খুঁজুন
সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ২৯ বৈশাখ, ১৪৩২

গোপনে বিয়ে করেছিলেন জয়া-অমিতাভ

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৩:৩৮ অপরাহ্ণ
গোপনে বিয়ে করেছিলেন জয়া-অমিতাভ

বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন ও অভিনেত্রী জয়া ভাদুড়ি কয়েক বছর সম্পর্কে ছিলেন। সেই সময় জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন জয়া ভাদুড়ি। অমিতাভ বচ্চনের চেয়ে বড় তারকা ছিলেন তিনি। যদিও পরে ‘জাঞ্জির’-এর সাফল্যের পর ইন্ডাস্ট্রিতে বিগবি নিজের অবস্থান শক্ত করেন। এরপর প্রেমে জড়িয়ে বিয়ে করে ফেলেন তারা। পরে ১৯৭৩ সালে গোপনে বিয়ে করেন অমিতাভ ও জয়া ভাদুড়ি।

এ দম্পতির বিয়ের পর সমালোচকরা অমিতাভ বচ্চনকে নানাভাবে হেয়প্রতিপন্ন করেন। চারদিকে থেকে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। এ সময় জয়া ভাদুড়ির বাবা নিজেই একটি খবরের মাধ্যমে বিয়ে নিয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানান। জয়া বচ্চনের বাবা তরুণ কুমার ভাদুড়ি ছিলেন একজন সাংবাদিক ও লেখক। তিনি বলেছিলেন—হঠাৎ করেই অমিতাভ বচ্চনকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জয়া।

নিউজ ১৮-এর প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, জয়ার বাবা তরুণ কুমার ভাদুড়ি ১৯৮৯ সালে ‘ইলাস্ট্রেটেড উইকলি অব ইন্ডিয়া’-তে একটি খবর লিখেছিলেন— কিছু বাজে লোক আছে, যারা বলে— অমিতাভ জয়াকে বিয়ে করেছেন কারণ তিনি একজন বড় তারকা ছিলেন, যা একদমই ভুল। তিনি ‘জঞ্জির’-র সাফল্যের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। তবে এটি না হলেও জয়া তাকে বিয়ে করতেন— আমি নিশ্চিত।

তিনি আরও বলেন, আমার মেয়ে খুব শক্তিশালী প্রকৃতির একজন মানুষ। নিজের সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। বিয়ের সময় অমিতাভ জয়ার মাকে ফোন করেছিলেন। মুম্বাইতে গিয়ে তাদের বিয়েতে অংশগ্রহণের অনুরোধ করেছিলেন।

জয়া বচ্চনের বাবা আরও লিখেছেন— ‘গোপন বিয়ের প্রস্তুতির জন্য আমরা পরের দিন ৩ জুন ১৯৭৫-এ মুম্বাই পৌঁছেছিলাম। পুরো বিষয়টি কীভাবে গোপন রাখা হয়েছিল তা এখন আর বলার দরকার নেই। মালাবার হিলে আমাদের পরিবারের এক বন্ধুর বাড়িতে বিয়ে হয়েছিল।

এ সময় জয়া বচ্চনের মা তার মেয়েকে বাঙালি রীতি অনুযায়ী বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময় মুম্বাইয়ে এত দ্রুত একজন বাঙালি পুরোহিত খুঁজে পাওয়া কঠিন ছিল।

জয়ার বাবা লিখেছেন— বাঙালি বিয়ে দীর্ঘ। তবে খুব আকর্ষণীয়। বহুকষ্টে পাওয়া বাঙালি পুরোহিত প্রথমে বাঙালি ব্রাহ্মণ জয়াকে অব্রাহ্মণ অমিতাভের বিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নিতে রাজি ছিল না। অনেক চেষ্টার পর বিষয়টি মিটে যায়। স্পষ্টতই পুরোহিত চাননি তাদের বিয়ে হোক। তিনি তার প্রতিবাদ নথিভুক্ত করেন।

জয়ার বাবা তরুণ কুমার ভাদুড়ি আরও লিখেছেন— অমিতাভ বচ্চন কাউকে আঘাত না করেই সব রীতিনীতি গ্রহণ করেছিলেন। পর দিন সকাল পর্যন্ত চলল বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা।

কিন্তু জয়ার সঙ্গে অমিতাভের বিয়ের বিপক্ষে ছিলেন— জয়ার বাবা এই গুজব অস্বীকার করে লিখেছেন— আমাকে একটি কারণ বলুন? কেন আমি এবং আমার স্ত্রী— জয়া ও অমিতাভের সম্পর্কের বিরুদ্ধে থাকব? অমিতাভ খুব আদরের ছেলে। চলচ্চিত্রে আসার জন্য তাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। প্রাথমিক ব্যর্থতায় তিনি বিচলিত হননি।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন, কার্যকরি সভাপতি বাতেন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ১০:১২ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন, কার্যকরি সভাপতি বাতেন

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির ‘বার্ষিক সাধারণ সভা-২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১১ মে) মতিঝিলের একটি হোটেলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দেশের বিভিন্ন জেলার বাস মালিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় দেশের পরিবহন সেক্টরের শীর্ষ সংগঠন ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি’র কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন, কফিল উদ্দিন আহমেদ। তিনি আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করবেন।

