খুঁজুন
শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

ট্রাম্পকার্ডের শেষ কোথায় ?

সংখ্যালঘুর নামে ঢাকায় ছাত্র-যুব সমাবেশ

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯:৫১ অপরাহ্ণ
সংখ্যালঘুর নামে ঢাকায় ছাত্র-যুব সমাবেশ

৫ আগস্ট বিপ্লবের পর থেকেই প্রকাশ্যে বিভিন্ন বিতর্কিত বক্তব্য দিচ্ছে কট্টর উগ্রবাদী হিন্দু সংগঠন ইসকন সহ তাদের অঙ্গসংগঠন গুলো। এর বাইরেও তারা নানা ধরনের বিতর্কিত ফন্দি আঁটছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এবার তারা অভিযোগ করেছে, বাংলাদেশে সংগঠিত সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকে লঘু করে জাতীয়-আন্তর্জাতিক মহলে দেখানো হচ্ছে। আর এই প্রবণতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সংখ্যালঘু ছাত্র-যুব ও সংখ্যালঘু সমাজ।

আজ শনিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে সহিংসতার ঘটনা ঘটে চলেছে। শুধু তা-ই নয়, এক বিশেষ মহল প্রকাশ্যে সংখ্যালঘুদের জবাই করার হুমকি দিচ্ছে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে সরকারের কোনো যথাযথ পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয়। এতে আপামর সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আশঙ্কিত ও আতঙ্কিত।

ছাত্র-যুব ও সংখ্যালঘু নেতৃবৃন্দ সম্প্রতি অ্যার্টনি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানের হাইকোর্টের এক মামলার শুনানিতে সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দেওয়ার পক্ষে প্রদত্ত অভিমতকে গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ ও ছাত্র জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আকাঙ্খার পরিপন্থী হিসেবে উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ মঞ্চের গতকাল রংপুরের সমাবেশে হামলার কোনো ঘটনা না ঘটলেও তারা নানান অভিযোগ করছেন। তাদের ভাষ্যমতে, শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে বানচালের লক্ষ্যে যোগদানেচ্ছুক সনাতনী সম্প্রদায়ের ওপর হামলা করা হয়েছে। তারা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

ছাত্র-যুব নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘এহেন ন্যাক্কারজনক ঘটনা বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করবে। ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারী হামলাকারীদের এবং মহাসমাবেশ বানচালের অপচেষ্টাকারীদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্যে সরকারের কাছে তারা জোর দাবি জানিয়েছেন।’

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সরকারের সঞ্চালনায় নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার চলমান ঘটনা হিসেবে কিশোরগঞ্জের হৃদয় রবিদাসকে হত্যা, চট্টগ্রামের হাজারী লেইনে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, ধর্ম অবমাননার অভিযোগে সুনামগঞ্জে আটককৃত আকাশ সিংহকে গ্রেপ্তার, নেত্রকোনার মহনগঞ্জে সংখ্যালঘুদের জমি জবর দখল এবং মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার শশিকর কলেজের অধ্যক্ষ দূর্লভানন্দকে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করার জন্য তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান এবং অনতিবিলম্বে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বন্ধ ও দোষীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি শিমুল সাহা। বক্তব্য রাখেন ছাত্র ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সজিব সরকার, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অপূর্বানন্দ রায়, ছাত্র ঐক্য পরিষদের নেত্রী সুস্মিতা সরকার, যুব ঐক্য পরিষদের মহিলা সম্পাদিকা চন্দ্রা রায় চম্পা, যুব ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি তাপস দাস, এ্যাড. প্রভাত টুডু, রঞ্জিত সেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশিষ সরকার, হিন্দু যুব মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক রাজেশ নাহা প্রমুখ।

এছাড়াও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি প্রফেসর ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ ছাত্র-যুবদের দাবির পক্ষে সংহতি প্রকাশ করে চলমান সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বন্ধ এবং দোষীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানান ও অনতিবিলম্বে সংখ্যালঘুদের ৮ দফা বাস্তবায়ন এবং বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রখ্যাত আইনজীবী, মানবাধিকার নেতা রাণা দাশগুপ্তসহ ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

বিক্ষোভ শেষে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা চিরতরে বন্ধ এবং সহিংসতাকারীদের গ্রেপ্তারপূর্বক বিচারের দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান সহকারে এক বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ ও ছাত্র ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে রাজধানী ঢাকা ছাড়াও কুমিল্লা জেলা ও মহানগর, পাবনা, খুলনা জেলা ও মহানগর, চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বন্ধের দাবিতে জমায়েত ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত করে।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সস্ত্রীক সাক্ষাৎ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ৬:২৩ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সস্ত্রীক সাক্ষাৎ

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। শনিবার (৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সেনাপ্রধানের স্ত্রীও সঙ্গে ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে তারা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কিছু সময় অতিবাহিত করেন বলে জানা গেছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া একটি পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি লিখেন, ‘ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ও তার স্ত্রী।’

উল্লেখ্য, একই দিনে দুপুরে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসানও তার স্ত্রীসহ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ঈদ উপলক্ষে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের এই সাক্ষাৎ ছিল রাষ্ট্রীয় সৌজন্যের অংশ হিসেবে।

ঈদুল আজহার দিনে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অতর্কিত হামলা, নিহত ৪২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ৬:১৯ অপরাহ্ণ
ঈদুল আজহার দিনে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অতর্কিত হামলা, নিহত ৪২

ঈদুল আজহার দিনেও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় অতর্কিত হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। খবর আল জাজিরার।

গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে নিহত ১৬ জনের মৃতদেহ নগরীর আল নাসের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এ ছাড়া গাজার উত্তরাঞ্চলে নিহত ১৬ জনের মৃতদেহ নেওয়া হয় আল-শিফা হাসপাতালে।

নগরীর আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে নিহত পাঁচজনের মৃতদেহ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দাইর আল-বালাহ শহরে নিহত আরও পাঁচজনের মৃতদেহ নেওয়া হয় আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে।

দাইর আল-বালাহ থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু-আজৌম বলেন, গাজায় ঈদ এমনই দেখা যাচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, গাজায় এ বছর আনন্দের বদলে বোমাবর্ষণ, বাস্তুচ্যুতি ও প্রাণহানির মধ্যে দিয়ে ঈদের দিনটি পার হচ্ছে।

১৯ মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এতে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫২ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে লক্ষাধিক। সেই সঙ্গে ঘর ছাড়া হয়েছে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করলো ইয়েমেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ
ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করলো ইয়েমেন

অবরুদ্ধ গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরাইল অধিকৃত ভূখণ্ডে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে হুথি আনসারুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী। এ হামলার ফলে দখলকৃত ভূখণ্ডে বসবাসরত ইসরাইলি বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার সময় অনেক ইহুদি বাসিন্দা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালিয়ে যান।

ইসরাইলি সূত্র নিশ্চিত করেছে, ইয়েমেন থেকে অন্তত একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দখলদার ভূখণ্ডের দিকে ছোড়া হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ইয়েমেনি নেতারা বারবার ঘোষণা দিয়েছেন, তাদের এ ধরনের হামলা গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের জবাবে এবং গাজাবাসীদের প্রতি সংহতির অংশ হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। এটি বৃহত্তর আঞ্চলিক প্রতিরোধ কৌশলের অংশ।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় হামাসসহ ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো ‘আল আকসা ঝড়’ নামে এক আকস্মিক পাল্টা হামলা চালানোর পর থেকে ইসরাইল গাজায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। সেই থেকে ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ স্পষ্টভাবে ফিলিস্তিনের সংগ্রামের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং একাধিকবার ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়েছে।