খুঁজুন
শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ১৯ পৌষ, ১৪৩১

ট্রাম্পকার্ডের শেষ কোথায় ?

সংখ্যালঘুর নামে ঢাকায় ছাত্র-যুব সমাবেশ

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯:৫১ অপরাহ্ণ
সংখ্যালঘুর নামে ঢাকায় ছাত্র-যুব সমাবেশ

৫ আগস্ট বিপ্লবের পর থেকেই প্রকাশ্যে বিভিন্ন বিতর্কিত বক্তব্য দিচ্ছে কট্টর উগ্রবাদী হিন্দু সংগঠন ইসকন সহ তাদের অঙ্গসংগঠন গুলো। এর বাইরেও তারা নানা ধরনের বিতর্কিত ফন্দি আঁটছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এবার তারা অভিযোগ করেছে, বাংলাদেশে সংগঠিত সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকে লঘু করে জাতীয়-আন্তর্জাতিক মহলে দেখানো হচ্ছে। আর এই প্রবণতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সংখ্যালঘু ছাত্র-যুব ও সংখ্যালঘু সমাজ।

আজ শনিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে সহিংসতার ঘটনা ঘটে চলেছে। শুধু তা-ই নয়, এক বিশেষ মহল প্রকাশ্যে সংখ্যালঘুদের জবাই করার হুমকি দিচ্ছে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে সরকারের কোনো যথাযথ পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয়। এতে আপামর সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আশঙ্কিত ও আতঙ্কিত।

ছাত্র-যুব ও সংখ্যালঘু নেতৃবৃন্দ সম্প্রতি অ্যার্টনি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানের হাইকোর্টের এক মামলার শুনানিতে সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দেওয়ার পক্ষে প্রদত্ত অভিমতকে গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ ও ছাত্র জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আকাঙ্খার পরিপন্থী হিসেবে উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ মঞ্চের গতকাল রংপুরের সমাবেশে হামলার কোনো ঘটনা না ঘটলেও তারা নানান অভিযোগ করছেন। তাদের ভাষ্যমতে, শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে বানচালের লক্ষ্যে যোগদানেচ্ছুক সনাতনী সম্প্রদায়ের ওপর হামলা করা হয়েছে। তারা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

ছাত্র-যুব নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘এহেন ন্যাক্কারজনক ঘটনা বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করবে। ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারী হামলাকারীদের এবং মহাসমাবেশ বানচালের অপচেষ্টাকারীদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্যে সরকারের কাছে তারা জোর দাবি জানিয়েছেন।’

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সরকারের সঞ্চালনায় নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার চলমান ঘটনা হিসেবে কিশোরগঞ্জের হৃদয় রবিদাসকে হত্যা, চট্টগ্রামের হাজারী লেইনে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, ধর্ম অবমাননার অভিযোগে সুনামগঞ্জে আটককৃত আকাশ সিংহকে গ্রেপ্তার, নেত্রকোনার মহনগঞ্জে সংখ্যালঘুদের জমি জবর দখল এবং মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার শশিকর কলেজের অধ্যক্ষ দূর্লভানন্দকে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করার জন্য তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান এবং অনতিবিলম্বে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বন্ধ ও দোষীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি শিমুল সাহা। বক্তব্য রাখেন ছাত্র ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সজিব সরকার, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অপূর্বানন্দ রায়, ছাত্র ঐক্য পরিষদের নেত্রী সুস্মিতা সরকার, যুব ঐক্য পরিষদের মহিলা সম্পাদিকা চন্দ্রা রায় চম্পা, যুব ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি তাপস দাস, এ্যাড. প্রভাত টুডু, রঞ্জিত সেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশিষ সরকার, হিন্দু যুব মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক রাজেশ নাহা প্রমুখ।

এছাড়াও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি প্রফেসর ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ ছাত্র-যুবদের দাবির পক্ষে সংহতি প্রকাশ করে চলমান সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বন্ধ এবং দোষীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানান ও অনতিবিলম্বে সংখ্যালঘুদের ৮ দফা বাস্তবায়ন এবং বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রখ্যাত আইনজীবী, মানবাধিকার নেতা রাণা দাশগুপ্তসহ ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

