খুঁজুন
শনিবার, ৩ মে, ২০২৫, ২০ বৈশাখ, ১৪৩২

বিজয় দিবসে নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রম নিয়ে সতর্ক অবস্থানে র‍্যাব

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩:২৫ অপরাহ্ণ
বিজয় দিবসে নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রম নিয়ে সতর্ক অবস্থানে র‍্যাব

১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সন্দেহভাজন ব্যক্তি অথবা নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনের কার্যক্রম সম্পর্কে বিশেষ গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান পরিচালনা করবে র‍্যাব। পাশাপাশি কিশোর গ্যাং সংক্রান্ত গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি এবং এরা যেন সংঘাতে লিপ্ত হয়ে কোনো অনুষ্ঠান পণ্ড করতে না পারে, সে ব্যাপারেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে পুলিশের এই এলিট ফোর্স।

রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক আল আমিন এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হবে। জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বঙ্গবভনসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান, জনসমাবেশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপিত হবে। সার্বিকভাবে সব ধরনের ঝুঁকি পর্যালোচনা করে বিজয় দিবসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে র‍্যাব।

অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা এবং স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে র‌্যাবও বিজয় দিবস উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করেছে। দিবসটি ঘিরে এরই মধ্যে জারি করা আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সব নির্দেশনা বাস্তবায়নে র‌্যাব ফোর্সেস কাজ করছে।

বিজয় দিবসের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র‌্যাব ১৩ ডিসেম্বর থেকে দায়িত্বপূর্ণ এলাকার উল্লেখযোগ্য ভেন্যুগুলো ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি এবং নিরাপত্তা টহল বাড়িয়েছে।

আগামী ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে ব্যাটালিয়নসমূহের নিজ নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক র‌্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবে।

র‍্যাবের ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা গুরুত্বপূর্ণ স্থানের আশেপাশে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের মাধ্যমে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ইউনিফর্ম টহল বৃদ্ধি করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়াও র‌্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম অনলাইন নজরদারির মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

র‌্যাবের টহল জোরদার করার পাশাপাশি দেশব্যাপী বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ডগ স্কোয়াড ও র‌্যাব বোম্ব স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সম্ভাব্য যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‌্যাবের স্পেশাল ফোর্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

র‍্যাবের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বঙ্গভবন ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনসহ সারাদেশে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণকল্পে র‌্যাবের দৃশ্যমান উপস্থিতি ও টহল অব্যাহত রাখা হয়েছে।

অনুষ্ঠানস্থলের আশেপাশে কেউ যেন কোনো প্রকার ব্যাগ, বস্তা বা কার্টুন জাতীয় কোনো দ্রব্য বহন ও সংরক্ষণ না করতে পারে সেটি খেয়াল করা হবে।

বিজয় দিবসে ঢাকা মহানগরীতে বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে দেশের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন। এসব ভেন্যু ও অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।

সারাদেশে ভিভিআইপি/ভিআইপি, বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের গমনাগমনের স্থানসহ জনসমাগম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, এমন স্থানে র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

শহরের প্রবেশ ও বাহির পথগুলোর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশি পরিচালনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা যেখানে জনসমাগম বেশি হয় সেসব এলাকায় যেন কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সৃষ্টি না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

সন্ত্রাসী ও অপরাধীরা যেন বস্তি, হোটেল ও রেস্ট হাউজে অবস্থান করে অপরাধ পরিকল্পনা করতে না পারে এই লক্ষ্যে নিজ নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সব বস্তি, হোটেল, গেস্ট ও রেস্ট হাউজ, নগরীর উপকণ্ঠে নতুনভাবে গড়ে ওঠা আবাসিক এলাকা ও ক্রাইম জোনে নজরদারি করা হবে।

র‌্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড টিমকে কৌশলগত স্থানে সার্বক্ষণিকভাবে নিরাপত্তার কাজে নিয়োগ করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের নাশকতামূলক, বোমাবাজিসহ সহিংস ঘটনা রোধকল্পে আগাম গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহপূর্বক প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও নিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আসা কোনো নারী যেন ইভটিজিং, যৌন হয়রানি অথবা সম্মানহানির শিকার না হন সেদিকে বিশেষভাবে সতর্ক দৃষ্টি রেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

দেশের বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন এবং লঞ্চ টার্মিনাল ও এর আশপাশের এলাকায় সাদা পোশাক ও ইউনিফর্মে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

র‍্যাবের ব্যাটলিয়নগুলো নিজ নিজ কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে তাদের জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করবে। র‌্যাব সদরদপ্তরে কন্ট্রোল রুমের (কন্ট্রোল রুমের হটলাইন নম্বর- ০১৭৭৭৭২০০২৯) মাধ্যমে ঢাকাসহ সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয় করা হবে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: শনিবার, ৩ মে, ২০২৫, ১:২০ অপরাহ্ণ
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ

নারী সংস্কার কমিশন বাতিল ও শাপলা চত্বরে নৃশংসতার বিচারসহ চার দফা দাবিতে মহাসমাবেশ করছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

