খুঁজুন
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ, ১৪৩১

৩৬৫ দিন নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:৪২ অপরাহ্ণ
৩৬৫ দিন নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের সকল নাগরিকের বছরের ৩৬৫ দিন নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। এটা অক্ষুণ্ন থাকবে।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, মাঝে মাঝে দু একটি ঘটনা ঘটে। এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। পূজা কমিটির মহাসচিব আমাকে জানিয়েছেন, পূজা কেন্দ্র করে কোনো ঘটনা ঘটতে পারে এমন তথ্য তার কাছে নেই। সবাই যদি আপনারা সহযোগিতা করেন, বাংলাদেশের সব মানুষকে ৩৬৫ দিন নিরাপদে থাকবে।

পূজার দশমী দিনের নিরাপত্তা কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আগামী রোববার (১৩ অক্টোবর) পর্যন্ত বিশেষ নিরাপত্তা থাকবে। এরপরেও সারা বাংলাদেশে নিরাপত্তা থাকবে। এবারের পূজার নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও র‌্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীকে নিরাপত্তার দায়িত্বে রাখা হয়েছে। যেসব স্থানে যে পরিমাণ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য প্রয়োজন, সেখানে সেভাবে মোতায়ন করা হয়েছে। আমি আশা করব এবার পূজা খুবই ভালোভাবে অনুষ্ঠিত হবে। আপনারা সবাই সহযোগিতা করবেন।

তিনি আরও বলেন, পূজার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ৮ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এই নির্দেশনাগুলো দেওয়া হয়েছে, সবাই ভালোভাবে পালন করবেন।

কোথাও কোনো ঘটনা ঘটলে, যেন সঙ্গে সঙ্গেই খবর পাওয়া যায় এ জন্য জাতীয় টেলিকমিউনিকেশন সেন্টারকে (এমটিএমসি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব হলেন সরওয়ার আলম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:০০ অপরাহ্ণ
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব হলেন সরওয়ার আলম

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে মো. সরওয়ার আলমকে। আজ সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল হায়াত মো. রফিকের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ধারা ৪৯ অনুযায়ী মো. সরওয়ার আলমকে (পরিচিতি নম্বর: ৭৬০৯) অন্য যেকোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে দুই বছর মেয়াদে সচিব পদমর্যাদায় রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো।

নিয়োগের অন্যান্য শর্ত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানের মর্যাদা রাখতে হবে: দুদু

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:৫৭ অপরাহ্ণ
নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানের মর্যাদা রাখতে হবে: দুদু

নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করার মধ্য দিয়েই ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মর্যাদা ধরে রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।আজ সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ছাত্র-জনতার এই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দিক হচ্ছে একটি নির্বাচিত সরকার। সেই নির্বাচিত সরকার যতক্ষণ না আসবে গণঅভ্যুত্থান তার মর্যাদা হারাবে। নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করার মধ্য দিয়েই সেই মর্যাদা ধরে রাখতে হবে ও সংকট কাটাতে হবে।

