খুঁজুন
রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪, ১৮ কার্তিক, ১৪৩১

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে রাষ্ট্রপতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪, ৮:৩১ অপরাহ্ণ
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে রাষ্ট্রপতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত

রাষ্ট্রপতির পদে মো. সাহাবুদ্দিনের থাকা না থাকার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়।

এ বিষয়ে বন, পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের প্রশ্নে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সমঝোতার ভিত্তিতেই বিষয়টাতে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

এদিকে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা কয়েক দিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। সবশেষ আলটিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা।

তবে এই এ মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চায় না দেশের অন্যতম প্রধান দল বিএনপি। দলটি মনে করে, রাষ্ট্রপতি পদে শূন্যতা হলে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে। বিএনপির শীর্ষপর্যায়ের তিন নেতা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে তাদের এই অবস্থান জানান।

এর আগে গত সোমবার রাষ্ট্রপতির মন্তব্যের ব্যাপারে সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রপতি যে বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পাননি, এটা হচ্ছে মিথ্যাচার এবং এটা হচ্ছে ওনার শপথ লঙ্ঘনের শামিল। কারণ, তিনি নিজেই ৫ আগস্ট রাত ১১টা ২০ মিনিটে পেছনে তিন বাহিনীর প্রধানকে নিয়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ওনার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং উনি তা গ্রহণ করেছেন।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, আমি শুনেছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু আমার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই।

রাষ্ট্রপতির এই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হওয়ার পরপরই তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে সব মহলে। একদিকে বর্তমান সরকার নিয়ে যেমন প্রশ্ন ওঠে সমালোচকগোষ্ঠীর মধ্যে, অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এর সমর্থকগোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র হয়ে ওঠে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি। সরাসরি ক্ষোভ প্রকাশ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক উপদেষ্টাও।

এ অবস্থায় মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবি নিয়ে বঙ্গভবন ঘেরাও করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সমর্থকরা। অতি উৎসাহী কেউ কেউ আবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তা বলয় ভেঙে বঙ্গভবনে ঢুকে পড়ার চেষ্টাও চালান। বঙ্গভবনের বিলাসিতা ছেড়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে নিজের রাস্তা দেখার কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সমাবেশ ও বিক্ষোভ থেকে দাবি ওঠে, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ করতে হবে এ সপ্তাহের মধ্যেই।

বিএনপির ৭ আইনজীবীকে অব্যাহতি, আবেদনকারী যুথিকে লাখ টাকা জরিমানা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪, ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ
বিএনপির ৭ আইনজীবীকে অব্যাহতি, আবেদনকারী যুথিকে লাখ টাকা জরিমানা

আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করার ঘটনায় আদালত অবমাননার মামলায় বিএনপির সাত শীর্ষ আইনজীবীকে অব্যাহতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

রোববার (৩ নভেম্বর) আদালত অবমাননার রুল খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে বিএনপির আইনজীবীর বিরুদ্ধে আবেদনকারী নাহিদ সুলতানা যুথি আদালতে উপস্থিত না থাকায় তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা দিতে বলা হয়েছে। জরিমানার টাকা জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে দিতে হবে।

এই ৭ শীর্ষ আইনজীবীরা হলেন- জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল।

এর আগে গত ১২ জুন আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করার ঘটনায় আদালত অবমাননার মামলায় বিএনপির সাত শীর্ষ আইনজীবী নেতাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

ইসরাইলের অভ্যন্তরে ১৪০টিরও বেশি রকেট ও ড্রোন হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ
ইসরাইলের অভ্যন্তরে ১৪০টিরও বেশি রকেট ও ড্রোন হামলা

ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, শনিবার জুড়ে লেবানন থেকে উত্তর ইসরাইলে ১৩০টিরও বেশি রকেট ছোঁড়া হয়েছে। বারবার সাইরেন বাজায় বহু লোক আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে আসে।

শুধু তাই নয়, কেবল একদিনে ইসরাইলে ড্রোন হামলা হয়েছে ১০টি। যার মধ্যে ছয়টি লেবানন থেকে, তিনটি ইরাক থেকে এবং একটি উৎস চিহ্নিত করা যায়নি। সামরিক বাহিনী সাতটি ড্রোন আটক করেছে।

শনিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।

এতে বলা হয়েছে, শনিবার ভোরে মধ্য ইসরাইলে একটি বাড়িতে রকেট হামলা হয়। কোনো সংস্থা এটি আটকাতে পারেনি। এই হামলায় ১১ জন আহত হয়। আইডিএফ বলেছে, তারা রকেটটি আটকাতে ব্যর্থতার তদন্ত করছে।

এছাড়া হাইফার দক্ষিণে বিনয়ামিনা এলাকায় হিজবুল্লাহর ড্রোনকে বাধা দিতে সক্ষম হয়েছে ইসরাইলি বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার। সামাজিকমাধ্যমে পোস্ট করা ফুটেজে ড্রোনটিকে গুলি করার মুহূর্ত দেখানো হয়েছে।

বছরের শুরু থেকে ইসরাইলের অভ্যন্তরে আক্রমণকারী ড্রোনগুলো সবচেয়ে শক্তিশালী হুমকি হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে।

ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর নতুন তথ্য অনুযায়ী, গত বছর গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরাইলে প্রায় ১ হাজার ৩০০ বার ড্রোন হামলা হয়েছে। যা, লেবানন, গাজা, ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন এবং ইরান থেকে এসেছে।

আইডিএফ বলেছে, এসব হামলা থেকে ২৩১ ড্রোন ইসরাইলে আঘাত হানে, কিছু ক্ষেত্রে হতাহত এবং উন্মুক্ত এলাকায় বিস্ফোরিত হলেও ক্ষতির কারণ হয়।

নরসিংদীর পলাশে অটো চালক অপুকে জবাই করে অটোরিকশা নিয়ে যায় হত্যাকারীরা

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:১২ পূর্বাহ্ণ
নরসিংদীর পলাশে অটো চালক অপুকে জবাই করে অটোরিকশা নিয়ে যায় হত্যাকারীরা

পলাশ থানা গজারিয়া ইউনিয়ন দরিচর গ্রামের ঈদগাহ সংলগ্নে অটো রিকশাচালক অপু নামের এক যুবককে গলা কেটে হত্যা করে ও অটো রিক্সা (মিশুকটি) নিয়ে যায় হত্যাকারীরা।

আজ (২ নভেম্বর) শনিবার তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন লোকমুখে শুনতে পায় এক যুবককে জবাই করে দরিচর ঈদগাহে কাছে ফেলে রেখেছে। পরে অপুর পরিবারের লোকজন চলে যায় পলাশ থানায় গজারিয়া ইউনিয়ন এর দরিচর গ্রামের ঈদ গায়ের সামনে।

গিয়ে দেখেন তাদের ছেলেটিকে জবাই করে হত্যা করে (অটো রিক্সা) মিশুকটি নিয়ে গেছে। একটি মিশুকের জন্য জীবন দিতে হলো ১৬ বছরের উঠতি বয়সের অপু নামের যুবক কে? অপুর গলাকাটা দেহ পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। শিবপুর উপজেলা পুটিয়া কামারগাও গ্রামের নয়ন মিয়ার ছেলে অপু (১৬)।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, অপু প্রতিদিনের মতো শুক্রবারে ও জীবিকা নির্বাহের জন্য (অটো রিক্সা) মিশুক নিয়ে বেরিয়ে যায়। রাত্র গভীর হলেও অপু বাড়িতে ফিরে না আসার কারণে সারা রাত্র হতাশায় রাত্রি পার করেন তার পরিবারের লোকজন।

এলাকাবাসী জানান, অপু আমাদের এলাকায় একটি ভালো ছেলে ছিল। দরিদ্র বলে সে জীবিকা নির্বাহের জন্য (অটো রিক্সা) মিশুক ভাড়া চালিয়ে সংসার চালাতো। তার বাবা ও একজন রিক্সা চালক। অপু ফুটবল খেলার ভক্ত ছিল নিজেও সুযোগ পেলে ফুটবল খেলতো।

এ বিষয়ে পলাশ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা অপুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। আমরা এখনো অভিযোগ পাইনি। তার পরিবারের লোকজন বলেছে রাত্র ৯ টার পরে জানাজা শেষে থানায় আসবে।

পুটিয়া বাঁসি দাবি, অপুর হত্যাকারীদের দ্রুত খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবেন নরসিংদী জেলার প্রশাসন। আর কত নিরীহ মানুষের প্রাণ যাবে এমনটাই প্রশ্ন?? সুশীল সমাজের ব্যক্তিদের।