খুঁজুন
রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

বেলকুচিতে মৌমাছির কামড়ে কৃষকের মৃত্যু

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:৫৪ অপরাহ্ণ
বেলকুচিতে মৌমাছির কামড়ে কৃষকের মৃত্যু

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে মৌমাছির কামড়ে আনছার আলী (৪২) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের সগুনা কালিবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আনছার আলী সরকার উপজেলার ৩নং ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের জোকনালা গ্রামের সাদেক আলী সরকারের ছেলে।

ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য রানা আহাম্মেদ জানান, বিকালে ধানের চারা তোলার জন্য জমিতে যাচ্ছিলো এমন সময় সগুনা কালিবাড়ী এলাকায় পৌছাঁলে মৌমাছির দল এসে আনছার আলীকে আক্রমন করে। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। 

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা:একে এম মোফাখখারুল ইসলাম জানান, মৌমাছির আক্রান্ত অবস্থায় আনছার আলীকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে আমরা মৃত অবস্থায় পাই।

অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে জনমনে সন্দেহের উদ্রেক হয়েছে: আমীর খসরু

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ৫:৩৫ অপরাহ্ণ
অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে জনমনে সন্দেহের উদ্রেক হয়েছে: আমীর খসরু

জাতীয় সংসদ নির্বাচন এপ্রিলে করার ঘোষণা সময়োপযোগী নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, নির্বাচন ইস্যুতে নিরপেক্ষতা হারাচ্ছে সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে জনমনে সন্দেহের উদ্রেক হয়েছে বলেও জানান তিনি। সোমবার (৮ জুন) এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘রমজান সংযমের মাস, এ মাসে মানুষ নামাজ কালাম করে, এছাড়া ওই সময় ঘূর্ণিঝডের সময়।

আবার সেই সময়ে পরীক্ষা শুরু হবে। সেই সময়টায় নির্বাচন করাটা তো একেবারেই অসম্ভব ব্যাপার। বাংলাদেশের সিংহভাগ রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়। ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার কোনো যুক্তি নেই।

সেপ্টেম্বর বা আগস্টের দিকেও করা যেতে পারে।’
আমীর খসরু বলেন, ‘এপ্রিলে নির্বাচনের সময়টা একেবারেই অযৌক্তিক এবং এটা কাদের স্বার্থে- সেই প্রশ্নও এসে গেছে। আর এই লোকগুলোর স্বার্থ যদি অক্ষুণ্ন থেকে যায়, তবে আগামী নির্বাচন এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।’

ড. ইউনূসের সঙ্গে লন্ডনে দেখা করতে চান টিউলিপ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ৫:৩০ অপরাহ্ণ
ড. ইউনূসের সঙ্গে লন্ডনে দেখা করতে চান টিউলিপ

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে লন্ডনে সাক্ষাৎ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মিনিস্টার ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। রোববার (৮ জুন) ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান জানায়, এ বিষয়ে ড. ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন টিউলিপ।

চিঠিতে টিউলিপ সিদ্দিক লিখেছেন, বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ অভিযোগ এবং তা ঘিরে তৈরি হওয়া ‘ভুল বোঝাবুঝি’ দূর করতেই তিনি এ বৈঠক চান।

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তার খালার (শেখ হাসিনা) শাসনামলে তিনি অবৈধ সুবিধা গ্রহণ করেছেন। অভিযোগ অনুযায়ী, টিউলিপ ও তার মা প্রভাব খাটিয়ে ঢাকার একটি অভিজাত এলাকায় ৭ হাজার ২০০ বর্গফুটের একটি প্লট নিয়েছেন। যদিও টিউলিপ ও তার আইনজীবীরা এই অভিযোগগুলো ‘ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে দাবি করেছেন।

চিঠিতে টিউলিপ বলেন, ‘লন্ডনে আপনার সফরকালে যদি সাক্ষাৎ হয়, তাহলে আমার খালার (শেখ হাসিনা) সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু প্রশ্নের বিষয়ে আমার বক্তব্য পরিষ্কার করার সুযোগ পাবো।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি লন্ডনে জন্মগ্রহণ করা একজন ব্রিটিশ নাগরিক। গত এক দশক ধরে হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেট থেকে এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। বাংলাদেশের প্রতি আবেগ থাকলেও আমি সেখানে জন্মাইনি, বাস করি না, এমনকি কোনও ব্যবসায়িক স্বার্থও নেই।’

টিউলিপ অভিযোগ করেছেন, তার আইনজীবীরা লন্ডন থেকে দুদকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোনও জবাব মেলেনি। বরং দুদক ঢাকা শহরের একটি ‘অজানা ঠিকানায়’ নথিপত্র পাঠাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এই তথাকথিত তদন্তের প্রতিটি ধাপ সংবাদমাধ্যমে ফাঁস করা হচ্ছে, অথচ আমার আইনজীবীদের সঙ্গে কোনো আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ করা হয়নি।’

চিঠিতে টিউলিপ আরও উল্লেখ করেছেন, ‘আপনি নিশ্চয়ই অনুধাবন করতে পারবেন, এসব অভিযোগ কীভাবে আমার সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালনে এবং দেশের প্রতি আমার অঙ্গীকারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।’

গত বছর যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী পর্যায়ের মানদণ্ড বিষয়ক উপদেষ্টা লরি ম্যাগনেস টিউলিপকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিলেও তিনি নিজে থেকেই পদত্যাগ করেন। তিনি বলেন, এই বিতর্ক লেবার পার্টি নেতা কিয়ার স্টারমারের সরকারের জন্য বিব্রতকর হয়ে উঠতে পারে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান ড. ইউনূস ৯ জুন লন্ডন সফরে যাচ্ছেন। সফরে তিনি রাজা তৃতীয় চার্লসের কাছ থেকে কিং চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ গ্রহণ করবেন। এছাড়া থিংক ট্যাংক চ্যাথাম হাউজে অংশগ্রহণ এবং প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠকেরও কথা রয়েছে তার।

আমার পাশে একবার বসলেই টের পাবে সব, প্রীতিকে পন্টিং

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ৫:২৭ অপরাহ্ণ
আমার পাশে একবার বসলেই টের পাবে সব, প্রীতিকে পন্টিং

প্রীতি জিন্টা জিজ্ঞাসা করেন, ‘মাঠে যিনি এতটা আগ্রাসী ছিলেন, তিনি কোচ হিসেবে ডাগআউটে এত শান্ত ও ঠান্ডা মাথার কীভাবে থাকতে পারেন?’ প্রীতির এই প্রশ্নে পন্টিং বেশ মজার উত্তর দেন এবং বলেন, আসলে বিষয়টা মোটেই তেমন নয়। বরং তা উপলব্ধি করতে হলে তাঁকে (প্রীতিকে) গ্যালারি থেকে নেমে ডাগআউটে বসতে হবে।

তাঁর সময়ের অন্যতম সফল অধিনায়ক রিকি পন্টিং, বর্তমানে ক্রিকেট বিশ্বের একজন আইকন তিনি। বর্তমানে কোচ ও পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করছেন এই অস্ট্রেলীয় কিংবদন্তি। আইপিএল ২০২৫-এ পঞ্জাব কিংসকে ফাইনালে পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন রিকি পন্টিং। যদিও শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে পঞ্জাব হার মানে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (RCB) কাছে, তবুও কোচ হিসেবে পন্টিংয়ের কৃতিত্ব প্রশংসিত হয়েছে ক্রিকেটমহলে।

তবে কোচ রিকি পন্টিংয়ের কিছু স্বভাব এখনও পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারেননি ফ্র্যাঞ্চাইজির সহ-মালিক ও বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিন্টা।

এক খোলামেলা আলোচনায় রিকি পন্টিংকে প্রীতি জিন্টা জিজ্ঞাসা করেন, ‘মাঠে যিনি এতটা আগ্রাসী ছিলেন, তিনি কোচ হিসেবে ডাগআউটে এত শান্ত ও ঠান্ডা মাথার কীভাবে থাকতে পারেন?’ প্রীতির এই প্রশ্নে পন্টিং বেশ মজার উত্তর দেন এবং বলেন, আসলে বিষয়টা মোটেই তেমন নয়। বরং তা উপলব্ধি করতে হলে তাঁকে (প্রীতিকে) গ্যালারি থেকে নেমে ডাগআউটে বসতে হবে।

প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক বলেন, ‘তোমার আমার পাশে এসে ডাগআউটে বসা উচিত, কারণ তখন তুমি দেখতে পাবে আমি কতটা শান্ত বা অশান্ত। আমি স্বভাবগতভাবে আগ্রাসী, বিশেষ করে যখন ক্রিকেটের সময় আসে।’ পন্টিং আরও বলেন, কোচ হিসেবে তিনি নিজের সেরা সংস্করণটিই তুলে ধরতে চান, এবং তাঁর দলের প্রতিটি খেলোয়াড়কে তাঁদের সেরাটা দিতে অনুপ্রাণিত করতে চান।

রিকি পন্টিং বলেন, ‘ক্রিকেটের বাইরে আমি যেকোনো বিষয়ে মজা করে কথা বলি, কফি খাই, হাসি-ঠাট্টা করি। কিন্তু যখন ক্রিকেটের সময় আসে, তখন আমার দায়িত্ব দলের পারফরম্যান্সকে শিখরে পৌঁছে দেওয়া। আমি এক মিনিট, একদিন বা একটাও ট্রেনিং সেশন নষ্ট করতে চাই না, যেখানে আমি সেরা কোচ হয়ে ওঠার চেষ্টা করব না, এবং আমার প্রতিটি খেলোয়াড়কে তাঁদের সেরা পারফরম্যান্স দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করব।’