খুঁজুন
বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ১২ চৈত্র, ১৪৩১

রাজনীতি বিষয়ক প্রবন্ধ

নরপিশাচরা এখনও মানবরূপেই আছে

মোঃ ইলিয়াস কাশেম
প্রকাশিত: শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪, ৪:৫৬ অপরাহ্ণ
নরপিশাচরা এখনও মানবরূপেই আছে

লেখক: ইলিয়াস কাশেম
(সাংবাদিক,কলামিস্ট ও কথাসাহিত্যিক)

বিভৎস চেতনা হৃদয়ে লালন-পালনকারীরা রাজনীতির মতো একটি মহতি শব্দকে অপবিত্র করে ফেলেছে।দেখতে শুনতে ওদের মানুষের মতো দেখালেও,ওরা আদতে সেই বিভৎস চেতনা খেকো আওয়ামিলীগই বটে।জালিমের অনুসারীরা কখনও প্রকৃত বিবেকবান মানুষ হতে পারেনা,এই মহাসত্য বলার অপরাধে যদি আমার ফাঁসিও হয়!সেও হাসিমুখে মেনে নিব,কিন্তু এই মহাসত্যকে অস্বীকার করতে পারবোনা।

এরা হৃদয়ে ভিনদেশী চেতনা গোপনে লালন-পালন করে দেশপ্রেমিক বলে যতই গলা ফাটিয়ে মরুক,এদের হৃদয়ে জালিয়াতির সিলমোহর মেরে দেয়া হয়েছে মহান রব আল্লাহ্ র পক্ষ থেকে। এটা আমার দীর্ঘদিনে নিজ চোখে দেখে আসা বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি।এরমধ্যে কেউ কেউ আছেন সরল হৃদয়ের মানুষ,কিন্তু এরা খুব সহজেই মিথ্যাকে সত্য বলে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন।আর এই ভুলকেও তারা কোনদিন ভুল ভাবতেও চেষ্টা করেননা,আর কেউ কেউ চেষ্টা করলেও অন্তর্দৃষ্টি তাদেরকে আচ্ছন্ন করেই সেই একই পথ অনুসরণ করাতে থাকে।

সরকারের উদারনীতির ফলে এরা মরতে গিয়েও বেঁচে ফিরে আসছে ধিরে ধিরে।শাসককে নমনীয় হতে হয় প্রকৃত মানুষের জন্য,যারা ভুল করেই ভুল করেছে অথবা পরিস্থিতির শিকার হয়ে ভুল পথে নিজেকে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে তাদের জন্য। কিন্তু যারা ভুল করবার জন্যই পৃথিবীতে জন্মেছে,সমাজ,ধর্ম ও রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বিশৃঙ্খলা ও অশান্তি সৃষ্টি করে আপনাদের সরলতার সুযোগ নিচ্ছে,তাদের প্রতি পুরো রাষ্ট্র যন্ত্রকে সাধারণ জনগণের সমর্থন ও সহযোগিতা নিয়ে কঠোর থেকে কঠোর হস্তে দমন নীতি গ্রহণ করতে হবে।জাতির রূপ ও মনমানসিকতার পরিমাপ অনুযায়ী সরকারকে প্রয়োজন মাফিক জায়গা বুঝে কঠোর ও নমনীয় কিংবা সংবেদনশীল আচরণ করা শিখতে হবে।মনে রাখতে হবে,এ জাতি শক্তের ভক্ত নরমের যম।বাংলাদেশের মতো জায়গায় যদি আল্লাহ্ র ফেরেশতাও শাসন ভারের দায়িত্ব নিয়ে বসেন,সেই ফেরেশতাকেও মাত্র কয়েকমাসের ব্যবধানে এরা পাগল করে ছাড়বেন,এটা নিশ্চিত।

যেখানে রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টরে এতদিন অবাদে ঘুষ-দুর্নীতির মহোৎসব চলেছে,সেখানে রাতারাতি আপনাদের পক্ষে এই দেশ সুদ্ধ করবার চিন্তা নেহাতই বেমানান ও অসম্ভব বিষয়। কারণ দেশে এখনও ঘুষ-দুর্নীতিবাজরা জনসংখ্যার গড় হিসেবে সংখ্যা গরিষ্ঠ।পাশাপাশি পরাজিত অপশক্তি তো প্রতিশোধের রক্তলাল চোখে ঘুমহীন ষড়যন্ত্রের জাল,মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে উদ পেতে বসেই নয়,অবিরাম দৌড়ের উপর আছেই।এদিকে আমাদের কথিত বন্ধু রাষ্ট্রও বসে নেই,অর্থ দিয়ে,অস্ত্র দিয়ে,পেশিশক্তির সহযোগিতা দিয়ে,যেখানে যা কিছু প্রয়োজন তার সবকিছু দিয়েই বদ্ধমূল অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

মনে রাখতে হবে,তাদের গোপনে বহুমূল্যে কেনা বাংলাদেশের পুতুল শাসকের পতন মানেই তাদের বিশ্বসেরা অবমাননা ও কর্তৃত্ববাদীর চরম পরাজয়।কাজেই বাংলাদেশ ভালো থাকলে ওদের শান্তিতে চরম আঘাত ও অশান্তি সৃষ্টি করে। ওদের মানসিকতা ফেরাউনের প্রেতাত্মা ভর করে আছে,যেকোনো মূল্যে ওরা এখন চেষ্টা করবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত হানতে।এছাড়াও খুব সম্ভব এরা দাজ্জালে অনুসারীই হবে। ওদের কোন ভাবে বিশ্বাস ও মানবিক বিবেচনায় আওয়ামিলীগের রাজনীতির পূনঃবাসন মানেই,ওদের সাধারণ ক্ষমা মানেই এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পরাধীনতা নিশ্চিত করে দেয়ার পথ পাকাপোক্ত করা।

অতিরিক্ত স্বাধীনতা মানুষকে উলঙ্গ হতে উৎসাহ যোগায়।আগে একদল খেয়েছে,এখন সবদল যার যার মতো খাচ্ছে।শৃঙ্খলা সম্পূর্ণভাবে ভেঙ্গে পড়েছে,কেউ মানতে নারাজ কাউকেই।এমন পরিস্থিতি সামাল দেয়া একটি অনির্বাচিত ও অস্থায়ী সরকারে পক্ষে এককভাবে কোন মতেই সম্ভব হবেনা।সমস্যা যেমন একদিনে সৃষ্টি হয়নি,তেমনি সমাধানও কারও পক্ষেই রাতারাতি করে ফেলা সম্ভব নয়।দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করাও অস্থায়ী,অনির্বাচিত,সুশীল ও অন্তর্বতীকালী সরকারের পক্ষে অসম্ভব বিষয়।

হাতেগোনা কিছু সমস্যা হয়তোবা মোকাবেলা করা যাবে,কিন্তু এদেশে দীর্ঘ সতেরো বছরে লক্ষ লক্ষ সমস্যা সৃষ্টি করা হয়েছে,সেই সাথে আরও কিছু সমস্যার বীজ বপন করা হয়েছে।এতগুলো সমস্যার সমাধানে গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যে,সরকার আসবেন,সাংবিধানিক এক মেয়াদ সময়েও এ-সব সমস্যার পরিপূর্ণ সমাধান সম্ভব হবেনা।এদিকে জমিনে আগাছা সৃষ্টির মতো সমস্যা তো সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে সৃষ্টি হতেই থাকে,তাকে সেবা যত্ন কিংবা পরিচর্চার প্রয়োজন পড়ে না।পৃথিবীতে বাংলাদেশের চেয়ে বহুগুণ বেশি জনসংখ্যা সংবলিত দেশ রয়েছে,সে-সব দেশের মাটি এতটা আগাছা কিংবা পরগাছা জন্মানোর মতো উর্বর নয়,যতটা উর্বর বাংলাদেশের মাটি।

সেইসব দেশে মানুষ সৃষ্টি হয় মোটামুটি একটা হিসাব কষেই,আবার মানুষের শিক্ষা,সংস্কৃতি,সভ্যতা,সামাজিক ও ধর্মীয় বিশ্বাসও গড়ে উঠে বেশ হিসাব করেই।আমাদের দেশের মতো এত নারী-পুরুষের ঘনবসতি প্রেম ভালবাসা ও যত্রতত্র মানব চাষের সংস্কৃতি সেইসব দেশে এতটা অবাদ নয়,তবে সবকিছুতেই অবাদ স্বাধীনতার ফল তারা ভোগ করেই অভ্যস্ত।সেইসব দেশগুলোতে আইন ও সংবিধান তৈরি হয় সাধারণের অবাদ স্বাধীনতা ভোগ করবার মহতি উদ্দেশ্য নিয়ে এবং গভীর জ্ঞানগর্ভ চেতনাকে প্রধান্য দিয়েই।কিন্তু আমাদের দেশে আইন ও সংবিধান তৈরি হয় নির্দ্দিষ্ট কোন রাজনৈতিক দল,পরিবার কিংবা গোষ্ঠীকে উদ্ধারের কারিশমা মাথায় নিয়ে,আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিংবা বিচার বিভাগকে পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করে সেইসব আইন ও সংবিধান প্রয়োগকারী সংশ্লিষ্টদের যথেষ্ট ফাঁকফোকর সৃষ্টি, আইনপ্রনয়নকারীরা ইচ্ছা করেই রেখে যান।যাতে করে নিজেদের সুবিধা মতো প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের ঘুষদুর্নীতির সুযোগ থাকে, আবার সেই সুযোগ সৃষ্টি করা হয় প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে ইচ্ছে মাফিক নিজেদের দল,পরিবার কিংবা গোষ্ঠী উদ্ধার করতে।

সমস্যার সমাধান যেখান থেকে শুরু হবার কথা,সমস্যার সৃষ্টিও সেই একই জায়গা থেকেই শুরু হচ্ছে।তবে সমস্যা সমাধানের চেয়ে সমস্যা সৃষ্টি দৌড়ে সবসময়ই আমাদের দেশ এগিয়ে থাকে।তারপর সেই সমস্যা এতটা দ্রুত বেগে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে,যা কি-না সাধারণের একেবারে দোরগোড়া পর্যন্ত পর্যাপ্ত বিস্তৃত লাভ করে বসে।একটি সময় সমাধানের জন্য যেই আইন বা সংবিধান সৃষ্টি করা হয়,সেই আইন বা সংবিধান নিজেই সমস্যার সবচেয়ে বড় ঠিকাদার হিসেবে দাঁড় হতে বাধ্য হয়।

অনিরাপদ ও বিশৃঙ্খলা দমন করা যায়না,নিজেদের ষড়-রিপু যতক্ষণ পর্যন্ত নিজেরাই দমন করতে ব্যর্থ হয়।দেশ স্বৈরশাসক মুক্ত হলেও,আমাদের সমাজ,বিবেগ ও মনুষ্যত্ব এখন আত্নস্বৈরচার হিসাবে দেখা দিয়েছে।এর প্রতিকার ও প্রতিরোধ করা শুধু মাত্র রাষ্ট্রীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে অসম্ভব!যদি এদেশের মানুষের আত্ন-পরিসুদ্ধি অর্জন সম্ভব না হয়।নিজের জীবনের প্রতি মায়া সামান্য একটি কীটপতঙ্গ কিংবা যেকোনো প্রাণীরও আছে,সেখানে একজন মানুষ হয়ে আরেকজন মানুষের জীবন কেড়ে নেয়া,ধর্ম নিয়ে রক্তারক্তি করাটা মানব জাতিকে বর্বর ও হিংস্র প্রাণী হিসেবেই কি পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন না?সভ্য ও সুশিক্ষিত আমরা নাইবা হলাম!অন্তত পক্ষে মানুষ তো হতে চেষ্টা করতে পারি।মানব দেহে আজকাল কিভাবে নরপিশাচ ও শয়তান ইবলিস এসে জায়গা নিতে সক্ষম হলো!সেই এখন সবচেয়ে বড় ভাবনার বিষয়।শতভাগ নিরপরাধ ও নিষ্পাপ হয়ে পৃথিবীতে আগম করার পরও আমরা কেন শতভাগ অমানুষ হয়েই অনন্তকালের যাত্রায় গমন করতে এতটা মরিয়া!পৃথিবীর একমাত্র মানুষ ব্যতীত আর কোন প্রাণীর শুধু মাত্র জীবিকা ছাড়া বিলাসী জীবন যাপনের প্রয়োজন পড়েনা,এজন্যই কি আমরা সৃষ্টির সেরা নিজেদের দাবি করতে পারি!আমি আর এখন কাউকেই প্রশ্ন করিনা,শুধু আশ্চর্য হই নিজেকে নিয়েই,এ-সব দেখার জন্য,মেনে নেবার জন্যই কি তাহলে আমার /আমাদের আগমন এই মানব জনমে?

এই সমাজে আমি আর নিজেকে শিক্ষিত ভাবিনা,এটাও বেশ আতংকের বিষয়।পাঠ্য পুস্তক আমাদের অশিক্ষা দান করলো কি-না জানিনা,তবে শিক্ষক সমাজ,পরিবার, রাষ্ট্র, সমাজিকতা আর ধর্মও কি আমাদের সাথে শুধুই বিনিময় মুদ্রা অর্জনের প্রতিযেগিতা করে যাচ্ছেন না!সহসাই সন্দেহ ও অবিশ্বাসের দোলাচালে এক জীবন পাড়ি দিয়ে কত শত কোটি মানুষই এ জগৎ সংসারে এসে আবার ফিরেও গিয়েছেন।কিন্তু আজ তাদের কোথায় কি অবস্থান,কেউ জানতে পারছিনা।মৃত্যু আমাদের অতীব জরুরি শিক্ষা, সেই শিক্ষা থেকে আমরা এখনও যদি নিজেদের যোজন যোজন দুরত্বে পড়ে থাকিই,তবে আর পাঠ্য পুস্তক,শিক্ষক সমাজ,পরিবার,ধর্ম,সমাজিকতা ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রতি কথায় কথায় আঙ্গুল তুলতে পারি কি আমরা?

এই সমাজ নিয়ে ভাবতে গেলে মস্তিষ্কে পঁচন ধরে যায়,হৃদয়ে বিদ্রোহের অনল জ্বলে উঠে।সমাজের মানুষগুলোর দৃষ্টিতে যখন চকচক করে বিভৎস,কুৎসিত ও পৈশাচিক নজর।বিবেগ,বিবেচনা ও বিচারিক শক্তিতে যখনই জন্তু জানোয়ারের স্বরূপ উন্মোচিত হতে দেখি,তখন কিভাবে মনে হবে এখনও এই সমাজেরই একজন দিব্যি মানুষ হয়েই বেঁচে আছি আমিও !যে সমাজের মানুষগুলো অন্যের নির্দোষ ও নিষ্পাপ চেহারার দিকেও চরম অবিচারের আঙ্গুল তোলে,তখনও সেই একই মানুষ তার নিজের অন্ধ বিবেগ,বিবেচনা ও বিচারের দিকে নিজেকে একজন ন্যায়পরায়ণ মানুষ হিসেবেই দেখে,চোখে মুখে জ্বল জ্বল করে নোংরা হাসি, তবুও কেন আমি এই সমাজ নিয়ে এতটা ভাবতে চেষ্টা করি!এখানে হুবহু সত্যেররূপে যখন মানুষ চরম মিথ্যাকেই আনন্দ চিত্তে গ্রহণ করেন ঘরে ঘরে,তখনও কি নিজেকে একজন সমাজবাদী, মানবহিতৈষী হিসেবে মেনে নিতে পারি! অর্থসম্পদের অন্ধ মোহে আজকাল যখন দেখি একই পিতার ঔরসজাত এবং একই মায়ের পেটের ভাই -বোনগুলোও নিজ রক্তকে ভুলে লোভের দাসত্ব করতে,তখনও কি পরিবার বাদী হিসেবে আর কোন কিছু ভাবতে পারি আমি?ধন্য এই সমাজ ব্যবস্থা!ধন্য এই পরিবার ব্যবস্থা!আমি কখনও স্বজ্ঞানে অজ্ঞান হতে পারিনি বলেই শত্রু-মিত্র নির্ণয় করতে এখনও শিখিনি!অপরাধীকে অপরাধী হিসেবে গন্য করাই আমার আদর্শ,সে হোক দুর কিংবা অতি কাছের মানুষ।একমাত্র জন্মদাতা পিতামাতা ব্যতীত নিঃস্বার্থ দরদী কাউকে খুঁজে পাওয়া যে সমাজে দুঃসাধ্য বিষয়,সেই একই সমাজে এত প্রেম-ভালোবাসা,এত আপনের ছড়াছড়ি বেমানান ও বিষাদ নয় কি?

আজ চীন যাচ্ছেন ড. ইউনূস, থাকবে নানা ইস্যু

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ২:৪৩ অপরাহ্ণ
আজ চীন যাচ্ছেন ড. ইউনূস, থাকবে নানা ইস্যু

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে আজ বুধবার বেইজিং যাচ্ছেন। এ সফরের অন্যতম লক্ষ্য অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর মাধ্যমে ঢাকা-বেইজিং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া। তার সফরে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে, আসতে পারে কিছু ঘোষণাও।

আঞ্চলিক পরিস্থিতির পরিবর্তন এবং ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে উত্তেজনার মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার এই সফর ভূরাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে ড. ইউনূসের প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর হিসেবে চীনকে বেছে নেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি বার্তা দিচ্ছে বলে মনে করছে ঢাকা।

প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরের বিস্তারিত গতকাল মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তুলে ধরেন পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন। তিনি জানান, চীনের হাইনান প্রদেশে অনুষ্ঠেয় বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার (বিএফএ) সম্মেলনে যোগদান এবং বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য আজ বুধবার চীনের উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধান উপদেষ্টা। আগামীকাল ২৭ মার্চ বোয়াও সম্মেলনের প্লেনারি সেশনে বক্তব্য রাখবেন তিনি। এছাড়া এদিন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে চীনের স্টেট কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রিমিয়ার দিং ঝুঝিয়াংয়ের বৈঠক হতে পারে।

২৮ মার্চ বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ড. ইউনূস। সেখানে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় নানা ইস্যু ও সহযোগিতা আলোচনা হবে। একই দিনে হুয়াওয়ে কোম্পানির উচ্চ-প্রযুক্তিসম্পন্ন এন্টারপ্রাইজ পরিদর্শন করবেন প্রধান উপদেষ্টা। ২৯ মার্চ চীনের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় পিকিং ইউনিভার্সিটি তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করবে এবং সেখানে তিনি বক্তব্য রাখবেন। পরে বেইজিং থেকে চীনের একটি বিমানে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার। তার চীন সফরে ৫৭ জনের একটি প্রতিনিধিদল থাকছে।

প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর, বাংলাদেশের একটি বার্তা:

চীন সফরে বাংলাদেশের চাওয়া কি? সাংবাদিক সম্মেলনে এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন বলেন, এ সফরে চাওয়াটা বহুমাত্রিক। চীন আমাদের অন্যতম বড় উন্নয়ন সহযোগী। দুই দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ছে। আমরা নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে চলেছি, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। প্রধান উপদেষ্টা তার প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর হিসেবে চীনকে বেছে নেওয়ার মাধ্যমে একটা বার্তা আমরা দিচ্ছি। তবে এ বার্তা কার উদ্দেশে সে বিষয়টি স্পষ্ট করেননি তিনি।

পররাষ্ট্র সচিব জানান, এই সফরটি বাংলাদেশ-চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ঐতিহাসিক সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং আমাদের সম্পর্ককে আরও গভীর করার এবং নতুন দিগন্ত উন্মোচনের একটি সুযোগ তৈরি করবে।

