খুঁজুন
সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ২৯ বৈশাখ, ১৪৩২

লুটেপুটে খেতেই দুষ্কৃতিকারীদের ষড়যন্ত্র

বিআরটিসির চলমান উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতেই দুষ্কৃতিকারীদের নাটকীয় মানববন্ধনের অপচেষ্টা-থানায় জিডি

মোঃ হাসানুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ৭:১১ অপরাহ্ণ
বিআরটিসির চলমান উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতেই দুষ্কৃতিকারীদের নাটকীয় মানববন্ধনের অপচেষ্টা-থানায় জিডি

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন বা বিআরটিসি একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পরিবহন সংস্থা। দেশের অধিকাংশ সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতোই বিআরটিসিও একটা দীর্ঘ সময় ধরে ভুগছিলো লোকসান নামক পুষ্টিহীনতায়। কিন্তু ২০২১ সালে মোঃ তাজুল ইসলাম বিআরটিসির দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই পাল্টে যায় সংস্থাটির সার্বিক চিত্র। লোকসান কাটিয়ে লাভের মুখ দেখতে শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।

কিন্তু বিগত সরকারের আমলে লুটেপুটে খাওয়া দুষ্কৃতিকারীদের তা মোটেও সহ্য হচ্ছে না। তাই বিআরটিসি ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলামের সুনাম ক্ষুন্ন করতে তথাকথিত কিছু গণমাধ্যমের সহায়তায় একদল দুষ্কৃতিকারী বহিরাগত লোক ভাড়া করে সাজানো হয়েছে একটি নাটকীয় মানববন্ধন।

অজস্র ভুল বানানের সমারোহে “ছাত্র জনতা ও বিআরটিসি ক্ষতিগ্রস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ” নামক ব্যানারে ১৬ অক্টোবর বিআরটিসি ভবনের সামনে একটি নাটকীয় মানববন্ধন করে কথিত কিছু দুষ্কৃতিকারী সদস্য। কিন্তু পরে জানা যায় তারা বহিরাগত এবং একটি সিন্ডিকেটের সদস্য। তাদের কার্যবিধি দেখে সন্দেহ হলে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে স্থানীয় সচেতন লোকদের সহায়তায় একজনকে আটক করে নিরাপত্তা কর্মীরা। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। জানা যায়, বিআরটিসির বাস চুক্তিতে নিতে চান একটি শক্তিশালী প্রতারক চক্র। চুক্তির নামে বাসগুলো লুটেপুটে খাওয়াই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য। কিন্তু রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই বিআরটিসির বর্তমান চেয়ারম্যান কোনো অপচক্রের হাতে বাস তুলে দিতে রাজি হননি। ব্যস এখানেই ষড়যন্ত্রের শুরু।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘কথিত ওই মানববন্ধন যে সম্পূর্ণ সাজানো ও কুচক্রের অংশ তা খুব সহজেই অনুমান করা যায়। কারণ তাদের দাবি ছিলো বিআরটিসির চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলামের পদত্যাগ। বছরের পর বছর ধরে যে প্রতিষ্ঠানটি মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে। আর নতুন একজন এসে যখন সেই প্রতিষ্ঠানকে অন্ধকার থেকে আলোর মুখ দেখান। তাকে অপসারণের দাবি যে একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ তা বুঝতে আর রকেট সাইন্টিস্ট হতে হবে না।’

মাঝবয়সী আরেকজন স্টাফ বলেন, ওই কথিত মানববন্ধনে বিআরটিসির কোনো স্টাফ ছিলো না। থাকলে আমি সবাইকে চিনতাম। এমনকি ব্যানারের লেখা, শব্দচয়ন, তাদের শারীরিক ভাষা, আন্দোলন ও দাবির ধরন, ভিন্ন ভিন্ন স্লোগান দেখে বোঝা-ই যায় এটি কোনো ভুক্তভোগী গোষ্ঠী নয়।’

এ ঘটনায় বিআরটিসির চেয়ারম্যান জনাব মোঃ তাজুল ইসলামের মতামত জানতে একাধিকবার কথা বলি আমরা। তিনি বলেন, “বিআরটিসি এখন আর সরকার ও জনগণের জন্য কোনো বোঝা নয়। আমরা এটিকে একটি জনকল্যাণমুখী সংস্থায় রুপদান করতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু যারা কথিত এই মানববন্ধন করেছে। তারা একটি বড় সুবিধা হাসিল করতে চায়। বিআরটিসিকে নিয়ে যত ষড়যন্ত্রই করা হোক না কেনো। আমাদের সুনাম ও উন্নয়নের ধারাকে কেউই থামাতে পারবে না।”

এবিষয়ে বিআরটিসি মিডিয়া মুখপাত্র (কারিগরি পরিচালক) কর্নেল মোহাম্মদ মোবারক হোসেন মজুমদার-পিএসসি বলেন, ‘ওইদিন যারা ব্যানার নিয়ে কথিত মানববন্ধন করেছে, তাদের কেউই আমাদের প্রতিষ্ঠানের লোক নয়। এমনকি ছাত্র জনতা বলা হলেও সেখানে কোনো ছাত্রই ছিলোনা। মূলত বহিরাগত একদল দুষ্কৃতিকারী গোষ্ঠী আমাদের প্রতিষ্ঠানের চলমান উন্নয়নের ধারাকে বাধাগ্রস্ত করতেই এসব পাঁয়তারা করছে। আমরা প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

তথ্য বলছে, বিআরটিসির বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিআরটিসির সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বেতন ভাতা নিজস্ব আয় হতে প্রতিমাসের ১ তারিখে পরিশোধ করা হচ্ছে। যা ইতোপূর্বে কখনো নিয়মিত পরিশোধ হতো না। ৩ মাস অন্তর অন্তর গ্র্যাচুইটি, সিপিএফ ও ছুটি নগদায়নের অর্থ অনলাইনে পরিশোধ করা হচ্ছে। কর্পোরেশনের কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পূর্বের বকেয়া বেতনের টাকা অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে তাদের স্ব-স্ব ব্যাংক হিসাবে পরিশোধ করেছেন।

বিআরটিসির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ১৪,৭৯৪ জন ও ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৬,৯৬২ জন নারী ও পুরুষকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। মেট্রোরেলের যাত্রী পরিবহনের জন্য বিআরটিসি ও ডিএমটিসিএল এর মধ্যে চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে মেট্রোরেলের যাত্রী পরিবহন সেবা চলমান রয়েছে।

বর্ণিত সময়ের মধ্যে ভারী মেরামত করা গাড়ীর সংখ্যা প্রায় ৪০০। বহরে থাকা সচল গাড়ীর সংখ্যা ১১৯৮ টি এবং আরও নতুন কিছু গাড়ি বিআরটিসির বহরে শিগগিরই যুক্ত হবে বলে জানা যায়। বর্তমানে ১৯১টি এসি বাসে আনলিমিটেড ডরভর সুবিধা চালু করা হয়েছে। বিআরটিসি তার জনকল্যাণকর কাজের জন্য জনসাধারণ, সংবাদ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়েছে। যার স্বীকৃতিস্বরুপ ২০২১-২২ অর্থ বছরে এপিএ বাস্তবায়নের প্রথম স্থান অর্জন, মন্ত্রণালয়ের অধিনস্থ প্রতিষ্ঠান প্রধানদের মধ্যে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রাপ্তি এবং সেবা সহজিকরণ ও বিভিন্ন উদ্ভাবনী উদ্যোগের জন্য জনপ্রশাসন পদক প্রদান সংক্রান্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বাছাই কমিটির সুপারিশক্রমে জাতীয় কমিটিতে উপস্থাপিত হয়েছে এবং উদ্যোগসমুহ গুরুত্বপূর্ণ জনকল্যাণকর কাজ হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে। বর্তমানে বিআরটিসি কর্তৃক নিয়মিত ত্রৈমাসিক সমাচার ও বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয।

যুগের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণে নতুন মাত্রা আনয়নের লক্ষ্যে অনলাইন ব্যবস্থার মাধ্যমে ভর্তি এবং আধুনিক প্রশিক্ষণের জন্য সিমুলেটর সংযোজন করা হয়েছে। বর্তমানের প্রত্যেক ডিপো/ইউনিটে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে এবং সার্বক্ষণিক প্রধান কার্যালয় হতে মনিটরিং করা হচ্ছে। কর্পোরেশনের সম্পদ রক্ষার্থে অগ্নি নির্বাপক প্রশিক্ষণ এর কার্যক্রমের ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করেন।

এছাড়া সার্বিক তথ্য ও প্রতিষ্ঠানটির স্টাফদের বক্তব্য অনুযায়ী চেয়ারম্যানের যুগোপযোগী ও বহুমুখী সিদ্ধান্তের ফলে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে অনেক গতি সঞ্চারিত হয়েছে। বর্তমানে ২ টি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও ২৬ টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে বিআরটিসি ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

একটি প্রতিষ্ঠান সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করে দেশ, জনগণ ও স্টাফদের সার্বিক কল্যান নিশ্চিত করতে যা যা প্রয়োজন তার সবই করছেন মোঃ তাজুল ইসলাম। অথচ এই গুণী মানুষটির পদত্যাগের দাবিতে গুটিকয়েক অসাধু ব্যক্তি এবং বহিরাগত একশ্রেণির দুষ্কৃতিকারীদের অপতৎপরতা নিঃসন্দেহে বড় ধরনের ষড়যন্ত্রের অংশ। তাই বিআরটিসির সুনাম ও সেবা অক্ষুন্ন রাখতে অভিযুক্ত কথিত আন্দোলনকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সকলেই। এ রিপোর্ট প্রকাশ করা পর্যন্ত বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ পল্টন থানায় অজ্ঞাত নামা দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন, কার্যকরি সভাপতি বাতেন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ১০:১২ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন, কার্যকরি সভাপতি বাতেন

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির ‘বার্ষিক সাধারণ সভা-২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১১ মে) মতিঝিলের একটি হোটেলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দেশের বিভিন্ন জেলার বাস মালিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় দেশের পরিবহন সেক্টরের শীর্ষ সংগঠন ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি’র কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন, কফিল উদ্দিন আহমেদ। তিনি আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করবেন।

এছাড়া কার্যকরি সভাপতি পদ শূন্য হওয়াতে বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি এম এ বাতেনকে মালিকদের মতামতের ভিত্তিতে কার্যকরি সভাপতি পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মো: জোবায়ের মাসুদ এর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক ও পরিবহন সেক্টরের মালিক-শ্রমিক পরিষদের সমন্বয়ক এ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি পরিচালনা করবে প্রকৃত মালিকরা। বাস মালিক না হয়ে কেউ নেতৃত্ব নিতে পারবেন না। আর একটি বিষয় সবাই মাথায় রাখতে হবে এই সমিতি সব সময় রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থাকবে। এই বিষয়ে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।

সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির মহাসচিব মো. সাইফুল আলম বলেন, ‘পরিবহণ সেক্টরের ২০১৮ সালের কালো আইন বাতিল করতে হবে। ২০১৮ সালে যে সকল আইনের মাধ্যমে পরিবহণ মালিকদেরকে ধ্বংসের পায়তারা হয়েছিল। আমরা প্রধান অতিথির কাছে অনুরোধ করবো বাস মালিকদের শেষ করে দেয়ার আইনগুলো বাতিল করার বিষয়ে আপনি সরকারের কাছে জোর দাবি জানাবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিগত ঈদুল ফিতরের মতো স্তস্তিদায়ক ঈদযাত্রা যাতে ঈদুল আজহাতেও হয় সে বিষয়ে বাস মালিকদের নজর রাখতে হবে। একই সাথে যাত্রীদের স্বস্তির বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে।

নবনির্বাচিত সভাপতি কফিল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের আগের কমিটিই আছে। এর মধ্যে হাজী আলাউদ্দিন সাহেব না থাকায় আমি নির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলাম। কিন্তু আজ সাধারণ সভায় আমাকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাকি সবাই আগের দায়িত্বে আছেন।’

সভায় বিগত অর্থবছরের অডিটরিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়, পরবর্তীতে উপস্থিত মালিকদের সম্মতিতে অডিট রিপোর্ট পাশ হয়। এছাড়াও মালিকদের সম্মতিতে ; আগামী অর্থবছরে অডিট ফার্ম কে দায়িত্ব দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। গত অর্থবছরে যে ফার্ম অডিটরিপোর্ট প্রস্তুত করেছিলেন সেই প্রতিষ্ঠানকেই নতুন করে দায়িত্ব দেয়া হয়।

পাকিস্তানের দাবি প্রত্যাখ্যান করলো ভারত-আফগানিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ৯:২৭ অপরাহ্ণ
পাকিস্তানের দাবি প্রত্যাখ্যান করলো ভারত-আফগানিস্তান

পাকিস্তান দাবি করেছিল যে ভারতের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র আফগানিস্তানের ভূখণ্ডে পড়েছে। তবে পাকিস্তানের এমন দাবি ভিত্তিহীন ও মিথ্যা উল্লেখ করে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত ও আফগানিস্তান। খামা প্রেসের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

খামা প্রেস বলছে, দিল্লির ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আফগান ভূখণ্ডে আঘাত হেনেছে বলে পাকিস্তান যে দাবি করেছে- তা জোরালোভাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং তালেবান নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার প্রত্যাখ্যান করেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি গতকাল শনিবার পাকিস্তানের এমন দাবি উড়িয়ে দেন। একইভাবে আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র পাকিস্তানের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেন।

খামা প্রেসকে ওই মুখপাত্র বলেছেন, আফগানিস্তান নিরাপদ এবং সুরক্ষিত। এমন ঘটনা ঘটেনি। এই বিবৃতিটি পরোক্ষভাবে নিশ্চিত করেছে যে আফগানিস্তানের মাটিতে কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি।

পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র আহমদ শরিফ চৌধুরী দাবি করেছিলেন, ভারতের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র আফগান ভূখণ্ডে পড়েছে। তিনি উল্লেখ করেছিলেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং ভারত এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

পাকিস্তানের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভারত এবং আফগান কর্তৃপক্ষ উভয় দায়িত্বশীল যোগাযোগ এবং ফ্যাক্টভিত্তিক রিপোর্টের আহ্বান জানিয়েছে।

১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ২:৩২ অপরাহ্ণ
১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ

বাংলাদেশের পরিবহন খাতে দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্ব দেওয়া হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. হানিফ দীর্ঘ ১৫ বছর প্রবাসে কাটিয়ে অবশেষে দেশে ফিরেছেন।

শনিবার (১০ মে) লন্ডন থেকে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হানিফ এন্টারপ্রাইজের জেনারেল ম্যানেজার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, স্যার এখনও বিমানবন্দরে আছেন। আমরা তাকে অভ্যর্থনা জানাতে এসেছি।

হানিফ এন্টারপ্রাইজ সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরে হানিফ এন্টারপ্রাইজের ৩৫টি বাসে শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে স্বাগত জানাতে এসেছেন।

জানা যায়, ২০১০ সালের দিকে পারিবারিক, ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক কিছু জটিলতা এবং শারীরিক কারণে তিনি স্থায়ীভাবে দেশের বাইরে বসবাস শুরু করেন। তবে দেশের বাইরে থাকলেও হানিফ এন্টারপ্রাইজের নীতিনির্ধারণী কার্যক্রমে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন।