খুঁজুন
শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ৭ আষাঢ়, ১৪৩২

নিজের অস্ত্রই বুমেরাং ইসরায়েলের, কথা শুনছে না আয়রন ডোম!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫, ২:৪৮ অপরাহ্ণ
নিজের অস্ত্রই বুমেরাং ইসরায়েলের, কথা শুনছে না আয়রন ডোম!

পাল্টাপাল্টি হামলায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ইরান-ইসরায়েল। এক চুলও ছাড় দিচ্ছে না কেউ। তবে বরাবরের মতো ইসরায়েল দাবি করছে, তাদের তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। গত ছয় দিনে ইরান ছোড়া প্রায় ৯০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে বলেও দাবি তাদের। কিন্তু বাস্তবচিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসরায়েলের বহুল প্রশংসিত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’ এখন কার্যত ভেঙে পড়ার পথে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞের করুণ দৃশ্য। যদিও ইসরায়েল তা স্বীকার করছে না।

ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে মার্কিন ও ইসরায়েলি গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে জানানো হয়েছে, আয়রন ডোম টিকিয়ে রাখতে এখন ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সামরিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। রসদ ও ব্যয় সংকটে পড়ে ইসরায়েল এখন বাধ্য হয়ে বেছে নিচ্ছে কোন ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাবে আর কোনটা পার হতে দেবে। প্রতিরক্ষা কাঠামো প্রায় ভেঙে পড়েছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, প্রতিদিন রাতের বেলায় আয়রন ডোম চালু রাখতে খরচ হচ্ছে প্রায় ২৮৫ মিলিয়ন ডলার। ক্ষেপণাস্ত্র বিশেষজ্ঞ টাল ইনবার বলেছেন, ইরানের হাইপারসোনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে আয়রন ডোম কার্যত অকার্যকর।

তিনি মনে করিয়ে দেন, ২০১৪ সালে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে গোলাবারুদের ঘাটতির কারণে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে যেতে বাধ্য হয়েছিল। এবারও তেমন পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।

সম্প্রতি একের পর এক ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে ইসরায়েলের কৌশলগত স্থাপনাগুলোর ওপর। শুক্রবার এক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে সেন্ট্রাল কমান্ডের কাছে। রোববার আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র হাইফার একটি বড় তেল শোধনাগারে বিস্ফোরণ ঘটায়। এছাড়া মঙ্গলবার ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, ইসরায়েলি গোয়েন্দা সদর দপ্তরের আশেপাশে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। ধারণা করা হচ্ছে, একটি হামলা সরাসরি সামরিক গোয়েন্দা ভবনের ভেতরেও বিস্ফোরণ ঘটায়।

এসব তথ্য ইসরায়েলি গণমাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে না। কারণ দেশটিতে সেন্সর আইন কঠোরভাবে বলবৎ রয়েছে। প্লাস ৯৭২ ম্যাগাজিন জানিয়েছে, ২০২৪ সালে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের সেন্সর বিভাগ ১,৬৩৫টি রিপোর্ট পুরোপুরি নিষিদ্ধ করেছে এবং আরও ৬,২৬৫টি প্রতিবেদনে সংশোধন বা সেন্সরের হস্তক্ষেপ ঘটেছে। অর্থাৎ গড়ে প্রতিদিন অন্তত ২১টি রিপোর্ট সেন্সরের কবলে পড়ছে।

এই গোপনীয়তার পর্দা সরাতে হ্যাকাররাও নেমে পড়েছে। সাইবার গোয়েন্দা সংস্থা হ্যাকম্যানক জানিয়েছে, চলমান সংঘাতে ইসরায়েল এখন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সাইবার হামলার শিকার হওয়া দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। পাল্টা সাইবার যুদ্ধেও ইরান সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে।

সব মিলিয়ে বিশ্বের অন্যতম আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত আয়রন ডোম এখন নিজের অস্ত্রেই কোণঠাসা। আর ইসরায়েল— নিজের অস্ত্রেই যেন বুমেরাংয়ের মতো আঘাত খাচ্ছে।

ইসরায়েলের সিসি ক্যামেরা হ্যাক করছে ইরান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫, ১:৩৭ অপরাহ্ণ
ইসরায়েলের সিসি ক্যামেরা হ্যাক করছে ইরান

ইসরায়েলের বেসরকারি সিসিটিভি ব্যবস্থা হ্যাক করে তাৎক্ষণিক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করছে ইরান। এমনই হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন ইসরায়েলের সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। এই কৌশল আগেও হামাস ও রাশিয়া বিভিন্ন সংঘাতে ব্যবহার করেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী দ্রুত সম্প্রসারিত হওয়া ব্যক্তিগত নজরদারি বাজারে ব্যবহৃত অনেক ক্যামেরা দুর্বল পাসওয়ার্ড, পুরোনো ফার্মওয়্যার এবং ভুল ইনস্টলেশনের কারণে সহজেই হ্যাক করা যায়।

গত সপ্তাহে ইরানি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তেল আবিবের উঁচু ভবনগুলোতে আঘাত হানে। এরপর সরকারি রেডিওতে নাগরিকদের সতর্ক করে ইসরায়েলের জাতীয় সাইবার ডিরেক্টরেটের সাবেক উপপরিচালক রাফায়েল ফ্রাঙ্কো বলেন, ‘গত দুই-তিন দিন ধরে ক্যামেরাগুলোর মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্র কোথায় আঘাত হেনেছে তা জানার চেষ্টা করছে ইরান, যাতে ভবিষ্যতে আরও নির্ভুলভাবে হামলা করা যায়। তাই আপনারা ক্যামেরা বন্ধ করুন অথবা পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।’

উল্লেখ্য, ফ্রাঙ্কো বর্তমানে সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা কোড ব্লু পরিচালনা করছেন।

ইসরায়েল ও ইরানের চলমান সংঘাতের মধ্যে সাইবার আক্রমণের সংখ্যাও বেড়ে গেছে। ইসরায়েলপন্থী হ্যাকার গ্রুপ ‘প্রিডেটরি স্প্যারো’ ইরানের একটি প্রধান ব্যাংক ও একটি ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জে সাইবার আক্রমণের দায় স্বীকার করেছে। অন্যদিকে, ইরানের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানিয়েছে, ইসরায়েল দেশটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোয় পূর্ণাঙ্গ সাইবার আক্রমণ চালিয়েছে।

ইসরায়েলের জাতীয় সাইবার ডিরেক্টরেটের এক মুখপাত্র জানান, ‘যুদ্ধ পরিকল্পনায় ইরান বারবার ব্যবহার করছে ইন্টারনেট সংযুক্ত ক্যামেরা। আমরা দেখেছি, যুদ্ধ চলাকালীন এই ধরনের প্রচেষ্টা বাড়ছে।’

হামাস এর আগেও এই কৌশল ব্যবহার করেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলার আগে গাজা সীমান্তবর্তী ইসরায়েলি এলাকায় থাকা হাজার হাজার ব্যক্তিগত ও সরকারি ক্যামেরা হ্যাক করে হামাস বিশাল তথ্য সংগ্রহ করে বলে জানান সাইবার ডিরেক্টরেটের সদ্য সাবেক পরিচালক গ্যাবি পোর্টনয়।

তিনি আরও জানান, ‘হামাসের গোয়েন্দা সংগ্রহ ছিল বিপর্যয়কর। তাদের হামলার প্রস্তুতিতে এগুলোর ভূমিকা ছিল স্পষ্ট।’

রাশিয়াও ইউক্রেন আক্রমণের পর এই পদ্ধতি ব্যবহার করেছে বলে জানা গেছে। গত মে মাসে এক যৌথ বিজ্ঞপ্তিতে পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানায়, রাশিয়া সীমান্ত, সামরিক স্থাপনা ও রেলস্টেশনের কাছে থাকা বেসরকারি ক্যামেরায় প্রবেশ করে গুরুত্বপূর্ণ চলাচল পর্যবেক্ষণ করেছে। এমনকি ট্রাফিক ক্যামেরাও ব্যবহার করেছে তারা।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেন ২০২২ সালে সিসিটিভি নিষিদ্ধ করে। পরে নাগরিকদের ওয়েবক্যামের অনলাইন সম্প্রচার বন্ধের আহ্বান জানায় সরকার। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘রাশিয়া ওয়েবক্যামের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার লক্ষ্য ঠিক করছে।’

২০২২ সালে জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগে চীনের তৈরি নজরদারি যন্ত্র নিষিদ্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

বিশ্বব্যাপী বেসরকারি নজরদারি ক্যামেরার বাজার ২০২৪ সালে ৫৪ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০৩০ সালে ৮৯ বিলিয়নে পৌঁছাতে পারে বলে জানিয়েছে মার্কেটসঅ্যান্ডমার্কেটস রিসার্চ।

তবে অনেক ক্যামেরা নিরাপত্তা এতটাই দুর্বল যে, সেগুলো বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর জন্য সহজ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।

নিরাপত্তা খাতে কাজ করা জিওফ কোল জানান, ভালো কোম্পানির ক্যামেরাগুলো সফটওয়্যার আপডেট ও কনফিগারেশন অপশন দেয়। তবে ব্যবহারকারীদের নিজে থেকেই ধরে নিতে হবে যে, তাদের ভিডিও সিস্টেম লক্ষ্যবস্তু হতে পারে।

বিশ্বখ্যাত এক জ্বালানি কোম্পানির নিরাপত্তা স্থপতি পেলেগ ভাসারম্যান বলেন, ‘ভোক্তারা সস্তা দামে নজরদারি ক্যামেরা কিনে থাকেন, তবে নিরাপত্তার দিকটা বিবেচনায় নেন না। ফলে নির্মাতাদেরও সুরক্ষা বাড়াতে কোনো প্রণোদনা থাকে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘কেউ জানে না, তারা যেটা রক্ষা করতে চাইছে, সেটাই অন্যের নজরে তুলে ধরছে।’

এ ছাড়া, অনেক ক্যামেরার ডিফল্ট পাসওয়ার্ড ‘১-২-৩-৪’-এর মতো সহজ, যা অনেক ব্যবহারকারী পরিবর্তন করেন না। কিছু সিস্টেম এমনকি স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনলাইনে ভিডিও স্ট্রিম করে।

চীনা কোম্পানিগুলোর তৈরি ক্যামেরা বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হলেও এগুলোতে নিরাপত্তা দুর্বলতা থাকায় উদ্বেগ বাড়ছে। এক প্রতিবেদনে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান বিটসাইট জানায়, গত মাসে ইন্টারনেটে ৪০ হাজার সিসিটিভির লাইভ ফুটেজ দেখা গেছে, যার ১৪ হাজার যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত।

যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে এসব ফুটেজ দেশের জন্য বড় দুর্বলতায় পরিণত হতে পারে।

২০২২ সালে ইসরায়েলি সাইবার সংস্থা জানিয়েছিল, ৬৬ হাজার ক্যামেরা ডিফল্ট পাসওয়ার্ড ব্যবহার করছে। তবে অনেক ব্যবহারকারী তা আমলে নেননি। দক্ষিণ ইসরায়েলের হামাস আক্রমণের শিকার শহরগুলোতেও এসব ক্যামেরা ব্যবহৃত হচ্ছিল।

হামলার পর সরকার কিছু নির্দেশনা দেয়, যার মধ্যে ছিল পাসওয়ার্ড পরিবর্তন, দুই স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা এবং চীনের তৈরি ক্যামেরা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা। এমনকি ট্রাফিক ক্যামেরা ও ব্যক্তিগত ডিভাইস, যেগুলো সেনা ঘাঁটি বা সীমান্তে দৃশ্য দেখাচ্ছিল তা বন্ধ করে দেওয়ার আইনি অনুমতিও পাওয়া হয়।

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের আগে এক সাক্ষাৎকারে ফ্রাঙ্কো জানান, সীমান্তঘেঁষা ফার্মে কৃষকদের বসানো ক্যামেরাগুলোও সেনা অবস্থান দেখিয়ে ফেলেছিল।

গত ১৩ জুন (শুক্রবার) ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর পর ইরান পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে তেল আবিবে শত শত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছোড়ে। ইরান জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় তাদের ২০০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলে এখন পর্যন্ত ২৪ জন নিহত ও ৮০০-এর বেশি মানুষ আহত হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে।

তথ্যসূত্র: ব্লুমবার্গ।

রাত ১২টার পর শুরু হয় নোংরা কলস, প্রাঙ্ক কলস: সায়মা ফেরদৌস

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫, ১০:৪০ অপরাহ্ণ
রাত ১২টার পর শুরু হয় নোংরা কলস, প্রাঙ্ক কলস: সায়মা ফেরদৌস

ব্যাশিং কালচার রাজনীতি ও সমাজে এই জেনারেশনে একটি ব্যাড কালচার বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ব্যবসায় বিভাগের অধ্যাপক ড. চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস। সম্প্রতি এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

সায়মা ফেরদৌস বলেন, ‘তীর্যক মন্তব্যে একে অপরকে ঘায়েল করার যে প্রবণতা তৈরি হয়েছে এটি খারাপ। এটি অসভ্য মানুষের লক্ষণ। দুঃখজনক হলেও সত্য, সমাজের বিভিন্ন গোষ্ঠী থেকে এই ব্যাশিং কালচার প্রমোট করা হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘কখনও কখনও মেনে নেওয়া মানে হেরে যাওয়া নয়। যুক্তিতে হেরে যাওয়াটাও একটি গ্রোথ। আমার কাছে যুক্তি না থাকলে আমি পড়াশোনা করে এসে যুক্তি দিব।

হেরে কেউ যাবো না, এই চিন্তা খুব খারাপ। আমারা যুক্তি-তর্ক করবো, সঙ্গে সঙ্গে একে অপরকে সম্মান করব, সিনিয়র-জুনিয়রের মধ্যে সম্মান থাকবে।’

নিজেকে একজন প্রতিবাদী মানুষ হিসেবে পরিচয় করিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের সম্পূর্ণ বিপক্ষে। তার মানে তো এই না যে, যে যা খুশি বলে যাবে।

আমি এখন রাতে মোবাইল বন্ধ রাখতে বাধ্য হই। রাত ১২টার পর শুরু হয় নোংরা কলস, প্রাঙ্ক কলস। শিক্ষক হিসেবে অর্জিত সম্মানটুকু নিয়েও হেনস্তা করছে।’

কেউ যদি আওয়াজ তোলে এবং তার বিরুদ্ধে যদি এই ধরনের হেনস্তার ঘটনা হয়, তাহলে রাষ্ট্রের ভূমিকা কী হবে? নাগরিক সমাজের কাছে এমন প্রশ্ন রাখেন অধ্যাপক সায়মা ফেরদৌস।

তিনি বলেন, ‘এখনও নারীদের রাজনীতিতে আসতে হলে গায়ের চামড়া মোটা করতে হচ্ছে।

এটা কোনো সমাধান হতে পারে না। রাজনীতিতে প্রমিজিং অনেক মানুষ ছিল কিন্তু তারা এখন ঝড়ে পড়েছে।’

ইউরোপ চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবের চমক

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫, ১০:২৯ অপরাহ্ণ
ইউরোপ চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবের চমক

একদিকে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ী পিএসজি, যাদের ঝুলিতে মৌসুমের ট্রেবলসহ রয়েছে বেশ কয়েকটি শিরোপা। অপরদিকে ব্রাজিলিয়ান লিগে হোঁচট খেতে থাকা বতাফোগো।

অথচ ফুটবল যে অঘটনের খেলা, তা আবারও প্রমাণ করল ক্লাবটি। ক্লাব বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট পিএসজিকে ১-০ গোলে হারিয়ে তাক লাগিয়ে দিল ব্রাজিলের এই ক্লাব।

বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে ক্যালিফোর্নিয়ার রোজ বোল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ম্যাচটি। ৩৬তম মিনিটে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ইগো জেসুসের একমাত্র গোলেই নির্ধারিত হয় ভাগ্য। এই জয়ে টানা দুই ম্যাচ জিতে ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষে উঠে এসেছে বতাফোগো।

প্রথম ম্যাচে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ৪-০ গোলের দুর্দান্ত জয়ের পর আত্মবিশ্বাসে ভরপুর পিএসজি দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে মাঠে নেমেছিল। ম্যাচে বল দখলের লড়াইয়েও ছিল তাদের একচেটিয়া আধিপত্য। ৭৫ শতাংশ সময় বল ছিল পিএসজির পায়ে। কিন্তু গোলমুখে কার্যকারিতা ছিল একেবারে হতাশাজনক। ১৬টি শট নিয়েও কেবল দুটি ছিল লক্ষ্যে, যেগুলো সহজেই ঠেকিয়ে দেন বতাফোগোর গোলরক্ষক জন।

এর বিপরীতে বতাফোগো তাদের সুযোগগুলো কাজে লাগাতে জানে। গোটা ম্যাচে মাত্র চারটি শট নেয় তারা, যার সব কটিই লক্ষ্যে। পিএসজির অভিজ্ঞ গোলরক্ষক দোন্নারুম্মা তিনটি ঠেকালেও একটি গোল হতে সময় লাগেনি।

সেই গোলটির নেপথ্যে ছিলেন জেফারসন সাভারিনো। মাঝমাঠ থেকে তার নিখুঁত পাস পেয়ে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দুর্দান্ত কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান জেজুস। পুরো ঘটনায় যেন হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না দোন্নারুম্মার।

প্রথমার্ধে গোল হজম করার পর দ্বিতীয়ার্ধজুড়ে গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে পিএসজি। একের পর এক আক্রমণে বতাফোগোর রক্ষণভাগকে চেপে ধরে তারা। কিন্তু চমৎকার সংগঠিত বতাফোগো ডিফেন্স তাদের কোনো সুযোগই কাজে লাগাতে দেয়নি। ফলে গত মার্চের পর এই প্রথম কোনো ম্যাচে গোল করতে ব্যর্থ হলো পিএসজি।

এই হারের মধ্য দিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় অঘটনের জন্ম দিল বতাফোগো। অথচ তাদের ঘরোয়া পারফরম্যান্স একদমই ভালো নয়। হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া ক্লাবটি ব্রাজিলিয়ান লিগে বর্তমানে রয়েছে অষ্টম স্থানে। তবে বিশ্বকাপ মঞ্চে যেন তারা ভিন্ন এক রূপে হাজির হয়েছে।