খুঁজুন
সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

এটিএম আজহারের রায় কাল, খালাস পাওয়ার প্রত্যাশা আইনজীবীর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৬ মে, ২০২৫, ১২:৪৫ অপরাহ্ণ
এটিএম আজহারের রায় কাল, খালাস পাওয়ার প্রত্যাশা আইনজীবীর

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলে মঙ্গলবার রায় দেবেন আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন।

এটিএম আজহারুল ইসলামের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ইনশাল্লাহ আগামীকাল সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ কর্তৃক এটিএম আজহারুল ইসলামের মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। আশা করছি এ টি এম আজাহারুল ইসলাম আপিলের রায়ে খালাস পাবেন।

এর আগে গত ৮ মে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি শেষ হয়। এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২৭ মে দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।

আদালতে জামায়াত নেতা আজহারের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট রায়হান উদ্দিন, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।

২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

তখনকার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ রায় দেন। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেন জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলাম।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে ১২৫৬ ব্যক্তিকে গণহত্যা-হত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং শতশত বাড়ি-ঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো নয় ধরনের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয় এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের মধ্যে ১ নম্বর বাদে বাকি পাঁচটি অভিযোগে তাকে ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড দেন। যদিও এটি প্রহসনের রায় বলে আখ্যায়িত করে আসছে জামায়াতে ইসলামী।

২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি ১১৩ যুক্তিতে জামায়াত নেতা আজহারকে নির্দোষ দাবি করে খালাস চেয়ে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৯০ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ ২৩৪০ পৃষ্ঠার আপিল দাখিল করা হয়।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ৮:০৬ অপরাহ্ণ
১

গাজায় ক্ষুধার্ত মানুষের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি, নিহত ৫০

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ৯:১৫ পূর্বাহ্ণ
গাজায় ক্ষুধার্ত মানুষের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি, নিহত ৫০

গাজার দক্ষিণাঞ্চলের রাফাহ শহরের পশ্চিমে আল-মাওয়াসি এলাকায় মানবিক সহায়তা নিতে আসা বেসামরিক মানুষের ওপর ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালালে অন্তত ৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। রোববার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, নিহতদের মধ্যে ২৮ জনের মরদেহ খান ইউনুস শহরের নাসের হাসপাতালে ও ২১ জনকে রেডক্রসের ফিল্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে আরও দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।

Walton

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকেই গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন পরিচালিত একটি ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের সামনে প্রচুর মানুষ জড়ো হন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই সংস্থাটিকে ইসরায়েলের সমর্থন রয়েছে বলে জানানো হয়।

মানুষ যখন ত্রাণ নিতে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন ইসরায়েলি সামরিক যান থেকে গুলি চালানো হয় এবং ড্রোন থেকে বিস্ফোরক ফেলা হয়। এতে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে।

একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা জানান, ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের আশপাশের পরিস্থিতি ছিল ‘চরমভাবে বিপজ্জনক’। গুলির কারণে অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়ে, অনেকে ঘোড়ার গাড়ি বা ঠেলাগাড়িতে আহতদের নিয়ে যান।

কিছু প্রত্যক্ষদর্শী জানান, একই সময়ে গাজার নেটজারিম করিডোরের কাছে আরেকটি মার্কিন সহায়তা কেন্দ্রে জড়ো হওয়া মানুষের ওপরও গুলি চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।

নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের আল-আউদা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বুরেইজ শরণার্থী শিবিরের কাছে সহায়তার জন্য জড়ো হওয়া মানুষদের লক্ষ্য করে গুলি চালালে অন্তত একজন নিহত ও ২০ জন আহত হন।

এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আভিচাই আদ্রে করেছেন, ত্রাণ সহায়তা বিতরণকেন্দ্রে সেনাবাহিনীর গুলিতে হতাহতের কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। তিনি বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানায়, মানবিক সহায়তাকে ইসরায়েল একটি কৌশলগত অস্ত্রে পরিণত করেছে। যা দিয়ে তারা না খেয়ে থাকা মানুষদের ব্ল্যাকমেইল করছে। ক্ষুধার্তদের ইচ্ছাকৃতভাবে খোলা ময়দানে জমায়েত করে হত্যার নিশানায় পরিণত করছে।

ইসরায়েল দক্ষিণ ও মধ্য গাজায় চারটি ত্রাণ বিতরণকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে, যেগুলোর মাধ্যমে তারা মূলত গাজার উত্তরের বাসিন্দাদের দক্ষিণে ঠেলে দিতে চাচ্ছে বলে ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।

ইসরায়েলের আর্মি রেডিও এক প্রতিবেদনে বলেছে, এই সহায়তা বিতরণ পরিকল্পনার লক্ষ্য হলো গাজার উত্তরাঞ্চলকে সম্পূর্ণভাবে জনমানবহীন করে তোলা।

মার্কিন সমর্থিত এই সহায়তা পরিকল্পনা ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে।

ইসরায়েল গত ২ মার্চ থেকে গাজার সব সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ রেখেছে। যার ফলে খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানি ও জরুরি পণ্য প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে ২৪ লাখ মানুষের বসবাসকারী এ ভূখণ্ডে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে।

২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া ইসরায়েলি অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় ৫৪ হাজার ৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

গত নভেম্বরে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

এছাড়া গাজায় বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও একটি মামলা চলছে।

আজ থেকে ১১ ব্যাংকে মিলবে নতুন টাকা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ৯:১৩ পূর্বাহ্ণ
আজ থেকে ১১ ব্যাংকে মিলবে নতুন টাকা

ঈদুল আজহা সামনে রেখে আজ সোমবার (২ জুন) থেকে রাজধানীর নির্দিষ্ট ১১টি ব্যাংকের শাখায় সীমিত পরিসরে শুরু হয়েছে নতুন টাকা বিনিময়ের কার্যক্রম।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ‘বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্য’ থিমে তৈরি নতুন সিরিজের ১ হাজার, ৫০ ও ২০ টাকা মূল্যমানের নোট আজ থেকেই বাজারে ছাড়ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

প্রথমবারের মতো গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের স্বাক্ষরিত এসব নোট রাজধানীতে কিছু বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা থেকে গ্রাহকদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। তবে পর্যাপ্ত মজুত না থাকায় ঈদের আগে রাজধানীর বাইরে নতুন নোট পাঠানো সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যোগাযোগ ও প্রকাশনা বিভাগ (ডিসিপি) জানায়, নতুন এই নোট প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস ছাড়াও সোনালী, জনতা, অগ্রণী, পূবালী, উত্তরা, রূপালী, ডাচ-বাংলা, ইসলামী, আল-আরাফাহ ইসলামী, ব্র্যাক এবং ইস্টার্ন ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখা থেকে সংগ্রহ করা যাবে। কোন শাখাগুলোতে নতুন টাকা দেওয়া হবে, তা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো নিজেরাই নির্ধারণ করবে।

এ ছাড়া নতুন ডিজাইন ও থিমে তৈরি অন্যান্য মূল্যমানের নোট—১০০, ২০০, ৫০০, ১০, ৫ ও ২ টাকার নোটও পর্যায়ক্রমে বাজারে ছাড়া হবে।

এদিকে মুদ্রা সংগ্রাহকদের জন্যও থাকছে বিশেষ সুযোগ। তাদের জন্য ছাপানো হয়েছে নমুনা (নন-এক্সচেঞ্জেবল) সংস্করণের ১০০০, ৫০ ও ২০ টাকার নোট। এগুলো নির্ধারিত মূল্যে মিরপুরের বাংলাদেশ ব্যাংক জাদুঘর থেকে সংগ্রহ করা যাবে।

চলমান সব ধরনের কাগুজে নোট ও ধাতব মুদ্রা আগের মতোই প্রচলনে থাকবে বলে নিশ্চিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।