খুঁজুন
শনিবার, ৩ মে, ২০২৫, ২০ বৈশাখ, ১৪৩২

তাজুল ইসলামের হাতেই বিআরটিসির উন্নয়ন

তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে ঘুরে দাঁড়ানো বিআরটিসি

মোঃ হাসানুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৪, ৫:২৭ অপরাহ্ণ
তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে ঘুরে দাঁড়ানো বিআরটিসি

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) সরকারের একটি বৃহৎ জনকল্যাণমুখী প্রতিষ্ঠান। অথচ ২০২১ সালের পূর্বেও যা ছিলো একটি ভরাডুবির কারখানা। এ-কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, সরকারি সেবাখাত মানেই অপুষ্টিতে ভোগা, ভরাডুবি, স্টাফদের অসন্তোষ ও লোকসান ছাড়া এদেশের মানুষ ইতিবাচক কিছু কখনো অবলোকন করতে পারেনি। কিন্তু মাত্র ৩ বছর আগে বিআরটিসির হাল ধরা বর্তমান চেয়ারম্যান জনাব মোঃ তাজুল ইসলাম বদলে দিয়েছেন এই সংস্থাটির সার্বিক চিত্র। বলা হয়ে থাকে “ঘরের শত্রু বিভীষণ।” দীর্ঘদিন ধরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন যে প্রতিষ্ঠান পরিশোধ করতে পারতো না, বদনাম কাটিয়ে তারাই আজ সুনামের সাথে প্রতিষ্ঠিত। জি আমরা বলছি বিআরটিসির বর্তমান চেয়ারম্যান সুদক্ষ কারিগর মোঃ তাজুল ইসলামের কথা।

একসময় সড়কপথের যাত্রী থেকে শুরু করে বিআরটিসির স্টাফদের সর্বত্র ছিলো বদনাম আর সমালোচনা। বিআরটিসির সেবার মান, উর্ধ্বতন দায়িত্বশীলদের খামখেয়ালি, দুর্নীতি, লুটপাট সহ নানা বিতর্ক ও অভিযোগের রঙে রঙিন থাকতো খবরের পাতা। কিন্তু গত ৩ বছরে তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে খ্যাত লোকসানী প্রতিষ্ঠানের বদনাম থেকে বের হয়ে এখন একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্ব গৌরবে দাঁড়িয়ে আছে বিআরটিসি।

প্রতিষ্ঠানটির প্রাতিষ্ঠানিক, অর্থনৈতিক, প্রশাসনিকসহ সবগুলো প্যারমিটারে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। হেড অফিস থেকে শুরু করে ডিপো কার্যালয়গুলো সজ্জিত করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দনভাবে। এ-সব কিছুর পরিবর্তন হয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি যোগদানের পর। তিনি প্রতিষ্ঠানটি সাজিয়েছেন একটি সর্বাধুনিক মানের কর্পোরেট অফিসের আদলে। বদনাম ঘুচিয়ে বদলে দিয়েছেন বিআরটিসির সার্বিক চিত্র।

সফলতার যাত্রা শুরুর গল্পঃ
দীর্ঘ সময় ধরে গতানুগতিক ধারায় চলতে থাকা জরাজীর্ণ বিআরটিসির ঘুরে দাঁড়ানোর রহস্য জানতে আমরা যোগাযোগ করি প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে। দীর্ঘ আলাপচারিতায় জনাব তাজুল ইসলাম বলেন, “আমরা প্রজাতন্ত্রের পক্ষ থেকে জনগণের সেবক। বিশেষ করে এমন একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থেকেও যদি জনগণকে স্বস্তি দিতে না পারি, সেটা আমাদের জন্য কষ্টের। কারণ যেখানে চাইলেই ইতিবাচক অনেক কিছু করা সম্ভব। সেখানে লোকসান ও অপবাদের লেশমাত্র থাকুক, তা আমি চাইনা। আমি বিশ্বাস করি একটি লোকসানী প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করতে প্রয়োজন দক্ষ একজন সংগঠক। যার নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী টিমওয়ার্ক, উদ্যোগ ও লক্ষ নির্ধারন করে কার্য সম্পাদন হবে। টীমওয়ার্ক, উদ্যোগ ও লক্ষ্য নির্ধারণ যতটা স্বচ্ছ ও প্রচ্ছন্ন হবে সেই প্রতিষ্ঠানটি তত দ্রুতই তার লক্ষ্যে পৌছতে স্বক্ষমতা অর্জন করে। সরকারী প্রত্যেকটা দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানের রয়েছে ডায়নামিক কতিপয় Key Performance Indicator (KPI) । এ KPI হলো উন্নয়নের মূল স্মারক। KPI অনুসরনে নিয়মতান্ত্রিক কার্যাবলী দক্ষতার সাথে সম্পাদিত হলে সে প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, লোকসান থাকতে পারে না। একজন দক্ষ, অভিজ্ঞ, যোগ্য সংগঠক যখন দেশাত্ববোধের জায়গা থেকে তার দৈনন্দিন কার্যাবলী সম্পাদন করতে থাকেন তখন সে প্রতিষ্ঠানটি উন্নতির চূড়ায় পৌঁছে খুব স্বল্পতম সময়ে। আমি সে কাজটিই করার চেষ্টা করেছি। এতে শতভাগ সফলতাও পেয়েছি।”

বিআরটিসির বর্তমান চেয়ারম্যান জনাব তাজুল ইসলাম প্রাতিষ্ঠানিক KPI অনুসরণ করে টীমওয়ার্কের মাধ্যমে মাত্র তিন বছরে বিআরটিসির মতো একটি লোকসানী প্রতিষ্ঠানকে সফলতার প্রান্তে পৌছিয়ে একটি যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বিআরটিসি যে শুধু রেভিনিউ আয় করে লাভের জায়গায় এসেছে বিষয়টা এমন নয়। এই তিন বছরে প্রতিষ্ঠানটি প্রাতিষ্ঠানিক, প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক সবগুলো প্যারমিটারে উচ্চতায় পৌছাতে স্বক্ষম হয়েছেন অবিশ্বাস্যভাবে। তথ্যমতে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী টীমওয়ার্কে সফলতার স্বাক্ষর রাখেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও প্রশাসন থেকে প্রেষণে আসা কয়েকজন কর্মকর্তা। যার প্রমাণ মেলে তাদের কার্যক্ষেত্রে।

মাত্র তিন বছরে কয়েক যুগের বিতর্কিত জঞ্জাল দূর করে একটি লোকসানী প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রুপদান করা এতোটা সহজ কাজ ছিলো না। দীর্ঘদিনের সুবিধাভোগী মহল, প্রতিষ্ঠানের রোষানল, সিন্ডিকেটের চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম এর নেতৃত্বে বিআরটিসির বর্তমান প্রশাসনকে তাদের লক্ষ্য অনুযায়ী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হয়েছে।

মাননীয় চেয়ারম্যান বলেন, “আমাদের অর্জন সার্বজনীন, কোনো একক ব্যক্তির ক্রেডিট নেয়ার অবকাশ নেই এখানে। বিআরটিসির পরিচালনা পর্ষদে রয়েছে একঝাঁক সফল পেশাজিবী ব্যক্তিত্ব। বিআরটিসির আজকের এ অগ্রযাত্রায় তাদের অবদানও অনস্বীকার্য। তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও পরামর্শে সর্বোপরি দায়িত্বের যায়গা থেকে দক্ষতাপূর্ণ নেতৃত্বে বিআরটিসি আজকের এই অবস্থানে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হয়েছে। বিআরটিসি লোকসানী তকমা থেকে বের হতে পেরেছে। আগামীর একটি সোনালী পথে হাটছে বিআরটিসি। সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে ইনশাআল্লাহ আমরা এই ধারা অব্যাহত রাখতে পারবো।”

বিআরটিসির উন্নয়নমুখী রোডম্যাপঃ
বিআরটিসির বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম ১১তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে সরকারি চাকুরীতে যোগদান করেন। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশন এর চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেন ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে। তিনি দীর্ঘদিন মাঠপ্রশাসন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো, কৃষি মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। কর্মজীবনের সর্বস্তরে মেধাদীপ্ত সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। তার বর্তমান কর্মস্থল বিআরটিসি।

এগিয়ে যাওয়ার কৌশলঃ
প্রাপ্ত তথ্য ও স্বাক্ষাৎকার অনুসারে বিআরটিসিতে যোগদানের পর জনাব তাজুল ইসলাম প্রথমেই চিহ্নিত করেন বিআরটিসি কেনো একটি লোকসানী প্রতিষ্ঠান ? ভিতরে-বাইরে এর সমস্যাগুলো কী কী?

সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে এগুলো কাটিয়ে উঠার উপায় সমূহ বা পদক্ষেপগুলো কি কি হতে পারে তা নির্ধারন করেন তিনি। সেইসাথে বিআরটিসির পুন্জিভূত দায় বা লোনসমূহ বিআরটিসিকে কীভাবে পশ্চাদে রেখেছে এটিও নির্ধারণ করেন তিনি। সেই মোতাবেক প্রনয়ণ করেন কি কি পরিকল্পনা গ্রহণ করলে প্রতিষ্ঠানটি এগিয়ে যাবে এবং সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জল হবে।

অভ্যন্তরীণ কোন্দল নির্মুল করে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমস্যাবলী চিহ্নিত করে তা দ্রূত সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন মাননীয় চেয়ারম্যান। কারণ বিআরটিসির স্টাফদের বেতন-ভাতা আটকে থাকার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বিষয়গুলো দ্রুত সমাধান করতে পারায় বিআরটিসির রেভিনিউয়ের পরিমাণ অকল্পনীয়ভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। সেই সাথে স্টাফদের অসন্তোষ থেকে বেরিয়ে সহযোগিতাও পেতে থাকেন তিনি।

অচল সম্পদকে সচল করাঃ
জনাব তাজুল ইসলাম বিআরটিসির চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদানকালে বিআরটিসির বহরে সচল বাসের সংখ্যা ছিল মাত্র ৮৮৫ টি এবং ট্রাক ছিলো প্রায় ৫০০টি। যোগদানের পর তিনি বিআরটিসির পড়ে থাকা অচল ৪০০ টি গাড়ি মেরামত করে চলাচল উপযোগী করে তোলেন। এতে বহরে বাসের সংখ্যা দাড়ায় ১১৯৮ টি। তিনি প্রতিটি গাড়িতেই VTS সংযুক্ত করেন। ৫০ টি গাড়িতে পরীক্ষনমূলক ভিডিও ক্যামেরা সংযোজন করেন।

বহুমাত্রিক সেবাঃ
বিআরটিসি যাত্রী ও পণ্য পরিবহন সেবার পাশাপাশি পর্যটক বাস সার্ভিস, মহিলা বাস সার্ভিস, স্কুল বাস সার্ভিস, বাণিজ্য মেলা, মেট্রোরেল শাটল বাস সার্ভিস, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে শাটল বাস সার্ভিস সহ নানামুখী সেবা প্রদান প্রক্রিয়া শুরু করে। যার মাধ্যমে বিআরটিসি প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে বলে সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। বর্তমানে বিআরটিসি ২০৮টি স্থানীয় রুটে এবং ৫টি আর্ন্তজাতিক রুটে বাস সার্ভিস পরিচালিত হচ্ছে। যা অবশ্যই দেশের জন্য সম্মান ও গৌরবের।

২ দিনে ছাদখোলা বাস তৈরিঃ
যেকোনো সময়ের তুলনায় গত তিন বছরে বিআরটিসির কারিগরি সক্ষমতা অনেক গুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারনে মাত্র ২ দিনের মধ্যে ছাদখোলা বাস তৈরি করে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধণা দেওয়া সম্ভব হয়। এতে বিআরটিসির স্বক্ষমতার স্বাক্ষর রেখেছে এবং সর্বমহলে বিআরটিসি প্রশংসিত হয়েছে। কারণ আমরা এযাবতকালে জেনে এসেছি, সরকারি কাজ মানেই দীর্ঘ সূত্রিতা। অথচ জনাব তাজুল ইসলাম বাস্তবিক কাজ করে চোখে আঙুল দিয়ে সবাইকে দেখিয়ে দিয়েছেন, চাইলেই সম্ভব।

সম্পদ-উপকরণ বৃদ্ধিঃ
সারাদেশে বিআরটিসির ২২টি বাস ডিপো, ২টি ট্রাক ডিপো, ২টি যানবাহন মেরামত কারখানা, ২টি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও ২৬টি কেন্দ্রের মাধ্যমে সেবা প্রদান করে আসছে।

অর্থ কেলেঙ্কারি দূরীকরণঃ
আগেই বলা হয়েছে “ঘরের শত্রু বিভীষণ।” কারণ বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ ইতোপূর্বে তাদের স্টাফদের বেতন-ভাতা কখনো সঠিকভাবে প্রদান করেছে বলে নজির নেই। তাই বিআরটিসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতা, সিপিএফ, গ্র্যাচুইটি, ছুটি নগদায়নের দায়-দেনার পরিমাণ ২০২১ সালের পূর্বে ছিলো ১০১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। ২০২১ সালের পর নিজস্ব আয় হতে প্রায় ৯৩ কোটি টাকা দায়-দেনা পরিশোধ করা হয়েছে। এমনকি বর্তমানে বিআরটিসির সকল কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বেতন-ভাতা কর্পোরেশনের নিজস্ব আয় হতে প্রতি মাসের ১ তারিখে এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি ৩ মাস অন্তর অন্তর গ্র্যাচুইটি, সিপিএফ ও ছুটি নগদায়নের টাকা পরিশোধ করা হচ্ছে।

অন্যান্য প্রণোদনাঃ
বিআরটিসিতে এক সময় মনে করা হতো, নিয়মিত বেতন-ভাতাই যেখানে দুষ্কর, সেখানে অন্যান্য সুবিধা আশা করা বিলাসিতা। সেই অপবাদ ঘুচিয়ে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কল্যাণ তহবিল থেকে নিয়মিত অনুদান প্রদান করছে বিআরটিসি। এমনকি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তিও প্রদান করা হচ্ছে। এর বাইরেও বিআরটিসির ইতিহাসে প্রথমবারের মত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ২৬৮৭ জনকে ৪.১৪ কোটি টাকা শ্রান্তি বিনোদন ভাতা প্রদান করা হয়।

বিআরটিসির বিভিন্ন যায়গায় কর্মরত স্টাফদের কাছে এসকল বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম যোগদানের পর তারা সন্তুষ্টিচিত্তেই চাকরি করছেন। গত তিন বছরে মাসের ১ তারিখেই বেতন পান। আগে চিন্তা করতে হতো কবে বেতন পাওয়া যাবে… এখন আর সে চিন্তা করতে হয় না। এ ছাড়া চাকুরী শেষে পেনশন সহ অন্যান্য সুবিধা পেতে বছরের পর বছর ঘুরতে হতো। তবে এখন আর সে টেনশন নেই। কিন্তু দুঃখের বিষয়- একটি দুষ্কৃতিকারী গোষ্ঠী আমাদের প্রতিষ্ঠান ও মাননীয় চেয়ারম্যান স্যারের সুনাম ক্ষুন্ন করতে উঠেপড়ে লেগেছে। তবে আমরা বিশ্বাস করি, সত্যের জয় নিশ্চিত। আমরা আমাদের তাজুল ইসলাম স্যারকেই চাই। কারণ স্যারের হাতেই বিআরটিসি নিরাপদ। স্যার দায়িত্বে থাকলেই বিআরটিসির উন্নয়ন চলমান থাকবে।’

বিআরটিসির সক্ষমতা বৃদ্ধির সবচেয়ে জলন্ত উদাহরণ হচ্ছে তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইনহাউজ প্রশিক্ষণ, দক্ষ চালক ও কারিগর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিআরটিসি অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরীতে গুরুত্বপর্ণ ভূমিকা রাখছে। শুধুমাত্র ২০২২-২৩ সময়কালে ২৬,০৪৭ জনকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

এবিষয়ে বিআরটিসি মিডিয়া মুখপাত্র (কারিগরি পরিচালক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন মজুমদার-পিএসসি বলেন, “শুধুমাত্র দক্ষ নেতৃত্ব ও সঠিক প্রশিক্ষণই একটি টিমকে দক্ষ ও যোগ্য করে তোলে। প্রশিক্ষণ একটি প্রতিষ্ঠানের উন্নতির প্রান। আমাদের চেয়ারম্যান স্যার তার চাকুরী জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে এ বিষয়ের গুরুত্ব অনুধাবন করে বিআরটিসির প্রতিটি স্তরে প্রশিক্ষণ চালু করেন। বর্তমানে বিআরটিসি এর সফলতাও ভোগ করছে। এটা আমাদের জন্য সম্মানের।”

প্রযুক্তিগত উন্নয়নঃ
বিআরটিসির প্রতিটি ডিপো বা ইউনিটে অনলাইন সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে সকল কার্যক্রম মনিটরিং এর আওতায় আনা হয়েছে। আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তি, ওয়াই-ফাই সুবিধা, ই-টিকেটিং, ফ্লিট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারে ব্যবহারের মধ্য দিয়ে উন্নত পরিবহন সেবা দেয়া হচ্ছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে দেশের এই বৃহৎ খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বিআরটিসি।

এ বিষয়ে জনাব তাজুল ইসলাম বলেন, “ইতোপূর্বে আমি অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকুরী করেছি। প্রতিটি যায়গায়ই আল্লাহর অশেষ রহমতে সফলতার স্বাক্ষর রাখতে স্বক্ষম হয়েছি। শেষ জীবনে একটি লোকসানী প্রতিষ্ঠানের তকমা নিয়ে যাওয়াটা সারা জীবনের সব অর্জন বিসর্জনের নামান্তর। তাছাড়া এটি আমার কাজ, ত্যাগ ও সুনামের সাথেও যায়না। তই আমার জীবনের সর্বোচ্চ চেষ্টাটা করেছি বিআরটিসিকে ভালো কিছু উপহার দেয়ার জন্য। এখন মনে হচ্ছে- আমি পেরেছি। কারণ আমি যা করেছি নিঃস্বার্থভাবে দেশাত্ববোধের জায়গা থেকে করেছি। যতদিন পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকবো। নিজের সবটুকু দিয়ে কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ।”

সবমিলিয়ে একটি জরাজীর্ণ, দুর্নীতিতে আষ্টেপৃষ্টে থাকা লোকসানি প্রতিষ্ঠানকে তলাবিহীন ঝুড়ির তকমা থেকে বের করে সফল হিসেবে উপস্থাপন করা দেশের জন্য সম্মানের, গৌরবের। দেশের সচেতন মানুষ ও বিশ্লেষকগণ মনে করছেন, উন্নয়ন ও অগ্রগতির এই ধারা অব্যাহত থাকলে বিআরটিসিকে পিছন ফিরে তাকাতে হবে না। সরকারের রাজস্ব খাতের পাশাপাশি দেশ ও জনগণের কল্যানেও নিঃসন্দেহে অবদান রাখতে পারবে বিআরটিসি।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: শনিবার, ৩ মে, ২০২৫, ১:২০ অপরাহ্ণ
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ

নারী সংস্কার কমিশন বাতিল ও শাপলা চত্বরে নৃশংসতার বিচারসহ চার দফা দাবিতে মহাসমাবেশ করছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

শনিবার (০৩ মে) সকাল ৯টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সমাবেশ শুরু হয়। দলটির আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী সভাপতিত্বে সমাবেশে শীর্ষ ওলামা-মাশায়েখ ও ইসলামী চিন্তাবিদরা বক্তব্য রাখবেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, সমাবেশকে কেন্দ্র করে ভোর থেকেই সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। কানায় কানায় পরিপূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। মহাসমাবেশ সফল করতে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের সব জেলা, উপজেলা থেকে লাখো মানুষ অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম থেকেই অর্ধলক্ষাধিক নেতাকর্মী মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছেন বলে জানান হেফাজতের নেতারা।

সমাবেশে যোগ দেওয়া দলটির নেতাকর্মীরা ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর’, ‘ইসলামের শত্রুরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ ইত্যাদি স্লোগান এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যানার নিয়ে আসতে দেখা গেছে।

হেফাজতের চার দাবি হচ্ছে- নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব বাতিল, সংবিধানে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের আমলে করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যাসহ সব হত্যার বিচার এবং ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিম গণহত্যা ও নিপীড়ন বন্ধ করা।

কেন দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, ‘স্ট্রেইট কাট’ জানালেন পিনাকী ভট্টাচার্য

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৩ মে, ২০২৫, ১:১০ অপরাহ্ণ
কেন দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, ‘স্ট্রেইট কাট’ জানালেন পিনাকী ভট্টাচার্য

কেন দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন লেখক, অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক পিনাকী ভট্টাচার্য? এক অনুষ্ঠানে নিজেই দিলেন এর উত্তর।

শুক্রবার (২ মে) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ২০ মিনিটে অনুষ্ঠিত চ্যানেল আই-এর পর্দায় সালাম স্টিল ‘স্ট্রেট কাট’-এর আয়োজনে ভার্চুয়ালি অংশ নেন পিনাকী ভট্টাচার্য।

অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে পিনাকী ভট্টাচার্য বলেন, ‘২০১৮ সালে যখন নিরাপদ সড়ক আন্দোলন চলছিল, যেদিন শহীদুল আলমকে গ্রেপ্তার করা হলো সেদিন আমাকে সকালে ডিজিএফআই থেকে ডাকা হলো তাদের অফিসে যাওয়ার জন্য। যিনি ফোন করেছিলেন তিনি নিজের পরিচয় দেন মেজর ফারহান বলে। ভদ্রতা করেই আমাকে বলা হয়েছিল, ডিজিএফআই অফিসে যেতে হবে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, আমি সিভিলিয়ান আমাকে কেন ডিজিএফআই ডাকবে? বললো আমাদের কিছু জরুরি আলাপ আছে আপনার সাথে।’

পিনাকী জানান, দ্বিতীয় কলে রূঢ়ভাবে তাকে জানানো হয়, সেদিনই যেতে হবে এবং সন্ধ্যার আগেই তাকে ডিজিএফআই অফিসে যেতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আমি আমার বন্ধুবান্ধব এবং যাদের সাথে হিউম্যান রাইটস নিয়ে অ্যাক্টিভিজম করতাম তাদেরকে সঙ্গে কথা বললাম। উনারা সবাই বললেন আমি যেন না যাই এবং আমি যেন লুকিয়ে পড়ি। তখনই আমি লুকিয়ে পড়ি। পরদিন আমার বাসায় ডিজিএফআই রেইড করে, অফিসে রেইড করে আমি কোথায় তা জানার জন্য। আমি ৫ মাস প্রায় আত্মগোপনে ছিলাম নানা জায়গায় ঢাকা শহরেই। তারপরে নির্বাচন হয়ে গেলে তখন মনে করলাম লুকিয়ে থাকাটা অনুচিত। আমার বাসার সামনে ডিজিএফআই গার্ড বসালো, সারাক্ষণ ধরে নজরদারী এবং আমাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। তারপরে আমার দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া। তা না হলে তো ডিজিএফআই আমাকে ধরে নিয়ে যেত।’

পিনাকী বলেন, ‘আমরা জানি ডিজিএফআই যাদেরকে ধরে তাদের বেশিরভাগই ফেরে না। আমি ওই সময় আসলে যারা গুম হয়েছে তাদের একটা ডকুমেন্টেশন করছিলাম। সে সময় আমি জানতে পেরেছি যে যারা গুম হয় তাদেরকে ডিজিএফআই এভাবেই ডেকে নিয়ে যায়। সে যায়, সে ভিক্টিম তারপর্ আর সে কখনোই ফিরে আসে না। ন্যাচারালি তখন আমিও এটাই ভেবেছি যে আমার কপালেই সম্ভবত এটাই ঘটতে যাচ্ছে। সেজন্যই আত্মগোপনে যাওয়া এবং দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া।’

ফ্রান্সে যাওয়ার কারণ প্রসঙ্গে এই আ্যাক্টিভিস্ট বলেন, ‘তখন আমি একটা ফ্রেন্স হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশনের সঙ্গে কাজ করতাম। তারাই আমার ভিসা পাওয়ার যাবতিয় ব্যবস্থা করে দেয় এবং এখানে আশ্রয় পাওয়ার জন্য তারা সর্বোতভাবে আমাকে সাহায্য করে।

কনটেন্টে আক্রমণাত্মক ভাষা, অশ্রাব্য ভাষা কেন ব্যবহার করেন— অনুষ্ঠানের হোস্ট দীপ্তি চৌধুরীর এই প্রশ্নের জবাবে পিনাকী ভট্টাচার্য বাংলাদেশে নানা সংকটের কিছু কারণও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের যে দুর্দশা, এই দুর্দশার জন্য দায়ী কারা? এই দুর্দশার জন্য দায়ী হচ্ছে বাংলাদেশের এলিটরা। যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকে এবং যারা সমাজকে নিয়ন্ত্রণ করে—সেই শিক্ষিত শ্রেণিই বাংলাদেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করে। আর সেই কারণেই বাংলাদেশের এত দুর্দশা।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণ মানুষ কখনোই বাংলাদেশের সম্পদ কোথাও পাচার করেনি; বরং তারা বাইরে থেকে উপার্জন করে দেশে নিয়ে আসে। এরাই সেই মানুষ, যারা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখছে। বাংলাদেশের এলিটরা অর্থনীতিতে এক ফোঁটা টাকাও কন্ট্রিবিউট করে না। বাংলাদেশ অর্থনীতিতে অবদান রাখে তারাই, যারা গার্মেন্টসে মেশিন চালায়, যারা ঠেলাগাড়ি ঠেলে, যারা রিকশা চালায়, যারা শ্রমিক হিসেবে হাতুড়ি চালিয়ে বিল্ডিং তৈরি করে, যারা বাস চালায়, টেম্পু চালায়, ক্ষেতে ফসল ফলায়—তারাই হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি। এবং এদের উৎপাদিত সম্পদ চুরি করে বিদেশে পাচার করে কারা? এলিটরা।’

পিনাকী বলেন, ‘এলিটদের তিনটা ভয়—একটা সম্মান হারানোর ভয়, একটা মার খাওয়ার ভয়, আরেকটা সম্পদ হারানোর ভয়। আমি তো আর মারতে পারব না তাদের, তাই তাদের গালি দিই। সম্মান হারানোর ভয়—এটলিস্ট এই গালির কারণে যেন তারা ঠিক থাকে। এই গালির তোড়ে যদি তারা ঠিক থাকে, তাহলে বাংলাদেশকে আমরা কিছুটা সাইজ করতে পারব। আদারওয়াইজ, এরা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের জীবনকে দাসের জীবন বানিয়ে রাখবে। এবং যারা আসলে দাসের জীবন বানিয়ে রাখছে, তাদের জন্য তো গালিই প্রাপ্য।’

গাজার উদ্দেশে ত্রাণ নিয়ে যাত্রা করা জাহাজে বোমা হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ১১:৩৩ অপরাহ্ণ
গাজার উদ্দেশে ত্রাণ নিয়ে যাত্রা করা জাহাজে বোমা হামলা

মানবিক সহায়তা নিয়ে ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাওয়া একটি জাহাজে ড্রোন দিয়ে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। মাল্টা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় এ হামলা চালানো হয়েছে। শুক্রবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে ওই মানবিক সহায়তা আয়োজনকারী সংগঠন ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) এক বিবৃতিতে হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। ত্রাণবাহী জাহাজটি বর্তমানে মাল্টা উপকূল থেকে ১৪ নটিক্যাল মাইল (২৫ কিলোমিটার) দূরে অবস্থান করছে। জাহাজে গাজাবাসীর জন্য মানবিক সহায়তার পাশাপাশি অধিকারকর্মীরা ছিলেন।

সংগঠনটি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ২৩ মিনিটে নিরস্ত্র বেসামরিক জাহাজটির সম্মুখভাগে সশস্ত্র ড্রোন দিয়ে দুইবার হামলা চালানো হয়েছে। এতে জাহাজটিতে আগুন ধরে যায় এবং এর কাঠামোয় বড় ধরনের ফাটল দেখা দেয়। হামলার পরপর জাহাজ থেকে এসওএস সিগন্যাল পাঠানো হয়।

অধিকার কর্মীরা জানিয়েছেন, জাহাজের জেনারেটর লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এতে জাহাজটি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে এবং ডুবে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের পোস্ট করা ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, জাহাজের ওপর আগুন জ্বলছে ও বিস্ফোরণ ঘটছে।

তবে এ বিষয়ে এখনো ইসরায়েল কোনো মন্তব্য করেনি।

মাল্টা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাহাজে ১২ জন নাবিক ও ৪ জন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন। তারা সবাই নিরাপদে আছেন। রাতেই জাহাজের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন জানিয়েছে, ২১ দেশের অধিকারকর্মীরা জাহাজটিতে ছিলেন। ইসরায়েলের বেআইনিভাবে গাজা অবরোধ করে সেখানে হত্যাযজ্ঞ চালানোর প্রতিবাদ এবং গাজাবাসীর জীবন রক্ষার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে তারা যাত্রা করেছিলেন।