বেলকুচিতে রজনীকান্ত সেন স্মৃতি সার্বজনীন পূজা মন্দির উন্নয়নে মতবিনিময়
“বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই,/‘কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই,/আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে/তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে।’/ বাবুই হাসিয়া কহে, ‘সন্দেহ কি তাই?/কষ্ট পাই, তবু থাকি নিজের বাসায়।/পাকা হোক, তবু ভাই, পরের ও বাসা,/নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর, খাসা’।”
কবি রজনীকান্ত সেনের বিখ্যাত কবিতা এটি। যে কবি পরজীবী না হয়ে আত্মনির্ভরশীলতায় এতটা জোড় দিয়েছিলেন, আজ তারই বাড়ির পাশে মন্দির ও শ্মশানের বেহাল দশা। নতুন প্রজন্ম ভুলতে বসেছে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার গর্ব কবি রজনীকান্ত সেনের নামে তৈরি এই পূজা মন্দির।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে সিরাজগঞ্জ বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের সেন ভাঙ্গাবাড়ী ও দেলুয়াকান্দি গ্রামের সনাতন ধর্মালম্বীদের আয়োজনে কবি রজনীকান্ত স্মৃতি সার্বজনীন পূজা মন্দির এবং সেন ভাঙ্গাবাড়ী শ্মশান -এর উন্নয়ন করার নিমিত্তে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
শ্যামল সরকার ও সনজিৎ কুমার এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে পূজা মন্দির ও শ্নশান কমিটির সভাপতি বাবু বিমল বন্ধু সরকারের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- এ্যাডভোকেট ইন্দ্রজিত সাহা সম্মানিত ট্রাষ্ট বাংলাদেশ হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্ট।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী অধ্যাপক বাবু সুব্রত পাল।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘রজনীকান্ত সেন ও তার বোন সুচিত্রা সেন আমাদের বেলকুচির গর্ব। রজনীকান্ত সেনের কবিতা সারা পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে আছে। তার সৃতি পরের প্রজন্মের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য আমরা কবি রজনীকান্ত সৃতি সার্বজনীন পূজা মন্দির এবং সেন ভাঙ্গাবাড়ি শ্নশান ঘাট-এর উন্নয়ন করার লক্ষে কাজ করবো।’
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বেলকুচি সরকারি কলেজ বাবু মানচিত্র পাল সহকারী অধ্যাপক সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ, ডাঃ বিদ্যুৎ কুমার সূত্রধর সিরাজগঞ্জ কমিউনিটি হাসপাতাল, বাবু রনি মিত্র সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খিস্টান ঐক্য পরিষদ বেলকুচি উপজেলা শাখা।
আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বেলকুচি উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নুরুল ইসলাম গোলাম, বেলকুচি উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব বনী আমিন,বেলকুচি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম।
সোহাগপুর মদন মোহন সেবা সনদের সভাপতি বাবু বৈদ্যনাথ রায়, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খিস্টান ঐক্য পরিষদ বেলকুচি উপজেলা শাখার সভাপতি বাবু জয় শংকর সাহা, মুকুন্দগাঁতী গৌর-গোবিন্দ ভজন মন্দিরের সভাপতি ডা: অমৃত নারায়ণ দে। এছাড়াও আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন, বানছারাম সূত্রধর, দীন বন্ধু সরকার, বাবু জিতেন্দ্রনাথ সূত্রধর ও বাবু সন্তোষ সূত্রধর।
আপনার মতামত লিখুন