খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

ট্রাইব্যুনালে হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে সালাহউদ্দিনের গুমের অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ৩:১৭ অপরাহ্ণ
ট্রাইব্যুনালে হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে সালাহউদ্দিনের গুমের অভিযোগ

নিজের গুম হওয়ার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

অভিযুক্ত অন্যান্যরা হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, এ কে এম শহীদুল হক, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান ও ডিবির সাবেক ডিসি মনিরুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (৩ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কাছে এ অভিযোগ করেন তিনি। চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম অভিযোগ গ্রহণ করেন।

এসময় বিএনপির আইনজীবীদের মধ্যে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার এম বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম মুকুলসহ অনেকে।

এর আগে নিজের গুম হওয়ার অভিযোগ জমা দিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

গত বছরের ১৫ অক্টোবর গুম কমিশনে নিজের গুম হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন বিএনপির স্থানীয় কমিটির সদস্য ও গুমের শিকার সালাহউদ্দিন আহমেদ।

২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হন। ৬২ দিন পর একই বছরের ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

ভারতের পুলিশের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছিল, সালাহউদ্দিন শিলংয়ে উদ্ভ্রান্তের মতো ঘোরাঘুরি করার সময় লোকজনের ফোন পেয়ে তাকে আটক করা হয়।

সালাহউদ্দিনকে আটক করার পর বৈধ নথিপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে দেশটির ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী মামলা করে মেঘালয় পুলিশ। একই বছরের ২২ জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগে অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ে ২০১৮ সালে সালাহউদ্দিন খালাস পান। ভারত সরকার এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে তাকে সেখানেই থাকতে হয়।

২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আপিলেও খালাস পান সালাহউদ্দিন। আদালত তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই বছরের ৮ মে সালাহউদ্দিন ভ্রমণ অনুমোদনের জন্য আসাম রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেন।

আবেদনে তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে তিনি ভারতে আটকে আছেন। দেশটিতে তার বিরুদ্ধে যে অনুপ্রবেশের মামলা হয়েছিল, সেই মামলায় আদালত তাকে খালাস দিয়েছেন। ২০১৬ সালের ১১ জুলাই তার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ভারতে থাকার কারণে তিনি নিজের পাসপোর্ট নবায়নের সুযোগ পাননি। ভ্রমণ অনুমোদন দেওয়া হলে তিনি নিজের দেশে ফিরতে চান, দেশবাসী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হতে চান।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর ১১ আগস্ট দেশে ফেরেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।

ইশরাককে মেয়র ঘোষণা: ইসি তার কাজ সম্পন্ন করেছে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ১:২৬ পূর্বাহ্ণ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা: ইসি তার কাজ সম্পন্ন করেছে

নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব সম্পন্ন করেছে। এখন গেজেট বহাল আছে। গেজেট যেহেতু বহাল আছে বিধায় নির্বাচন কমিশনের কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

বুধবার (৪ জুন) রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে ষষ্ঠ নির্বাচন কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো: সানাউল্লাহ (অবসরপ্রাপ্ত)। নির্বাচন ভবনে এ সভায় চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ অবজারবেশনসহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে যে রায় দিয়েছেন, তা কমিশন সভায় বিশদভাবে আলোচনা হয়েছে। আপিল বিভাগ এখানে আমাদের ইসির স্বাধীনতা এবং সুপ্রিমেসি অন ইলেকশন ম্যাটার্স এস্টাবলিস্ট করেছেন ফারদার এবং এখানে পাঁচটি ডিএলআরের রেফারেন্স দিয়েছেন। আমরা ডিএলআরের রেফারেন্স দেখেছি। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ভারসেস ইলেকশন কমিশনের মামলা। ডিএলআরের আরেকটি রেফারেন্স হচ্ছে- মাহমুদুল হক ভারসেস এনায়েত উল্লাহ দেওয়া হয়েছে। এই ডিএলআর-এর রেফারেন্সগুলোতে যেটা বলা আছে, নির্বাচন প্রসেস শুরু হয় তফশিল ঘোষণার মাধ্যমে এবং সম্পন্ন হয় ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের মাধ্যমে। এজন্য আমরা মনে করি নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব সম্পন্ন করেছে এবং গেজেট বহাল আছে বিধায় নির্বাচন কমিশনের কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।’

