হরিনাকুন্ডু ৭নং রঘুনাথপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মীসভা অনুষ্ঠিত
ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নে ওয়ার্ড বিএনপির কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকেলে ইউনিয়নের রঘুনাথপুর হোসেন আলী আলিম মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে ২নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে এ কর্মীসভার আয়োজন করা হয়।
ইউনিয়নটির ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি দুলাল সর্দারের সভাপতিত্বে কর্মীসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঝিনাইদহ জেলা জাসাসের যুগ্ম আহ্বায়ক বিশিষ্ট শিল্পপতি সাংবাদিক জাহিদ হাসান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রঘুনাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুর রহমান অল্টু, ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হামিদুর রহমান, ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ বদর উদ্দিন, সাবেক ২নং ওয়ার্ড মেম্বার ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি লতাহার মাষ্টার, সাবেক ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল বারী ও সাবেক ২নং ওয়ার্ড মেম্বার আলী হোসেন ব্যাপারী।
এছাড়াও উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এসময় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, দেশ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। বিএনপি সরকার ক্ষমতায় না থাকলেও ছায়া সরকার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা জেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট এমএ মজিদের নির্দেশে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আমার রাজনৈতিক অভিভাবক। আপনাদেরকে আমি প্রথমে যে কথা বলতে চাই তা হলো, বিনা কারণে কারো উস্কানিতে কান দিয়ে ইউনিয়নে কোন প্রকার অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হবেন না। এটা জেলা বিএনপির সভাপতির নির্দেশ। আমি তার কথা আপনাদের মাঝে তুলে ধরছি মাত্র।
তাছাড়া পতিত ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসররা যদি তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য সমাজকে অস্থিতিশীল করতে চায়। তবে সংগে সংগে তাদেরকে রুখে দিতে জেলা বিএনপির সভাপতিকে অবহিত করবেন। প্রধান অতিথি বলেন, শতশত ছাত্র ও জনগণের রক্তের বিনিময়ে এদেশ স্বৈরাচারী সরকার থেকে মুক্তি পেয়েছে। তাদের প্রেতাত্মা এখনো দেশে বিরাজমান। যাদের কারণে গত ১৫ বছর আমরা একসাথে বসতে পারিনি, সভা সমাবেশ করতে পারিনি।
ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমরা সে অধিকার ফিরে পেয়েছি। তাই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোন ভাবেই ব্যার্থ হতে দেওয়া যাবে না। এই সরকার ব্যার্থ হলে গণ অভ্যুত্থান ব্যার্থ হবে, হাজার শহীদের রক্ত বৃথা যাবে। তাই দেশের পতিত শৈরাচার সরকারের ফ্যাসিবাদী কায়েম করতে যারা সহায়তা করেছে, তাদেরকেও চিহ্নিত করতে হবে। জনগণের মৌলিক অধিকার ফিরে পেতে জনগণকেই প্রতিবাদ করতে হবে। যার যার স্থান থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সহযোগিতা করতে হবে।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে আরো বলেন, ইতিমধ্যে আপনারা শুনেছেন আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা স্পষ্ট ভাষায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে বলেছেন যে, একটি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে একটি লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির মাধ্যমে নির্বাচন দিতে। অতএব আপনারা সবাই ভোটের জন্য প্রস্তুতী নিতে, ওয়ার্ডবাসী একতাবদ্ধ থাকবেন বলে আমি আশাবাদী।
এর আগে প্রধান অতিথির আগমনে স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিত নেতাকর্মীরা, শ্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তাকে বরণ করেন। সভা শেষে, প্রধান অতিথির নিজস্ব তহবিল থেকে উপস্থিত ৭/৮’শ নেতা কর্মীদের জন্য প্রিতি ভোজের আয়োজন করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন