নরসিংদীর পলাশে অটো চালক অপুকে জবাই করে অটোরিকশা নিয়ে যায় হত্যাকারীরা
পলাশ থানা গজারিয়া ইউনিয়ন দরিচর গ্রামের ঈদগাহ সংলগ্নে অটো রিকশাচালক অপু নামের এক যুবককে গলা কেটে হত্যা করে ও অটো রিক্সা (মিশুকটি) নিয়ে যায় হত্যাকারীরা।
আজ (২ নভেম্বর) শনিবার তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন লোকমুখে শুনতে পায় এক যুবককে জবাই করে দরিচর ঈদগাহে কাছে ফেলে রেখেছে। পরে অপুর পরিবারের লোকজন চলে যায় পলাশ থানায় গজারিয়া ইউনিয়ন এর দরিচর গ্রামের ঈদ গায়ের সামনে।
গিয়ে দেখেন তাদের ছেলেটিকে জবাই করে হত্যা করে (অটো রিক্সা) মিশুকটি নিয়ে গেছে। একটি মিশুকের জন্য জীবন দিতে হলো ১৬ বছরের উঠতি বয়সের অপু নামের যুবক কে? অপুর গলাকাটা দেহ পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। শিবপুর উপজেলা পুটিয়া কামারগাও গ্রামের নয়ন মিয়ার ছেলে অপু (১৬)।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, অপু প্রতিদিনের মতো শুক্রবারে ও জীবিকা নির্বাহের জন্য (অটো রিক্সা) মিশুক নিয়ে বেরিয়ে যায়। রাত্র গভীর হলেও অপু বাড়িতে ফিরে না আসার কারণে সারা রাত্র হতাশায় রাত্রি পার করেন তার পরিবারের লোকজন।
এলাকাবাসী জানান, অপু আমাদের এলাকায় একটি ভালো ছেলে ছিল। দরিদ্র বলে সে জীবিকা নির্বাহের জন্য (অটো রিক্সা) মিশুক ভাড়া চালিয়ে সংসার চালাতো। তার বাবা ও একজন রিক্সা চালক। অপু ফুটবল খেলার ভক্ত ছিল নিজেও সুযোগ পেলে ফুটবল খেলতো।
এ বিষয়ে পলাশ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা অপুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। আমরা এখনো অভিযোগ পাইনি। তার পরিবারের লোকজন বলেছে রাত্র ৯ টার পরে জানাজা শেষে থানায় আসবে।
পুটিয়া বাঁসি দাবি, অপুর হত্যাকারীদের দ্রুত খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবেন নরসিংদী জেলার প্রশাসন। আর কত নিরীহ মানুষের প্রাণ যাবে এমনটাই প্রশ্ন?? সুশীল সমাজের ব্যক্তিদের।
আপনার মতামত লিখুন