খুঁজুন
সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ২৯ বৈশাখ, ১৪৩২

বাজরে আগুন, জিম্মি সাধারণ মানুষ

সিন্ডিকেটে বন্ধ ঢাকা ও চট্টগ্রামের ডিমের আড়ৎ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:৫২ পূর্বাহ্ণ
সিন্ডিকেটে বন্ধ ঢাকা ও চট্টগ্রামের ডিমের আড়ৎ

সারাদেশে চলছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের বাজার অগ্নিশর্মা। সরকারের তদারকি সংস্থাগুলোর অভিযান ঠেকাতে সিন্ডিকেট করে পাইকারি পর্যায়ে ঢাকার তেজগাঁও ও চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে আড়তের ব্যবসায়ীরা ডিম বিক্রি বন্ধ রেখেছে।

গত রোববার রাত থেকে আড়তে আনা হয়নি কোনো ডিম। ফলে সোমবার সকাল থেকে বিক্রিও বন্ধ ছিল। এমন পরিস্থিতিতে খুচরা বাজারে পণ্যটির দাম আরও বেড়েছে। প্রতি ডজন (১২ পিস) ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে রেকর্ড ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়।

এবিষয়ে সোমবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কাওরান বাজার পরিদর্শন শেষে বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, পণ্যের সিন্ডিকেট করে যারা দাম বাড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখনো যারা সিন্ডিকেট করে কারসাজির চেষ্টা করছে, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি আরও বলেন, বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যেসব পণ্যের সরবরাহ ঘাটতি আছে সেগুলোর বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। দ্রব্যমূল্যের দাম না কমাকে ব্যর্থতা হিসাবে মনে করেন কিনা প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, না, বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য দুই মাস যথেষ্ট সময় নয়। তবে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা সৃষ্টির মাধ্যমে সবকিছুকেই নিয়ন্ত্রণে আনা হবে।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর ফার্মের মুরগির ডিম এবং ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকারি সংস্থা কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। বেঁধে দেওয়া দাম অনুসারে উৎপাদক পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দাম ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১১ টাকা ১ পয়সা ও খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা হওয়ার কথা। সে হিসাবে খুচরা পর্যায়ে এক ডজন ডিমের দাম হয় ১৪২ টাকা। কিন্তু খুচরা বাজারে রোববার পর্যন্ত প্রতি ডজন ১৭০ টাকায় বিক্রি হলেও সোমবার ১৮০-১৯০ টাকায় ডিম বিক্রি হয়।

দুই সপ্তাহ ধরে ডিমের বাজারে অস্থিরতা ঠেকাতে মাঠে নামে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। যৌক্তিক মূল্যে ডিম বিক্রি না করায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানাও করেছে। পাশাপাশি অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ফার্ম থেকে প্রতিপিস ১১ টাকায় কিনে পাইকারি আড়তেই ১৫ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। সে কারণে ভোক্তা পর্যায়ে এই ডিম ১৬-১৮ টাকার ওপরে বিক্রি হয়েছে। আর এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে রাজধানীর ২২ জন ব্যবসায়ী। এছাড়া তেজগাঁও ডিম আড়তদারদের কারসাজিতে ২০ দিনে ভোক্তার পকেট থেকে ২৮০ কোটি টাকা লুটে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)।

তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আমানত উল্লাহ জানান, সরকার খুচরা পর্যায়ে ডিমের যে দাম নির্ধারণ করেছে, তার চেয়ে বেশি দাম দিয়ে খামারিদের কাছ থেকে ডিম কিনছেন তারা। এ কারণে বিক্রিও করতে হচ্ছে বাড়তি দামে। উদাহরণ হিসাবে তিনি বলেন, গতকাল (রোববার) রাতে তারা পাইকারিতে ডিম বিক্রি করেছেন প্রতিটি ১২ টাকা ৫০ পয়সা দরে। এই ডিম তারা কিনেছেন ১২ থেকে ১২ টাকা ২০ পয়সা দরে। তিনি জানান, তেজগাঁওয়ে দৈনিক ১৪-১৫ লাখ ডিম আসে। ঢাকায় ডিমের চাহিদা এক কোটি। তেজগাঁওয়ের বাইরে কিছু জায়গায় অনেকে ঠিকই উচ্চ দামে ডিম বিক্রি করছেন। কিন্তু বাড়তি দামে কেনাবেচার কারণে শুধু তাদের দায়ী করা হচ্ছে, অভিযান চালানো হচ্ছে। এজন্য ডিম বিক্রি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা।

