খুঁজুন
মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ২৫ চৈত্র, ১৪৩১

‘খাদ্য নিরাপত্তায় প্রাণীর অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে’

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:৫৬ পূর্বাহ্ণ
‘খাদ্য নিরাপত্তায় প্রাণীর অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে’

মানুষের নিরাপদ খাদ্য পেতে প্রাণীর অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। আজ সোমবার প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এলআরআই) কনফারেন্স হলে ‘প্রাণিসম্পদের ভ্যাকসিন উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, মানুষের খাদ্য প্রাণীর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই মানুষের নিরাপদ খাদ্য পেতে প্রাণীর অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

ফরিদা আখতার আরও বলেন, বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা, সুষম পুষ্টি, বেকার সমস্যার সমাধান ও আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নারীর ক্ষমতায়ন, কৃষি জমির উর্বরতা বৃদ্ধি, মেধাসম্পন্ন জাতি গঠন ও বৈদেশিক আমদানি নির্ভরতা হ্রাসে জিডিপিতে প্রাণিসম্পদের অবদান অপরিসীম। প্রাণিজ খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ ও বণ্টন-প্রক্রিয়া অন্যান্য খাতের চেয়ে ভিন্ন ও জটিল। এ প্রক্রিয়া সমন্বিতভাবে গড়ে তুলতে না পারলে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যাবে। নতুন নতুন রোগের উদ্ভব হবে। এর ফলে শিল্পটি হুমকির মুখে পড়বে।

সমন্বিত ব্যবস্থাপনা করা না হলে মারাত্মক রোগ ও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই প্রাণিসম্পদের উন্নয়নের জন্য এ খাতের সঙ্গে জড়িত সব পক্ষকে একত্রে সমন্বিত হয়ে কাজ করতে হবে।

ভ্যাকসিন তৈরিতে দেশের প্রতিভাবান বিজ্ঞানীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ভ্যাকসিন প্রান্তিক খামারিদের জীবন-জীবিকার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। রোগগুলো যেন গবাদিপশুকে আক্রমণ করতে না পারে, সে লক্ষ্যে ভ্যাকসিন বা টিকাদানের ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা আরও বলেন, আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা ভ্যাকসিন তৈরিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে একদিকে যেমন বিদেশ নির্ভরতা কমবে, অন্যদিকে দেশের মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। বিজ্ঞানীদের গবেষণালব্ধ জ্ঞান দিয়ে প্রাণিসম্পদ খাত আরও বিকশিত ও সমৃদ্ধ হবে।

এলআরআইকে দক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়তে রিসার্স পুল গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করে উপদেষ্টা বলেন, যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী রাতদিন পরিশ্রম করেন, তাদের ইনসেন্টিভ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমরা এলআরআই-এর ভ্যাকসিন উৎপাদন কমপক্ষে তিনগুণ বাড়াতে চাই।

দেশে পশুজাত খাবারের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য আঞ্চলিক ল্যাব স্থাপনের গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, আমরা প্রান্তিক মানুষের নিকট সেবা পৌঁছানোর জন নিরাপদ চেইন সিস্টেম বানাতে চাই।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সভাপতিত্বে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ড. মো. মোস্তফা কামাল। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল-সহ প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, গবেষক এবং বিজ্ঞানীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশকে তার মানচিত্র নতুনভাবে আঁকতে হতে পারে: রিজওয়ানা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:১০ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশকে তার মানচিত্র নতুনভাবে আঁকতে হতে পারে: রিজওয়ানা

জলবায়ু পরিবর্তন এখন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা, ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য এক গভীর হুমকি। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, উপকূল ধ্বংস এবং জলবায়ুজনিত বাস্তুচ্যুতির ফলে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে বাংলাদেশকে তার মানচিত্র নতুনভাবে আঁকতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

সোমবার (০৭ এপ্রিল) ঢাকার ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজে ‘জাতীয় নিরাপত্তার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব’ শীর্ষক এক সেশনে বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন মানে শুধু মিঠা পানি লবণাক্ত হয়ে যাওয়া নয—এটা মানে আমাদের ভূখণ্ড হারানো, জনগোষ্ঠী নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া এবং সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়া।’

তিনি বলেন, শতকের মাঝামাঝি এক মিটার সমুদ্রপৃষ্ঠ উচ্চতা বৃদ্ধি হলে ২১টি উপকূলীয় জেলা ডুবে যেতে পারে। এতে কোটি মানুষ গৃহহীন হবে। কৃষি ও মাছ চাষে ব্যবহৃত নদীগুলোর লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়বে।

রিজওয়ানা বলেন, ২১০০ সালের মধ্যে ৫২টি ছোট দ্বীপ রাষ্ট্র, যেমন মালদ্বীপ সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশের অবস্থা আরো সংকটাপন্ন। দেশের ৬৫ শতাংশ মানুষ প্রোটিনের জন্য মিঠা পানির মাছের ওপর নির্ভরশীল। লবণাক্ততা এই জীবনরেখা ধ্বংস করে দিতে পারে।

উপদেষ্টা সতর্ক করে বলেন, বাংলাদেশ প্রতিবছর বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও খরার কারণে জিডিপির ১ শতাংশ ক্ষতি হারাচ্ছে। ২০৫০ সালের মধ্যে এ হার দ্বিগুণ হতে পারে। ফসলহানি, পানির সংকট ও গণবাস্তুচ্যুতি সংঘাত সৃষ্টি করবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ ডুবে গেলে, বাকি দুই-তৃতীয়াংশে প্রচণ্ড চাপ পড়বে। অস্থিরতা তখন স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।

গরমে প্রশান্তি দেবে কাঁচা আমের আম পান্না

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:০৬ অপরাহ্ণ
গরমে প্রশান্তি দেবে কাঁচা আমের আম পান্না

গরমে নানান ধরনের পানীয় আমাদের শরীর মনে প্রশান্তি এনে দেয়। যখনই পিপাসা পাচ্ছে তখনই দোকান থেকে কোমল পানীয় কিনে খাচ্ছেন। এতে মনে প্রশান্তি এলেও শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করছে। এজন্য ফলের রস খেতে পারেন।

এখন কাঁচা আমের মৌসুম। কাঁচা আমের নানান ধরনের শরবত তৈরি করা যায়, যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো সেই সঙ্গে তৃপ্তি মেটাবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কাঁচা আমের আম পান্নার রেসিপি-

উপকরণ:
১. কাঁচা আম ২টি
২. গুড় ২ টেবিল চামচ
৩. ভাজা জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ
৪. গোলমরিচ গুঁড়া ১/২ চা চামচ
৩. বিট লবণ এক চিমটি
৪. বরফ কিউব পরিমাণমতো
৫. পুদিনা পাতা ৩-৪টি

পদ্ধতি:
প্রথমে চুলায় অল্প আঁচে কাঁচা আম পুড়িয়ে নিন। আমের খোসা কালো হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। এবার ঠান্ডা করে নিন। যখন আম পুরোপুরি ঠান্ডা হয়ে যাবে তখন আম খোসা ছাড়িয়ে নিন। হাত দিয়ে চটকে বীজটিকে আলাদা করুন।

এবার আম ব্লেন্ডারে নিয়ে তার সঙ্গে জিরা গুঁড়া, বিট লবণ, গোলমরিচ গুঁড়া এবং লবণ দিন। গুড় যোগ করুন। সব কিছু একসঙ্গে ব্লেন্ড করুন। ব্লেন্ড করা মিশ্রণটি ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন। ঠান্ডা হলে গ্লাসে দুই টেবিল চামচ পাল্প নিয়ে ঠান্ডা পানি যোগ করুন। কিছু বরফের কিউব দিন। উপরে জিরা গুঁড়া ছিটিয়ে, পুদিনা পাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:০২ অপরাহ্ণ
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভ

গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসা গণহত্যা ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সাতক্ষীরা জামায়াত।

সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে পাঁচ টায় সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারও শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলটির নের্তৃত্ব দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মুহঃ ইজ্জত উল্লাহ।

মিছিল পূর্ববর্তি প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, নায়েবে আমীর শেখ নূরুল হুদা, জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও জেলা সহকারী সেক্রেটারী প্রভাষক ওমর ফারুক, সহকারী সেক্রেটারী প্রভাষক ওবায়দুল্লাহ, জেলা কর্মপরিষদ এড.আব্দুস সুবহান মুকুল, শহর জামায়াতের আমীর জাহিদুল ইসলাম, সদর জামায়াতের আমীর মাওলানা মোশারফ হোসেন, শহর শিবিরের সভাপতি আল মামুন, শহর নায়েবে আমীর ফখরুল হাসান লাভলু, শহর সেক্রেটারী খোরশেদ আলম, সদর সেক্রেটারী মাওলানা হাবিবুর রহমান প্রমুখ ।