খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫, ২ বৈশাখ, ১৪৩২

ফিলিস্তিনে নির্বিচারে গণহত্যা

ইসারায়েলি পণ্য বয়কটের ডাক, ৭২৯ এক বিশেষ সংখ্যা

মোঃ হাসানুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:৪১ অপরাহ্ণ
ইসারায়েলি পণ্য বয়কটের ডাক, ৭২৯ এক বিশেষ সংখ্যা

ফিলিস্তিনে নৃশংস আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে বর্বর ইসরাইলের সব ধরনের পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে সাধারণ মুসলিম সমাজ। এর ফলে ইসরাইলি পণ্য বয়কটের আন্দোলন এবার গতিশীল হয়েছে। আর পশ্চিমা ব্র্যান্ডের জায়গায় স্থান পেয়েছে স্থানীয় পণ্যগুলো। এ কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছে পশ্চিমা ব্র্যান্ডের কোম্পানিগুলো। এই বয়কট আন্দোলন নতুন নয়। তবে ইসরায়েলের সকল পণ্য সহজেই চিনতে পারার হাতিয়ার বিশেষ এক বারকোড নাম্বার বদলে দিয়েছে আন্দোলনের গতিপথ।

বারকোড হল একটি বর্গাকার বা আয়তক্ষেত্রকার চিত্র যাতে সমান্তরাল কালো রেখা এবং বিভিন্ন প্রস্থের সাদা স্থানের একটি সিরিজ থাকে, যা স্ক্যান করে পাঠ করা যায়। দ্রুত সনাক্তকরণের উপায় হিসেবে পণ্যগুলিতে বারকোড ব্যবহার করা হয়৷ সহজভাবে বললে কোনো পণ্য কেনার পর প্যাকেটের গায়ে আমরা কিছু সাদা-কালো দাগ কাটা আর তার নিচে কিছু সংখ্যা লেখা দেখতে পাই। এই লেবেলকেই বলে বারকোড। প্রতিটি ব্যান্ডের পণ্যের জন্য আলাদা বারকোড নাম্বার ব্যবহৃত হয়।

মূলত বারকোড তথ্য উপস্থাপন করার একটি উপায় বা মাধ্যম। আবার অন্য ভাবে বলতে গেলে বারকোড মূলত পণ্যের প্রস্তুতকারক কোম্পানি, উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ, ওজন, পরিমাণ, মূল্য এবং স্টক সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপনের একটি ডিজিটাল মাধ্যম। অর্থাৎ কোনো পণ্যের গায়ে নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থের সাদা-কালো রংয়ের সংমিশ্রণে পণ্যের বিস্তারিত বিবরণ লিপিবদ্ধ রাখার কৌশল বা উপায়ই হলো বারকোড।

বারকোডের ব্যবহার:

সবশেষ তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রায় ৩০ ধরনের বারকোডিং সিস্টেম প্রচলিত আছে। তবে এর সবগুলোই বিশ্বব্যাপী বহুলভাবে ব্যবহৃত হয় না। ১৯৭৩ সালে যাত্রা শুরু করা GS1 বিশ্বব্যাপী বহুল প্রচলিত বারকোড সিস্টেমগুলোর একটি। অ্যামাজন, গুগল, আলিবাবা, ওয়ালমার্টের মত অনলাইন প্লাটফর্ম ছাড়াও বিশ্বব্যাপী লক্ষ-কোটি বিপনী বিতানে পণ্যের তথ্য সংরক্ষণে GS1 স্ট্যান্ডার্ড ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই বারকোডিং পদ্ধতিতে সাধারণত বারকোডের প্রথম তিনটি সংখ্যা দ্বারা পণ্যটি কোন দেশের কোন কোম্পানির তা জানা যায়। তুলনামূলক বড় প্রতিষ্ঠান অবশ্যই এটি করে থাকে।

বারকোড নির্দেশক:

বারকোড ইস্যুকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা GS1 এর ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, বিশ্বের প্রত্যেক দেশের বিপরীতে তারা ৩ সংখ্যার একটি কোড সরবরাহ করে থাকে। এই তিন সংখ্যা দিয়ে সেই দেশের প্রত্যেক কোম্পানির বারকোড শুরু হয়। উদাহরণস্বরূপ, ভারতের জিএস১ কোড হলো ৮৯০। এর অর্থ হলো, ভারতীয় কোম্পানির উৎপাদিত সকল পণ্যের বারকোড নম্বর ৮৯০ সংখ্যা দ্বারা শুরু হবে।

যে কারণে বারকোড এখন আলোচনায়:

সাম্প্রতিক সময়ে ফিলিস্তিনে বর্বর, দখলদার, নিকৃষ্ট ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসরায়েলের নৃশংস হামলার ঘটনায় বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের জোর দাবি উঠেছে। এই বয়কটের দাবির স্বাপেক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বারকোড দেখে ইসরায়েলি পণ্য শনাক্তের একটি পদ্ধতি প্রচার করা হচ্ছে। যেখানে বলা হচ্ছে, “ইসরাইলী পণ্য চেনার সহজ উপায়। সেক্ষেত্রে বারকোডের শুরুতে যদি ৭২৯ সংখ্যা থাকে, বুঝে নিবেন এটা ইসরাইলী পণ্য” এবং ‘মেড ইন ইসরায়েল’ লেখা দ্বারা ইসরায়েলে উৎপাদিত পণ্য বলা হয়েছে।

এই তালিকার শুরুতে বলা হয়েছে, জিএস১ বারকোডিং সিস্টেমে শুরুর ৩টি ডিজিট পণ্যের কোম্পানির দেশ নির্দেশ করে, তবে পণ্যটি নির্দিষ্ট করে কোন দেশে উৎপাদিত হয়েছে তা নির্দেশ করে না। তাই ৭২৯ সংখ্যা দিয়ে শুরু হওয়া বারকোডের পণ্যটি একটি ইসরায়েলি কোম্পানির পণ্য। তবে এটি ইসরায়েলে বা পৃথিবীর অন্য দেশেও উৎপাদিত হতে পারে।

পরবর্তীতে, জিএস১ এর ওয়েবসাইটে Frequently Asked Questions(FAQ) অংশে “Does the GS1 Prefix (first 2 or 3 digits of the EAN-13 barcode number) show the country of origin?” শিরোনামের একটি ওয়েবপেজ খুঁজে যায়। সেখান বলা হয়, জিএস১ বারকোড পদ্ধতিতে বারকোডের শুরুর তিন সংখ্যা দ্বারা পণ্যটি নির্দিষ্ট করে কোন দেশে উৎপাদিত তা জানা যায় না।

অর্থাৎ, জিএস১ বারকোডিং পদ্ধতিতে ৭২৯ প্রেফিক্স ডিজিট দ্বারা নির্দেশ করা হয় যে, পণ্যটি একটি ইসরায়েলি কোম্পানির পণ্য। তবে ৭২৯ প্রেফিক্স কোডের পণ্যটি ইসরায়েলে যেমন উৎপাদিত হতে পারে, তেমনি ভিন্ন কোনো দেশেও উৎপাদিত হতে পারে। তাই নির্দিষ্ট করে বারকোডের প্রথম তিনটি সংখ্যা দ্বারা এটি জানা যায় না ঐ পণ্য কোথায় উৎপাদন করা হয়েছে। বরং যে কোম্পানি ঐ পণ্য উৎপাদন করছে সেটি কোন দেশের তা বারকোডের প্রথম তিন সংখ্যা দ্বারা চিহ্নিত করা যায়। তবে যদি বারকোডের প্রথম তিন সংখ্যা ৭২৯ এর পাশাপাশি পণ্যে নির্দিষ্ট করে Made in Israel লেখা থাকে তাহলে তখন নির্দিষ্ট করে বলা যাবে ঐ পণ্যটি ইসরায়েলি কোম্পানির এবং ইসরায়েলে উৎপাদিত।

মূলত বারকোড হলো তথ্য উপস্থাপন করার একটি উপায় বা মাধ্যম- যেখানে পণ্যের প্রস্তুতকারক কোম্পানি, উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ, ওজন, পরিমাণ, মূল্য এবং স্টক সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য নির্দেশিত থাকে। বর্তমানে বিশ্বে GS1 নামক একটি বারকোড ইস্যুকারী সংস্থার স্ট্যান্ডার্ড ব্যবহার করা হচ্ছে। GS1 প্রতিটি দেশের জন্য তিন সংখ্যার একটি কোড সরবরাহ করে থাকে। এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট পণ্যটি কোন দেশের কোম্পানির তা নির্দেশ করে। তবে পণ্যটির উৎপাদন ঐ দেশেও হতে পারে অথবা অন্য কোনো দেশেও হতে পারে।

তথ্য উপাত্ত, প্রমাণ, যুক্তি যেটাই বলি- প্রধান ইস্যু ইসরায়েলের সকল পণ্য বয়কটের আন্দোলনকে শক্তিশালী করা। তাই মুসলিমদের অভিমত, ইসরায়েলের সকল পণ্য বয়কট করে বিকল্প পণ্য বাজারে নিয়ে আসা। তাই অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও চলছে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের তুমুল আন্দোলন।

অনুসন্ধানী সূত্র: রিউমর স্ক্যানার।

মাকে অপমান করায় ম্যানচেস্টারের বাড়ি বিক্রি করে দিচ্ছেন ফোডেন

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:১৮ অপরাহ্ণ
মাকে অপমান করায় ম্যানচেস্টারের বাড়ি বিক্রি করে দিচ্ছেন ফোডেন

গেল ৬ এপ্রিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মুখোমুখি হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। এই ম্যানচেস্টার ডার্বিতে মাঠে খুব বেশি উত্তেজনা ছিল না, গোলশূন্য ড্র-তে ম্যাচ শেষ হয়েছিল।

উত্তেজনা না থাকলেও ওল্ড ট্রাফোর্ডের ওই ম্যাচ নিয়ে আলোচনা হয় ভিন্ন কারণে। ম্যাচ শেষে ম্যানসিটি তারকা ফিল ফোডেনের মা ক্লেয়ার রোল্যান্ডসকে স্লোগানের মাধ্যমে অপমান করেন ম্যানইউ সমর্থকরা। এ ঘটনার জেরে রাগে-ক্ষোভে ম্যানচেস্টারের বাড়িটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ফোডেন।

ইংলিশ মিডফিল্ডারকে লক্ষ্য করে গ্যালারির একাংশের দর্শকরা তার মাকে ‘স্ল্যাগ’ বলে অপমান করেন। এরপর ম্যাচের ৫৮ মিনিটে বদলি হয়ে মাঠ ছাড়েন ফোডেন।

ফোডেন এই বাড়িটি চার বছর আগে কিনেছিলেন এবং সেসময় থেকে মা ক্লেয়ার ও বাবা ফিল সিনিয়রের সঙ্গে এখানে থাকতেন। পরে ২৪ বছর বয়সী ফোডেন এই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান এবং কাছাকাছি একটি বাড়িতে তার বাগদত্তা রেবেকা কুক ও তিন সন্তানের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন।

চেশায়ারের প্রেস্টবুরির অভিজাত এলাকায় অবস্থিত বাড়িটি ৩ মিলিয়নের বেশি মূল্যে বিক্রির জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছে। প্রাসাদসদৃশ বাড়িটিতে রয়েছে বিলাসবহুল সুবিধা— সুইমিং পুল, সিনেমা রুম, জিম, ওয়াইন সেলার এবং গল্ফ সিমুলেটর।

এই বাড়িতে থাকা অবস্থায় ফোডেনের মায়ের বিরুদ্ধে আগে একবার অভিযোগ করেছিলেন প্রতিবেশীরা। সে সময় বাড়ির পিছনের বাগানে একটি প্রচণ্ড শব্দ করে পার্টি আয়োজন করেন তিনি।

আচমকা শুরু হওয়া আতশবাজির শব্দে বাচ্চা ও পোষা প্রাণীরা ভয় পেয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, ফোডেনের মা কোনো পূর্বে সতর্কতা না দিয়েই এই আয়োজন করেন।

পরবর্তীতে প্রতিবেশীরা একটি খোলা চিঠিতে ফোডেন পরিবারের এমন আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সব মিলিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগের কারণে বাড়িটিতে দিন ভালো যাচ্ছিলো না ফোডেনের পরিবারের।

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে প্যারিসে বিক্ষোভ সমাবেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:১৫ অপরাহ্ণ
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে প্যারিসে বিক্ষোভ সমাবেশ

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন, নিপীড়ন ও গণহত্যার প্রতিবাদে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ‘সলিডারিতে আজি ফ্রান্স’ (সাফ)। গতকাল রবিবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ঐতিহাসিক প্লেস দে লা রিপাবলিক চত্বরে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশ নেন।

সমাবেশে গাজায় চলমান হত্যাযজ্ঞ ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান, পোস্টার, প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার প্রদর্শনের মাধ্যমে সংহতি জানান অংশগ্রহণকারীরা। তারা দ্রুত যুদ্ধ বন্ধ এবং ফিলিস্তিনিদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান।

সাফ প্রেসিডেন্ট নয়ন এনকে’র পরিচালনায় আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বাংলাদেশের নাগরিকদের পাশাপাশি ফরাসিসহ বিভিন্ন দেশের মানবতাবাদী ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, ‘গাজায় অব্যাহত গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। ফিলিস্তিনিদের তাদের আবাসভূমি ফিরিয়ে দিতে হবে। ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণে বিশ্ব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে।’

তারা আরও বলেন, ‘আমেরিকাসহ বিশ্বে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির মদদেই ইসরায়েল বারবার এই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। এই নৃশংসতা বন্ধে মুসলিম দেশসহ সব মানবিক রাষ্ট্রকে দৃঢ় অবস্থান নিতে হবে এবং ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।’

সাফ প্রেসিডেন্ট নয়ন এনকে বলেন, ‘গাজায় যে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চলছে, তা দেখে একজন মানুষ হিসেবে ঘরে বসে থাকা যায় না। আমরা চাই বিশ্ব বিবেক জাগ্রত হোক, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবাই রুখে দাঁড়াক। প্যারিসের হৃদয়ে গাজার জন্য আয়োজিত এই বিক্ষোভ ছিল মানবতার পক্ষে এক সাহসী উচ্চারণ। ফিলিস্তিনে চলমান হত্যাযজ্ঞ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক জনমত গড়ে তোলার প্রয়াস হিসেবেই এই সমাবেশকে দেখা যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই কর্মসূচি প্রমাণ করে—জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আজ বিশ্ববাসী একত্রিত হচ্ছে। গাজার শান্তি ও ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক মহলের কার্যকর ভূমিকা এখন সময়ের দাবি।’

ঢাকাসহ ১৪ অঞ্চলে ঘণ্টায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:১১ অপরাহ্ণ
ঢাকাসহ ১৪ অঞ্চলে ঘণ্টায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

রাতের মধ্যে ঢাকাসহ ১৪ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসব অঞ্চলের উপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, ফেনী, কক্সবাজার, বান্দরবান ও পটুয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তা কিছু কিছু জায়গা থেকে তাপপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে।