খুঁজুন
শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৩ পৌষ, ১৪৩১

বেলকুচিতে রজনীকান্ত সেন স্মৃতি সার্বজনীন পূজা মন্দির উন্নয়নে মতবিনিময়

রেজাউল করিম, স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৫:৩০ অপরাহ্ণ
বেলকুচিতে রজনীকান্ত সেন স্মৃতি সার্বজনীন পূজা মন্দির উন্নয়নে মতবিনিময়

“বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই,/‘কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই,/আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে/তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে।’/ বাবুই হাসিয়া কহে, ‘সন্দেহ কি তাই?/কষ্ট পাই, তবু থাকি নিজের বাসায়।/পাকা হোক, তবু ভাই, পরের ও বাসা,/নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর, খাসা’।”

কবি রজনীকান্ত সেনের বিখ্যাত কবিতা এটি। যে কবি পরজীবী না হয়ে আত্মনির্ভরশীলতায় এতটা জোড় দিয়েছিলেন, আজ তারই বাড়ির পাশে মন্দির ও শ্মশানের বেহাল দশা। নতুন প্রজন্ম ভুলতে বসেছে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার গর্ব কবি রজনীকান্ত সেনের নামে তৈরি এই পূজা মন্দির। 

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে সিরাজগঞ্জ বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের সেন ভাঙ্গাবাড়ী ও দেলুয়াকান্দি গ্রামের সনাতন ধর্মালম্বীদের আয়োজনে কবি রজনীকান্ত স্মৃতি সার্বজনীন পূজা মন্দির এবং সেন ভাঙ্গাবাড়ী শ্মশান -এর উন্নয়ন করার নিমিত্তে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। 

শ্যামল সরকার ও সনজিৎ কুমার এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে পূজা মন্দির ও শ্নশান কমিটির সভাপতি বাবু বিমল বন্ধু সরকারের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- এ্যাডভোকেট ইন্দ্রজিত সাহা সম্মানিত ট্রাষ্ট বাংলাদেশ হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্ট।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী অধ্যাপক বাবু সুব্রত পাল।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘রজনীকান্ত সেন ও তার বোন সুচিত্রা সেন আমাদের বেলকুচির গর্ব। রজনীকান্ত সেনের কবিতা সারা পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে আছে। তার সৃতি পরের প্রজন্মের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য আমরা কবি রজনীকান্ত সৃতি সার্বজনীন পূজা মন্দির এবং সেন ভাঙ্গাবাড়ি শ্নশান ঘাট-এর উন্নয়ন করার লক্ষে কাজ করবো।’

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বেলকুচি সরকারি কলেজ বাবু মানচিত্র পাল সহকারী অধ্যাপক সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ, ডাঃ বিদ্যুৎ কুমার সূত্রধর সিরাজগঞ্জ কমিউনিটি হাসপাতাল, বাবু রনি মিত্র সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খিস্টান ঐক্য পরিষদ বেলকুচি উপজেলা শাখা। 

আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বেলকুচি উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নুরুল ইসলাম গোলাম, বেলকুচি উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব বনী আমিন,বেলকুচি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম।

সোহাগপুর মদন মোহন সেবা সনদের সভাপতি বাবু বৈদ্যনাথ রায়, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খিস্টান ঐক্য পরিষদ বেলকুচি উপজেলা শাখার সভাপতি বাবু জয় শংকর সাহা, মুকুন্দগাঁতী গৌর-গোবিন্দ ভজন মন্দিরের সভাপতি ডা: অমৃত নারায়ণ দে। এছাড়াও আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন, বানছারাম সূত্রধর, দীন বন্ধু সরকার, বাবু জিতেন্দ্রনাথ সূত্রধর ও বাবু সন্তোষ সূত্রধর।

নিরাপত্তার স্বার্থে সচিবালয়ের সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:১২ অপরাহ্ণ
নিরাপত্তার স্বার্থে সচিবালয়ের সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ

সম্প্রতি সচিবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কথা মাথায় রেখে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।‌ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, এই সপ্তাহে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কী পয়েন্ট ইন্সটলেশনের (কেপিআই) নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, সরকার শিগগিরই বিদ্যমান প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডগুলো পর্যালোচনা করবে এবং নতুন অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যু করার জন্য সমস্ত স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ আউটলেটগুলো থেকে নতুন আবেদন নেওয়া হবে‌।

ইতোমধ্যে যেকোনো ইভেন্টের জন্য অস্থায়ী দৈনিক অ্যাক্সেস কার্ড নিজ নিজ মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা হবে। সরকার অসুবিধার জন্য দুঃখিত এবং সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করছে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

এর আগে শুক্রবার সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুকূলে ইস্যুকৃত স্থায়ী প্রবেশ পাস এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ইস্যুকৃত অস্থায়ী প্রবেশ পাস ব্যতীত সব ধরনের অস্থায়ী (বেসরকারি ব্যক্তিবর্গের জন্য) সচিবালয় প্রবেশ পাস বাতিল করে সরকার।

যুক্তরাষ্ট্রে গৃহহীনের সংখ্যায় রেকর্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:০৫ অপরাহ্ণ
যুক্তরাষ্ট্রে গৃহহীনের সংখ্যায় রেকর্ড

যুক্তরাষ্ট্রে গৃহহীনদের সংখ্যা রেকর্ড সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছেছে। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সরকারি পরিসংখ্যানে প্রকাশিত তথ্যে এমন চিত্র দেখা গেছে।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব হাউজিং অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট (এইচইউডি) জানিয়েছে, ২০২৪ সালে দেশটিতে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা সাত লাখ ৭০ হাজার। যা আগের বছরের তুলনায় অর্থাৎ ২০২৩ সালের চেয়ে ১৮ শতাংশ বেশি।

২০০৭ সালে এইচইউডি গৃহহীন মানুষের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ শুরু করে। এরপর থেকে এ বছরই সবচেয়ে বেশি মানুষকে গৃহহীন অবস্থায় পাওয়া গেছে। যদিও করোনা মহামারির সময়ে অর্থাৎ ২০২১ ও ২০২২ সালে এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেনি সংস্থাটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের অভাব, অভিবাসনপ্রত্যাশী ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা বেড়েছে।

এইচইউডি এর প্রতিবেদনে দেখা গেছে, অনেক শহরেই গত বছরের তুলনায় বেশি মানুষ গৃহহীনতার সম্মুখীন হয়েছেন, যদিও ডালাস ও লস অ্যাঞ্জেলেসে কমেছে।

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে এক রাতে এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
মূলত আশ্রয়কেন্দ্র, অস্থায়ী আবাসন ও অরক্ষিত স্থানে থাকা মানুষদের এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তথ্যসূত্র: সিএনএন।

উত্তর গাজার সর্বশেষ হাসপাতালের কার্যক্রমও বন্ধ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:০৩ অপরাহ্ণ
উত্তর গাজার সর্বশেষ হাসপাতালের কার্যক্রমও বন্ধ

উত্তর গাজার সর্বশেষ হাসপাতালের কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে গেছে। শুক্রবার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের কাছে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে যে, হামাসকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।

উত্তর গাজায় প্রায় সব হাসপাতালের কার্যক্রমই বন্ধ রয়েছে। সর্বশেষ কামাল আদওয়ান হাসপাতালেও হামলা চালানোর কারণে এর কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, প্রাথমিক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ মারাত্মকভাবে পুড়ে গেছে এবং ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ইসরায়েলি বাহিনী এক বিবৃতিতে দাবি করেছে যে, অক্টোবরে ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজায় বিস্তৃত অভিযান শুরু করার পর থেকে হাসপাতালটি হামাসের মূল ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে এবং সেখানে হামাসের কার্যক্রম চলছিল। এমন অভিযোগ এনেই সেখানে বেসামরিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে দখলদার বাহিনী।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলার সময় ৬০ জন স্বাস্থ্যকর্মী এবং ২৫ জন গুরুতর রোগী হাসপাতালে অবস্থান করছিল।

জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থাটি জানিয়েছে, মাঝারি থেকে গুরুতর অবস্থার রোগীদের বাধ্য হয়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত এবং অকার্যকর ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালে সরিয়ে নিতে হয়েছে। এসব রোগীর নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।