চীন সফরে চুক্তি ও ঘোষণা:

প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে পানি সম্পর্ক উন্নয়নে অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহায়তা, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া বিষয়ক সহায়তা এবং গণমাধ্যম বিষয়ক সহযোগিতা। এছাড়া অর্থনৈতিক বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতা নিয়ে কিছু ঘোষণা আসতে পারে।

তিস্তা প্রকল্প, সামরিক ইস্যুতে আলোচনা:

তিস্তা প্রকল্প নিয়ে চীনের সঙ্গে কোনো সমঝোতা স্মারক সই হবে কি না—এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্র সচিব জানান, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের মধ্যে বৈঠকে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে আলোচনার সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যে বৈঠকটি হবে, সেটি শীর্ষ নেতৃত্ব তাদের পছন্দ অনুযায়ী কথা বলবেন। তবে, আমাদের দিক থেকে এবং চীনের দিক থেকে পানি ব্যবস্থাপনার বিষয়ে কথা বলার আগ্রহ আছে। পানি ব্যবস্থাপনার আওতায় তিস্তা প্রকল্প নিয়ে কথা বলার সুযোগ আছে। এছাড়াও স্বাস্থ্য, রোহিঙ্গা, জিডিআই, অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

সামরিক বিষয়ে আলোচনা নিয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আমাদের দিক থেকে চীনের সঙ্গে সামরিক বিষয়ে যে আলোচনা আছে তার সাধারণ একটা আলোচনা হবে।

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে জসীম উদ্দিন বলেন, রোহিঙ্গা সংকট দীর্ঘদিনের। এর মধ্যে সাত বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। বাংলাদেশের দিক থেকে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে সমস্যার যেন সমাধান হয়। মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনায় চীনও আমাদের সহায়তা করেছে। তিনি বলেন, দুই নেতার বৈঠকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যে উদ্ভূত পরিস্থিতি সেটি নিয়ে চীন কী ভাবছে তা আমরা দেখতে পারি। আমাদের চিন্তা তাদের জানাতে পারি।

স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে আলোচনা চলছে এবং সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চীনে বাংলাদেশি রোগীদের প্রথম ব্যাচ গেছে। আমি যতটুকু জানতে পেরেছি, তারা চিকিৎসাসেবায় সন্তুষ্ট। এছাড়া বাংলাদেশি রোগীদের জন্য কুনমিংয়ে চারটি হাসপাতাল চিহ্নিত করা হয়েছে। সচিব বলেন, আমাদের প্রত্যাশা, সামনের সময়ে এই সহযোগিতা আরও বাড়বে এবং চীন বাংলাদেশে একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল করবে, যেটি বাংলাদেশ ও চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের যে সুবর্ণজয়ন্তী, তার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ বিষয় হবে।

নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য অস্পষ্ট ও হতাশাজনক: মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ২:৩৫ অপরাহ্ণ
নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য অস্পষ্ট ও হতাশাজনক: মির্জা ফখরুল

ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য অস্পষ্ট ও হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (২৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের অবস্থিত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপির মহাসচিবসহ নেতাকর্মীরা।

এসময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য অস্পষ্ট। ন্যূনতম সংস্কার শেষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি নির্বাচনের কথা বলে ক্ষমতায় যেতে নয়, জনগণের ভোটাধিকার আদায়ের জন্য। নির্বাচিত সরকারই পারে সংকট সমাধান করতে।

অন্যদিকে চব্বিশকে যারা দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে তারা একাত্তরকে ছোট করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতারা। আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করেছে বলে অভিযোগ তাদের। দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করার দাবি তারাও জানান।

জাতীয় স্বাধীনতা দিবসে দেশের বীর সন্তানদের স্মরণ করছে জাতি। সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টাসহ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ।