বিক্ষোভ শেষে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা চিরতরে বন্ধ এবং সহিংসতাকারীদের গ্রেপ্তারপূর্বক বিচারের দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান সহকারে এক বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ ও ছাত্র ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে রাজধানী ঢাকা ছাড়াও কুমিল্লা জেলা ও মহানগর, পাবনা, খুলনা জেলা ও মহানগর, চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বন্ধের দাবিতে জমায়েত ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত করে।

যুবদল কর্মী হত্যার ঘটনায় ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যাচার

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৫, ১০:৪০ অপরাহ্ণ
যুবদল কর্মী হত্যার ঘটনায় ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যাচার

বরগুনার পাথরঘাটা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষ করে ফেরার পথে নাসির হাওলাদার (৩৮) নামে এক যুবদল নেতাকে পায়ের রগ কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় সন্দেহের জেরে তিনটি বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও উপজেলা শিবিরের সভাপতিকে মারধর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।

বুধবার উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সত্তার মিলিটারির বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বরগুনার পুলিশ সুপার ইব্রাহিম খলিল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পাথরঘাটা সার্কেল মোহাম্মদ আবু ছালেহ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মেহেদী হাসান।

নিহত নাসির হাওলাদার পাথরঘাটা পৌর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে এবং ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য।

প্রত্যক্ষদর্শী আনসার মোল্লা জানান, আজ দুপুরে বাড়ির সামনে চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি নাসির রাস্তার পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে রাব্বি, ইব্রাহিম ও হাসান মোটরসাইকেলে করে দ্রুত পালিয়ে যান। রাব্বির হাতে একটি রামদা ছিল। এর আগে একাধিক মোটরসাইকেল দ্রুত চলে যায়।

জানা গেছে, রাব্বি (১৮) মাহবুব হোসেনের ছেলে, হাসান (১৯) ফরিদ গাজীর এবং ইব্রাহিম (১৮) আবু হানিফের ছেলে। এঁদের বাড়ি উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে।

উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেন, একসময়ের ছাত্রলীগের সক্রিয় নেতা-কর্মীরা জামায়াত-শিবিরের মাধ্যমেই এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। নাসিরের হত্যাকারী রাব্বি ও হাসান আগে ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন। বর্তমানে তাঁরা জামায়াত–শিবিরে যোগদান করে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

এদিকে যুবদলের নেতা নাসির হত্যার প্রতিবাদে শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে পাথরঘাটা বিএনপি। মিছিলে কয়েক শত নেতা-কর্মী অংশ নিয়ে জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।

এর আগে ঘটনার পরপর রাব্বি, ইব্রাহিম ও হাসানের বাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। সন্ধ্যার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা শিবিরের সভাপতি রাকিব হাসানকে মারধর করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি মারুফ হোসেন বলেন, ‘আমরা দেখেছি নাসির আওয়ামী লীগের আমলে ১৫ থেকে ২০টি কোপ খেয়েও বেঁচে রয়েছে। কিন্তু শিবিরের রগ কাটার কৌশলের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। ছাত্রলীগ এখন শিবির লীগ হয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।’

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘নাসির যুবদলের সক্রিয় কর্মী। দলীয় প্রোগ্রাম শেষে নাসির শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে তার মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে ৮-১০ জনের একটি গ্রুপ তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে যায়।’ অভিযুক্তরা আগে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও বর্তমানে জামায়াত–শিবিরের রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় এলাকায় অরাজকতা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

নিহত নাসিরের বাবা শাহজাহান বলেন, ‘আমি জামায়াত আর আওয়ামী লীগ চিনি না। আমার একমাত্র ছেলেকে যারা হত্যা করেছে, আমি তাদের সর্বোচ্চ বিচার চাই।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা জামায়াতের সভাপতি হাফেজ মাওলানা মাসুদুর রহমান বলেন, ‘আমার বাবা অসুস্থ থাকায় তাকে নিয়ে ঢাকায় চিকিৎসায় এসেছি। এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার শাহাদাত হোসেন জানান, নাসিরকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাঁর দুই পায়ের রগ কাটা ছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মেহেদী হাসান জানান, যুবদল নেতা নাসিরের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনায় পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাব্বি ও তাঁর বাবা মাহবুবকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৫, ১০:২১ অপরাহ্ণ
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবনে প্রবেশ করেন তিনি।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে এসেছিলেন তিনি। সেনাপ্রধানের সঙ্গে ওনার সহধর্মিণী ছিলেন। তারা প্রায় ৪০ মিনিট ছিলেন।’

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে এসেছিলেন তিনি। সেনাপ্রধানের সঙ্গে ওনার সহধর্মিণী ছিলেন। তারা প্রায় ৪০ মিনিট ছিলেন।’

শায়রুল কবির খান জানান, সেনাপ্রধান বাসভবনে পৌঁছালে মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহি আকবর তাকে স্বাগত জানান।

ফজলে এলাহি আকবরকে উদ্ধৃত করে শায়রুল কবির জানান, ‘সেনাপ্রধান বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন, সেজন্য তিনি দোয়া করেছেন।

পোষ্য কোটা বাতিল না করলে এবার রাবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’

রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৫, ১০:১৪ অপরাহ্ণ
পোষ্য কোটা বাতিল না করলে এবার রাবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) স্নাতক প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় সব ধরনের পোষ্য কোটা বাতিল না হলে আগামী রোববার থেকে “কমপ্লিট শাটডাউনের” ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সকাল ১০টা থেকে পোষ্য কোটা বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। এদিন রাত ৮টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময়ও কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারীরা।

ফলে দশ ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ রয়েছেন দুই উপ-উপাচার্য সহ শতাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী। সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

জানা যায়, রাত ৭টার পরে প্রশাসন ভবনের ভেতর থেকে শাবল দিয়ে তালা ভাঙার চেষ্টা করেন অবরুদ্ধ থাকা কয়েকজন। এতে বাইরে থাকা এক শিক্ষার্থী আহত হন। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বর্তমানে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা। তালাবদ্ধ অবস্থায় প্রশাসন ভবনের ভিতরেই রয়েছেন দুই উপাচার্য সহ অন্যরা।

এদিকে, পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন আন্দোলনকারী ও রাবি অফিসার সমিতি। এতে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। কয়েক দফা অবরুদ্ধ শিক্ষক-কর্মকর্তারা গেট ভেঙে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। জড়ান বাকবিতণ্ডায়। কিন্তু শিক্ষার্থীদের বাধায় তারা বের হতে পারেননি।

আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাবির সহ-সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার অসুস্থ হওয়ার আগে বলেন, “পোষ্য কোটা বাতিলের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের এখন পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি। আমাদের দাবি না মেনে নিলে আগামী রবিবার থেকে আমরা সবকিছু বন্ধ করে দিবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের যানবাহন থেকে শুরু করে ক্লাস-পরীক্ষা সবকিছু বন্ধ থাকবে।”

এসময় “পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে, লড়াই হবে একসাথে”, “আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম”, “দালালদের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে”, “মেধাবীদের কান্না, আর না আর না”, “জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো”, “আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ”সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও বাইরের শিক্ষার্থী উপস্থিত রয়েছেন।

অন্যদিকে অফিসার্স সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. মোক্তার হোসেন বলেন, “আমরা আগামী ৫ জানুয়ারি উপাচার্যর সঙ্গে দেখা করবো। তিনি যদি আমাদের দাবি মেনে না নেন তাহলে ৬ তারিখে মানববন্ধন, ৭ তারিখে অবস্থান কর্মসূচি এবং ৮ তারিখে দিনব্যাপী কর্মবিরতি পালন করবো। তাতেও যদি কোনো সমাধান না হয় তাহলে আমরা লাগাতার কর্মসূচিতে যাবো এবং কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি দেব।”

শিক্ষার্থীদের অন্য দুইটি দাবি হলো – ফ্যাসিস্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিচারের আওতায় আনা এবং দুইজন ফ্যাসিবাদী শিক্ষককে সহকারী প্রক্টর নিয়োগ দেওয়ার জন্য উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে উন্মুক্ত স্থানে কারণ দর্শানো। এছাড়া, সম্পূরক একটি দাবি হলো – ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি কমানো।