খুঁজুন
বুধবার, ১ জানুয়ারি, ২০২৫, ১৭ পৌষ, ১৪৩১

বেলকুচিতে রজনীকান্ত সেন স্মৃতি সার্বজনীন পূজা মন্দির উন্নয়নে মতবিনিময়

রেজাউল করিম, স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৫:৩০ অপরাহ্ণ
বেলকুচিতে রজনীকান্ত সেন স্মৃতি সার্বজনীন পূজা মন্দির উন্নয়নে মতবিনিময়

“বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই,/‘কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই,/আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে/তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে।’/ বাবুই হাসিয়া কহে, ‘সন্দেহ কি তাই?/কষ্ট পাই, তবু থাকি নিজের বাসায়।/পাকা হোক, তবু ভাই, পরের ও বাসা,/নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর, খাসা’।”

কবি রজনীকান্ত সেনের বিখ্যাত কবিতা এটি। যে কবি পরজীবী না হয়ে আত্মনির্ভরশীলতায় এতটা জোড় দিয়েছিলেন, আজ তারই বাড়ির পাশে মন্দির ও শ্মশানের বেহাল দশা। নতুন প্রজন্ম ভুলতে বসেছে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার গর্ব কবি রজনীকান্ত সেনের নামে তৈরি এই পূজা মন্দির। 

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে সিরাজগঞ্জ বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের সেন ভাঙ্গাবাড়ী ও দেলুয়াকান্দি গ্রামের সনাতন ধর্মালম্বীদের আয়োজনে কবি রজনীকান্ত স্মৃতি সার্বজনীন পূজা মন্দির এবং সেন ভাঙ্গাবাড়ী শ্মশান -এর উন্নয়ন করার নিমিত্তে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। 

শ্যামল সরকার ও সনজিৎ কুমার এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে পূজা মন্দির ও শ্নশান কমিটির সভাপতি বাবু বিমল বন্ধু সরকারের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- এ্যাডভোকেট ইন্দ্রজিত সাহা সম্মানিত ট্রাষ্ট বাংলাদেশ হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্ট।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী অধ্যাপক বাবু সুব্রত পাল।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘রজনীকান্ত সেন ও তার বোন সুচিত্রা সেন আমাদের বেলকুচির গর্ব। রজনীকান্ত সেনের কবিতা সারা পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে আছে। তার সৃতি পরের প্রজন্মের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য আমরা কবি রজনীকান্ত সৃতি সার্বজনীন পূজা মন্দির এবং সেন ভাঙ্গাবাড়ি শ্নশান ঘাট-এর উন্নয়ন করার লক্ষে কাজ করবো।’

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বেলকুচি সরকারি কলেজ বাবু মানচিত্র পাল সহকারী অধ্যাপক সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ, ডাঃ বিদ্যুৎ কুমার সূত্রধর সিরাজগঞ্জ কমিউনিটি হাসপাতাল, বাবু রনি মিত্র সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খিস্টান ঐক্য পরিষদ বেলকুচি উপজেলা শাখা। 

আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বেলকুচি উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নুরুল ইসলাম গোলাম, বেলকুচি উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব বনী আমিন,বেলকুচি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম।

সোহাগপুর মদন মোহন সেবা সনদের সভাপতি বাবু বৈদ্যনাথ রায়, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খিস্টান ঐক্য পরিষদ বেলকুচি উপজেলা শাখার সভাপতি বাবু জয় শংকর সাহা, মুকুন্দগাঁতী গৌর-গোবিন্দ ভজন মন্দিরের সভাপতি ডা: অমৃত নারায়ণ দে। এছাড়াও আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন, বানছারাম সূত্রধর, দীন বন্ধু সরকার, বাবু জিতেন্দ্রনাথ সূত্রধর ও বাবু সন্তোষ সূত্রধর।

‘বিদ্যুতের লুজ কানেকশনের’ কারণে সচিবালয়ে আগুন: তদন্ত কমিটি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৯ অপরাহ্ণ
‘বিদ্যুতের লুজ কানেকশনের’ কারণে সচিবালয়ে আগুন: তদন্ত কমিটি

বিদ্যুতের লুজ কানেকশনের (দুর্বল সংযোগ) কারণে সচিবালয়ে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে তদন্ত কমিটি। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়ার পর এ তথ্য জানান তদন্ত কমিটির প্রধান ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।

তিনি বলেন, ‘সচিবালয়ে লুজ কানেকশন থেকে আগুনে সূত্রপাত। এতে কোনো ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনা কোন নথি পুড়ে যায়নি। ক্ষতিগ্রস্তও হয়নি। পাশাপাশি ভাঙতে হবে না ক্ষতিগ্রস্ত ভবনও।’

এ সময় তদন্ত কমিটি সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব হাসান বলেন, ‘পুড়ে যাওয়া ফ্লোরগুলোতে কোনো ধরনের বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। ডগ স্কোয়াড দিয়ে সার্চ করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস থেকে যে নমুনা পাওয়া গেছে তাতেও কোনো ধরনের বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি।’