তিনি বলেন, সরকারের নিয়ম না মানলে জরিমানা ও শাস্তি হতে পারে। তাই এখন বিক্রি বন্ধ রেখে কী করা যায়, সে উপায় খুঁজছি। আজ (সোমবার) ভোক্তা অধিদপ্তরের কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। তবে সেখানে সভা থাকায় কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারিনি।

সোমবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, খুচরা পর্যায়ে ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৯০ ও সাদা ডিম ১৭০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি ফার্মের মুরগির দামও চড়া। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০-২০০ টাকা ও সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-২৯০ টাকা।

এদিন দুপুরে কাওরান বাজারের চিত্র, এই বাজারের কোনো দোকানে ফার্মের মুরগির বাদামি রঙের ডিম বিক্রি হচ্ছে না। শুধু একটি দোকানে কয়েকটি লাল ও দুই ডজনের মতো সাদা রঙের ডিম পাওয়া গেছে। এসব ডিমের ডজন ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। যদিও সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতেই লাল ডিমগুলো বিক্রি হয়ে যায়।

পাহাড়তলীতে ডিমের আড়তে তালা:
সরকার নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রি করতে না পারায় চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে সোমবার সকাল থেকে আড়তগুলো বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। এ কারণে চট্টগ্রামে ডিমের বাজার আরও অস্থির হয়ে উঠছে। পাইকারি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে উৎপাদন পর্যায় থেকে প্রতিপিস ডিম ১০ টাকা ৫৮ পয়সা করে কিনতে এবং পাইকারিতে সেটি ১১ টাকা ১ পয়সা করে বিক্রি করতে। কিন্তু উৎপাদন পর্যায় থেকে ডিম কিনতে খরচ পড়ছে ১৩ টাকা ১০ পয়সা থেকে ১৫ পয়সা। খুচরা পর্যায়ে প্রতিটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৬ টাকায়। সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে ক্রয়-বিক্রয় করতে না পারায় আড়ত বন্ধ রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বেঁধে দেওয়া দামে ডিম ক্রয় ও বিক্রি করা যাচ্ছে না।

তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, ডিমের আড়তদাররা বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে ও ডিমের দাম বাড়াতে আড়তগুলো বন্ধ রেখেছে। এতে ভোক্তাপর্যায়ে ডিমের দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া তারা (আড়তদাররা) প্রশাসনকে অসত্য তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।

পাহাড়তলী বাজারের আড়তদার কামরুল হুদা গণমাধ্যমে বলেন, আমরা ডিমের ব্যবসা নিয়ে উভয় সংকটে আছি। উৎপাদন পর্যায় থেকে ডিম ক্রয় করলে রসিদও দেওয়া হচ্ছে না। ভোক্তা অধিকার থেকে আমাদের কাছে ক্রয়ের রসিদ চায়। আমরা কীভাবে ক্রয়ের রসিদ দেব? রসিদ না থাকায় আমাদের জরিমানা করা হচ্ছে। কিন্তু উৎপাদন পর্যায়ে যে বেশি টাকা রাখছে। সেটি ভোক্তা অধিকার শোনে না। ডিম ক্রয় করতে না পারায় আমাদের আড়তগুলো আপাতত বন্ধ রাখছি।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন, কার্যকরি সভাপতি বাতেন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ১০:১২ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন, কার্যকরি সভাপতি বাতেন

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির ‘বার্ষিক সাধারণ সভা-২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১১ মে) মতিঝিলের একটি হোটেলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দেশের বিভিন্ন জেলার বাস মালিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় দেশের পরিবহন সেক্টরের শীর্ষ সংগঠন ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি’র কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন, কফিল উদ্দিন আহমেদ। তিনি আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করবেন।

এছাড়া কার্যকরি সভাপতি পদ শূন্য হওয়াতে বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি এম এ বাতেনকে মালিকদের মতামতের ভিত্তিতে কার্যকরি সভাপতি পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মো: জোবায়ের মাসুদ এর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক ও পরিবহন সেক্টরের মালিক-শ্রমিক পরিষদের সমন্বয়ক এ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি পরিচালনা করবে প্রকৃত মালিকরা। বাস মালিক না হয়ে কেউ নেতৃত্ব নিতে পারবেন না। আর একটি বিষয় সবাই মাথায় রাখতে হবে এই সমিতি সব সময় রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থাকবে। এই বিষয়ে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।

সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির মহাসচিব মো. সাইফুল আলম বলেন, ‘পরিবহণ সেক্টরের ২০১৮ সালের কালো আইন বাতিল করতে হবে। ২০১৮ সালে যে সকল আইনের মাধ্যমে পরিবহণ মালিকদেরকে ধ্বংসের পায়তারা হয়েছিল। আমরা প্রধান অতিথির কাছে অনুরোধ করবো বাস মালিকদের শেষ করে দেয়ার আইনগুলো বাতিল করার বিষয়ে আপনি সরকারের কাছে জোর দাবি জানাবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিগত ঈদুল ফিতরের মতো স্তস্তিদায়ক ঈদযাত্রা যাতে ঈদুল আজহাতেও হয় সে বিষয়ে বাস মালিকদের নজর রাখতে হবে। একই সাথে যাত্রীদের স্বস্তির বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে।

নবনির্বাচিত সভাপতি কফিল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের আগের কমিটিই আছে। এর মধ্যে হাজী আলাউদ্দিন সাহেব না থাকায় আমি নির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলাম। কিন্তু আজ সাধারণ সভায় আমাকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাকি সবাই আগের দায়িত্বে আছেন।’

সভায় বিগত অর্থবছরের অডিটরিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়, পরবর্তীতে উপস্থিত মালিকদের সম্মতিতে অডিট রিপোর্ট পাশ হয়। এছাড়াও মালিকদের সম্মতিতে ; আগামী অর্থবছরে অডিট ফার্ম কে দায়িত্ব দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। গত অর্থবছরে যে ফার্ম অডিটরিপোর্ট প্রস্তুত করেছিলেন সেই প্রতিষ্ঠানকেই নতুন করে দায়িত্ব দেয়া হয়।

পাকিস্তানের দাবি প্রত্যাখ্যান করলো ভারত-আফগানিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ৯:২৭ অপরাহ্ণ
পাকিস্তানের দাবি প্রত্যাখ্যান করলো ভারত-আফগানিস্তান

পাকিস্তান দাবি করেছিল যে ভারতের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র আফগানিস্তানের ভূখণ্ডে পড়েছে। তবে পাকিস্তানের এমন দাবি ভিত্তিহীন ও মিথ্যা উল্লেখ করে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত ও আফগানিস্তান। খামা প্রেসের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

খামা প্রেস বলছে, দিল্লির ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আফগান ভূখণ্ডে আঘাত হেনেছে বলে পাকিস্তান যে দাবি করেছে- তা জোরালোভাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং তালেবান নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার প্রত্যাখ্যান করেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি গতকাল শনিবার পাকিস্তানের এমন দাবি উড়িয়ে দেন। একইভাবে আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র পাকিস্তানের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেন।

খামা প্রেসকে ওই মুখপাত্র বলেছেন, আফগানিস্তান নিরাপদ এবং সুরক্ষিত। এমন ঘটনা ঘটেনি। এই বিবৃতিটি পরোক্ষভাবে নিশ্চিত করেছে যে আফগানিস্তানের মাটিতে কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি।

পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র আহমদ শরিফ চৌধুরী দাবি করেছিলেন, ভারতের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র আফগান ভূখণ্ডে পড়েছে। তিনি উল্লেখ করেছিলেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং ভারত এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

পাকিস্তানের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভারত এবং আফগান কর্তৃপক্ষ উভয় দায়িত্বশীল যোগাযোগ এবং ফ্যাক্টভিত্তিক রিপোর্টের আহ্বান জানিয়েছে।

১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ২:৩২ অপরাহ্ণ
১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ

বাংলাদেশের পরিবহন খাতে দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্ব দেওয়া হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. হানিফ দীর্ঘ ১৫ বছর প্রবাসে কাটিয়ে অবশেষে দেশে ফিরেছেন।

শনিবার (১০ মে) লন্ডন থেকে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হানিফ এন্টারপ্রাইজের জেনারেল ম্যানেজার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, স্যার এখনও বিমানবন্দরে আছেন। আমরা তাকে অভ্যর্থনা জানাতে এসেছি।

হানিফ এন্টারপ্রাইজ সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরে হানিফ এন্টারপ্রাইজের ৩৫টি বাসে শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে স্বাগত জানাতে এসেছেন।

জানা যায়, ২০১০ সালের দিকে পারিবারিক, ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক কিছু জটিলতা এবং শারীরিক কারণে তিনি স্থায়ীভাবে দেশের বাইরে বসবাস শুরু করেন। তবে দেশের বাইরে থাকলেও হানিফ এন্টারপ্রাইজের নীতিনির্ধারণী কার্যক্রমে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন।