খুঁজুন
শনিবার, ৩ মে, ২০২৫, ২০ বৈশাখ, ১৪৩২

বিআরটিসি সেবায় সন্তুষ্ট যাত্রীরা

বিআরটিসির উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়েই কি কথিত সংবাদ সম্মেলন ?

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:১৭ অপরাহ্ণ
বিআরটিসির উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়েই কি কথিত সংবাদ সম্মেলন ?

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করর্পোরেশন (বিআরটিসি) সরকারের একটি বৃহৎ জনসেবা মূলক প্রতিষ্ঠান। বিআরটিসির বর্তমান চেয়ারম্যান জনাব মোঃ তাজুল ইসলামের হাত ধরে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো লোকসানি প্রতিষ্ঠানের তকমা থেকে বের হয়ে লাভের মুখ দেখে প্রতিষ্ঠানটি। তাছাড়া নানামুখী অপবাদ ঘুচিয়ে যাত্রী সেবায় চমক দেখিয়ে যাত্রীদের সন্তুষ্টিও অর্জন করেছে বিআরটিসি। কিন্তু চোখে স্বার্থের কালো চশমা পরিহিত একটি গোষ্ঠীর নিকট বিআরটিসির এই ধারাবাহিক উন্নয়ন সহ্য হচ্ছে না মোটেও। তাই প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও নিজস্ব ভান্ডার সমৃদ্ধ করে ফায়দা হাসিল করতে রীতিমতো নাটকীয় মানববন্ধন সহ কথিত সংবাদ সম্মেলন শুরু করেছে গুটিকয়েক মহল।

এইতো কিছুদিন আগেই রাজধানীতে বিআরটিসির প্রধান কার্যালয়ের সামনে একটি নাটকীয় মানববন্ধনের অপচেষ্টা করে একটি সুবিধাভোগী গোষ্ঠী। অবশ্য পরবর্তীতে একজন দুষ্কৃতিকারী আটক হলে বেরিয়ে আসে কথিত মানববন্ধনের আসল রহস্য।

এবার সম্প্রতি মহাসড়কে বিআরটিসি বাস, ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, থ্রি হুইলারসহ সব ধরনের তিন চাকার যানবাহন বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাগেরহাট আন্তঃজেলা বাস-মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতি। এমনকি দাবি না মানলে ২২ অক্টোবর থেকে বাস চলাচল বন্ধের হুঁশিয়ারিও দেন নেতারা। যা নিয়ে নানা মহলে সৃষ্টি হয়েছে বহুমুখী বিতর্ক।

যেখানে বিআরটিসির উন্নয়ন, সুনাম দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। সেখানে বিআরটিসির বিরুদ্ধে কেনো এমন অভিযোগ দাঁড় করানোর চেষ্টা ? এগুলো কি শুধুই অভিযোগ, নাকি লুকিয়ে আছে গভীর কোনো ষড়যন্ত্র ?

এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করি আমরা। রাজধানী সহ সারাদেশের চলমান বিআরটিসি সেবায় আওতাভুক্ত এলাকাগুলোতে জনগণের মতামত জানার চেষ্টা করি আমরা। কিছু গঠনমূলক পরামর্শের পাশাপাশি বিআরটিসি সেবায় সন্তুষ্ট যাত্রী সাধারণ। বরং কোম্পানি বা সিন্ডিকেট বাস মালিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই মানুষের।

মহাসড়কে বিআরটিসি বাস চলাচল বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনের বিষয় বাস যাত্রীদের মতামত নিই আমরা। অধিকাংশ যাত্রী বলেন, “বিআরটিসি সরকারি মালিকানাধীন পরিবহন হওয়ায় একটা সময় বেশ ভোগান্তি ছিলো। কারণ তাদের সেবার মান ছিলো খুবই বাজে। কিন্তু কয়েকবছর যাবৎ বিআরটিসি অনেক ভালো সেবা দিচ্ছে। বরং প্রাইভেট কোম্পানির বাসগুলোতে ভোগান্তির শেষ নেই। তাই মহাসড়ক কেনো, কোনো সড়কেই বিআরটিসি বাস সেবা বন্ধ করা কোনো যৌক্তিক সিদ্ধান্ত হতে পারে না।”

কোম্পানি মালিকানাধীন অনেক বাসের যাত্রীরা বলেন, “আমরা জনগণ শান্তির যাত্রা চাই। কিন্তু এসব কোম্পানি বাসগুলো অধিক লাভের আশায় সিন্ডিকেট করে রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছে। বিআরটিসি সেবার কারণে তাদের ব্যবসায়ে যাতে ভাটা না পরে। সেজন্যই ওরা এমন ফন্দি আঁটছে। বিআরটিসি বাস বন্ধ করতে পারলে দেখবেন ওরা আরও বেপরোয়া হয়ে যাবে।”

বিআরটিসির নজিরবিহীন উন্নয়ন সত্ত্বেও কেনো এমন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত ? এ-বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিসির চেয়ারম্যান জনাব তাজুল ইসলাম বলেন, “আমরা জনগণের সেবক হিসেবে আমাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে যাচ্ছি। সরকারের একটি প্রতিষ্ঠানকে লোকসানের হাত থেকে বাঁচিয়ে জনগণের জন্য আরামদায়ক যাত্রার সুব্যবস্থা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। এটি আমাদের কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো। আমার বিশ্বাস আমি পেরেছি, আমরা পেরেছি। সাধারণ যাত্রীগণ বিআরটিসি সেবায় সন্তুষ্ট হলেই আমাদের স্বার্থকতা। সেক্ষেত্রে কোনো স্বার্থান্বেষী মহল যদি আমাদের বিরুদ্ধে কিছু করতে চাই, তার বিচার এদেশের সাধারণ মানুষের বিবেকের উপর ছেড়ে দিলাম। তবে এতোটুকু নিশ্চিত করে বলতে পারি- বিআরটিসিকে যেহেতু লস প্রজেক্ট থেকে লাভজনক প্রেজেক্টে রুপান্তর করতে পেরেছি। কোনো ষড়যন্ত্রই আমাদের চলমান উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।”

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: শনিবার, ৩ মে, ২০২৫, ১:২০ অপরাহ্ণ
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ

নারী সংস্কার কমিশন বাতিল ও শাপলা চত্বরে নৃশংসতার বিচারসহ চার দফা দাবিতে মহাসমাবেশ করছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

শনিবার (০৩ মে) সকাল ৯টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সমাবেশ শুরু হয়। দলটির আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী সভাপতিত্বে সমাবেশে শীর্ষ ওলামা-মাশায়েখ ও ইসলামী চিন্তাবিদরা বক্তব্য রাখবেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, সমাবেশকে কেন্দ্র করে ভোর থেকেই সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। কানায় কানায় পরিপূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। মহাসমাবেশ সফল করতে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের সব জেলা, উপজেলা থেকে লাখো মানুষ অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম থেকেই অর্ধলক্ষাধিক নেতাকর্মী মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছেন বলে জানান হেফাজতের নেতারা।

সমাবেশে যোগ দেওয়া দলটির নেতাকর্মীরা ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর’, ‘ইসলামের শত্রুরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ ইত্যাদি স্লোগান এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যানার নিয়ে আসতে দেখা গেছে।

হেফাজতের চার দাবি হচ্ছে- নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব বাতিল, সংবিধানে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের আমলে করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যাসহ সব হত্যার বিচার এবং ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিম গণহত্যা ও নিপীড়ন বন্ধ করা।

কেন দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, ‘স্ট্রেইট কাট’ জানালেন পিনাকী ভট্টাচার্য

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৩ মে, ২০২৫, ১:১০ অপরাহ্ণ
কেন দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, ‘স্ট্রেইট কাট’ জানালেন পিনাকী ভট্টাচার্য

কেন দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন লেখক, অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক পিনাকী ভট্টাচার্য? এক অনুষ্ঠানে নিজেই দিলেন এর উত্তর।

শুক্রবার (২ মে) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ২০ মিনিটে অনুষ্ঠিত চ্যানেল আই-এর পর্দায় সালাম স্টিল ‘স্ট্রেট কাট’-এর আয়োজনে ভার্চুয়ালি অংশ নেন পিনাকী ভট্টাচার্য।

অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে পিনাকী ভট্টাচার্য বলেন, ‘২০১৮ সালে যখন নিরাপদ সড়ক আন্দোলন চলছিল, যেদিন শহীদুল আলমকে গ্রেপ্তার করা হলো সেদিন আমাকে সকালে ডিজিএফআই থেকে ডাকা হলো তাদের অফিসে যাওয়ার জন্য। যিনি ফোন করেছিলেন তিনি নিজের পরিচয় দেন মেজর ফারহান বলে। ভদ্রতা করেই আমাকে বলা হয়েছিল, ডিজিএফআই অফিসে যেতে হবে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, আমি সিভিলিয়ান আমাকে কেন ডিজিএফআই ডাকবে? বললো আমাদের কিছু জরুরি আলাপ আছে আপনার সাথে।’

পিনাকী জানান, দ্বিতীয় কলে রূঢ়ভাবে তাকে জানানো হয়, সেদিনই যেতে হবে এবং সন্ধ্যার আগেই তাকে ডিজিএফআই অফিসে যেতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আমি আমার বন্ধুবান্ধব এবং যাদের সাথে হিউম্যান রাইটস নিয়ে অ্যাক্টিভিজম করতাম তাদেরকে সঙ্গে কথা বললাম। উনারা সবাই বললেন আমি যেন না যাই এবং আমি যেন লুকিয়ে পড়ি। তখনই আমি লুকিয়ে পড়ি। পরদিন আমার বাসায় ডিজিএফআই রেইড করে, অফিসে রেইড করে আমি কোথায় তা জানার জন্য। আমি ৫ মাস প্রায় আত্মগোপনে ছিলাম নানা জায়গায় ঢাকা শহরেই। তারপরে নির্বাচন হয়ে গেলে তখন মনে করলাম লুকিয়ে থাকাটা অনুচিত। আমার বাসার সামনে ডিজিএফআই গার্ড বসালো, সারাক্ষণ ধরে নজরদারী এবং আমাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। তারপরে আমার দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া। তা না হলে তো ডিজিএফআই আমাকে ধরে নিয়ে যেত।’

পিনাকী বলেন, ‘আমরা জানি ডিজিএফআই যাদেরকে ধরে তাদের বেশিরভাগই ফেরে না। আমি ওই সময় আসলে যারা গুম হয়েছে তাদের একটা ডকুমেন্টেশন করছিলাম। সে সময় আমি জানতে পেরেছি যে যারা গুম হয় তাদেরকে ডিজিএফআই এভাবেই ডেকে নিয়ে যায়। সে যায়, সে ভিক্টিম তারপর্ আর সে কখনোই ফিরে আসে না। ন্যাচারালি তখন আমিও এটাই ভেবেছি যে আমার কপালেই সম্ভবত এটাই ঘটতে যাচ্ছে। সেজন্যই আত্মগোপনে যাওয়া এবং দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া।’

ফ্রান্সে যাওয়ার কারণ প্রসঙ্গে এই আ্যাক্টিভিস্ট বলেন, ‘তখন আমি একটা ফ্রেন্স হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশনের সঙ্গে কাজ করতাম। তারাই আমার ভিসা পাওয়ার যাবতিয় ব্যবস্থা করে দেয় এবং এখানে আশ্রয় পাওয়ার জন্য তারা সর্বোতভাবে আমাকে সাহায্য করে।

কনটেন্টে আক্রমণাত্মক ভাষা, অশ্রাব্য ভাষা কেন ব্যবহার করেন— অনুষ্ঠানের হোস্ট দীপ্তি চৌধুরীর এই প্রশ্নের জবাবে পিনাকী ভট্টাচার্য বাংলাদেশে নানা সংকটের কিছু কারণও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের যে দুর্দশা, এই দুর্দশার জন্য দায়ী কারা? এই দুর্দশার জন্য দায়ী হচ্ছে বাংলাদেশের এলিটরা। যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকে এবং যারা সমাজকে নিয়ন্ত্রণ করে—সেই শিক্ষিত শ্রেণিই বাংলাদেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করে। আর সেই কারণেই বাংলাদেশের এত দুর্দশা।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণ মানুষ কখনোই বাংলাদেশের সম্পদ কোথাও পাচার করেনি; বরং তারা বাইরে থেকে উপার্জন করে দেশে নিয়ে আসে। এরাই সেই মানুষ, যারা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখছে। বাংলাদেশের এলিটরা অর্থনীতিতে এক ফোঁটা টাকাও কন্ট্রিবিউট করে না। বাংলাদেশ অর্থনীতিতে অবদান রাখে তারাই, যারা গার্মেন্টসে মেশিন চালায়, যারা ঠেলাগাড়ি ঠেলে, যারা রিকশা চালায়, যারা শ্রমিক হিসেবে হাতুড়ি চালিয়ে বিল্ডিং তৈরি করে, যারা বাস চালায়, টেম্পু চালায়, ক্ষেতে ফসল ফলায়—তারাই হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি। এবং এদের উৎপাদিত সম্পদ চুরি করে বিদেশে পাচার করে কারা? এলিটরা।’

পিনাকী বলেন, ‘এলিটদের তিনটা ভয়—একটা সম্মান হারানোর ভয়, একটা মার খাওয়ার ভয়, আরেকটা সম্পদ হারানোর ভয়। আমি তো আর মারতে পারব না তাদের, তাই তাদের গালি দিই। সম্মান হারানোর ভয়—এটলিস্ট এই গালির কারণে যেন তারা ঠিক থাকে। এই গালির তোড়ে যদি তারা ঠিক থাকে, তাহলে বাংলাদেশকে আমরা কিছুটা সাইজ করতে পারব। আদারওয়াইজ, এরা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের জীবনকে দাসের জীবন বানিয়ে রাখবে। এবং যারা আসলে দাসের জীবন বানিয়ে রাখছে, তাদের জন্য তো গালিই প্রাপ্য।’

গাজার উদ্দেশে ত্রাণ নিয়ে যাত্রা করা জাহাজে বোমা হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ১১:৩৩ অপরাহ্ণ
গাজার উদ্দেশে ত্রাণ নিয়ে যাত্রা করা জাহাজে বোমা হামলা

মানবিক সহায়তা নিয়ে ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাওয়া একটি জাহাজে ড্রোন দিয়ে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। মাল্টা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় এ হামলা চালানো হয়েছে। শুক্রবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে ওই মানবিক সহায়তা আয়োজনকারী সংগঠন ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) এক বিবৃতিতে হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। ত্রাণবাহী জাহাজটি বর্তমানে মাল্টা উপকূল থেকে ১৪ নটিক্যাল মাইল (২৫ কিলোমিটার) দূরে অবস্থান করছে। জাহাজে গাজাবাসীর জন্য মানবিক সহায়তার পাশাপাশি অধিকারকর্মীরা ছিলেন।

সংগঠনটি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ২৩ মিনিটে নিরস্ত্র বেসামরিক জাহাজটির সম্মুখভাগে সশস্ত্র ড্রোন দিয়ে দুইবার হামলা চালানো হয়েছে। এতে জাহাজটিতে আগুন ধরে যায় এবং এর কাঠামোয় বড় ধরনের ফাটল দেখা দেয়। হামলার পরপর জাহাজ থেকে এসওএস সিগন্যাল পাঠানো হয়।

অধিকার কর্মীরা জানিয়েছেন, জাহাজের জেনারেটর লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এতে জাহাজটি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে এবং ডুবে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের পোস্ট করা ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, জাহাজের ওপর আগুন জ্বলছে ও বিস্ফোরণ ঘটছে।

তবে এ বিষয়ে এখনো ইসরায়েল কোনো মন্তব্য করেনি।

মাল্টা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাহাজে ১২ জন নাবিক ও ৪ জন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন। তারা সবাই নিরাপদে আছেন। রাতেই জাহাজের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন জানিয়েছে, ২১ দেশের অধিকারকর্মীরা জাহাজটিতে ছিলেন। ইসরায়েলের বেআইনিভাবে গাজা অবরোধ করে সেখানে হত্যাযজ্ঞ চালানোর প্রতিবাদ এবং গাজাবাসীর জীবন রক্ষার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে তারা যাত্রা করেছিলেন।