এছাড়া কার্যকরি সভাপতি পদ শূন্য হওয়াতে বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি এম এ বাতেনকে মালিকদের মতামতের ভিত্তিতে কার্যকরি সভাপতি পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মো: জোবায়ের মাসুদ এর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক ও পরিবহন সেক্টরের মালিক-শ্রমিক পরিষদের সমন্বয়ক এ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি পরিচালনা করবে প্রকৃত মালিকরা। বাস মালিক না হয়ে কেউ নেতৃত্ব নিতে পারবেন না। আর একটি বিষয় সবাই মাথায় রাখতে হবে এই সমিতি সব সময় রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থাকবে। এই বিষয়ে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।

সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির মহাসচিব মো. সাইফুল আলম বলেন, ‘পরিবহণ সেক্টরের ২০১৮ সালের কালো আইন বাতিল করতে হবে। ২০১৮ সালে যে সকল আইনের মাধ্যমে পরিবহণ মালিকদেরকে ধ্বংসের পায়তারা হয়েছিল। আমরা প্রধান অতিথির কাছে অনুরোধ করবো বাস মালিকদের শেষ করে দেয়ার আইনগুলো বাতিল করার বিষয়ে আপনি সরকারের কাছে জোর দাবি জানাবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিগত ঈদুল ফিতরের মতো স্তস্তিদায়ক ঈদযাত্রা যাতে ঈদুল আজহাতেও হয় সে বিষয়ে বাস মালিকদের নজর রাখতে হবে। একই সাথে যাত্রীদের স্বস্তির বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে।

নবনির্বাচিত সভাপতি কফিল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের আগের কমিটিই আছে। এর মধ্যে হাজী আলাউদ্দিন সাহেব না থাকায় আমি নির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলাম। কিন্তু আজ সাধারণ সভায় আমাকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাকি সবাই আগের দায়িত্বে আছেন।’

সভায় বিগত অর্থবছরের অডিটরিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়, পরবর্তীতে উপস্থিত মালিকদের সম্মতিতে অডিট রিপোর্ট পাশ হয়। এছাড়াও মালিকদের সম্মতিতে ; আগামী অর্থবছরে অডিট ফার্ম কে দায়িত্ব দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। গত অর্থবছরে যে ফার্ম অডিটরিপোর্ট প্রস্তুত করেছিলেন সেই প্রতিষ্ঠানকেই নতুন করে দায়িত্ব দেয়া হয়।

পাকিস্তানের দাবি প্রত্যাখ্যান করলো ভারত-আফগানিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ৯:২৭ অপরাহ্ণ
পাকিস্তানের দাবি প্রত্যাখ্যান করলো ভারত-আফগানিস্তান

পাকিস্তান দাবি করেছিল যে ভারতের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র আফগানিস্তানের ভূখণ্ডে পড়েছে। তবে পাকিস্তানের এমন দাবি ভিত্তিহীন ও মিথ্যা উল্লেখ করে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত ও আফগানিস্তান। খামা প্রেসের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

খামা প্রেস বলছে, দিল্লির ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আফগান ভূখণ্ডে আঘাত হেনেছে বলে পাকিস্তান যে দাবি করেছে- তা জোরালোভাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং তালেবান নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার প্রত্যাখ্যান করেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি গতকাল শনিবার পাকিস্তানের এমন দাবি উড়িয়ে দেন। একইভাবে আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র পাকিস্তানের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেন।

খামা প্রেসকে ওই মুখপাত্র বলেছেন, আফগানিস্তান নিরাপদ এবং সুরক্ষিত। এমন ঘটনা ঘটেনি। এই বিবৃতিটি পরোক্ষভাবে নিশ্চিত করেছে যে আফগানিস্তানের মাটিতে কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি।

পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র আহমদ শরিফ চৌধুরী দাবি করেছিলেন, ভারতের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র আফগান ভূখণ্ডে পড়েছে। তিনি উল্লেখ করেছিলেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং ভারত এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

পাকিস্তানের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভারত এবং আফগান কর্তৃপক্ষ উভয় দায়িত্বশীল যোগাযোগ এবং ফ্যাক্টভিত্তিক রিপোর্টের আহ্বান জানিয়েছে।

১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ২:৩২ অপরাহ্ণ
১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ

বাংলাদেশের পরিবহন খাতে দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্ব দেওয়া হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. হানিফ দীর্ঘ ১৫ বছর প্রবাসে কাটিয়ে অবশেষে দেশে ফিরেছেন।

শনিবার (১০ মে) লন্ডন থেকে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হানিফ এন্টারপ্রাইজের জেনারেল ম্যানেজার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, স্যার এখনও বিমানবন্দরে আছেন। আমরা তাকে অভ্যর্থনা জানাতে এসেছি।

হানিফ এন্টারপ্রাইজ সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরে হানিফ এন্টারপ্রাইজের ৩৫টি বাসে শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে স্বাগত জানাতে এসেছেন।

জানা যায়, ২০১০ সালের দিকে পারিবারিক, ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক কিছু জটিলতা এবং শারীরিক কারণে তিনি স্থায়ীভাবে দেশের বাইরে বসবাস শুরু করেন। তবে দেশের বাইরে থাকলেও হানিফ এন্টারপ্রাইজের নীতিনির্ধারণী কার্যক্রমে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন।