খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫, ৩ আষাঢ়, ১৪৩২

দীপ্ত টিভির সংবাদ সম্প্রচার বন্ধ, চাকরি হারালেন ৩ সাংবাদিক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:০৪ অপরাহ্ণ
দীপ্ত টিভির সংবাদ সম্প্রচার বন্ধ, চাকরি হারালেন ৩ সাংবাদিক

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে প্রশ্ন করা এবং তার সঙ্গে সাংবাদিকদের বাহাস ঘিরে বেসরকারি টেলিভিশন দীপ্ত টিভির বুলেটিন বন্ধ এবং তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) সচিবালয়ের ওই ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার নিজেদের স্ক্রলে সংবাদ সম্প্রচার বন্ধের খবর দেয় দীপ্ত টিভি। দুপুর ২টার পর থেকে পাঁচটি বুলেটিন প্রচার করেনি স্টেশনটি। রাত ১১টায় আবার সংবাদে ফেরে তারা।

একইসঙ্গে টেলিভিশনটির সিনিয়র ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট মিজানুর রহমানকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিশেষ প্রতিনিধি ফজলে রাব্বীকে বরখাস্ত করার কারণ হিসেবে সংস্কৃতি উপদেষ্টার ব্রিফিং নিয়ে করা অভিযোগের কথা এটিএন বাংলা কর্তৃপক্ষ বললেও বরখাস্তের চিঠিতে অতীতে ‘অফিস শৃঙ্খলা পরিপন্থি’ কাজের উদাহরণ টানা হয়েছে।

চ্যানেল আই অনলাইনের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে সংস্কৃতি উপদেষ্টার সংবাদ সম্মেলনে ‘পেশাদারিত্ব প্রদর্শন না করার অভিযোগের’ তদন্ত এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক অর্থাৎ জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রফিকুল বাসারকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম বন্ধ করতে বলেনি সরকার। ‘গণহত্যার পক্ষে’ প্রশ্ন করায় টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ নিজেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রাত ১১টার পর দীপ্ত টিভির কয়েকজন সংবাদকর্মী গণমাধ্যমকে বলেন, সংবাদ সেবা কার্যক্রম বন্ধের পর সন্ধ্যায় বার্তাকক্ষের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেছে স্টেশনটির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। ওই বৈঠকে পুনরায় খবর সম্প্রচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

টেলিভিশনটির সংবাদকর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের বিষয় নিয়েও সেখানে সবিস্তারে আলোচনা হওয়ার হওয়ার কথা তুলে ধরেন তারা।

এ বৈঠকের পরে রাত ১১টায় আবারও বুলেটিন সম্প্রচার শুরু হয়।

কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৮তম আসরে ‘আলী’ নামে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের যাওয়া উপলক্ষে সোমবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা ফারুকী।

সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এবং ওই চলচ্চিত্রের কলাকুশলীদের বক্তব্যের পর প্রশ্নোত্তর পর্বে নানা বিষয়ে জানতে চান সাংবাদিকরা।

সেখানে সাংবাদিকদের থেকে প্রশ্ন আসে মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করে আয়োজিত বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার ইউনেস্কো স্বীকৃতি, শোভাযাত্রায় শেখ হাসিনার মুখাকৃতির আদলে মুখোশ এবং জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের নিহতের সংখ্যা নিয়ে।

পাল্টাপাল্টি কথায় প্রশ্নোত্তরের এই পর্ব অনেকটা বাহাসে পরিণত হয়।

শুরুতে বসে উত্তর দিলেও একপর্যায়ে দাঁড়িয়েও কথা বলেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা।
বিষয়টি চাউর হলে ওই সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্ন ঘিরে ওই তিন টেলিভিশন সাংবাদিকের ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তাদের ছবিসহ পোস্ট করা হয় ‘জুলাই রেভ্যুলেশনারি অ্যালায়েন্স-জেআরএ’ নামে একটি ফেসবুক পেজে।

তিন সাংবাদিকের পরিচয় দিয়ে করা ওই পোস্টে বলা হয়, ‘আজকের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর প্রেস কনফারেন্সে যারা ফ্যাসিস্ট-এর পক্ষে কথা বলেছে…’

মঙ্গলবার দুপুরে ওই পেজ থেকে আরেকটি পোস্ট করে বলা হয়, ‘এই তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে ‘মার্চ টু দীপ্ত টিভি, চ্যানেল আই, এটিএন বাংলা‘।’

এর মধ্যে দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম বন্ধ এবং তিন সাংবাদিকে বরখাস্ত বা অব্যাহতি দেওয়ার খবর আসে। জেআরএ এর ফেসবুক পেজেও বরখাস্ত বা অব্যাহতির চিঠি প্রকাশ করা হয়।

পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে এক মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, এক সাংবাদিক গণহত্যার পক্ষ নিয়ে প্রশ্ন করার প্রেক্ষিতে দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম তারা নিজেরাই বন্ধ করে দিয়েছে, সরকার এখানে কিছু বলেনি, কাউকে কলও দেওয়া হয়নি।

সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘ফ্যাসিবাদের ১৫ বছরে গণমাধ্যমের বাস্তবতা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ‘মন্ত্রিত্বের ৬ মাসে কাউকে আমরা কল দেইনি। দীপ্ত টিভির সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে এবং সংবাদ বিভাগ বন্ধ করা হয়েছে। এখন মানুষ ভাববে- এটা সরকার করেছে।’

সংবাদ সম্প্রচার বন্ধের কারণ জানতে চাইলে দীপ্ত টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক এসএম আকাশ বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ কারণে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ আপাতত নিউজ অপারেশন বন্ধ রেখেছে।’

সিনিয়র ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট মিজানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ সংস্কৃতি উপদেষ্টাকে প্রশ্নের কারণে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘চিঠিতে ওই রকম কিছু বলা হয়নি।’

ফজলে রাব্বীকে বরখাস্তের চিঠিতে তার বিরুদ্ধে অতীতে অফিস শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপের কথা বলেছে এটিএন বাংলা কর্তৃপক্ষ।

তবে টেলিভিশন স্টেশনটির প্রধান নির্বাহী সম্পাদক মনিউর রহমান বলেন, সংস্কৃতি উপদেষ্টার সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করাকে ঘিরে জুলাই রেভ্যুলেশনারি অ্যালায়েন্স নামে একটি ফেসবুক পেজে অভিযোগ করা হয়।

‘ব্যবস্থা না নিলে আগামীকাল অফিসের দিকে মার্চ কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সুনাম এবং সার্বিক দিক বিবেচনা করে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি।’

বিশেষ প্রতিনিধি ফজলে রাব্বীকে পাঠানো বরখাস্তের চিঠিতে বলা হয়, ‘অফিস শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপের জন্য গত ০৫/০৬/২০১৬ ইং ও ০৭/১১/২০২২ ইং তারিখে সতর্কীকরণ এবং পরবর্তীতে গত ১৯/১০/২০২৩ ইং ও ২৯/০৮/২০২৪ ইং তারিখে পরপর দুইবার আপনাকে চাকরি থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।

‘আপনার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মানবিক কারণে বিশেষ বিবেচনায় চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়। এর পরেও আপনি রিপোটিংয়ের ক্ষেত্রে যথাযথ পেশাগত দায়িত্ব পালন না করায় আপনাকে ২৯/০৪/২০২৫ইং তারিখ থেকে চাকরি হতে বরখাস্ত করা হলো।’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রফিকুল বাসারকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে চ্যানেল আইয়ের অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর আরেফিন ফয়সাল বলেন, ‘একটা অভিযোগ উঠেছে, সেটা আমরা তদন্ত করব। আর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এটা একটা অফিসিয়াল প্রসেস।’

চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস

শাহরুখের স্ত্রী গৌরীর রেস্তোরাঁয় ‘গোপন দরজা’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫, ১:৪২ অপরাহ্ণ
শাহরুখের স্ত্রী গৌরীর রেস্তোরাঁয় ‘গোপন দরজা’

মুম্বাইয়ের জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ গুলোর মধ্যে একটি হলো ‘তোরি’। রেস্তোরাঁটির মালিক বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের স্ত্রী গৌরী খানের। এই রেস্তোরাঁয় রয়েছে একটি গোপন দরজা। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এই তথ্য ফাঁস করেছেন রেস্তোরাঁর প্রধান শেফ স্টেফান গ্যাডিট।