ইশরাকের বিষয়টি তাহলে কী হবে সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা ইসির পক্ষ থেকে এটুকু বলতে পারি যে, নির্বাচন কমিশনের কাজ হচ্ছে গেজেট পাবলিশ করা। শপথের ব্যাপারটি স্থানীয় সরকারের। সিটি করপোরেশনের আইনে পরিস্কারভাবে বলা আছে কারা এটা বাস্তবায়ন করবে।’

তিনি বলেন, আমরা যেটা বলেছি আমাদের চিঠির মাধ্যমে, এখানে যদি কোনো আইনি জটিলতা না থাকে অপরাপর কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকে তাহলে আমরা তাদের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করেছি। যখন আমরা গেজেটটা করেছি, তার কাভার লেটারেই এটা দেয়া আছে।

আবার কি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বা আপিল বিভাগকে কোনো চিঠি দেবেন কি-না, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমরা কোনো প্রয়োজনই অনুভব করছি না। ২৭ এপ্রিল এ বিষয়ে কমিশন ইশরাকের গেজেট প্রকাশ করে।

গালি দিতে দিতে বাংলাদেশে ঢুকে পড়লো মদ্যপ বিএসএফ সদস্য, অতঃপর…

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ৮:১৯ অপরাহ্ণ
গালি দিতে দিতে বাংলাদেশে ঢুকে পড়লো মদ্যপ বিএসএফ সদস্য, অতঃপর…

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের জহুরপুর সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক সদস্যকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। মদ্যপ অবস্থায় গালি দিতে দিতে বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে পড়ে ওই বিএসএফ সদস্য। পরে তাকে বিজিবির হাতে সোপর্দ করা হয়।

বুধবার (৪ জুন) সকালে এ ঘটনা ঘটে। আটক বিএসএফ সদস্য শ্রী গণেশ ভারতের নুরপুর ৭১ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্য।

বিএসএফ সদস্যকে আটকের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, বিএসএফের ওই সদস্যকে আটকে রেখে অনুপ্রবেশের কারণ জানতে চাচ্ছে গ্রামবাসী। এ সময় বিএসএফ সদস্য বলেন, আমি ভয় দেখাতে ঢুকেছি। তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক তরুণ বলে ওঠেন, তুই কি ডন, তুই কি হিরো, দেখ আজকে তোকে কি অবস্থা করি।

স্থানীয় গ্রামবাসী ও নারায়ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাজির আহম্মেদ জানান, জহুরপুর পিলার ১৯-এর সাবপিলার ৫-এর সামনে সাতরশিয়া এলাকায় গরু ও ছাগল চরানো অবস্থায় বিএসএফ সদস্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন এবং পশু ধাওয়া করেন। এ ঘটনায় স্থানীয়রা তাকে আটক করে বিজিবির হাতে তুলে দেন।

৫৩ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু জানান, আটক সদস্যকে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে এবং সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

নওফেলের স্ত্রী এমা ক্লেয়ারের বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ৮:১৫ অপরাহ্ণ
নওফেলের স্ত্রী এমা ক্লেয়ারের বিরুদ্ধে মামলা

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের স্ত্রী এমা ক্লেয়ার বার্টনের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (৪ জুন) দুদকের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

দুদকের এ সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এমা ক্লেয়ার বার্টনের বিরুদ্ধে ৮৪ লাখ ৩৫ হাজার ১২৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর নওফেল ও তার প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকের ৪১টি হিসাব থেকে ১১৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা জমা এবং ৯৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা উত্তোলনের তথ্য পাওয়ার কথা জানায় দুদক। বিপুল পরিমাণ সন্দেহজনক লেনদেন ও দুই কোটি ৯৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওইদিন নওফেলের নামে মামলা করে দুদক।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুদক জানায়, নওফেলের স্ত্রী এমা ক্লেয়ার বার্টনের বিরুদ্ধে ৮৪ লাখ ৩৫ হাজার ১২৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হওয়ায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(১) ধারা মোতাবেক সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির সুপারিশ করা হয়।

এমা ক্লেয়ার বার্টন বরাবর সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সম্পদ বিবরণীটি অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা তার পক্ষে কেউ গ্রহণ না করায় আদেশসহ মূল সম্পদ বিবরণী গত ২৩ মার্চ লটকিয়ে জারি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্পদ বিবরণী লটকিয়ে জারির পর অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি এবং সময় বাড়ানোর কোনো আবেদনও পাওয়া যায়নি। যেহেতু নির্ধারিত ২১ কার্যদিবসে অর্থাৎ ২৯ এপ্রিলের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি সেহেতু এটি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এতে আরও বলা হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় এবং ৮৪ লাখ ৩৫ হাজার ১২৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।