খুঁজুন
বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ১২ চৈত্র, ১৪৩১

এরদোয়ানের পদত্যাগ দাবিতে উত্তাল তুরস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩৪ অপরাহ্ণ
এরদোয়ানের পদত্যাগ দাবিতে উত্তাল তুরস্ক

ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে গ্রেপ্তারের পর তুরস্কজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। ইমামোগলু ও তার সমর্থকরা বিভিন্ন শহরের রাস্তায় নেমে সরকারবিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন।

ইমামোগলুর মুক্তি ও প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের পদত্যাগের দাবি করছেন তারা।

এরদোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রেপ্তার মেয়র একরেম ইমামোগলু। দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সহায়তার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার (২৩ মার্চ) অনুষ্ঠিত ভোটে ইস্তাম্বুলের এই মেয়রকে রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) ২০২৮ সালের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করার কথা ছিল।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, তুরস্কজুড়ে এরদোয়ান বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন হাজার হাজার জনতা। রোববার ভোরে পঞ্চম রাতের মতো ইস্তাম্বুলের সিটি হলের কাছে জনতা জড়ো হয়েছিলেন এবং তুর্কি পতাকা ওড়াতে এবং দাঙ্গা পুলিশের সারির সামনে স্লোগান দিতে দেখা গেছে তাদের। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস এবং রাবার বুলেট ছোঁড়া হয়। বিক্ষোভ ঠেকাতে বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান নিক্ষেপসহ পিপার-স্প্রে ব্যবহার করতে দেখা গেছে পুলিশকে। ইতোমধ্যে বহুসংখ্যক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রোববার সিটি হলের বাইরে বিশাল জনতার উদ্দেশে ভাষণ দেন ইমামোগলুর স্ত্রী ডিলেক কায়া ইমামোগলু। বিক্ষোভকারীদের তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী যে অবিচারের সম্মুখীন হয়েছেন তা প্রতিটি বিবেকের হৃদয়ে দাগ কেটেছে। ’

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর মতে, একরেম ইমামোগলুকে গ্রেপ্তারের প্রতিক্রিয়ায় রোববার রাতে দেশটিতে এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অস্থিরতা দেখা দেয়। ২০১৩ সালের গেজি বিক্ষোভের পর থেকে দেশটিতে দেখা সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ এটি।

ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপির এক পরিসংখ্যান বলছে, তুরস্কের ৮১টি প্রদেশের মধ্যে অন্তত ৫৫টিতে অর্থাৎ দেশের দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি স্থানে বিক্ষোভ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) একরেম ইমামোগলুর গ্রেপ্তারকে ‘অভ্যুত্থান’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। বিক্ষোভকারীরা ইমামোগলুর মুক্তির দাবিতে রাজধানী আঙ্কারা, ইস্তাম্বুল ও অন্যান্য শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ করছে। তাদের অভিযোগ, সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই গ্রেপ্তার করেছে এবং এরদোয়ানের পদত্যাগের দাবি জানান তারা।

জানা গেছে, বিচারের জন্য একরেম ইমামোগলুকে ইতোমধ্যে হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। এএফপি এবং স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, তাকে সিলিভ্রির একটি কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এদিকে হেফাজতে নেওয়ার আগে এক এক্সবার্তায় একরেম ইমামোগলু বলেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলি রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি কখনও মাথা নত করব না। ’

তাকে গ্রেপ্তার ‘গণতন্ত্রের ওপর কালো দাগ’ বলে সমালোচনা করে ইমামোগলু অভিযোগ করেছেন, বিচারিক প্রক্রিয়া যথাযথ অনুসরণ করা হচ্ছে না।

সারা দেশের জনগণকে বিক্ষোভে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে বিক্ষোভের নিন্দা করেছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এবং সিএইচপিকে ‘শান্তি বিঘ্নিত করার এবং জনগণকে মেরুকরণের’ চেষ্টা করার অভিযোগ করেছেন তিনি।

নারায়ণগঞ্জে ডিসি কার্যালয়ের সভায় ‘জয় বাংলা স্লোগান’ নিয়ে উত্তেজনা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ২:২৯ অপরাহ্ণ
নারায়ণগঞ্জে ডিসি কার্যালয়ের সভায় ‘জয় বাংলা স্লোগান’ নিয়ে উত্তেজনা

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের এক অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসকের সামনে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে বক্তব্য শেষ করেছেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক কমান্ডার ও বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী।

এ ঘটনা নিয়ে সভা শেষে বিভক্তি দেখা দেয় দুই পক্ষের মধ্যে। শুধু তাই নয়, ঘটনাটির নিন্দা জানিয়ে মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করা হয়েছে। মানববন্ধন থেকে বুধবারের স্বাধীনতা দিবসের সভায় মোহাম্মদ আলীকে প্রতিরোধের ঘোষণা দেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু। তিনি মোহাম্মদ আলীকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ও ফ্যাসিস্ট শামীম ওসমান, সেলিম ওসমানের দালাল হিসেবে উল্লেখ করেন।

জানা গেছে, সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ আলী।

সে সময় তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসক একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। কাজেই আমাদের জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো অসম্মান হবে না। এবং কোনো অসুবিধা হবে না। আগামী দিনে আমরা সবাই মিলে থাকবো, আমাদের যেন সমস্যা না হয়। এবার যতটুকু অনুদান দিয়েছে এটাতে আমরা খুশি। আগামীতে যেন বেশি পাই এজন্য জেলা প্রশাসকের কাছে অনুরোধ করছি, এবার ১৪০ জনকে অনুদান দেয়া হয়েছে, আগামীতে যেন ২৪০ জনকে দেয়া হয়।’ শেষাংশে তিনি উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: আলমগীর হুসাইনের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো: মনিরুজ্জামান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আরা বেগম প্রমুখ।

এ সময় ১৪০ জন মুক্তিযোদ্ধার মাঝে ১০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। অনুষ্ঠান শেষে অনুদানের তালিকা নিয়ে তর্কের জেরে মুক্তিযোদ্ধাদের দুইপক্ষের মধ্যে হট্টগোল ও হৈ-চৈ হয়।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, ‘২৬ মার্চে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হবে। সেখানে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধারা আসবেন। কিন্তু এই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা, ফ্যাসিস্ট ডেভিল মোহাম্মদ আলী যদি এখানে আসে তাহলে আমরা নারায়ণগঞ্জের জনগণ তাকে প্রতিরোধ করবো।’

মঙ্গলবার এক প্রস্তুতি সভা শেষে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে একথা বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, ‘ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানকে জিম্মি করে যিনি সবসময় বিতর্কিত কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন, তিনি হলেন মোহাম্মদ আলী। এই মোহাম্মদ আলী নারায়ণগঞ্জের কোনো রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে অংশ নিক আমরা তা চাই না।’

তিনি বলেন, ‘আগামীকাল ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ও ফ্যাসিস্ট, শামীম ওসমান, সেলিম ওসমানের দালাল মোহাম্মদ আলী যদি শিল্পকলা একাডেমিতে আসে তাহলে তাকে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ করবো।’

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সাথে সাক্ষাৎ করে তথাকথিত বিতর্কিত নামধারী মুক্তিযোদ্ধা এবং বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকার ও নারায়ণগঞ্জের গডফাদার শামীম ও সেলিম ওসমানের সকল অপকর্মের পৃষ্ঠপোষক এবং দোসর ডেভিল দাবি করে মোহাম্মদ আলীর তথাকথিত জয় বাংলার স্লোগানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে সরকার ও প্রশাসনের সকল কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখার দাবি জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে দাবি জানান মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো: আবু আল ইউসুফ খান টিপু।

বেলকুচিতে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ২:২০ অপরাহ্ণ
বেলকুচিতে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

সিরাজগঞ্জে বেলকুচিতে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে নানা কর্মসূচি উদযাপন করা হয়েছে।

বুধবার ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৫ উপলক্ষে দিনব্যাপী যথাযথ মর্যাদায় বেলকুচি উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে  নানা কর্মসূচি উদযাপন  করেছে।

সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বিজয় সৌধে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের সূচনা করা হয় এবং সকল সরকারী, আধা-সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারী ভবন ও স্থাপনায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

একই সময় বিজয় সৌধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া সুলতানা কেয়া মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।  এরপর বেলকুচি থানা পুলিশ,  ,উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার,পৌরসভা,উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বেলকুচি প্রেসক্লাব, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ,  বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান,সামাজিক- সাংস্কৃতিক সংগঠন, স্কুল,কলেজ, এনজিও প্রতিনিধি সহ সমাজের নানান শ্রেণী পেশার মানুষেরা মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

সকাল নয়টায় আলহাজ্ব সিদ্দিক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে  উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া সুলতানা কেয়া   আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন, এসময় জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরপর বাংলাদেশ পুলিশ,আনসার বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস বিভিন্ন  শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া সুলতানা কেয়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে  বলেন,২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আমাদের জন্য এক অবিস্মরনীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের মুক্তিকামী জনতা পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াইয়ে মাধ্যমে গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতা সংগ্রামের সূচনা করেন। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন সার্মভৌম রাষ্ট্রের। তিনি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন সকল বীর শহিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সম্ভ্রম হারানো মা-বোনদের যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত মহান স্বাধীনতা। তিনি শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

কুচকাওয়াজের অভিবাদন গ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া সুলতানা কেয়া বেলকুচি থানা অফিসার ইনচার্জ জাকেরিয়া হোসেন,উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। 

মহান এই দিবসটিতে জাতির শান্তি, সমৃদ্ধ, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি কামনা করে সকল মসজিদ, মন্দির,গীর্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়।

দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে কিছু নেই: মির্জা আব্বাস

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ১:৪০ অপরাহ্ণ
দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে কিছু নেই: মির্জা আব্বাস

দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বুধবার (২৬ মার্চ) সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা এই মাত্র কিছু দিন আগে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন করে স্বৈরাচারকে তাড়িয়ে একটা নতুন স্বাদ পেয়েছি। অনেকে বলে দ্বিতীয় স্বাধীনতা। আসলে আজকে স্বাধীনতা দিবস প্রমাণ করে, দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে বাংলাদেশে কিছু নাই। যারা বলে তারা আজকের স্বাধীনতা দিবসকে খাটো করতে চায়, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তাদের কোনো ভূমিকা ছিল না। সুতরাং এই দিনটাকে তারা খাটো করতে চায়।

তিনি বলেন, রাজনীতির মাঠে সবাই সব দলের প্রতিপক্ষ। দলগতভাবে মতভেদের পার্থক্য থাকলেও দেশের প্রয়োজনে সবার ঐক্য একই থাকবে।

মির্জা আব্বাস বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। আমরা সেখানেই বিশ্বাস রাখতে চাই। আর নির্বাচন হবে না এমনটা বিশ্বাস আমরা করি না।

কোনো অনৈক্য রয়েছে কিনা প্রশ্নে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, অনৈক্য কিছু নাই। স্বার্থের সংঘাত আছে, প্রত্যেকটা দলের নিজস্ব আদর্শিক জায়গা আছে, যার যার একটা মতাদর্শ আছে। যার যার মতাদর্শ থেকে কথা বলে। এটা আমি অনৈক্য বলবো না। যদি কেউ অনৈক্য বলে, এটাকে আমি এমন করে বলবো, এমন সময় যদি কখনও আসে জাতীয় বৃহত্তর ঐক্যের প্রয়োজন পড়বে, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যের প্রয়োজন পড়বে, তখন কিন্তু আমরা সবাই এক হয়ে যাবো। এখানে কোনো ভুল নাই। এখন দলীয় আদর্শিক স্বার্থে হয়ত আলাদা কথা বলছি, হতে পারে। কিন্তু যখন প্রয়োজন হবে, তখন বাংলাদেশের জনগণ এক হয়ে যাবে।

মির্জা আব্বাস বলেন, আজ স্মরণ করছি স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে। যিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, অতঃপর দেশে থেকে যুদ্ধ করে উনি দেশকে স্বাধীন করেছেন। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও আমরা প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ মাঝে হারিয়ে ফেলেছিলাম। ৫ আগস্টের পরে আবার নতুন করে পেয়েছি। আমি স্বাধীনতার যুদ্ধের বীর শহীদ যারা নিজেদের প্রাণের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন করে দিয়েছিলেন, রক্তের বিনিময়ে যারা স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, তাদের স্মরণ করছি। তাদের পরিবারের যারা এখনও বেঁচে আছেন তাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আজকের এ দিনে দেশবাসীকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, আমাদের নেতা তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আজ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া চাইব। এবং এই স্বাধীনতাকে যেন ধরে রাখতে পারি, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যাতে এই স্বাধীনতাকে ধরে রাখতে পারে এজন্য আল্লাহর কাছে দোয়া কামনা করবো।

এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায় চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ইরফান ইবনে আমান, ঢাকা জেলা যুবদলের সভাপতি ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।