চলছে ষড়যন্ত্র, মূল মাস্টারমাইন্ড চিহ্নিত
জয় বাংলা ব্রিগেড প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধের পরিকল্পনা !

গেল ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার গণআন্দোলনের মুখে পতন হয় স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের। তারপর থেকেই দলটির সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ অনেকেই ভারতে পলাতক রয়েছে। আর সেই ভারত থেকেই চলছে বাংলাদেশকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র। বিভিন্ন গণমাধ্যমেও উঠে আসছে বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধের মহাষড়যন্ত্র চলছে। সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে এমন এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাদের বিরুদ্ধে গৃহযুদ্ধের পরিকল্পনা ও সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছে। এরই মধ্যে শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ আরও ঘনীভূত হয়েছে কলকাতায় আয়োজিত এক ইফতার পার্টিতে সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পরিকল্পনার তথ্য প্রকাশের পর।
একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কলকাতার রাজারহাটে এক ইফতার পার্টিতে অংশ নেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জাহাঙ্গীর কবির নানক, নাসিম, মেয়র জাহাঙ্গীর, সম্রাটসহ শতাধিক আওয়ামী ঘনিষ্ঠ পলাতক নেতা। উপস্থিত ছিলেন শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও তার স্ত্রী।
পরদিন একই স্থানে ছাত্রলীগের শতাধিক পলাতক নেতার আরেকটি ইফতার অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল স্পষ্টভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যে কোনো মূল্যে উৎখাতের নির্দেশ দেন এবং তথ্যসূত্রের দাবি অনুযায়ী, তিনি নেতাকর্মীদের আশ্বস্ত করেন যে অস্ত্র ও অর্থের অভাব হবে না।
২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর “জয়বাংলা ব্রিগেড” নামে একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের বৈঠকে বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধের পরিকল্পনা এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করা হয় বলে সিআইডির তদন্তে উঠে এসেছে।
সেখানে শেখ হাসিনা পুনরায় ক্ষমতায় ফেরার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উৎখাতের রূপরেখা ও প্রয়োজনে গৃহযুদ্ধের ডাক দেন বলে অভিযোগ। ওই বৈঠকে দেশ-বিদেশের ৫৭৭ জন অংশ নেন।
এর মধ্যে ৭৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে, এবং বাকি ৫০০ জনকে চিহ্নিত করার কাজ চলছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও দুবাইতে পালিয়ে থাকা আওয়ামী ঘনিষ্ঠ নেতারাও একই এজেন্ডা বাস্তবায়নে সক্রিয়। কলকাতা, দিল্লি, আগরতলা ও মেঘালয়ের মাটিও নির্বিঘ্নে ব্যবহার করছেন তারা।
গঠিত হয়েছে বিভিন্ন গ্রুপ। গঠিত হয়েছে কোর গ্রুপ। মধ্য রমজান থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত পাঁচটি বৈঠকের তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে।
যদিও শেখ হাসিনা এখনও সরাসরি কোনো বিবৃতি দেননি, তবে সিআইডির দাবি অনুযায়ী, ষড়যন্ত্রের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে তাকে মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, রাষ্ট্রদ্রোহিতার বিরুদ্ধে “জিরো টলারেন্স” নীতি অনুসরণ করা হবে। দেশের ভেতর ও বাইরে সক্রিয় নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে অভিযুক্তদের।
সূত্র: https://www.facebook.com/watch/?v=625675083619141&rdid=ezVPoexOrUH9TrsP
আপনার মতামত লিখুন