খুঁজুন
শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৫ মাঘ, ১৪৩১

ছাত্র আন্দোলনে নীরব থাকায় দুঃখ প্রকাশ সাকিবের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:৪৮ পূর্বাহ্ণ
ছাত্র আন্দোলনে নীরব থাকায় দুঃখ প্রকাশ সাকিবের

অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন সাকিব আল হাসান। ছাত্র আন্দোলনে নীরব থাকা নিয়ে নিজের ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে রাজনীতিতে জড়ানো নিয়েও ব্যাখ্যা দিয়েছেন টাইগার এই অলরাউন্ডার।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পড়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। আর বিলুপ্ত হওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদের আওয়ামী লীগের টিকিটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিলেন ক্রিকেটার সাকিব। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে সংসদ সদস্যের পদ খোয়াতে হয় তাকে।

ছাত্র আন্দোলনে নীরব থাকা সাকিবের নামে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর দেশে হয়েছে হত্যা মামলাও। দেশে এলে হয়তো গ্রেফতার হতে পারেন সাকিব। যে কারণে ভারত সফরে টেস্ট সিরিজ শেষেই টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেন সাকিব।

অবশেষে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দীর্ঘ এক পোস্টে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন সাকিব। প্রথমেই আন্দোলনে মারা যাওয়াদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, আসসালামু আলাইকুম, আমার দেশের প্রতিটি মানুষের ভালোবাসার প্রতি শ্রদ্ধা। আমার প্রতি আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা আমাকে আজকের এই সাকিব আল হাসান হিসেবে বিশ্ব দরবারে সমাদৃত করেছে। শুরুতেই আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সেসব আত্মত্যাগকারী ছাত্রদের, যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহিদ হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন। তাদের প্রতি এবং তাদের পরিবারের প্রতি আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে শ্রদ্ধা এবং সমবেদনা। যদিও স্বজনহারা একটি পরিবারের ত্যাগকে কোনো কিছুর বিনিময়ে পূরণ করা সম্ভব না। সন্তান হারানো কিংবা ভাই হারানোর বেদনা কোনো কিছুতেই পূরণযোগ্য নয়।

ছাত্র আন্দোলনে নিজের নীরব ভূমিকার দায় নিজের মাথায় পেতে নিয়ে সাকিব বলেন, এই সংকটকালীন সময়টাতে আমার সরব উপস্থিতি না থাকায় আপনারা যারা ব্যথিত হয়েছেন বা কষ্ট পেয়েছেন তাদের অনুভূতির জায়গাটার প্রতি আমার শ্রদ্ধা এবং এজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আপনাদের জায়গায় আমি থাকলে হয়তো এভাবে মনঃক্ষুণ্ন হতাম।

রাজনীতিতে জড়ানোর ব্যাখ্যায় সাকিব বলেন, আমি খুবই স্বল্প সময়ের জন্য মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য ছিলাম। আমার রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়াটা ছিল মূলত আমার জন্মস্থান অর্থাৎ আমার মাগুরার মানুষের উন্নয়নের জন্য সুযোগ পাওয়া। আপনারা জানেন যে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নির্দিষ্ট কোনো দায়িত্ব ছাড়া নিজের এলাকার উন্নয়নে সরাসরি ভূমিকা রাখাটা একটু কঠিন। আর আমার এই এলাকার উন্নয়ন করতে চাওয়া আমাকে সংসদ সদস্য হতে আগ্রহী করে। যাই হোক দিনশেষে আমার পরিচয় আমি একজন বাংলাদেশের ক্রিকেটার। আমি যখন যেখানে যে অবস্থাতেই থেকেছি অন্তর থেকে ক্রিকেটকেই ধারণ করেছি।

তিনি আরও লিখেছেন- এই ক্রিকেটকে ধারণ করে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের সম্মান অর্জন করার পথে এগিয়ে নিয়ে গেছেন আপনারা। আপনাদের ভালোবাসা এবং সমর্থন আমাকে আজকের সাকিব আল হাসান বানিয়েছে। আমি যখন দেশের জন্য ক্রিকেটের মাঠে ব্যাট ধরেছি তখন আমার সাথে ব্যাট ধরেছেন আপনারা সবাই। গ্যালারি থেকে আপনাদের চিৎকার, আপনাদের সমর্থন আমাকে ভালো খেলার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। ক্রিকেট ম্যাচের দিন চায়ের দোকানে টেলিভিশনের সামনে উপচেপড়া ভিড় আমাকে শক্তি জুগিয়েছে। আমি জিতলে আপনারা সবাই জিতেছেন। আমি হেরে গেলে হেরে গেছেন আপনারা সবাই।

দেশের মাটিতে সাদা পোশাকে শেষ ম্যাচ খেলার আকুতি জানিয়ে সাকিব বলেন, আপনারা জানেন, খুব শীঘ্রই আমি আমার শেষ ম্যাচটি খেলতে যাচ্ছি। আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরু থেকে আজকের সাকিব আল হাসান হয়ে ওঠা পর্যন্ত এই পুরো জার্নিটাকে ড্রাইভ করেছেন আপনারা। ক্রিকেটের এই গোটা গল্পটা আপনাদের হাতেই লেখা! তাই আমার শেষ ম্যাচে, এই গল্পের শেষ অধ্যায়ে, আমি আপনাদের পাশে চাই। আমি আপনাদের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বিদায় নিতে চাই। বিদায় বেলায় সেই মানুষগুলোর হাতে হাত রাখতে চাই, যাদের হাতের তালি আমার ভালো খেলতে বাধ্য করেছে। বিদায় বেলায় সেই মানুষগুলোর চোখে চোখ রাখতে চাই, আমার ভালো খেলায় যাদের চোখ আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়েছে। আবার আমার খারাপ খেলায় যাদের চোখ ছলছল করেছে।

আমি আশা করি, শুধু আশা না বিশ্বাস করি– এই বিদায় বেলায় আপনারা সবাই আমার সঙ্গে থাকবেন। সবাই সঙ্গে থেকে সেই গল্পের ইতি টানবেন, যে গল্পের নায়ক আমি নই, আপনারা!

রাজধানীতে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নিহত কাভার্ডভ্যান চালক

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:৪৬ অপরাহ্ণ
রাজধানীতে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নিহত কাভার্ডভ্যান চালক

রাজধানীর হাজারীবাগ শেখ রাসেল স্কুলের পার্শে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় লিটন দাস (৪০) কাভার্ডভ্যান চালক নিহত।

শনিবার(০৮ ফেব্রুঃ)সকালের দিকে এই ঘটনাটি ঘটে।পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ২টার দিকে মৃত ঘোষণা করে।

তাকে নিয়ে আসা রবিউল বলেন,
নিহত লিটন দাস রিয়া পরিবহন কোম্পানির কাভার্ডভ্যান চালক,সকালে হাজারীবাগ শেখ রাসেল স্কুলের পার্শে একটি কাভার্ডভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় একটি অন্য একটি কাভার্ডভ্যান পেছনে গাড়ি ব্যাক গিয়ারে দিয়ে যাওয়ার সময় চাঁপা দেয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সিকদার মেডিকেলে নিয়ে যায় পরে অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

তিনি আরো বলেন,
নিহতের বাসা ঢাকেশ্বরী অরফারেন্স রোডের১৩/২ নম্বর বাসা ভরত লাল ঘোষের সন্তান। নিহত দুই মেয়ে এক ছেলের জনক।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।

রাজধানীর নবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১

আব্দুল্লহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:৪৩ অপরাহ্ণ
রাজধানীর নবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১

ঢাকার নবাবগঞ্জ বেরি বাঁধে দ্রুতগতির মোটরসাইকেলে ধাক্কায় পরান শাঁখারি(৮০)বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। নিহত পরান শাখারী ঢাকার নবাবগঞ্জ
উপজেলার নবগঞ্জ থানার ঢাকার নবাবগঞ্জের কল্যান শ্রী গ্রামের গ্রামের মৃত রায় মোহন শাখারীর ছেলে।

শনিবার(৮ ফেব্রুঃ)সকালের দিকে নবাবগঞ্জের বেরিবাঁধ দিয়ে বাজারে যাওয়ার সময় ৯টাই এই ঘটনাটি ঘটে।পরে মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা শেষে দুপুর ১২ টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ছেলে কৃষ্ণ পদ্মা শাখারী বলেন,
আজ সকালের দিকে আমার বাবা বাজারে যাচ্ছিল। এ সময় নবাবগঞ্জের বেরিবাঁধে দ্রুত গতির একটি মোটরসাইকেল ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত হয় আমার বাবা।পরে খবর পেয়ে আমরা তাকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই।পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আমার বাবাকে মৃত বলেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোঃ ফারুক বলে,
আজ দুপুরের দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই বৃদ্ধকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়েছিল। পরে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।

গাজীপুরে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা, আহত ১৫

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:০৭ পূর্বাহ্ণ
গাজীপুরে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা, আহত ১৫

গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আখম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা করার সময় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত অবস্থায় ৮ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়।

শুক্রবার দিবাগত রাত ১:৪০মিনিট থেকে রাত ২টার দিকে তাদের হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসে। আহতরা হলেন- শুভ শাহরিয়া(১৬), ইয়াকুব(২৪), সৌরভ (২২), কাশেম(১৭),ও হাসান(২২) অজ্ঞাত নামে আরও তিনজন রয়েছে।

হাসপাতলে আহতদের মধ্যে সৌরভের বন্ধু পিয়াস বলেন,
রাত সাড়ে আটটার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা আ খ ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে যায়। এরপর আওয়ামী লীগের লোকজন মাইকিং করে তাদের উপরে হামলা চালায়। এতে তার বন্ধুসহ অনেকেই আহত হয়। এদের মধ্যে ৮ জনকে এখন পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়েছে।

আহতদের মধ্যে শুভ শাহরিয়া গাজীপুরের সাইন বোর্ডের কামারজুরি এলাকার ফজলুর ছেলে। ইয়াকুবের বাড়ি গাজীপুর গাছা থানার শরিপুর গ্রামের মেহের আলীর ছেলে।সৌরভের বাড়ি টঙ্গি পূর্ব থানার মধুমিতা রোডের গণেশ ঘোষের ছেলে। কাশেমের বাড়ি গাছা থানার আলহেরা পেট্রোল পাম্প এলাকার মৃত হাজী জামালের ছেলে এবং এবং হাসানের বাড়ি জয়দেবপুর থানার জোড়পুকুর এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো: ফারুক বলে, গাজীপুর থেকে আহত অবস্থায় ৮ জনকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে।জরুরী বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।