খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫, ১৮ বৈশাখ, ১৪৩২

তিন মেয়াদে ভুয়া সংসদে ভুয়া এমপি-স্পিকার ছিল: ড.ইউনুস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ১:২০ অপরাহ্ণ
তিন মেয়াদে ভুয়া সংসদে ভুয়া এমপি-স্পিকার ছিল: ড.ইউনুস

গত তিন নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশে আগামী সাধারণ নির্বাচন সম্পূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ব্রিটিশ এমপি রুপা হক সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে এ মন্তব্য করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গত তিনটি নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। সেখানে একটি ভুয়া সংসদ, ভুয়া এমপি এবং একজন ভুয়া স্পিকার ছিল।

তিনি বলেন, পুরো দেশ এখন তাদের কণ্ঠস্বর ফিরে পেয়েছে; তাদের কণ্ঠ জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।

ব্রিটিশ এমপি রুপা হক আগামী সাধারণ নির্বাচনের অস্থায়ী তারিখ, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক গৃহীত সংস্কার উদ্যোগ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।

তিনি বলেন, জুলাই পরবর্তী বাংলাদেশ ২ দেখে আমি সত্যিই উৎসাহিত হয়েছি।

এ সময়ে রুপা হক আগামী সাধারণ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে বাংলাদেশে ফিরে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

ব্রিটিশ এমপিকে প্রধান উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জন্য দুটি সম্ভাব্য সময়সীমা রয়েছে: ডিসেম্বর ২০২৫ বা ২০২৬ সালের মাঝামাঝি। তবে নির্বাচনের সময়সূচি নির্ধারণ করছে জনগণ কতটুকু সংস্কার চায় তার ওপর।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার ও ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর জেমস গোল্ডম্যান।

‘শ্রমিকদের গায়ের ঘাম আতরের মতো লাগে’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫, ১১:৩৯ অপরাহ্ণ
‘শ্রমিকদের গায়ের ঘাম আতরের মতো লাগে’

0-0x0-0-0#

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, শ্রমিকদের রক্ত আর ঘামে শিল্প গড়ে ওঠে। শ্রমিকদের বলবো, আপনাদের গায়ের ঘাম আমার কাছে আতরের মতো লাগে।

তিনি বলেন, কোথাও গেলে অনেক শ্রমিক গায়ে ঘামের কারণে আমাদের সঙ্গে হাত মেলাতে লজ্জাবোধ করেন। আমি তাদের বুকে টেনে বুক মেলাই। শ্রমিকদের গায়ের ঘাম আতর, সুগন্ধি, সৌরভের কারণ।

বৃহস্পতিবার (১ মে) রাজধানীর পল্টন মোড়ে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জামায়াত আমির বলেন, আমরা আসলে মানুষের মাঝে বৈষম্য দেখতে চাই না। সব পেশার মানুষকে আমরা এক চোখে দেখি। মালিক-শ্রমিক দ্বন্দ্ব আর চাই না। শ্রমিক বাঁচলে শিল্প বাঁচবে, ব্যবসা বাঁচবে। আবার শ্রমিককে বুঝতে হবে, শিল্প বা মালিক ধ্বংস হয়ে গেলে শ্রমিকদের কাজও বন্ধ হয়ে যাবে। তাই মালিক-শ্রমিক উভয়ের দায়িত্ব অনেক।

তিনি বলেন, যেদিন মালিক তার শ্রমিককে দরদ-ভালোবাসা দিয়ে কাছে টেনে নেবে, সেই শ্রমিক জীবন দিয়ে হলেও তার শ্রমের শতভাগ দেবে। মালিক-শ্রমিকের সমন্বয়ে একটা কর্মউপযোগী সমাজ গড়ে তুলতে হবে। এটা নিয়েই কাজ করছে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন।

কর্মক্ষেত্রে নারীর জন্য নামাজের জায়গা রাখার দাবি জানিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, পুরুষের জন্য মিল-ফ্যাক্টরি বা ইন্ডাস্ট্রিতে ছোট্ট হলেও নামাজের জায়গা রাখা হয়। কিন্তু আমাদের নারীদের জন্য নামাজের জায়গা রাখা হয় না। আমি কারখানা মালিকদের উদ্দেশে বলবো, নারীদের জন্য নামাজের জায়গার ব্যবস্থা করুন। তাদের জন্য নিরাপদ কর্মস্থল গড়ে তুলুন।

সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, ১৭ বছর শ্রমিক সমাবেশ করতে পারিনি। আমাদের শ্রমিকরা নির্মম বঞ্চনা, হত্যার শিকার হয়েছেন। আজ সেই সুযোগ হয়েছে। তাই এখনি সময় শ্রমিকদের অধিকার সুসংগঠিত করার। আমরা এমন এক শ্রমনীতি কায়েম করতে চাই, যা চলবে ইসলামের আইন অনুযায়ী। যেখানে মালিক-শ্রমিক কোনো ভেদাভেদ থাকবে না, যে আইনে কোনো শ্রমিক না খেয়ে থাকবে না। তাই কোরআনের বিধান অনুযায়ী ইসলামী শ্রমনীতি চালু করতে হবে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম খান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুলসহ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা।

‘শ্রমিকদের আগের অবস্থায় রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫, ১১:০৯ অপরাহ্ণ
‘শ্রমিকদের আগের অবস্থায় রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়’

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, শ্রমিকদের আগের অবস্থায় রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। এজন্য তিনি শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের প্রথম কাজ হলো শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী আশুকরণীয় নিয়ে যাত্রা শুরু করা। এরপর পর্যায়ক্রমে প্রতিটি সুপারিশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (১ মে) মহান মে দিবস এবং জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে রাজধানীর বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

‘শ্রমিক মালিক এক হয়ে গড়বো এ দেশ নতুন করে’ স্লোগানে এবারের মে দিবস উদযাপিত হচ্ছে। অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা পাঁচজন শ্রমিকের পরিবারের হাতে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সুলতান উদ্দিন আহমেদ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মহাপরিচালক গিলবার্ট এফ হাংবোর একটি ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয়।

‘সবার আগে বাংলাদেশ, এটিই হবে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫, ১১:০২ অপরাহ্ণ
‘সবার আগে বাংলাদেশ, এটিই হবে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সবার আগে বাংলাদেশ। এটিই হতে হবে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার নয়াপল্টনে মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

এর আগে ‘মে দিবস দিচ্ছে ডাক, বৈষম্য নিপাত যাক’—এই স্লোগানের মধ্য দিয়ে নয়াপল্টনে শুরু হয় জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের শ্রমিক সমাবেশ। দুপুর ২টা ১০ মিনিটে কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সমাবেশের কার্যক্রম। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের লম্বা সড়ক সেই ফকিরাপুল থেকে শুরু করে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত হাজারো শ্রমিকের উপস্থিতিতে সমাবেশটি রূপ নেয় জনসমুদ্রে।

সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সমাবেশে মাথায় লাল টুপি, গায়ে লাল গেঞ্জি পড়ে আসা শ্রমিকদের কণ্ঠের অন্যতম স্লোগান ছিল, ‘দুনিয়া মজদুর এক হও, লড়াই করো’। আন্তর্জাতিক শ্রমিকদের এই সার্বজনীন স্লোগানের পাশাপাশি ‘অবিলম্বে সংসদ নির্বাচন চাই, নির্বাচন দিতে হবে দিতে হবে’ এই স্লোগানও উচ্চারিত হয়েছে সর্বক্ষণ।

জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ১২ দফা দাবিগুলো হচ্ছে-অবিলম্বে সংসদ নির্বাচন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিচার, সব প্রতিষ্ঠানে ডে-কেয়ার সেন্টার, বন্ধ শিল্প চালু, নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান, আউট সোর্সিং বন্ধ করে স্থায়ী পদ সৃষ্টি, অবাধ, গণতান্ত্রিক ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার, শ্রমিক হত্যার বিচার, শ্রমিক নির্যাতন বন্ধ, নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন সুরক্ষা নিশ্চিত করা, জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ৩০ হাজার টাকা, বৈষম্যহীন জাতীয় পে-স্কেল ও মজুরি হার ঘোষণা, জরুরি পরিষেবা আইনসহ সব কালাকানুন বাতিল এবং খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানো।