খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯ মাঘ, ১৪৩১

আজ চতুর্থ দফায় দলগুলোর সঙ্গে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৪, ২:৪২ অপরাহ্ণ
আজ চতুর্থ দফায় দলগুলোর সঙ্গে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা

দায়িত্ব গ্রহণের পর চতুর্থ দফায় সংলাপে বসছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপের অংশ হিসেবে শনিবার ফের সংলাপে বসছেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় বেলা ৩টা থেকে শুরু হবে এই সংলাপ।

সংলাপে আমন্ত্রণ পাওয়া দল বা জোটের একাধিক নেতা জানান, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে তাদের আলোচনার মূল কেন্দ্র থাকবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কার এবং নির্বাচনি রোডম্যাপ। এ ইস্যুতে তারা সুনির্দিষ্ট সংস্কার প্রস্তাব দেবেন।

এ ছাড়াও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, প্রশাসন থেকে আওয়ামী লীগের দোসরদের সরানো, গণহত্যার বিচার এবং আওয়ামী লীগের আমলে বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা-গায়েবি মামলা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে তাদের বক্তব্য তুলে ধরবেন।

শনিবার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, গণফোরাম, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, জাতীয় পার্টি-বিজেপি (পার্থ), ১২ দলীয় জোট, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, লেবার পার্টিসহ আরও কয়েকটি দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার এটি হবে চতুর্থ দফা সংলাপ।

এর আগে গত ৫ অক্টোবর বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চ, হেফাজতে ইসলাম, বাম গণতান্ত্রিক জোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

এদিকে এখনও সংলাপের আমন্ত্রণ পায়নি জাতীয় পার্টি।‌ জাতীয় পার্টির মহাসচিব মজিবুর হক চুন্নু বলেন, তারা (জাতীয় পার্টি) এখনো আমন্ত্রণ পাননি। তবে আগামীতে সম্ভাবনা আছে। এদিকে আওয়ামী লীগ ও দলটির নেতৃত্বাধীন জোটের কেউ এ সংলাপে আমন্ত্রণ পাননি বলে জানা গেছে।

গত মঙ্গলবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ চলছে। ইতোমধ্যে (গত ৫ অক্টোবর) কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার আরও কয়েকটি দলের সঙ্গে সংলাপ হবে।

ছাত্র-জনতার‌ রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ৮ আগস্ট শপথ নেওয়ার পর কয়েকদিনের মাথায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম সংলাপ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান ও দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠনের কথা জানান। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলে কমিশনগুলো কাজ শুরু করে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য, গণমাধ্যম, নারী ও শ্রমিক অধিকার নামে আরো চারটি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে সরকার।

সিরাজগঞ্জে জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জঃ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ৭:১৮ অপরাহ্ণ
সিরাজগঞ্জে জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ

বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে শীতার্ত গরীব, অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের মাঝে নিজ হাতে শতাধিক শীতবস্ত্র কম্বল উপহার দিলেন, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জনদরদী নেতা মির্জা মোস্তফা জামান।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বেলা ১২ টার দিকে সিরাজগঞ্জ পৌরএলাকার সয়াধানগড়া উত্তর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে উক্ত কম্বল বিতরণকালে জেলা বিএনপি’র সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম, জেলা বিএনপি’র সদস্য মোঃ সেলিম, সদর উপজেলা বিএনপি নেতা আবু কায়েস ভূঁইয়া কর্নেল, ফরহাদ সেখ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আকাশ খন্দকার, সদস্য সোহেল রানা হামিদ, জেলা কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তোফাজ্জল হোসেন ভূঁইয়া রোকন, জেলা শ্রমিক দলের যুগ্ন-সম্পাদক মোঃ মাহমুদুল ইসলাম, পৌর ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র নেতা মোঃ বুলবুল, আব্দুল বাছেদ, আবু সামা,আলম সেখ, স্বপন, সাবেক পৌর কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন, হারুনর রশীদ হারুন, সাবেক ছাত্রনেতা সোহেল রানা ফরহাদ, যুবনেতা মির্জা সুরুজ্জামান, হাসান, তরুণ দলের সহ-সভাপতি বাবু সহ প্রমুখ। শীতার্ত মানুষেরা কম্বল উপহার পেয়ে খুশি হয়ে বাড়ি ফিরছেন।

সিরাজগঞ্জে আন্তঃউপজেলা বিতর্ক প্রতিযোগিতা ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

রেজাউল করিম, স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ৭:১২ অপরাহ্ণ
সিরাজগঞ্জে আন্তঃউপজেলা বিতর্ক প্রতিযোগিতা ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

“এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই” নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে, তারুণ্য উৎসব-২০২৫ খ্রিঃ সিরাজগঞ্জে আন্তঃ উপজেলা বিতর্ক প্রতিযোগিতা ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

আন্তঃ কলেজ পর্যায়ে এ ফাইনাল বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিতর্ক বিষয় ছিলো- “ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগের চেয়ে ব্যক্তিগত সচেতনতাই অধিক গুরুত্বপূর্ণ  ” এতে অংশ গ্রহণ করে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ বনাম উল্লাপাড়া উপজেলার আকবর আলী কলেজ। এতে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ বিজয়ী হয়।

স্কুল পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অংশ গ্রহণ করে  সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইনস স্কুল এন্ড কলেজ বনাম এইচটি ইমাম গার্লস স্কুল।

বিতর্কের বিষয় ছিলো-“জনস্বার্থ রক্ষায় স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার, হাত ধোঁয়ার চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ” এতে  সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজ বিজয়ী হয়। 

স্থানীয় সরকার বিভাগ, আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর বাস্তবায়নে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি-২০২৫) সকাল ১১ টায় সিরাজগঞ্জ শহরের শহিদ এম.মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ সিরাজগঞ্জের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম এবং অনুষ্ঠানের সভাপতিত্বকরেন,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি, উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা)  রোজিনা আক্তার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রোকনুজ্জামান। 

আন্তঃউপজেলা বিতর্ক প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন, সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে’র বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ শফিকুল ইসলাম তালুকদার, জেলা শিল্পকলা একাডেমি’র কালচারাল অফিসার মোঃ ফারুকুর রহমান ফয়সাল, সিরাজগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী পরিদর্শক মোঃ রবিউল হাসান মন্ডল। অনুষ্ঠানের মডারটের ছিলেন, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ জুলিয়া আক্তার এবং সঞ্চালনায় ছিলেন, সিরাজগঞ্জ পৌরসভার নগর পরিকল্পনাবিদ মোঃ আনিসুর রহমান এবং সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আল শাহরিয়ার তূর্য। এসময়ে উক্ত আন্তঃ উপজেলা বিতর্ক প্রতিযোগিতা ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের সনদপত্র ও স্মারক সম্মাননা প্রদান করা হয়। উক্ত  স্কুল এবং কলেজের  শিক্ষক, অভিভাবক,  শিক্ষার্থী, সুধীজনেরা উপস্থিত ছিলেন ।

ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার প্রায় ১০০০ সেনা নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩:৩৩ অপরাহ্ণ
ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার প্রায় ১০০০ সেনা নিহত

চলমান ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার প্রায় ১০০০ সেনা নিহত হয়েছেন। এমনটাই জানিয়েছেন পশ্চিমা কর্মকর্তারা। রাশিয়ার সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেইনীয় সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারা নিহত হন।

এইসব কোরিয়ান সৈন্যকে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সহায়তা করতে সে দেশে পাঠানো হয়েছিল। বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এরপর রুশ বাহিনীকে শক্তিশালী করতে পিয়ংইয়ং হাজার হাজার উত্তর কোরিয়ান সৈন্যকে রাশিয়াতে পাঠিয়েছে। এমনকি কুরস্ক সীমান্তেও উত্তর কোরিয়ার সৈন্য মোতায়েন আছে। সেখানেই ঘটেছে এই প্রাণহানির ঘটনা।

পশ্চিমা কর্মকর্তারা বিবিসিকে বলেছেন, মাত্র তিন মাসে রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় কুরস্ক অঞ্চলে লড়াইয়ে উত্তর কোরিয়ার সেনারা ইতোমধ্যেই প্রায় ৪০ শতাংশ হতাহতের শিকার হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্মকর্তারা বলেছেন, উত্তর কোরিয়া থেকে পাঠানো আনুমানিক ১১ হাজার সৈন্যের মধ্যে ইতোমধ্যেই ৪ হাজার সৈন্য যুদ্ধে নিহত, আহত, নিখোঁজ বা প্রতিপক্ষের হাতে বন্দি হয়েছেন।

কর্মকর্তারা বলেছেন, এই চার হাজার জনের মধ্যে প্রায় ১ হাজার জনই জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে আহতদের কোথায় চিকিৎসা করা হচ্ছে, এমনকি কখন এবং কত সংখ্যক সৈন্য প্রতিস্থাপন করা হবে তাও এখনও স্পষ্ট নয়।

দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেইনের গোয়েন্দাদের হিসাবমতে, আনুমানিক ১১ হাজার উত্তর কোরীয় সেনাকে রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই মোতায়েন হয়েছে কুরস্ক সীমান্তে অঞ্চলে ইউক্রেইনীয় সেনাদের বিরুদ্ধে লড়তে।

মূলত গত বছরের আগস্টে ইউক্রেইনীয় সেনারা আচমকা কুরস্কে ঢুকে লড়াই শুরুর পর অঞ্চলটির আংশিক নিয়ন্ত্রণ এখনও কিয়েভের এই সেনাদের হাতে রয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, উত্তর কোরিয়ার সেনারা যুদ্ধের অভিজ্ঞতার অভাব এবং ভাষাগত সমস্যার মতো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালালে উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়ার মধ্যে সামরিক সখ্যতা গড়ে উঠে। গত বছরের জুনে ঐতিহাসিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করে উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়া, যা গত বছরের ডিসেম্বরে কার্যকর হয়।

বিশ্লেষকরা বলেছেন, এই যুদ্ধে জড়িয়ে রাশিয়ার কাছ থেকে উন্নত প্রযুক্তির জ্ঞান অর্জন করতে চায় কিম জং উনের উত্তর কোরিয়া।