খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

সিরাজগঞ্জ নিশেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার, ২০ জনকে সাজা, পুলিশের নিরবতা

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জঃ
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪, ১:৪০ অপরাহ্ণ
সিরাজগঞ্জ নিশেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার, ২০ জনকে সাজা, পুলিশের নিরবতা

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি অঞ্চলে যমুনা নদীতে মৎস্য অধিদপ্তরের নিশেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ মাছা শিকার করছেন মৌসুমী জেলেরা। খবর পেয়ে দিনভর অভিযান চালিয়ে ২০ জন জেলেতে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালত।

এসময় তাদের কাছ থেকে প্রায় ৩৫ কেজি মা ইলিশ মাছ ও দুই লাখ মিটার কারেন্ট জাল উদ্ধার করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের এই অভিযানে পুলিশ কোন সহযোগীতা করেনি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

২২ অক্টবর মঙ্গলবার সকাল থেকে যমুনা নদীর বেলকুচি অঞ্চলে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় মা ইলিশের প্রজনন বৃদ্ধি করতে অভিযানে নামে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসন।

এসময় তারা যমুনা নদীতে মা ইলিশ শিকার অবস্থায় ২০ জন মৌসুমী জেলেকে মাছ ও জাল সহ আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে প্রতিজনকে ১৪ দিন করে সাজা দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেট আফিয়া সুলতানা কেয়া। 

উপজেলা অতিরিক্ত মৎস্য কর্মকর্তা জুয়েল আহম্মেদ বলেন, আগামী ৩রা নভেম্বর পর্যন্ত আমাদের যমুনা নদীতে মা ইলিশ ডিম প্রজনন করতে আসবে। এজন্য নির্বিগ্নে মা ইলিশ যেন ডিম প্রজনন করতে পারে সেজন্য মৎস্য অধিদপ্তর নদীতে মাছ শিকার নিষেধ করে নিয়েছেন। এসময় আমরা জেলেদের ভিজিএফ চাল সহ অন্যান্য সহযোগীতা করে থাকি। কেউ যদি এই আদেশ অমান্য করে মাছ ধরে তাহলে তাকে জেল জরিমানা করা হয়।

এরি ধারাবাহিকতায় আমরা আজ অভিযান করে নদীতে কারেন্ট জাল, ইলিশ মাছ সহ ২০ জনকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়া হয়। আর মাছ গুলো বিভিন্ন এতিমখানায় দিয়ে দেয় হয়। উদ্ধার করা জাল গুলো পুরিয়ে ফেলা হয়েছে। আমাদের এই অভিযান চলমান থাকবে।

বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া সুলতানা কেয়া বলেন, আমরা মৎস্য সম্পদ রক্ষায় যমুনা নদীতে অভিযান চালিয়ে ২০ জনকে আটক করে সাজা দিয়েছি। আর সকলকে সচেতন করতে এক মাস আগে থেকে মাইকিং,  লিফলেট বিতরন সহ নানা কর্যক্রম চালাচ্ছি। তবে আমরা মৎস্য অভিযানে পুলিশের কোন সহযোগীতা পাচ্ছিনা। এমনকি অসামী ধরে আনার পরেও পুলিশের গাড়ী দিয়ে আসামী নিয়ে যাবে সেই সহযোগীতাও করেনি। আমি আনসার সদস্যদের সাথে নিয়ে অভিযান সহ সকল কার্যক্রম করছি।

এ ব্যাপারে বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ জাকেরিয়া হোসেন বলেন, মৎস্য অভিযানের জন্য আমাদের একটা টিম সব সময় রেডি রেখেছি। আজ তারা অভিযানে যাবে তা আমাকে বলেনি। আর যখন গাড়ী চেয়েছে তা দেয়া সম্ভব হয়নি কারন আমাদের এই ছোট গাড়ীতে ২০ জন আসামী নেযা সম্ভব হবেনা তাই। তবে আমি পুলিশ সাথে দিয়ে জেলখানা পর্যন্ত আসামী পৌছে দিয়েছি।

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।