,বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা মিথ্যা মামলা ও সত্য প্রকাশের বাঁধা সৃষ্টির প্রতিবাদ করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহার এবং বিগত পতিত আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসর মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের বিদেশে টাকা পাচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ এবং গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

বন্ধুত্ব চাইলে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে: গোলাম পরওয়ার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:১৫ অপরাহ্ণ
বন্ধুত্ব চাইলে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে: গোলাম পরওয়ার

সীমান্তে দুইজন বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ভারতের এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের কারণেই দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের কোনো উন্নতি হচ্ছে না। বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাইলে ভারত সরকারকে অবশ্যই সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ২৭ এপ্রিল ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ২ জন বাংলাদেশি নাগরিক যথাক্রমে গোপালপুর গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে মিকাইল ও হানিফ আলীর ছেলে মো. ওবায়দুল নিহত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, ভারতীয় বিএসএফ ঠান্ডা মাথায় অব্যাহতভাবে বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের পাখির মতো একের পর এক গুলি করে হত্যা করেই যাচ্ছে।

জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, গত ৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত বিএসএফ ১৬ জন বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে এবং ৪৮ জনকে আহত করেছে। বাংলাদেশ সরকার ভারতীয় বিএসএফের সব হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করা সত্ত্বেও ভারত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করছে না।

ভারতের এ ধরনের একগুঁয়েমীর কারণেই দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের কোনো উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাইলে ভারত সরকারকে অবশ্যই সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ কতৃক বাংলাদেশিদের হত্যাকাণ্ড বন্ধ এবং সীমান্ত এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে জোরালো আহ্বান জানান তিনি।

রাখাইনে ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:১২ অপরাহ্ণ
রাখাইনে ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব

কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিসংঘের ‘মানবিক করিডোর’ স্থাপন নিয়ে অবস্থান পরিষ্কার করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত ব্যাখ্যা তুলে ধরেন তিনি।

রাখাইন রাজ্যে ‘মানবিক করিডোর’ বিষয়ে প্রশ্নোত্তর শিরোনামে প্রশ্ন হিসেবে শফিকুল আলম লিখেছেন, বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন নিয়ে নানা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। বলা হচ্ছে, এটি একটি বড় বিশ্বশক্তির ভূ-রাজনৈতিক পরিকল্পনার অংশ এবং এতে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। এমনকি একটি প্রধান রাজনৈতিক দল মন্তব্য করেছে যে, এ ধরনের করিডোর স্থাপনের বিষয়ে দেশের মূল স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত হয়নি। আসলে কী ঘটছে, দয়া করে বলবেন?

এর উত্তরে তিনি লিখেছেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, সরকার জাতিসংঘ বা অন্য কোনো সংস্থার সঙ্গে তথাকথিত ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে কোনো আলোচনা করেনি। আমাদের অবস্থান হলো, যদি জাতিসংঘের নেতৃত্বে রাখাইনে মানবিক সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়, তবে বাংলাদেশ তাৎপর্যপূর্ণভাবে লজিস্টিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) অনুযায়ী, রাখাইন রাজ্যে বর্তমানে চরম মানবিক সংকট বিরাজ করছে। বাংলাদেশ সবসময়ই সংকটকালে অন্যান্য দেশকে সহায়তা করেছে, যেমন সম্প্রতি মিয়ানমারে ভূমিকম্পের পর আমরা যে মানবিক সাহায্য পাঠিয়েছি।

প্রেস সচিব বলেন, আমরা এ বিষয়েও উদ্বিগ্ন যে, রাখাইনে মানবিক দুর্দশা অব্যাহত থাকলে তা বাংলাদেশে নতুন করে বাস্তুচ্যুত মানুষের ঢল নামার কারণ হতে পারে, যা আমরা আর বহন করতে পারবো না।

তিনি লেখেন, আমরা বিশ্বাস করি, জাতিসংঘের সহায়তায় মানবিক ত্রাণ সহায়তা রাখাইনকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে এবং শরণার্থীদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করবে।

শফিকুল আলম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে রাখাইনে সহায়তা পৌঁছানোর একমাত্র কার্যকর রুট হচ্ছে বাংলাদেশের মাধ্যমে। এ পথে ত্রাণ পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ নীতিগতভাবে লজিস্টিক সহায়তা দিতে সম্মত।

‘তবে এখনো রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আমরা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। যথাসময়ে এ বিষয়ে দেশের প্রাসঙ্গিক স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’

যেখানে একটি বড় শক্তির সংশ্লিষ্টতার কথা বলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং কল্পিত অপপ্রচার। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে ধারাবাহিক মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক প্রচার চালানো হয়েছে, এটি তারই অংশ। এ ধরনের অপপ্রচার আমরা আগেও দেখেছি, এখনো চলছে বলেও যোগ করেন প্রেস সচিব।