খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছে, একে ধরে রাখতে হবে: তারেক রহমান

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৪, ১০:৫৯ অপরাহ্ণ
জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছে, একে ধরে রাখতে হবে: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং হাজারো শহিদের রক্তের বিনিময়ে ২০২৪ সালের দেশ ও জনগণের স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধে গণতন্ত্রকামী জনগণ বিজয়ী হয়েছে। হাজার হাজার আহত মানুষের আর্তচিৎকার আর লাখো শহিদের রক্তস্নাত জমিনে জাতীয় যে ঐক্য গড়ে উঠেছে, তা যে কোনো মূল্যে ধরে রাখতে হবে। বিশ্বাস করি, জনগণের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করা গেলে, কোনো প্রকার ষড়যন্ত্র করে কেউ আমাদের স্বাধীনতা কেড়ে নিতে সক্ষম হবে না।

প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের রেখে সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন তারেক রহমান।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বিএনপির পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। সরকারকে আরও সতর্ক হয়ে কাজ করতে হবে। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও সংবিধানের সঙ্গে যুক্ত বিষয়ে তাড়াহুড়া না করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শও দেন তারেক রহমান।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে ‘শারদীয় দুর্গোৎসব-উত্তর শুভেচ্ছা বিনিময়’ অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপি বরাবরই নাগরিকদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার ওপরে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়। কারণ বিএনপি মনে করে একটি রাষ্ট্রে ভোটবিহীন নাগরিকের অবস্থা যুদ্ধক্ষেত্রে অস্ত্র এবং প্রশিক্ষণবিহীন একজন সৈনিকের মতোই নাজুক। নাগরিকের ভোট প্রয়োগের অধিকার নিশ্চিত করা গেলে, রাষ্ট্র এবং সমাজে নাগরিকদের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়।’

তিনি বলেন, ‘মাফিয়া সরকারের রেখে যাওয়া ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে মেরামত করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে। ১৫ বছরের জঞ্জাল ভেদ করে চলমান সংস্কার কার্যক্রম অবশ্যই একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ। তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি, এই বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পাদন করতে গিয়ে জনগণের প্রতিদিনের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করা না গেলে জনগণের রাজনীতি এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার বিষয়টি উপেক্ষিত থাকলে অন্তর্র্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রম প্রশ্নের মুখে পড়বে। ফলে এই সরকারের কার্যক্রম অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এজেন্ডা নির্ধারণ করা অত্যন্ত জরুরি।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করে দিতে পরাজিত অপশক্তি এবং শাসন-প্রশাসনে থাকা তাদের দোসররা নানা কৌশলে সক্রিয় হয়ে উঠছে। এই কারণে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের ভিন্ন ভিন্ন দলীয় কর্মসূচি থাকলেও একটি বিষয় বিএনপিসহ সবাই আমরা একমত। মাফিয়া চক্রের সুবিধাভোগীদের রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রেখে অন্তর্র্বর্তী সরকারের পক্ষে অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ নয়।’

তিনি বলেন, ‘যারা সরকারে রয়েছেন এবং গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি, আমরা যারা এই সরকারের সমর্থনে রয়েছি আমাদের প্রত্যেকটি কাজ যথাযথ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা অত্যন্ত জরুরি। যাতে পরাজিত অপশক্তি কোনো সুযোগ নিতে না পারে। বিএনপি মনে করে কোনোভাবেই অন্তর্র্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। কারণ এই সরকারের ব্যর্থতা হবে গণতন্ত্রের ও বাংলাদেশের পক্ষের শক্তির ব্যর্থতা।’

দুর্গোৎসব-উত্তর শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে দুপুর থেকেই সহস্রাধিক হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ লেডিস ক্লাবে জড়ো হন। এ সময় ঢোল বাজিয়ে নেচে অনুষ্ঠানস্থলে আসতে দেখা যায় তাদের। বেলা সাড়ে ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলে ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতারা বিগত সময়ে তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনা দেন। তারা শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের বিচারের দাবি করেন। অতীতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হাতে তারা নির্যাতিত হয়েছেন বলেও জানান।

তারেক রহমান বলেন, ‘মাফিয়া সরকারের পলায়নের পর তাৎক্ষণিক পরিস্থিতিতে গঠিত অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক মহল ছাড়াও বর্তমানে খোদ সরকারের মধ্যে নানা রকম ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ চলছে। অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার কেন বর্তমান সংবিধানের অধীনে শপথ নিয়েছে, কিংবা বর্তমান সরকার কি বিপ্লবী সরকার কেউ কেউ এ ধরনের প্রশ্ন তুলেছেন। অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার গঠনের বর্তমান পর্যায়ে এসে তাদের গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে যে ধরনের প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, এই ধরনের বিতর্ক সরকারের গতিশীলতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। সরকারের লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার কারণ হতে পারে। এই কারণে বিএনপি মনে করে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো সরাসরি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা কিংবা সরাসরি সংবিধানের বিধিবিধানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, সেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া পরিহার করে একটি সুচিন্তিত, সুবিবেচিত ফলপ্রসূ পদ্ধতি অনুসরণ করা হলে ভবিষ্যতে যে কোনো জটিল প্রশ্ন কিংবা পরিস্থিতি মোকাবিলাও সহজ হবে।’

হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের একটিই বার্তা বিশ্বাসী, অবিশ্বাসী, সংশয়বাদী কিংবা মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী এই বাংলাদেশ আপনার-আমার-আমাদের সবার। তথাকথিত সংখ্যালঘু কিংবা সংখ্যাগুরু নয়, এই জাতি রাষ্ট্রের, আমাদের একটাই পরিচয় আমরা সবাই বাংলাদেশি। এই দেশের নাগরিক হিসাবে আপনার যতটুকু অধিকার, আমারও ততটুকুই অধিকার। সবার আগে বাংলাদেশের স্বার্থই হবে সবচাইতে বড়। রাষ্ট্র-রাজনীতি, শাসন-প্রশাসন পরিচালনায় আমরা গুরুত্ব দেব মেরিটোক্রেসিকে। সবাই সমান অধিকার ভোগ করবে এটাই বিএনপির নীতি ও রাজনীতি।’

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পরে নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছিল, যা আওয়ামী লীগের ব্যর্থ নেতৃত্বের কারণে একটি সুষ্ঠু বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারেনি। এরপর গত ১৫ বছরে এই দলটি দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যে বিজয় এসেছে সেই বিজয়ের ধারাবাহিকতা আমরা যাতে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি সেই লক্ষ্য কাজ করব।

বিএনপির ধর্মবিষয়ক সহ-সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপুর সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- স্থায়ী কমিটির ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা বরকতউল্লাহ বুলু, নিতাই রায় চোধুরী, ড. সুকোমল বড়ুয়া, আফরোজা খান রিতা, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, বিএনপি নেতা জয়ন্ত কুমার কুণ্ড, অপর্ণা রায় দাস, সুশীল বড়ুয়া, রমেশ দত্ত, দেবাশীষ রায় মধু, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকার, উপদেষ্টা তপন মজুমদার, মহাসচিব তরুণ দে, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মিল্টন বৈদ্য, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব, ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি শ্রী চিত্ত রঞ্জন মজুমদার, জয় দেব জয়, অশোক তালুকদার, শ্যামল ঘোষ, সত্যজিৎ কুণ্ড, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা পিন্টু গুহ প্রমুখ। এছাড়া অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ও সনাতন ধর্মাবলম্বীর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।