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, ‘করিডরে আগুন থাকায় নেভাতে দেরি হয়েছে, কলাপসিবল গেইট থাকায় তা কেটে ভিতরে ঢুকতে হয়েছে। ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কারণে আগুন বেশি ছড়িয়েছে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত পানি ছিল না।’

প্রসঙ্গত, গত ২৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে সচিবালয়ে ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। টানা ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় ওই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট। তবে আগুনে ভবনটির চারটি তলায় অবস্থিত স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; সড়ক পরিবহন ও সেতু, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নথিপত্র, কম্পিউটার ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।

‘বাংলাদেশের মানুষ নতুন সংবিধান চায়’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৪৪ অপরাহ্ণ
‘বাংলাদেশের মানুষ নতুন সংবিধান চায়’

বাংলাদেশের মানুষ নতুন সংবিধান চায় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ শীর্ষক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আখতার হোসেন বলেন, এ দেশের মানুষ এক নতুন বাংলাদেশ চায়। বাংলাদেশের মানুষ নতুন সংবিধান চায়। বাংলাদেশের মানুষ সংস্কার চায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ যখন জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র পাঠের আয়োজনের ঘোষণা দেয় তখন অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে সব রাজনৈতিক সংগঠনের সমন্বয়ে ঘোষণাপত্র পাঠের ঘোষণা দেওয়া হয়। এই ঘোষণা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিজয়।

তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই নতুন সংবিধান হবে। আগামী নির্বাচন হবে গণপরিষদ নির্বাচন। সে নির্বাচনে নির্বাচিতরাই সংবিধান সংশোধন করবে। বাংলাদেশের মানুষের অসংখ্য চাওয়া আছে, আগামীর নির্বাচনে যারা জয়ী হবেন তাদের সেই চাওয়াগুলো পূরণ করতে হবে।

এদিকে বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যম এ কর্মসূচি শুরু হয়।

এরপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শাহরিয়ার হাসান আলভীর বাবা মো. আবুল হাসান ছেলের স্মৃতিচারণ করেন। সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, অভ্যুত্থান পরবর্তী জুলাই প্রক্লেমেশন বা জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের কথা জানিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তবে সরকারের পক্ষ থেকে জুলাই প্রক্লেমেশন ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত আসায় আগের সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে এসেছে সংগঠনটি।

নরসিংদীর মাধবদী থানায় হামলা, ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:১৭ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদী থানায় হামলা, ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা

মাধবদী থানা থেকে ডাকাতি মামলার আসামি এবং জব্দকৃত মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিতে হামলা ও ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ নজরুল ইসলাম।

সূত্রে জানা যায়, সরকার পতনের পর থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আড়াইহাজার উপজেলার পাঁচরুখী, পুরিন্দা, ছনপাড়াসহ এসব এলাকায় সড়ক গুলিতে মালবাহী ট্রাক ছিনতাইয়ের ঘটনা প্রতিনিয়ত আগের তুলনায় বেড়ে গেছে।

জানা যায়, গত কয়েকদিন আগে চট্টগ্রাম থেকে একটি তেলবোঝাই ট্রাক ময়মনসিংহ যাচ্ছিল। তেল বোঝাই ট্রাকটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবদী এলাকা থেকে ছিনতাই করে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। ওই ঘটনায় তেলের মালিক মাধবদী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরই ভিত্তিতে মাধবদী টাটাপাড়া ৬নং ওয়ার্ডের পৌরসভার সাবেক কমিশনার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে তানবির হোসেনকে আটক করে মাধবদী থানা পুলিশ।

আরো জানা যায়, সোমবার দুপুরে একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। এরই জের ধরে জব্দকৃত মোটরসাইকেলের লোকজন এবং মাধবদী পৌরসভার সাবেক কমিশনার দেলোয়ার হোসেন ও তার ছেলে তানবির হোসেনের সমর্থকরা মাধবদী থানায় হামলা চালায়। ওই সময় থানার জানালার গ্লাসসহ বেশ কিছু স্থানে ভাঙচুর চালায় তারা। পরে নরসিংদী গোয়েন্দা সংস্থা ডিবি ও অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে থানা হাজতে থাকা অভিযুক্ত তানভির ও জব্দকৃত মোটরসাইকেলটি ছিনিয়ে নিতে পারেনি হামলাকারীরা।

এ বিষয়ে মাধবদী থানার ওসি মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, আসামি ছিনিয়ের নেয়ার জন্য কিছু দুষ্কৃতিকারী থানার গেইটে হামলা করেছিল। সোমবার দুপুরে একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। আমরা ধারনা করছি, এই দুইটির একটি কারণে দুর্বৃত্তরা থানায় হামলা করেছে। তবে আমরা এলার্ট ছিলাম। তারা ভেতরে ঢুকতে পারেনি। অভিযুক্তরা থানায় নিরাপদে রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে, মাধবদী সাবেক দেলোয়ার কমিশনারের মোবাইলে একাধিক বার ফোন দিলেও ওনার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি তো ভাই অসুস্থ চিকিৎসার জন্য ২৮ তারিখে থাইল্যান্ড চলে আসছি। তানভীর পুলিশের হেফাজতেই রয়েছে। কে বা কাহারা ভাঙচুর করেছে এটা আমি জানি না।