তিনি বলেন, ড. মো. ইউনূস সাহেব একটু হুঁশে আসুন। এই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দিক হচ্ছে একটি নির্বাচিত সরকার। এর কোনো ভিন্ন পথ আছে এটা আমি মনে করি না। সেজন্য আমরা নির্বাচনের আহ্বান করেছি। আমি মনে করি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচনের দিকে দেশকে এগিয়ে নেওয়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, ভারত একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের যে সহযোগিতা করেছিল, আমাদের দেশের মানুষকে তাদের ভূখণ্ডে জায়গা দিয়েছিল, এ জন্য আমরা তাদেরকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা তাদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করি। কিন্তু এই ভারত বিগত ৫৩ বছরে আমাদের বন্ধুত্ব, আমাদের কৃতজ্ঞতাকে তাদের স্বার্থে ব্যবহারের চেষ্টা করেছে। মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করার পরে নব্য বাংলাদেশে লুটপাট করেছিল তাদের সেনাবাহিনী এবং জনগণ।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্বিচারে শেখ হাসিনা যেমন লুটপাট করেছেন, ঠিক তেমনই সেই সময় ভারতও বস্তা বস্তা টাকা লুট করেছে। তখন আমাদের টাকার দরকার ছিল। কারণ সদ্য স্বাধীন দেশে সাধারণ মানুষের জন্য খাবারের প্রয়োজনে, বেঁচে থাকার প্রয়োজনে টাকার দরকার ছিল। কিন্তু সেই সময় ভারত টাকা নিয়ে গেছে। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ পাকিস্তানিদের কাছ থেকে যে অস্ত্র পেয়েছিল সেই অস্ত্রগুলো তারা ট্রাকে ভরে ভারতে নিয়ে গিয়েছিল। সেই সময় রাশিয়ান কয়েকটি এসএলআর ছাড়া বাংলাদেশে আর কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি। অথচ, হাজার হাজার কোটি টাকার অস্ত্র সেই সময় আমাদের বাংলাদেশে থাকার কথা ছিল।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরপরই পার্শ্ববর্তী বন্ধু নামধারী দেশটি সদ্য স্বাধীন এই বাংলাদেশের সঙ্গে যে ব্যবহার করেছে, সেই একই ব্যবহার আমরা এই ডিসেম্বরেও লক্ষ্য করেছি। এমনকি ভারত ভয়ংকর গণহত্যাকারী ও লুটেরা শেখ হাসিনা এবং তার দলকে আশ্রয় দিয়েছে। এই আশ্রয়ের মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে তারা গণহত্যাকারী এবং লুটেরার পক্ষের একটা শক্তি। অর্থাৎ ভারত সবসময়ই আওয়ামী লীগ, শেখ মুজিব, শেখ হাসিনার বাইরে আর অন্য কোনো চিন্তা করতে পারে না। আর এর বাইরে কোনো চিন্তা করতে পারেনি বলেই তারা বাংলাদেশের জনগণের বন্ধু হতে পারেনি।

‘বিএনপি লড়াই করেছে বলেই ছাত্ররা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটাতে পেরেছে’

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:৫৫ অপরাহ্ণ
‘বিএনপি লড়াই করেছে বলেই ছাত্ররা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটাতে পেরেছে’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৫ বছর ধরে বিএনপির ওপর মামলা-হামলা ও নির্যাতন চালানো হয়েছে। বিএনপির ত্যাগ-নির্যাতন এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। বিএনপি লড়াই করছে বলেই ছাত্ররা ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটাতে পেরেছে। আজ সোমবার ঠাকুরগাঁওয়ে এক জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।

খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে আওয়ামী লীগ হত্যা করতে চেয়েছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি করার অপরাধে লাখ লাখ নেতাকর্মীকে নানাভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। এখন বাড়িতে পুলিশ যায় না এর চেয়ে বড় শান্তি আর নেই।

দেশে গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘকাল ধরে লড়াই করেছে জনগণ এমন মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকে জনগণের ওপর নির্যাতন শুরু করেছে। এতো পাপ করছে যে শেখ হাসিনার পালানো ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।

বাংলাদেশের আন্দোলনকে উগ্রবাদী বিদ্রোহ বলে বহির্বিশ্বে শেখ হাসিনা অপপ্রচার করছে বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনা এখন ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে উগ্রবাদীদের বিদ্রোহ বলে অপপ্রচার করছে। কিন্তু তা ছিল জনগণের বিদ্রোহ।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, কোন রাজনৈতিক দলের নেতা নয়, স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন জিয়াউর রহমান। শেখ মুজিবুর রহমান যেখানে সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করেছিলো সেখানে জিয়াউর রহমান সব দলকে পুনর্বাসন করেছেন।

নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করতে চাই মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের জন্য প্রয়োজনে আরেকটা লড়াই হবে। ভোটের অধিকার আদায়ে ৫ আগস্টের মতো আবারও ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামতে হবে।

দায়িত্বশীল ব্যাক্তিদের উত্তেজনাপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাষ্ট্রের এমন সংস্কার বা পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন যাতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়। আওয়ামী লীগ আর নৌকা নয়, বরং সত্যিকারের পরিবর্তন চায় দেশের মানুষ।