খুঁজুন
শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে তিতুমীর শিক্ষার্থীদের অনশন

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫, ৫:২৯ অপরাহ্ণ
বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে তিতুমীর শিক্ষার্থীদের অনশন

রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অনশন কর্মসূচি পালন করছেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা। অবশ্য এরই মধ্যে তারা কলেজের সামনের সড়কের অবরোধ তুলে নিয়েছেন। এতে করে মহাখালী থেকে গুলশান লিংক রোডের যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে কলেজের মূল ফটকের সামনে অবস্থান করছেন তারা। আজকের জুমার নামাজ সেখানেই আদায় করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) কলেজটির শিক্ষার্থীদের সংগঠন তিতুমীর ঐক্যের পক্ষ থেকে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলেন, আমাদের অনশন কর্মসূচি শুরুর ২৪ ঘণ্টা পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একজন প্রতিনিধি এসেছিলেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু কারো মুখের কথা আমরা বিশ্বাস করতে চাইনা। যতক্ষণ পর্যন্ত তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি দেওয়া না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব। রাতে সড়ক অবরোধ ছাড়লেও ফের অবরোধ করা হবে। রাতে রাজধানীতে কাঁচামালবাহী বিভিন্ন সবজির গাড়ি প্রবেশ করে। তাই সড়ক ছেড়ে দিয়েছিলাম। যেন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না হয়।

তারা বলেন, অনশনরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে তিতুমীর কলেজের ৭ জন শিক্ষার্থী সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়া বাংলা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রানা আহমেদ ও গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তিতুমীর ঐক্যের দপ্তর সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে থেকে অনশন শুরু হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই অনশন চলবে। আমরা ৭ দফা দাবি জানিয়েছি। সেগুলো হচ্ছে —

১. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে।

২. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২০২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

৩. শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ নতুবা অনতিবিলম্বে শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসিক খরচ বহন করতে হবে।

৪. ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ন্যূনতম দুইটি বিষয় ‘আইন’ এবং ‘জার্নালিজম’ বিষয় সংযোজন করতে হবে।

৫. অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।

৬. শিক্ষার গুণগতমান শতভাগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আসন সংখ্যা সীমিত করতে হবে।

৭. আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার বিনির্মাণের লক্ষ্যে জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ করতে হবে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুরুজ্জামান অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তিনি তাদের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। তবে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। এরমধ্যে একটি কলেজ হচ্ছে সরকারি তিতুমীর কলেজ। অধিভুক্তির পর থেকে এখন পর্যন্ত এই কলেজের অ্যাকাডেমিক সব কার্যক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে। এর আগে সরকারি তিতুমীর কলেজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ছিল।

ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করলো ইয়েমেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ
ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করলো ইয়েমেন

অবরুদ্ধ গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরাইল অধিকৃত ভূখণ্ডে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে হুথি আনসারুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী। এ হামলার ফলে দখলকৃত ভূখণ্ডে বসবাসরত ইসরাইলি বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার সময় অনেক ইহুদি বাসিন্দা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালিয়ে যান।

ইসরাইলি সূত্র নিশ্চিত করেছে, ইয়েমেন থেকে অন্তত একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দখলদার ভূখণ্ডের দিকে ছোড়া হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ইয়েমেনি নেতারা বারবার ঘোষণা দিয়েছেন, তাদের এ ধরনের হামলা গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের জবাবে এবং গাজাবাসীদের প্রতি সংহতির অংশ হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। এটি বৃহত্তর আঞ্চলিক প্রতিরোধ কৌশলের অংশ।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় হামাসসহ ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো ‘আল আকসা ঝড়’ নামে এক আকস্মিক পাল্টা হামলা চালানোর পর থেকে ইসরাইল গাজায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। সেই থেকে ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ স্পষ্টভাবে ফিলিস্তিনের সংগ্রামের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং একাধিকবার ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়েছে।

ছেলের মুখে হাসি ফোটাতে ২১ ঘণ্টায় সাইকেলে ২০০ কিমি পাড়ি দিলেন বাবা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ
ছেলের মুখে হাসি ফোটাতে ২১ ঘণ্টায় সাইকেলে ২০০ কিমি পাড়ি দিলেন বাবা

গাইবান্ধার রাজু মিয়া ঢাকায় রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। ছেলে রেজওয়ান ইসলাম স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাকে মানুষের মত মানুষ করতে রাজু মিয়া অনেক কষ্ট করেন। কলেজে যাতায়াতের জন্য ছেলের একটা বাইসাইকেল খুব প্রয়োজন ছিল। ঢাকায় কষ্টার্জিত টাকায় একটি পুরাতন সাইকেলও কিনেছেন। কিন্তু গাড়ি ভাড়া দিয়ে সাইকেলটি গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার হরিনাথপুর গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার সামর্থ্য তার ছিল না। তাই ওই সাইকেল চালিয়ে তিনি ঢাকা থেকে বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছিলেন। প্রায় ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বগুড়ায় পৌঁছেন।

সেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাকে বাড়িতে পৌঁছার সকল ব্যবস্থা করেন। তাকে কিছু খাবারও সাথে দেন। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাতে বগুড়া মহাসড়কের এ ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

জানা গেছে, গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার হরিনাথপুর গ্রামের রাজু মিয়া প্রায় দেড় দশক ঢাকার মহাখালীতে রিকশা চালান। আয়ের টাকা বাড়িতে পাঠান। তার ছেলে রেজওয়ান ইসলাম মাধ্যমিক পাশ করে কলেজে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু কলেজে যাতায়াতের জন্য তার একটা বাইসাইকেল খুব প্রয়োজন। তাই তিনি দরিদ্র রিকশা চালক বাবার কাছে সাইকেল বায়না করেছিলেন।

ছেলে লেখাপড়া করে একদিন অনেক বড় হবে এ আশায় রাজু মিয়া গত এক মাস আগে মহাখালী থেকে দেড় হাজার টাকায় একটি পুরাতন বাইসাইকেল কেনেন। ঈদের ছুটিতে বাইসাইকেল ছেলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু সাইকেলটি বাড়ি নিয়ে যেতে তার বাস ভাড়াসহ প্রয়োজন ছিল তিন হাজার টাকার। রাজু মিয়ার কাছে ঈদ খরচসহ সবমিলিয়ে ছিল মাত্র আড়াই হাজার টাকা।

সাইকেল বাড়িতে নিতে গাড়ি ভাড়া না থাকায় তিনি প্রথমে হতাশ হন। পরবর্তীতে ওই সাইকেল চালিয়ে ঢাকা থেকে গাইবান্ধা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর ৫টার দিকে সাইকেল চালিয়ে ঢাকার মহাখালী থেকে গাইবান্ধার দিকে রওনা দেন। প্রায় ২১ ঘন্টা সাইকেল চালিয়ে মধ্যরাতে বগুড়ায় পৌঁছান।

রাতে মহাসড়কে একা সাইকেল চালাতে দেখে সেনাবাহিনীর চেকপোস্টে তাকে থামানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার সব কষ্টের কথা সেনা সদস্যের অবহিত করেন। তারা রিকশা চালক রাজু মিয়ার সংসারে অভাব ও ছেলের কলেজে যাতায়াতের জন্য পুরাতন বাইসাইকেল কেনার কথা শুনে আবেগাপ্লুত হন। বাড়ি পৌঁছাতে সেনা সদস্যরা তাকে সাইকেলসহ একটি ট্রাকে তুলে দেন। এছাড়া তাকে কিছু শুকনো খাবার দিয়ে সহায়তা করেন।

যাওয়ার আগে রাজু মিয়া জানান, গাড়ি ভাড়া দিয়ে ছেলের শখের সাইকেল বাড়িতে পৌঁছানো তার পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছিল। তাই তিনি একটি ব্যাগ নিয়ে ঢাকার মহাখালী থেকে সাইকেল চালিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দেন। পথে তিন বার ৫০ টাকা করে ভ্যানে করে কিছুদূর এগিয়েছেন। যমুনা সেতুতে বাইসাইকেল নিয়ে ওঠার নিয়ম না থাকায় তিনি ১০০ টাকা ভাড়ায় মিনিট্রাকে উঠেন। কিন্তু ট্রাকটি গাইবান্ধা পর্যন্ত না যাওয়ায় তাকে বগুড়ায় নামিয়ে দেয়।

রাজু মিয়া আরও জানান, বাইসাইকেলে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে বাড়িতে পৌঁছার কথা কখনো চিন্তা করেননি। সেনা সদস্যদের সহযোগিতায় ছেলের সাইকেল পৌঁছাতে পারছেন এতেই তিনি অনেক খুশি। তারা সহযোগিতা না করলে তার খুব কষ্ট হতো। তিনি সেনা সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, তাদের কারণেই তিনি সহজে বাড়ি ফিরতে পারছেন।

দেশে ফিরতে হবে কাদের ও কারা পাবেন স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা, জানাল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ১১:১১ পূর্বাহ্ণ
দেশে ফিরতে হবে কাদের ও কারা পাবেন স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা, জানাল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস

ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, অনুমোদিত ভ্রমণকাল শেষ হওয়ার পরও যদি কেউ যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করেন তবে তাকে ফেরত পাঠানো হবে।

গত বৃহস্পতিবার সকালে দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেজের পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

পোস্টে বলা হয়, আপনার অনুমোদিত ভ্রমণকাল শেষ হওয়ার পরও যদি আপনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করেন, তাহলে আপনাকে দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে এবং ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের ওপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।

এদিকে স্থানীয় সময় বুধবার নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ দেখিয়ে বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

প্রতিবেদন বলছে, ১২টি দেশের নাগরিকদের প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। আর সাতটি দেশের নাগরিকেরা থাকবেন আংশিক নিষধাজ্ঞার আওতায়। ৯ জুন থেকে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর।

এরআগে গত ২৩ মে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানায়, এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের উদ্দেশে যারা ভিসার জন্য আবেদন করবেন, তাদের তথ্য আরও গভীরভাবে যাচাই-বাছাই করা হবে। সন্দেহজনক মনে হলে আবেদন সরাসরি বাতিল করে দেবেন কনস্যুলার কর্মকর্তারা।

বিবৃতিতে দূতাবাস জানায়, যদি কর্মকর্তাদের মনে হয়, কারও যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের প্রধান উদ্দেশ্য সেখানে সন্তান জন্ম দিয়ে নাগরিকত্ব নিশ্চিত করা, তবে তার পর্যটন ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হবে। এ ধরনের উদ্দেশ্যকে ‘অননুমোদিত’ বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।