শনিবার (০৩ মে) সকাল ৯টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সমাবেশ শুরু হয়। দলটির আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী সভাপতিত্বে সমাবেশে শীর্ষ ওলামা-মাশায়েখ ও ইসলামী চিন্তাবিদরা বক্তব্য রাখবেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, সমাবেশকে কেন্দ্র করে ভোর থেকেই সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। কানায় কানায় পরিপূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। মহাসমাবেশ সফল করতে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের সব জেলা, উপজেলা থেকে লাখো মানুষ অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম থেকেই অর্ধলক্ষাধিক নেতাকর্মী মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছেন বলে জানান হেফাজতের নেতারা।

সমাবেশে যোগ দেওয়া দলটির নেতাকর্মীরা ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর’, ‘ইসলামের শত্রুরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ ইত্যাদি স্লোগান এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যানার নিয়ে আসতে দেখা গেছে।

হেফাজতের চার দাবি হচ্ছে- নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব বাতিল, সংবিধানে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের আমলে করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যাসহ সব হত্যার বিচার এবং ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিম গণহত্যা ও নিপীড়ন বন্ধ করা।

কেন দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, ‘স্ট্রেইট কাট’ জানালেন পিনাকী ভট্টাচার্য

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৩ মে, ২০২৫, ১:১০ অপরাহ্ণ
কেন দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, ‘স্ট্রেইট কাট’ জানালেন পিনাকী ভট্টাচার্য

কেন দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন লেখক, অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক পিনাকী ভট্টাচার্য? এক অনুষ্ঠানে নিজেই দিলেন এর উত্তর।

শুক্রবার (২ মে) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ২০ মিনিটে অনুষ্ঠিত চ্যানেল আই-এর পর্দায় সালাম স্টিল ‘স্ট্রেট কাট’-এর আয়োজনে ভার্চুয়ালি অংশ নেন পিনাকী ভট্টাচার্য।

অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে পিনাকী ভট্টাচার্য বলেন, ‘২০১৮ সালে যখন নিরাপদ সড়ক আন্দোলন চলছিল, যেদিন শহীদুল আলমকে গ্রেপ্তার করা হলো সেদিন আমাকে সকালে ডিজিএফআই থেকে ডাকা হলো তাদের অফিসে যাওয়ার জন্য। যিনি ফোন করেছিলেন তিনি নিজের পরিচয় দেন মেজর ফারহান বলে। ভদ্রতা করেই আমাকে বলা হয়েছিল, ডিজিএফআই অফিসে যেতে হবে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, আমি সিভিলিয়ান আমাকে কেন ডিজিএফআই ডাকবে? বললো আমাদের কিছু জরুরি আলাপ আছে আপনার সাথে।’

পিনাকী জানান, দ্বিতীয় কলে রূঢ়ভাবে তাকে জানানো হয়, সেদিনই যেতে হবে এবং সন্ধ্যার আগেই তাকে ডিজিএফআই অফিসে যেতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আমি আমার বন্ধুবান্ধব এবং যাদের সাথে হিউম্যান রাইটস নিয়ে অ্যাক্টিভিজম করতাম তাদেরকে সঙ্গে কথা বললাম। উনারা সবাই বললেন আমি যেন না যাই এবং আমি যেন লুকিয়ে পড়ি। তখনই আমি লুকিয়ে পড়ি। পরদিন আমার বাসায় ডিজিএফআই রেইড করে, অফিসে রেইড করে আমি কোথায় তা জানার জন্য। আমি ৫ মাস প্রায় আত্মগোপনে ছিলাম নানা জায়গায় ঢাকা শহরেই। তারপরে নির্বাচন হয়ে গেলে তখন মনে করলাম লুকিয়ে থাকাটা অনুচিত। আমার বাসার সামনে ডিজিএফআই গার্ড বসালো, সারাক্ষণ ধরে নজরদারী এবং আমাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। তারপরে আমার দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া। তা না হলে তো ডিজিএফআই আমাকে ধরে নিয়ে যেত।’

পিনাকী বলেন, ‘আমরা জানি ডিজিএফআই যাদেরকে ধরে তাদের বেশিরভাগই ফেরে না। আমি ওই সময় আসলে যারা গুম হয়েছে তাদের একটা ডকুমেন্টেশন করছিলাম। সে সময় আমি জানতে পেরেছি যে যারা গুম হয় তাদেরকে ডিজিএফআই এভাবেই ডেকে নিয়ে যায়। সে যায়, সে ভিক্টিম তারপর্ আর সে কখনোই ফিরে আসে না। ন্যাচারালি তখন আমিও এটাই ভেবেছি যে আমার কপালেই সম্ভবত এটাই ঘটতে যাচ্ছে। সেজন্যই আত্মগোপনে যাওয়া এবং দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া।’

ফ্রান্সে যাওয়ার কারণ প্রসঙ্গে এই আ্যাক্টিভিস্ট বলেন, ‘তখন আমি একটা ফ্রেন্স হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশনের সঙ্গে কাজ করতাম। তারাই আমার ভিসা পাওয়ার যাবতিয় ব্যবস্থা করে দেয় এবং এখানে আশ্রয় পাওয়ার জন্য তারা সর্বোতভাবে আমাকে সাহায্য করে।

কনটেন্টে আক্রমণাত্মক ভাষা, অশ্রাব্য ভাষা কেন ব্যবহার করেন— অনুষ্ঠানের হোস্ট দীপ্তি চৌধুরীর এই প্রশ্নের জবাবে পিনাকী ভট্টাচার্য বাংলাদেশে নানা সংকটের কিছু কারণও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের যে দুর্দশা, এই দুর্দশার জন্য দায়ী কারা? এই দুর্দশার জন্য দায়ী হচ্ছে বাংলাদেশের এলিটরা। যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকে এবং যারা সমাজকে নিয়ন্ত্রণ করে—সেই শিক্ষিত শ্রেণিই বাংলাদেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করে। আর সেই কারণেই বাংলাদেশের এত দুর্দশা।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণ মানুষ কখনোই বাংলাদেশের সম্পদ কোথাও পাচার করেনি; বরং তারা বাইরে থেকে উপার্জন করে দেশে নিয়ে আসে। এরাই সেই মানুষ, যারা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখছে। বাংলাদেশের এলিটরা অর্থনীতিতে এক ফোঁটা টাকাও কন্ট্রিবিউট করে না। বাংলাদেশ অর্থনীতিতে অবদান রাখে তারাই, যারা গার্মেন্টসে মেশিন চালায়, যারা ঠেলাগাড়ি ঠেলে, যারা রিকশা চালায়, যারা শ্রমিক হিসেবে হাতুড়ি চালিয়ে বিল্ডিং তৈরি করে, যারা বাস চালায়, টেম্পু চালায়, ক্ষেতে ফসল ফলায়—তারাই হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি। এবং এদের উৎপাদিত সম্পদ চুরি করে বিদেশে পাচার করে কারা? এলিটরা।’

পিনাকী বলেন, ‘এলিটদের তিনটা ভয়—একটা সম্মান হারানোর ভয়, একটা মার খাওয়ার ভয়, আরেকটা সম্পদ হারানোর ভয়। আমি তো আর মারতে পারব না তাদের, তাই তাদের গালি দিই। সম্মান হারানোর ভয়—এটলিস্ট এই গালির কারণে যেন তারা ঠিক থাকে। এই গালির তোড়ে যদি তারা ঠিক থাকে, তাহলে বাংলাদেশকে আমরা কিছুটা সাইজ করতে পারব। আদারওয়াইজ, এরা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের জীবনকে দাসের জীবন বানিয়ে রাখবে। এবং যারা আসলে দাসের জীবন বানিয়ে রাখছে, তাদের জন্য তো গালিই প্রাপ্য।’

গাজার উদ্দেশে ত্রাণ নিয়ে যাত্রা করা জাহাজে বোমা হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ১১:৩৩ অপরাহ্ণ
গাজার উদ্দেশে ত্রাণ নিয়ে যাত্রা করা জাহাজে বোমা হামলা

মানবিক সহায়তা নিয়ে ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাওয়া একটি জাহাজে ড্রোন দিয়ে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। মাল্টা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় এ হামলা চালানো হয়েছে। শুক্রবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে ওই মানবিক সহায়তা আয়োজনকারী সংগঠন ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) এক বিবৃতিতে হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। ত্রাণবাহী জাহাজটি বর্তমানে মাল্টা উপকূল থেকে ১৪ নটিক্যাল মাইল (২৫ কিলোমিটার) দূরে অবস্থান করছে। জাহাজে গাজাবাসীর জন্য মানবিক সহায়তার পাশাপাশি অধিকারকর্মীরা ছিলেন।

সংগঠনটি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ২৩ মিনিটে নিরস্ত্র বেসামরিক জাহাজটির সম্মুখভাগে সশস্ত্র ড্রোন দিয়ে দুইবার হামলা চালানো হয়েছে। এতে জাহাজটিতে আগুন ধরে যায় এবং এর কাঠামোয় বড় ধরনের ফাটল দেখা দেয়। হামলার পরপর জাহাজ থেকে এসওএস সিগন্যাল পাঠানো হয়।

অধিকার কর্মীরা জানিয়েছেন, জাহাজের জেনারেটর লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এতে জাহাজটি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে এবং ডুবে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের পোস্ট করা ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, জাহাজের ওপর আগুন জ্বলছে ও বিস্ফোরণ ঘটছে।

তবে এ বিষয়ে এখনো ইসরায়েল কোনো মন্তব্য করেনি।

মাল্টা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাহাজে ১২ জন নাবিক ও ৪ জন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন। তারা সবাই নিরাপদে আছেন। রাতেই জাহাজের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন জানিয়েছে, ২১ দেশের অধিকারকর্মীরা জাহাজটিতে ছিলেন। ইসরায়েলের বেআইনিভাবে গাজা অবরোধ করে সেখানে হত্যাযজ্ঞ চালানোর প্রতিবাদ এবং গাজাবাসীর জীবন রক্ষার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে তারা যাত্রা করেছিলেন।