এই গোপন দরজা শুধু খান পরিবার ও নির্দিষ্ট কিছু তারকাদের ব্যবহারের জন্য বরাদ্দ। হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

স্টেফান গ্যাডিট বলেন, এই গোপন দরজা দিয়ে শুধু খান পরিবারের সদস্যরাই যাওয়া-আসা করেন। খান পরিবারের বাইরে খুব কম মানুষই এই পথের অনুমতি পান। মূলত শাহরুখ পরিবারের সঙ্গে যাদের খুব ভালো সম্পর্ক তারাই সেই ‘সিক্রেট ডোর’ ব্যবহার করতে পারেন।

তিনি বলেন, গৌরী খানের স্বামী শাহরুখ, তাদের ছেলে আরিয়ান, মেয়ে সুহানা এবং ছোট ছেলে আব্রাম সবারই এই রেস্তোরাঁয় রয়েছে পছন্দের খাবার। আব্রাম প্রায়ই এখান থেকে খাবার অর্ডার করে, সুহানা ও আরিয়ান বন্ধুবান্ধব নিয়ে রেস্তোরাঁয় আড্ডা দেন।

শাহরুখের পরিবারে পছন্দের খাবার নিয়ে এই শেফ বলেন, শাহরুখ খান সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন এখানকার ল্যাম্ব চপস, গৌরীর প্রিয় খাবার থাই কারি, আর আব্রামের পছন্দ সুশি। সম্প্রতি এই রেস্তোরাঁতেই শাহরুখ খানের ম্যানেজার পূজা দাদলানির জন্মদিন উদযাপন করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ভ্যালেন্টাইন’স ডে-তে তোরি রেস্তোরাঁটি চালু হয়। রেস্তোরাঁটির উদ্বোধনী আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বলিউডের তারকা স্ত্রীদের নিয়ে তৈরি জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘ফ্যাবুলাস লাইভস অব বলিউড ওয়াইভস’-এর তারকারা—সুসান খান, মহীপ কাপুর, ভবানা পান্ডে, নীলম কোঠারি ও সীমা সাজদেহ।

‘একীভূত হচ্ছে ৫ ব্যাংক, চাকরি হারাবে না কেউ’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫, ১:৩৬ অপরাহ্ণ
‘একীভূত হচ্ছে ৫ ব্যাংক, চাকরি হারাবে না কেউ’

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, বেসরকারি খাতের পাঁচটি ইসলামী ব্যাংককে খুব শিগগিরই একীভূত করা হচ্ছে। তবে এর ফলে কোনো কর্মীকে চাকরি হারাতে হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি। আজ রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ নিশ্চয়তা দেন তিনি।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত হবে। আগামী নির্বাচনের সঙ্গে এ মার্জারের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আশা করি, আগামী সরকারও এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেবে।

ব্যাংকের কর্মীদের আশ্বস্ত করে তিনি আরও বলেন, এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। প্রয়োজনে কিছু শাখার কাঠামোতে পরিবর্তন আনা হতে পারে। বিশেষ করে যেসব ব্যাংকের শাখা শহরাঞ্চলে বেশি রয়েছে, সেগুলোর কিছু শাখা গ্রামীণ এলাকায় সরিয়ে নেয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।

পাচার হওয়া সম্পদ উদ্ধারের বিষয়ে গভর্নর বলেন, এই প্রক্রিয়াটি দীর্ঘমেয়াদি এবং ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে হয়। আদালতের চূড়ান্ত রায় ছাড়া এসব অর্থ পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়। এ জন্য সুনির্দিষ্ট তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে আমাদের।

এর আগে, আহসান এইচ মনসুর বলেছিলেন, ছয়টি ব্যাংককে জুলাইয়ের মধ্যে সরকারের মালিকানায় এনে প্রয়োজনীয় মূলধন সরবরাহ করা হবে। তবে এসব হবে সাময়িক সময়ের জন্য। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব ব্যাংককে তারল্য সহায়তা দিয়ে রেখেছে। নানা অনিয়ম ও ঋণ জালিয়াতির কারণে দুর্বল হওয়ায় ছয়টি ব্যাংককে আগামী জুলাইয়ের মধ্যে একীভূত করা হবে।

তিনি আরও বলেন, তবে সরকারের হাতে ব্যাংকগুলো টেম্পোরারি (সাময়িক) থাকবে। তারপর আমরা এসব ব্যাংকের শেয়ারগুলোকে পাবলিকের কাছে হস্তান্তর করব। আমরা ইন্টারন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক ইনভেস্টরদের কাছে হস্তান্তর করব। তবে এমনটা করা হবে ব্যাংক রি অর্গানাইজেশন হওয়ার পরে।

ব্যাংক গুলোর ক্যাপিটাল অ্যাডোকেসি রেশিও চার বছরের মধ্যে ১২.৫ থেকে ১৫ শতাংশে উন্নীত করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন গভর্নর।

ছয় ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে—ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক। এর মধ্যে পাঁচটি ব্যাংকই এস আলমের নিয়ন্ত্রণে ছিল। বাকি ব্যাংকটি নজরুল ইসলাম মজুমদারের নিয়ন্ত্রণে ছিল।

২৫০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫, ১:৩৩ অপরাহ্ণ
২৫০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক

বাংলাদেশের সরকারি খাতের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালনা পর্ষদ ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থায়ন অনুমোদন করেছে। শনিবার (১৪ জুন) এ অর্থায়নের অনুমোদন দেওয়া হয়।

‘স্ট্রেংদেনিং ইনস্টিটিউশনস ফর ট্রান্সপারেন্সি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিবিলিটি (এসআইটিএ)’ নামে এ প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কিছু সরকারি খাত আধুনিকায়নের মাধ্যমে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি, রাজস্ব আহরণ, সরকারি বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা, ক্রয় প্রক্রিয়া এবং আর্থিক তদারকির সংস্কারে সহায়তা করা হবে।

প্রকল্পটি পাঁচটি মূল সরকারি প্রতিষ্ঠানের শাসন কাঠামো ও দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করবে। এই সংস্থাগুলো হলো—বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), পরিকল্পনা বিভাগ, বাংলাদেশ সরকারি ক্রয় কর্তৃপক্ষ (সিপিপি) এবং মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় (সিএজি)।

বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, ‘ব্যবসায়িক প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার এই প্রকল্পের মূল শক্তি, যা স্বচ্ছতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দুর্নীতি হ্রাসেও সহায়ক হবে। এই উদ্যোগ বাংলাদেশকে একটি আধুনিক, দক্ষ ও জবাবদিহিমূলক সরকারি ব্যবস্থা গঠনে সাহায্য করবে।’

তিনি আরও জানান, ‘এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি সেবার গুণগত মান ও জনগণের প্রবেশগম্যতা বাড়বে, ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আস্থা আরও দৃঢ় হবে।’

বিশ্বব্যাংক জানায়, এই প্রকল্পের পাশাপাশি আরও একটি উন্নয়ন নীতিগত ঋণ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে, যা জুন মাসের শেষদিকে পর্ষদের সামনে উপস্থাপন করা হবে। সেই ঋণ রাজস্ব আহরণ, ব্যাংক খাতের সংস্কার, তথ্য ব্যবস্থাপনা, সরকারি বিনিয়োগ, সামাজিক সেবা এবং নিরীক্ষা ও জবাবদিহিতা ব্যবস্থার উন্নয়নে সহায়ক হবে।

বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ও প্রকল্পটির টিম লিডার সুলেমানে কুলিবালি বলেন, ‘পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার সমন্বিত অংশগ্রহণের ফলে সরকারের কার্যকারিতা বহুগুণে বাড়বে, যা একটি টেকসই অর্থনীতির জন্য অপরিহার্য।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘এসআইটিএ প্রকল্প এবং প্রস্তাবিত উন্নয়ন ঋণ পরস্পরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে এবং বাংলাদেশ সরকারের আধুনিক আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও কার্যকর সেবাপ্রদান নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।’

উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংক অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করে আসছে। এখন পর্যন্ত সংস্থাটি বাংলাদেশকে ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি অনুদান, সুদমুক্ত ও স্বল্পসুদে ঋণ প্রদান করেছে।