খুঁজুন
শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫, ৬ আষাঢ়, ১৪৩২

শায়েখ আহমাদুল্লাহ'র ব্যাখা

ইসলামী ব্যাংকে টাকা রেখে লভ্যাংশ খাওয়া কি হালাল হবে ?

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫, ৩:৪১ অপরাহ্ণ
ইসলামী ব্যাংকে টাকা রেখে লভ্যাংশ খাওয়া কি হালাল হবে ?

ইসলামী শরিয়তের আলোকে ব্যাংকে টাকা জমা রাখা ও সেখান থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ গ্রহণ করা নিয়ে মানুষের মাঝে প্রায়শই নানা প্রশ্ন ও সংশয় দেখা যায়। এ বিষয়ে দেশের প্রখ্যাত আলেম ও ইসলামি বক্তা শায়েখ আহমাদুল্লাহ তাঁর মতামত ব্যক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, “ইসলামী ব্যাংকে টাকা রাখা একটি গ্রহণযোগ্য ও তুলনামূলক ভালো বিকল্প। কারণ এসব ব্যাংকে শরিয়াহ বোর্ডের তত্ত্বাবধানে আর্থিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়, যা সাধারণ সুদভিত্তিক ব্যাংকের তুলনায় শরিয়াহর নিকট অধিক গ্রহণযোগ্য।”

তবে তিনি এ-ও বলেন, “ইসলামী ব্যাংকে টাকা রেখে লভ্যাংশ গ্রহণ করা একেবারে নিঃসন্দেহে হালাল—এমনটা বলা কঠিন। শায়েখের মতে, যদি কারও জন্য বিকল্প কোনো শরিয়াহসম্মত বিনিয়োগের ব্যবস্থা থাকে, তাহলে ইসলামী ব্যাংকে টাকা রেখে লভ্যাংশ না নেওয়াই উত্তম।”

তবে আর কোনো বিকল্প না থাকলে এবং কেউ নিরাপত্তার স্বার্থে ইসলামী ব্যাংকে টাকা রাখে ও নির্ধারিত লভ্যাংশ গ্রহণ করে, তাহলে তা পরিপূর্ণ হারাম হবে না বলেও মত দেন শায়খ আহমাদুল্লাহ।

রাত ১২টার পর শুরু হয় নোংরা কলস, প্রাঙ্ক কলস: সায়মা ফেরদৌস

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫, ১০:৪০ অপরাহ্ণ
রাত ১২টার পর শুরু হয় নোংরা কলস, প্রাঙ্ক কলস: সায়মা ফেরদৌস

ব্যাশিং কালচার রাজনীতি ও সমাজে এই জেনারেশনে একটি ব্যাড কালচার বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ব্যবসায় বিভাগের অধ্যাপক ড. চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস। সম্প্রতি এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

সায়মা ফেরদৌস বলেন, ‘তীর্যক মন্তব্যে একে অপরকে ঘায়েল করার যে প্রবণতা তৈরি হয়েছে এটি খারাপ। এটি অসভ্য মানুষের লক্ষণ। দুঃখজনক হলেও সত্য, সমাজের বিভিন্ন গোষ্ঠী থেকে এই ব্যাশিং কালচার প্রমোট করা হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘কখনও কখনও মেনে নেওয়া মানে হেরে যাওয়া নয়। যুক্তিতে হেরে যাওয়াটাও একটি গ্রোথ। আমার কাছে যুক্তি না থাকলে আমি পড়াশোনা করে এসে যুক্তি দিব।

হেরে কেউ যাবো না, এই চিন্তা খুব খারাপ। আমারা যুক্তি-তর্ক করবো, সঙ্গে সঙ্গে একে অপরকে সম্মান করব, সিনিয়র-জুনিয়রের মধ্যে সম্মান থাকবে।’

নিজেকে একজন প্রতিবাদী মানুষ হিসেবে পরিচয় করিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের সম্পূর্ণ বিপক্ষে। তার মানে তো এই না যে, যে যা খুশি বলে যাবে।

আমি এখন রাতে মোবাইল বন্ধ রাখতে বাধ্য হই। রাত ১২টার পর শুরু হয় নোংরা কলস, প্রাঙ্ক কলস। শিক্ষক হিসেবে অর্জিত সম্মানটুকু নিয়েও হেনস্তা করছে।’

কেউ যদি আওয়াজ তোলে এবং তার বিরুদ্ধে যদি এই ধরনের হেনস্তার ঘটনা হয়, তাহলে রাষ্ট্রের ভূমিকা কী হবে? নাগরিক সমাজের কাছে এমন প্রশ্ন রাখেন অধ্যাপক সায়মা ফেরদৌস।

তিনি বলেন, ‘এখনও নারীদের রাজনীতিতে আসতে হলে গায়ের চামড়া মোটা করতে হচ্ছে।

এটা কোনো সমাধান হতে পারে না। রাজনীতিতে প্রমিজিং অনেক মানুষ ছিল কিন্তু তারা এখন ঝড়ে পড়েছে।’

ইউরোপ চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবের চমক

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫, ১০:২৯ অপরাহ্ণ
ইউরোপ চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবের চমক

একদিকে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ী পিএসজি, যাদের ঝুলিতে মৌসুমের ট্রেবলসহ রয়েছে বেশ কয়েকটি শিরোপা। অপরদিকে ব্রাজিলিয়ান লিগে হোঁচট খেতে থাকা বতাফোগো।

অথচ ফুটবল যে অঘটনের খেলা, তা আবারও প্রমাণ করল ক্লাবটি। ক্লাব বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট পিএসজিকে ১-০ গোলে হারিয়ে তাক লাগিয়ে দিল ব্রাজিলের এই ক্লাব।

বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে ক্যালিফোর্নিয়ার রোজ বোল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ম্যাচটি। ৩৬তম মিনিটে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ইগো জেসুসের একমাত্র গোলেই নির্ধারিত হয় ভাগ্য। এই জয়ে টানা দুই ম্যাচ জিতে ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষে উঠে এসেছে বতাফোগো।

প্রথম ম্যাচে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ৪-০ গোলের দুর্দান্ত জয়ের পর আত্মবিশ্বাসে ভরপুর পিএসজি দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে মাঠে নেমেছিল। ম্যাচে বল দখলের লড়াইয়েও ছিল তাদের একচেটিয়া আধিপত্য। ৭৫ শতাংশ সময় বল ছিল পিএসজির পায়ে। কিন্তু গোলমুখে কার্যকারিতা ছিল একেবারে হতাশাজনক। ১৬টি শট নিয়েও কেবল দুটি ছিল লক্ষ্যে, যেগুলো সহজেই ঠেকিয়ে দেন বতাফোগোর গোলরক্ষক জন।

এর বিপরীতে বতাফোগো তাদের সুযোগগুলো কাজে লাগাতে জানে। গোটা ম্যাচে মাত্র চারটি শট নেয় তারা, যার সব কটিই লক্ষ্যে। পিএসজির অভিজ্ঞ গোলরক্ষক দোন্নারুম্মা তিনটি ঠেকালেও একটি গোল হতে সময় লাগেনি।

সেই গোলটির নেপথ্যে ছিলেন জেফারসন সাভারিনো। মাঝমাঠ থেকে তার নিখুঁত পাস পেয়ে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দুর্দান্ত কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান জেজুস। পুরো ঘটনায় যেন হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না দোন্নারুম্মার।

প্রথমার্ধে গোল হজম করার পর দ্বিতীয়ার্ধজুড়ে গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে পিএসজি। একের পর এক আক্রমণে বতাফোগোর রক্ষণভাগকে চেপে ধরে তারা। কিন্তু চমৎকার সংগঠিত বতাফোগো ডিফেন্স তাদের কোনো সুযোগই কাজে লাগাতে দেয়নি। ফলে গত মার্চের পর এই প্রথম কোনো ম্যাচে গোল করতে ব্যর্থ হলো পিএসজি।

এই হারের মধ্য দিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় অঘটনের জন্ম দিল বতাফোগো। অথচ তাদের ঘরোয়া পারফরম্যান্স একদমই ভালো নয়। হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া ক্লাবটি ব্রাজিলিয়ান লিগে বর্তমানে রয়েছে অষ্টম স্থানে। তবে বিশ্বকাপ মঞ্চে যেন তারা ভিন্ন এক রূপে হাজির হয়েছে।

খেলাধুলা ও ক্রীড়াঙ্গন রাজনীতি মুক্ত থাকা উচিত: মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫, ১০:২৫ অপরাহ্ণ
খেলাধুলা ও ক্রীড়াঙ্গন রাজনীতি মুক্ত থাকা উচিত: মির্জা ফখরুল

স্বৈর শাসকের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে অনেক প্রাণ গেছে। ছাত্র জনতার এ অভ্যুত্থানে আমাদের একটা নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া হয়েছে, গণতান্ত্রিক একটা পরিবেশ সৃষ্টি করবার জন্য। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন করবার জন্য। ঐক্যবদ্ধভাবে ও গণতান্ত্রিকভাবে বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তুলবার জন্য যে পরিবেশটি সৃষ্টি করা হয়েছে সেজন্য ছাত্র জনতার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ শুক্রবার বিকেলে শহরের শহীদ মোহাম্মদ আলী স্টেডিয়ামে মির্জা রুহুল আমিন স্মৃতি টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব মন্তব্য করেন তিনি।

মির্জা আলমগীর বলেন, গত ১৫ বছরে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তাতে দল মত নির্বিশেষে সকল প্রতিষ্ঠান সহ দেশ ও দেশের ক্রিড়াকে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদেরই নিতে হবে।

তিনি বলেন, এ দেশটা আমার, আমাদের। বক্তৃতার মঞ্চে চলে গেছি অনেক আগেই। আমার জগতটা এখন রাজনীতিতে। আমি খেলার মধ্যে রাজনীতি আনার পক্ষে ছিলামনা। আমি কখনই ক্রিড়াঙ্গণ ও রাজনীতিকে এক করতে চাইনা। খেলাধুলা ও ক্রিড়াঙ্গণ রাজনীতি মুক্ত থাকা উচিৎ। এই স্টেডিয়ামে চমৎকার একটি পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। একসময় আমিও খেলতাম। আমার সুযোগ হয়েছিল ক্রিকেট বোর্ডের সদস্য হওয়ার। দেশ ও দেশের বাইরের বড় বড় খেলোয়াড়রা এ মাঠে খেলা করেছেন। স্টেডিয়ামে জোনাল ও জাতীয় দলের খেলার আয়োজন করতে হবে। এতে ক্রিকেটের মান ও খেলার মান বাড়বে।

এসময় টুর্নামেন্টের আহবায়ক নুর-ই শাহাদাত স্বজন,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোস্তফা সরদার শাহীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন ও আয়োজক কমিটি, টিম ম্যানেজম্যান্টসহ সুধীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।