এখানেই শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, চব্বিশকে যারা দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে তারা একাত্তরকে ছোট করতে চায়। ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে তাতেই বিশ্বাস রাখতে চায় তার দল। জাতির প্রয়োজনে সবাইকে এক হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।

গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকার স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামীতে দেশের মানুষের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে।

নারায়ণগঞ্জে ডিসি কার্যালয়ের সভায় ‘জয় বাংলা স্লোগান’ নিয়ে উত্তেজনা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ২:২৯ অপরাহ্ণ
নারায়ণগঞ্জে ডিসি কার্যালয়ের সভায় ‘জয় বাংলা স্লোগান’ নিয়ে উত্তেজনা

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের এক অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসকের সামনে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে বক্তব্য শেষ করেছেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক কমান্ডার ও বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী।

এ ঘটনা নিয়ে সভা শেষে বিভক্তি দেখা দেয় দুই পক্ষের মধ্যে। শুধু তাই নয়, ঘটনাটির নিন্দা জানিয়ে মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করা হয়েছে। মানববন্ধন থেকে বুধবারের স্বাধীনতা দিবসের সভায় মোহাম্মদ আলীকে প্রতিরোধের ঘোষণা দেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু। তিনি মোহাম্মদ আলীকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ও ফ্যাসিস্ট শামীম ওসমান, সেলিম ওসমানের দালাল হিসেবে উল্লেখ করেন।

জানা গেছে, সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ আলী।

সে সময় তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসক একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। কাজেই আমাদের জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো অসম্মান হবে না। এবং কোনো অসুবিধা হবে না। আগামী দিনে আমরা সবাই মিলে থাকবো, আমাদের যেন সমস্যা না হয়। এবার যতটুকু অনুদান দিয়েছে এটাতে আমরা খুশি। আগামীতে যেন বেশি পাই এজন্য জেলা প্রশাসকের কাছে অনুরোধ করছি, এবার ১৪০ জনকে অনুদান দেয়া হয়েছে, আগামীতে যেন ২৪০ জনকে দেয়া হয়।’ শেষাংশে তিনি উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: আলমগীর হুসাইনের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো: মনিরুজ্জামান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আরা বেগম প্রমুখ।

এ সময় ১৪০ জন মুক্তিযোদ্ধার মাঝে ১০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। অনুষ্ঠান শেষে অনুদানের তালিকা নিয়ে তর্কের জেরে মুক্তিযোদ্ধাদের দুইপক্ষের মধ্যে হট্টগোল ও হৈ-চৈ হয়।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, ‘২৬ মার্চে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হবে। সেখানে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধারা আসবেন। কিন্তু এই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা, ফ্যাসিস্ট ডেভিল মোহাম্মদ আলী যদি এখানে আসে তাহলে আমরা নারায়ণগঞ্জের জনগণ তাকে প্রতিরোধ করবো।’

মঙ্গলবার এক প্রস্তুতি সভা শেষে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে একথা বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, ‘ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানকে জিম্মি করে যিনি সবসময় বিতর্কিত কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন, তিনি হলেন মোহাম্মদ আলী। এই মোহাম্মদ আলী নারায়ণগঞ্জের কোনো রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে অংশ নিক আমরা তা চাই না।’

তিনি বলেন, ‘আগামীকাল ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ও ফ্যাসিস্ট, শামীম ওসমান, সেলিম ওসমানের দালাল মোহাম্মদ আলী যদি শিল্পকলা একাডেমিতে আসে তাহলে তাকে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ করবো।’

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সাথে সাক্ষাৎ করে তথাকথিত বিতর্কিত নামধারী মুক্তিযোদ্ধা এবং বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকার ও নারায়ণগঞ্জের গডফাদার শামীম ও সেলিম ওসমানের সকল অপকর্মের পৃষ্ঠপোষক এবং দোসর ডেভিল দাবি করে মোহাম্মদ আলীর তথাকথিত জয় বাংলার স্লোগানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে সরকার ও প্রশাসনের সকল কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখার দাবি জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে দাবি জানান মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো: আবু আল ইউসুফ খান টিপু।