খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন

ডুয়েট’র ১৪ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তির সিদ্ধান্ত, শোকজ

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ
ডুয়েট’র ১৪ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তির সিদ্ধান্ত, শোকজ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় এবং এর আগে ও পরে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও নির্যাতনসহ নানা অভিযোগে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ১৪ নেতাকর্মীকে আজীবনের জন্য হল থেকে বহিষ্কারসহ বিভিন্ন মেয়াদে পৃথক শাস্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে গাজীপুরস্থ ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পৃথক কারণ দর্শাণোর নোটিশ (শোকজ) জারি করেছে।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ডুয়েট ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক এবং বোর্ড অব ডিসিপ্লিন (ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটি) এর সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. উৎপল কুমার দাসের সই করা পৃথক পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় এবং এর আগে ও পরে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্রদের আবেদনের প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান করেন। সেই প্রেক্ষিতে গত ৫ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ডিসিপ্লিন (শৃঙ্খলা কমিটি) এর উল্লেখিত বিষয়ের ১ম সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা বিধি Ordinance Relating to Discipline) এর ধারা ৫ মোতাবেক ওই ১৪ শিক্ষার্থীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

গত বৃহষ্পতিবার ওই নোটিশ ইস্যু করা হয়। কারণ দর্শানোর জবাব পত্র ইস্যুর ৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে দাখিলের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জবাব দাখিলে ব্যর্থ হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বর্ণিত শান্তি একতরফাভাবে কার্যকর করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ডিসিপ্লিন (ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটি) এর সিদ্ধান্তক্রমে এ নোটিশ জারি করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি সূত্রে আরো জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযুক্ত ওই ১৪ শিক্ষার্থীকে হল থেকে আজীবন বহিষ্কারসহ তাদের বিরুদ্ধে পৃথকভাবে বিভিন্ন মেয়াদে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার ও সকল একাডেমিক সনদ জব্দ, ছাত্রত্ব বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়াও তাদের চারিত্রিক সনদপত্রে শাস্তি প্রাপ্তির কথা উল্লেখ থাকবে।

অভিযুক্ত ওই ১৪ শিক্ষার্থীরা হলেন:
১.ডুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি যন্ত্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান মিঠুন,
২.সাধারণ সম্পাদক পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদ হাসান মান্না,
৩.সহ-সভাপতি ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগের শিক্ষার্থী প্রতাপ কুমার,
৪.ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন,
৫.সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (সিই) বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন রিফাত,
৬.কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী সিদ্দীকুর রহমান,
৭.টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (টিই) বিভাগের শিক্ষার্থী মোজ্জামেল হোসেন শাহীন,
৮.মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (এমই) বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান তুহিন,
৯.ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিক্ষার্থী মুশফিকুল আলম শান্ত,
১০.টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (টিই) বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম,
১১.কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী ইসতিয়াক আহমেদ প্রিন্স,
১২.কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী পারভেজ মিয়া মাহিন,
১৩.টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (টিই) বিভাগের শিক্ষার্থী তাসিন মাহমুদ এবং
১৪.মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (এমই) বিভাগের শিক্ষার্থী এম এম সায়মুন।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আরোপিত শাস্তির ব্যাপারে কোন আপত্তি থাকলে শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ছাত্র শৃঙ্খলা বিধি এর ধারা ৬ মোতাবেক একাডেমিক কাউন্সিলের নিকট আপিলের সুযোগ পাবে এবং সেইক্ষেত্রে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

ডুয়েট ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক এবং বোর্ড অব ডিসিপ্লিন (ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটি) এর সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. উৎপল কুমার দাস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তদন্ত শেষে ১৪ শিক্ষার্থীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জবাব দাখিলে ব্যর্থ হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বর্ণিত শান্তি একতরফাভাবে কার্যকর করা হবে। অভিযুক্তের জবাব সন্তোষজনক হলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবেনা।

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।