খুঁজুন
শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ২৮ চৈত্র, ১৪৩১

অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির পেছনে ইন্ধনদাতা রয়েছে: সেনাবাহিনী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:৪২ পূর্বাহ্ণ
অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির পেছনে ইন্ধনদাতা রয়েছে: সেনাবাহিনী

শ্রমিক আন্দোলন, ছাত্র আন্দোলন ও চট্টগ্রামে আইনজীবী নিহতের ঘটনাসহ সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনার পেছনে তৃতীয়পক্ষ কিংবা চিহ্নিত অপরাধীদের ইন্ধন রয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিতে ইন্ধনদাতাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার চেষ্টা চলছে বলেও জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বনানীর অফিসার্স মেসে ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় মোতায়েন করা সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান এসব কথা বলেন।

ইন্তেখাব হায়দার খান জানান, গত ১৩ নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় ২২৮ জন মাদক ব্যবসায়ীসহ এক হাজার ৩২৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। তাছাড়া, গত দুই সপ্তাহে ২৪টি অস্ত্র ও ৩৬৫ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানের সময় সেনাবাহিনীর মোট ১২৩ জন আহত ও একজন সদস্য নিহত হয়েছেন।

তিনি বলেন, চট্রগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে শান্তিতে রাখতে কাজ করছে সেনাবাহিনী। কুকি চিনের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে সংগঠনটির ১৭৯ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলাকালে ৭ জন সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন।

বিভিন্ন ঘটনায় ইন্ধনদাতাদের প্রসঙ্গে কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। ইন্ধনদাতারা সংখ্যায় অনেক কম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যারা পোস্ট করেন, তাদের অনেকেই ইন্ধনদাতা নন। না বুঝেই অনেকে পোস্ট করে থাকেন। ইন্ধনদাতাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। কারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব কাজ করছেন, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং হবে।

চট্টগ্রামের আদালতে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, সেখানে সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি ছিল। সে কারণে একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। আরও অনেক বড় ঘটনা ঘটতে পারতো, আরও খারাপ হতে পারতো।

ছাত্র ও শ্রমিকদের আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর ভূমিকার কথা তুলে ধরে কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান বলেন, এসব আন্দোলনে তিন ধরনের বিষয় চিহ্নিত করা গেছে। একটা হচ্ছে যারা চিহ্নিত অপরাধী, যাদের কাজই অপরাধ করা, তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাজ করছে। আরেকটা বড় গ্রুপ আছে যারা দেশের সাধারণ জনগণ। যেমন— গার্মেন্টস শ্রমিকদের আন্দোলন।

তিনি বলেন, ছাত্ররাই কিন্তু আন্দোলনের মাধ্যমে পরিবর্তন এনেছে। সেজন্য আমরা সবাই আশা করছি যে, দেশটা একটা ভালোর দিকে যাবে। ছাত্রদেরই একটা অংশ এখন অন্য কারও ইন্ধনে পরিস্থিতি না বুঝে আন্দোলনে নামছে। তখন আমরা তাদের প্রতি চিন্তা করে কাজ করতে হয়।

কর্নেল ইন্তেখাব আশা প্রকাশ করে বলেন, আশা করি, ছাত্ররা, শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও সাধারণ মানুষ যারা আছেন প্রত্যেকেই তার নিজ নিজ জায়গা থেকে দেশটাকে কোথায় দেখতে চাই ভাবা দরকার। সেখানে আমার নিজের কী দায়িত্ব, সেটা নিজেরা বুঝবেন।

তিনি আরও বলেন, ইন্ধন জাতীয় কিছু হচ্ছে কি না, সেটা তারা যাচাই করবেন যে, এমন কিছু হয়েছে কি না। ঘটনা সত্য হলেও এত ভায়োলেন্সলি করার প্রয়োজন নাই। অনেক আন্দোলনই শান্তিপূর্ণভাবে করা যায়। কারণ আমরা সবাই শান্তি চাই। আমরা যদি সবাই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করি তাহলে এমন অনেক ঘটনা আমরা পরিহার করতে পারি।

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ৩:১৫ অপরাহ্ণ
জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার

দলীয় শৃঙ্খলাপরিপন্থি কাজের দায়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানা শাখার সদস্য দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকালে বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।

দিলশাদ আফরিন জাতীয় নাগরিক কমিটির নারায়ণগঞ্জ জেলার অন্তর্গত ফতুল্লা থানা কমিটির সদস্য পদে রয়েছেন।

জানা গেছে, গত ৮ এপ্রিল জাতীয় নাগরিক কমিটির ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই আদেশ জারি করা হয়। তবে বহিষ্কারের বিষয়টি ১০ এপ্রিল গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।

বহিষ্কারের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, জাতীয় নাগরিক কমিটির নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী আপনার (দিলশাদ আফরিন) সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড আমাদের সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং আদর্শের পরিপন্থি বলে প্রতীয়মান হয়েছে। সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে, আপনাকে আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের অনুরোধক্রমে জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দিলশাদ আফরিনের প্রতারণার বিষয়টি অভ্যন্তরীণ তদন্তে প্রমাণ পেয়ে জুলাই ফাউন্ডেশনের লোকজন তাকে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তিনি এখন রাজধানীর রমনা থানা পুলিশের হেফাজতে আছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জের দায়িত্বে থাকা জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক যুগ্ম সদস্যসচিব ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, ‘দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত ওই সদস্য জাতীয় নাগরিক কমিটির শহীদ ও আহত কল্যাণ সেলের কোনও দায়িত্বে ছিলেন না। তারপরও তিনি ব্যক্তিগতভাবে শহীদ ও আহত পরিবারের আর্থিক বিষয়ের লেনদেনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’

এই ঘটনায় আপনারা তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি বা আমাদের সংগঠনের কেউ তাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেনি। তবে শুনেছি, জুলাই ফাউন্ডেশনের লোকজন তাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।’

সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্যদাতা আটক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ৩:০৪ অপরাহ্ণ
সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্যদাতা আটক

মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেওয়া চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছারকে আটক করেছে কক্সবাজার পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকালে তাকে রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়ার আবদুল গণি মাঝির বাড়িতে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় স্থানীয়রা আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমন কান্তি চৌধুরী দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আটক নুরুল আবছার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দনপুরা গ্রামের মৃত কাজী জাবেদের ছেলে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নুরুল আবছার রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার ফরিদ নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন।

কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক এনামুল হক বলেন, ‘স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে এলাকাবাসীদের নিয়ে বাড়ি ঘেরাও করে তাকে আটক করে রামু থানায় সোপর্দ করা হয়। তিনি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দনপুরা এলাকার মৃত কাজী মো. জাবেদের ছেলে বলে স্বীকার করেছেন। সেইসঙ্গে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার ১০ নম্বর সাক্ষ্যদাতা বলেও জানিয়েছেন।’

এ বিষয়ে রামু থানার ওসি ইমন কান্তি চৌধুরী বলেন, ‘স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। রাঙ্গুনিয়া থানায় তার বিরুদ্ধে মামলার খোঁজ নিচ্ছি। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বাংলাদেশ ও ভারত একই দিনে নিষেধাজ্ঞা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ২:৫৮ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ ও ভারত একই দিনে নিষেধাজ্ঞা

বাংলাদেশ সরকার এবার সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় ভারতে চলমান নিষেধাজ্ঞার সাথে মিলিয়ে দিয়েছে। ১৭ ফেব্রুয়ারি, সোমবার মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন সাগরে সকল প্রকার মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।

প্রতি বছর বাংলাদেশে সাধারণত ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা থাকে, তবে ভারতে প্রতিবছর ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ৬১ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকে। মিয়ানমারে এই নিষেধাজ্ঞার সময় ১ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত মোট ৯১ দিন।

বাংলাদেশের জেলেরা যখন মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা মেনে চলে, তখন প্রতিবেশী দেশের জেলেরা আমাদের জলসীমায় ঢুকে মাছ ধরে থাকে। এর ফলে বাংলাদেশী মৎস্যজীবীরা দীর্ঘদিন ধরে নিষেধাজ্ঞার সময় সমন্বয়ের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

ফরিদা আখতার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “প্রতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ থাকে, যার ফলে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের উৎপাদন ১২.৭৮% বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, এই সময়কাল প্রতিবেশী দেশের সাথে সমন্বয় না থাকায় বাংলাদেশের জলসীমায় তাদের মৎস্যজীবীরা অনুপ্রবেশ করে।”

এ পরিস্থিতিতে মৎস্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং অন্যান্য অংশীজনদের সমন্বয়ে একটি কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অধিকাংশ মাছের প্রজনন মৌসুম এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত হওয়ায়, আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিন সমুদ্রের সকল প্রকার মৎস্য আহরণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অর্থাৎ, এখন থেকে সামুদ্রিক জলসীমায় ইলিশ এবং অন্যান্য মাছের আহরণের নিষিদ্ধ কাল হবে ৫৮ দিন।