খুঁজুন
সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ৯ আষাঢ়, ১৪৩২

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত শতাধিক ফিলিস্তিনি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮:২৪ অপরাহ্ণ
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত শতাধিক ফিলিস্তিনি

বর্বর দখলদার ইসরায়েলের হামলায় শতাধিক নিরীহ ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে। এছাড়া গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৯৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় কমপক্ষে আরও ১১৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১ হাজার ৩৯১ জনে পৌঁছেছে বলে শনিবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত ৯৫ হাজার ৭৬০ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন।

মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ৭২ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত আগ্রাসনে ১১৯ জন নিহত এবং আরও ২০৯ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

এবার মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ৬:৪৭ অপরাহ্ণ
এবার মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা

ইরান-ইসরাইলের চলমান সংঘাতের মধ্যে এবার সিরিয়ায় একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে মর্টার হামলা হয়েছে। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে হাসাকাহ প্রদেশের কাসরুক এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। সোমবার ইরানের সংবাদমাধ্যম মেহের নিউজ এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কাসরুক অঞ্চলে মার্কিন ঘাঁটিতে হঠাৎ করে মর্টার হামলা চালানো হয়। তবে এ হামলা কে করেছে, হামলার ধরন বা এতে কী পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

ঘটনার পরপরই মার্কিন সেনারা পুরো ঘাঁটির চারপাশ ঘিরে ফেলে এবং ওই এলাকায় নজরদারি বাড়িয়ে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এলাকাজুড়ে সামরিক ড্রোন ও হেলিকপ্টারের টহল লক্ষ্য করা গেছে।

প্রথমবারের মতো ৪র্থ প্রজন্মের খাইবার মিসাইল ব্যবহার করলো ইরান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ
প্রথমবারের মতো ৪র্থ প্রজন্মের খাইবার মিসাইল ব্যবহার করলো ইরান

ইসরায়েলে হামলায় ৪র্থ প্রজন্মের খাইবার শেকান মিসাইল ব্যবহার করেছে ইরান। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এসেছে এমন তথ্য। চিহ্নিত লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাতে সক্ষম অত্যাধুনিক এ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল। ইসরায়েলের শক্তিশালী আয়রন ডোম, ডেভিড’স স্লিং এর মতো আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকেও ফাঁকি দিতে পারে খাইবার।

ইসরায়েল ভূখণ্ড লক্ষ্য করে প্রথমবারের মতো ছুটছে ৪র্থ প্রজন্মের অত্যাধুনিক “খাইবার শেকান” ব্যালিস্টিক মিসাইল। আইআরজিসি’র ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটির পোশাকি নাম ‘খোররামশার-ফোর’।

মদিনার ঐতিহাসিক খাইবার মরু অঞ্চলের নামানুসারে রাখা এ মিসাইলটি উন্মোচিত হয় ২০২২ সালে। অন্তত ২ হাজার কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিতে সক্ষম মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি। আনুমানিক দেড় হাজার কেজি বিস্ফোরক বহন করতে পারে এটি। ইরানের সবচেয়ে ভারি ওয়ারহেডগুলোর মধ্যেও অন্যতম এই খাইবার শেকান।

তেহরানের দাবি- কৌশলগতভাবে যেকোনো লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম খাইবার মিসাইল। সুনিপুণভাবে ফাঁকি দিতে পারে ইসরায়েলের আয়রন ডোম, ডেভিড’স স্লিং এর মতো ইসরায়েলের শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে।

উড়ন্ত অবস্থাতেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় শক্তিশালী এ ক্ষেপণাস্ত্রটিকে। ইরানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা যায় শব্দের গতির চেয়ে আনুমানিক ১৫ গুণ বেশি গতিতে আঘাত হানতে পারে হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল, খাইবার।

প্রায় চার দশক ধরে পশ্চিমা বিশ্বের প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞায় আছে ইরান। এই সময়ের মধ্যে দেশটি কীভাবে হাইপারসনিকের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করল তা নিয়েই চলছে চুলচেরা গবেষণা।

বিনোদন পাড়ায় নতুন বিতর্ক

মৌসুমী, নুসরাত ফারিয়া, সাবিলা নূরসহ ২৫ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ
মৌসুমী, নুসরাত ফারিয়া, সাবিলা নূরসহ ২৫ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আয়কর বকেয়া থাকার অভিযোগে ২৫ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ১৫ জুন সহকারী কর কমিশনার কাজী রেহমান সাজিদ মন স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বেশ কয়েকজন শোবিজ তারকার নামও রয়েছে।

সময়মতো কর পরিশোধ না করার এই তালিকায় আছে চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া, সাবিলা নূর, রেজাউল করিম (বাপ্পারাজ), শবনম পারভীন, পারভীন জাহান মৌসুমী, আহমেদ শরীফ ও নৃত্যশিক্ষা প্রতিষ্ঠান নৃত্যাঞ্চলের নাম।

এনবিআরের প্রজ্ঞাপনে এই তারকাদের বকেয়া করের পরিমাণও জানানো হয়েছে। সবচেয়ে বেশি কর বকেয়া আছে চিত্রনায়ক বাপ্পারাজের। তার বকেয়া করের পরিমাণ ১ কোটি ১০ লাখ ৮৭ হাজার ২৪১ টাকা। নুসরাত ফারিয়ার বকেয়া কর ৫ লাখ ৩৩ হাজার ১০১ টাকা এবং সাবিলা নূরের বকেয়া করের পরিমাণ ৫ লাখ ৬৮ হাজার ১৪২ টাকা।

এ ছাড়া শবনম পারভীনের ৬ লাখ ৭৯ হাজার ১৯০ টাকা, চিত্রনায়িকা মৌসুমীর বকেয়া রয়েছে ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৬২৫ টাকা। আহমেদ শরীফের বকেয়া কর ৪ লাখ ১৬ হাজার ৯৫৮ টাকা এবং নৃত্যাঞ্চলের বকেয়া রয়েছে ৭ লাখ ১৩ হাজার ৩৪২ টাকা।

এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বকেয়া কর পরিশোধের জন্য এই শিল্পীদের কাছে এরই মধ্যে চিঠি পাঠানো হয়েছে। অনেকে সময় নিয়েছেন। কর পরিশোধের পরই তাদের ব্যাংক হিসাব সচল হবে।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন অভিনেত্রী মৌসুমী ও আহমেদ শরীফ। অন্যরা দেশে থাকলেও এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বেশ কয়েকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সাড়া দেননি নুসরাত ফারিয়া।

সাবিলা নূরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। অন্যদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক তারকা সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন, ব্যাংক হিসাব জব্দের কোনো খবর তারা পাননি। এখনো সচল আছে তাদের ব্যাংক হিসাব।