খুঁজুন
সোমবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ২২ পৌষ, ১৪৩১

‘বিদ্যুতের লুজ কানেকশনের’ কারণে সচিবালয়ে আগুন: তদন্ত কমিটি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৯ অপরাহ্ণ
‘বিদ্যুতের লুজ কানেকশনের’ কারণে সচিবালয়ে আগুন: তদন্ত কমিটি

বিদ্যুতের লুজ কানেকশনের (দুর্বল সংযোগ) কারণে সচিবালয়ে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে তদন্ত কমিটি। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়ার পর এ তথ্য জানান তদন্ত কমিটির প্রধান ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।

তিনি বলেন, ‘সচিবালয়ে লুজ কানেকশন থেকে আগুনে সূত্রপাত। এতে কোনো ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনা কোন নথি পুড়ে যায়নি। ক্ষতিগ্রস্তও হয়নি। পাশাপাশি ভাঙতে হবে না ক্ষতিগ্রস্ত ভবনও।’

এ সময় তদন্ত কমিটি সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব হাসান বলেন, ‘পুড়ে যাওয়া ফ্লোরগুলোতে কোনো ধরনের বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। ডগ স্কোয়াড দিয়ে সার্চ করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস থেকে যে নমুনা পাওয়া গেছে তাতেও কোনো ধরনের বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি।’

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, ‘করিডরে আগুন থাকায় নেভাতে দেরি হয়েছে, কলাপসিবল গেইট থাকায় তা কেটে ভিতরে ঢুকতে হয়েছে। ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কারণে আগুন বেশি ছড়িয়েছে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত পানি ছিল না।’

প্রসঙ্গত, গত ২৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে সচিবালয়ে ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। টানা ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় ওই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট। তবে আগুনে ভবনটির চারটি তলায় অবস্থিত স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; সড়ক পরিবহন ও সেতু, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নথিপত্র, কম্পিউটার ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১৯৭৫ টি মামলা

জুলকার নাইন
প্রকাশিত: রবিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ৪:৪৬ অপরাহ্ণ
রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১৯৭৫ টি মামলা

ঢাকা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ১৯৭৫টি মামলা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়া অভিযানকালে ৫৫ গাড়ি ডাম্পিং ও ৫৮টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে। রবিবার (৫-জানুয়ারি) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল শনিবার (৪-জানুয়ারি) ডিএমপির আটটি ট্রাফিক বিভাগ অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করা হয়।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বগুড়া সুঘাট ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

জুলকার নাইন
প্রকাশিত: রবিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ৪:৩২ অপরাহ্ণ
বগুড়া সুঘাট ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় জুলাই-আগস্টের মামলার আসামি যুবলীগ নেতা এস.এম. মাহবুব সোবহান বিদ্যুৎকে (৩৭) গ্রেপ্তার করেছে শেরপুর থানা পুলিশ।

রবিবার (০৫-জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের বেলগাছি টাওয়ার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার এস এম মাহবুব সোবহান বিদ্যুৎ বগুড়া শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের চক কল্যানী পূর্বপাড়া এলাকার মৃত আব্দুস সোবহানের ছেলে৷ তিনি সুঘাট ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি।

শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম শফিক জানান, জুলাই-আগস্টের মামলার আসামি বিদ্যুৎকে সকাল সাড়ে ১০টায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে৷

দেশীয় অস্ত্রসহ ডাকাত তিন সক্রিয় সদস্য আটক

জুলকার নাইন
প্রকাশিত: রবিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ৪:০৮ অপরাহ্ণ
দেশীয় অস্ত্রসহ ডাকাত তিন সক্রিয় সদস্য আটক

রাজধানীর দারুসসালাম এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের তিনজন সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে ডিএমপির দারুসসালাম থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সাব্বির হোসেন (২১), রাব্বি হাওলাদার (২০) ও সবুজ হোসেন (২০)।

রবিবার (৫-জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

তিনি জানান, শনিবার (০৪ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১১টার দিকে দারুসসালামের দ্বীপনগর বিজিবি মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গোপন সংবাদের মাধ্যমে তথ্য পায় যে, দ্বীপনগর বিজিবি মার্কেট এলাকায় কয়েকজন ডাকাত দেশীয় অস্ত্রসহ ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে রাত সোয়া ১০টায় থানার টিমটি সেখানে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টাকালে তিনজনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে একটি ধারালো স্টিলের চাপাতি, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি গাড়ি ও দুটি স্কচটেপ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজনসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে দারুসসালাম থানায় মামলা করা হয়েছে।

তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানায়, তারা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা ঘটনাস্থলসহ আশেপাশের এলাকায় ডাকাতি করার উদ্দেশে ওই স্থানে সমবেত হয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।