খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

শীতে ঠোঁট ফাটা রোধে জেনে নিন সহজ সমাধান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯:৩৮ পূর্বাহ্ণ
শীতে ঠোঁট ফাটা রোধে জেনে নিন সহজ সমাধান

সাধারণত শীতের আবহাওয়া শুরু হতে না হতেই ত্বকের নানা সমস্যা শুরু হয়। বিশেষ করে ঠোঁটের ত্বক শুষ্ক হয়ে ফেটে রক্ত বের হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা। ঠোঁটের ত্বক অত্যন্ত কোমল এবং পাতলা হওয়ায় শীতের তীব্রতায় এটি দ্রুত শুষ্ক হয়ে চিঁড়ে যেতে পারে।

তবে চিন্তার কিছু নেই- আছে প্রতিকারও। কিছু সাধারণ সতর্কতা এবং যত্ন নেওয়া হলে এই সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব। চলুন জানি ঠোঁটের ফাটা রোধ করতে এবং ফেটে যাওয়া ঠোঁটে কিভাবে যত্ন নিতে হবে।

ঠোঁট ফাটা রোধে সহজ কিছু উপায়:

১. ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন:
শীতে ঠোঁটের ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়লে নিয়মিত লিপ বাম বা ময়েশ্চারাইজিং লিপ ক্রিম ব্যবহার করা উচিত। এটি ঠোঁটের ত্বককে হাইড্রেটেড রাখবে এবং শুষ্কতা থেকে রক্ষা করবে।

২. পর্যাপ্ত পানি পান করুন:
শীতে প্রাকৃতিকভাবে শরীরে পানির পরিমাণ কমে যায়, যার কারণে ত্বক শুকিয়ে যেতে পারে। পর্যাপ্ত পানি পান করলে ত্বক এবং ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় থাকে।

৩. প্রাকৃতিক তেল ব্যবহার করুন:
নারকেল তেল, আখরোট তেল বা অলিভ অয়েল ঠোঁটে মাখলে তা দ্রুত ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে। এগুলোর প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণও রয়েছে।

ঠোঁট ফেটে রক্ত বের হলে করণীয়:

১. নরমভাবে ঠোঁট পরিষ্কার করুন:
ফাটা ঠোঁটের উপর কোনো ধরনের আঘাত বা ময়লা জমলে তা পরিষ্কার করে ফেলুন, তবে খুব বেশি ঘষবেন না। হালকা গরম পানিতে কাপড় ডুবিয়ে ঠোঁট পরিষ্কার করুন।

২. হিমালয়ান সল্ট ব্যবহার করুন:
এক চিমটি হিমালয়ান সল্ট এক কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে ঠোঁট পরিষ্কার করতে পারেন। এতে ব্যাকটেরিয়া দূর হয়ে ঠোঁট দ্রুত সারতে সাহায্য করবে।

৩. ব্যান্ডেজ ব্যবহার করুন:
যদি ঠোঁটের ফাটা অংশে রক্ত বের হয়, তবে এটি পরিষ্কার করে পরিষ্কার গজ দিয়ে বন্ধ রাখুন। এতে সংক্রমণ রোধ হবে এবং রক্ত পড়া কমবে।

৪. ডাক্তারি পরামর্শ নিন:
যদি ঠোঁটের ফাটা এবং রক্ত পড়া দীর্ঘদিন না থামে, বা ইনফেকশন দেখা দেয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

শীতে ঠোঁটের ফাটা এক সাধারণ সমস্যা হলেও সঠিক যত্নে এটি দ্রুত ঠিক হয়ে যায়। নিয়মিত ময়েশ্চারাইজিং, পর্যাপ্ত পানি পান এবং ঠোঁটের যত্ন নেওয়ার মাধ্যমে শীতকালীন সমস্যাটি অনেকটা এড়ানো সম্ভব। তাই অযথা উদ্বিগ্ন না হয়ে নিজের ঠোঁটের যত্ন নিন, সুস্থ্য থাকুন।

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।