খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

হরিনাকুন্ডু ৭নং রঘুনাথপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মীসভা অনুষ্ঠিত

ইনছান আলী, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪, ৪:৪০ অপরাহ্ণ
হরিনাকুন্ডু ৭নং রঘুনাথপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মীসভা অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নে ওয়ার্ড বিএনপির কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকেলে ইউনিয়নের রঘুনাথপুর হোসেন আলী আলিম মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে ২নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে এ কর্মীসভার আয়োজন করা হয়।

ইউনিয়নটির ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি দুলাল সর্দারের সভাপতিত্বে কর্মীসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঝিনাইদহ জেলা জাসাসের যুগ্ম আহ্বায়ক বিশিষ্ট শিল্পপতি সাংবাদিক জাহিদ হাসান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রঘুনাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুর রহমান অল্টু, ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হামিদুর রহমান, ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ বদর উদ্দিন, সাবেক ২নং ওয়ার্ড মেম্বার ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি লতাহার মাষ্টার, সাবেক ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল বারী ও সাবেক ২নং ওয়ার্ড মেম্বার আলী হোসেন ব্যাপারী।

এছাড়াও উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এসময় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, দেশ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। বিএনপি সরকার ক্ষমতায় না থাকলেও ছায়া সরকার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা জেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট এমএ মজিদের নির্দেশে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আমার রাজনৈতিক অভিভাবক। আপনাদেরকে আমি প্রথমে যে কথা বলতে চাই তা হলো, বিনা কারণে কারো উস্কানিতে কান দিয়ে ইউনিয়নে কোন প্রকার অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হবেন না। এটা জেলা বিএনপির সভাপতির নির্দেশ। আমি তার কথা আপনাদের মাঝে তুলে ধরছি মাত্র।

তাছাড়া পতিত ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসররা যদি তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য সমাজকে অস্থিতিশীল করতে চায়। তবে সংগে সংগে তাদেরকে রুখে দিতে জেলা বিএনপির সভাপতিকে অবহিত করবেন। প্রধান অতিথি বলেন, শতশত ছাত্র ও জনগণের রক্তের বিনিময়ে এদেশ স্বৈরাচারী সরকার থেকে মুক্তি পেয়েছে। তাদের প্রেতাত্মা এখনো দেশে বিরাজমান। যাদের কারণে গত ১৫ বছর আমরা একসাথে বসতে পারিনি, সভা সমাবেশ করতে পারিনি।

ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমরা সে অধিকার ফিরে পেয়েছি। তাই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোন ভাবেই ব্যার্থ হতে দেওয়া যাবে না। এই সরকার ব্যার্থ হলে গণ অভ্যুত্থান ব্যার্থ হবে, হাজার শহীদের রক্ত বৃথা যাবে। তাই দেশের পতিত শৈরাচার সরকারের ফ্যাসিবাদী কায়েম করতে যারা সহায়তা করেছে, তাদেরকেও চিহ্নিত করতে হবে। জনগণের মৌলিক অধিকার ফিরে পেতে জনগণকেই প্রতিবাদ করতে হবে। যার যার স্থান থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সহযোগিতা করতে হবে।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে আরো বলেন, ইতিমধ্যে আপনারা শুনেছেন আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা স্পষ্ট ভাষায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে বলেছেন যে, একটি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে একটি লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির মাধ্যমে নির্বাচন দিতে। অতএব আপনারা সবাই ভোটের জন্য প্রস্তুতী নিতে, ওয়ার্ডবাসী একতাবদ্ধ থাকবেন বলে আমি আশাবাদী।

এর আগে প্রধান অতিথির আগমনে স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিত নেতাকর্মীরা, শ্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তাকে বরণ করেন। সভা শেষে, প্রধান অতিথির নিজস্ব তহবিল থেকে উপস্থিত ৭/৮’শ নেতা কর্মীদের জন্য প্রিতি ভোজের আয়োজন করা হয়।

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।