খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক যুবলীগ নেতাকে রাতে ছেড়ে দিলেন ওসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:৩৯ পূর্বাহ্ণ
যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক যুবলীগ নেতাকে রাতে ছেড়ে দিলেন ওসি

ফেনীর সোনাগাজীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিতর্কিত যুবলীগ নেতা, কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ও শীর্ষ সন্ত্রাসী মোহাম্মদ দুলাল প্রকাশ ওরফে বাটা দুলালকে শনিবার রাত ১০টার দিকে গ্রেফতারের পর থানায় হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু তাকে গভীর রাতে ছেড়ে দেন মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামান।

থানা থেকে গভীর রাতে আসামি ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি প্রকাশিত হলে শুরু হয় তুমুল সমালোচনা। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওসির এমন কাণ্ড নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিশেষ করে এমন দাগী আসামী ছেড়ে দেয়ায় বেজায় ক্ষিপ্ত এলাকার মানুষ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক নেতা বলেন, “সোনাগাজীর একজন সমালোচিত প্রভাবশালী যুবদল নেতার তদবিরে ওসি কামরুজ্জামান মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে আসামিকে গভীর রাতে ছেড়ে দিয়েছেন। স্থানীয়রা ওসির প্রত্যাহারেরও দাবি জানিয়েছেন। গ্রেফতার দুলাল উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের চরচান্দিয়া ভুঞা বাজার এলাকার আবু তাহেরের ছেলে এবং চরচন্দিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ সহসভাপতি। তার বিরুদ্ধে ৫ আগস্ট ফেনীর ট্রাংক রোড দোয়েল চত্বরে গুলি করে নাহিদুর রহমান নামে এক যুবককে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় তার বাবা বাহার মিয়ার দায়ের করা মামলার ১৪১ নম্বর আসামি সে।”

তবে থানা থেকে আসামি ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি ওসি কামরুজ্জামান। গণমাধ্যমকে সোজাসাপটা এড়িয়ে যান তিনি।

তবে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার বাটা দুলালকে গভীর রাতে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে ফেনীর পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘তাকে গ্রেফতারের পর থানায় অনলাইনে যাচাই-বাছাই করে পাঁচটি মামলার তথ্য ছাড়া আর কোনো মামলা পাওয়া যায়নি। তিনি সে মামলাগুলোতে জামিনে রয়েছেন। পত্রিকায় দেখেছি তার বিরুদ্ধে ৫ আগস্টে ছাত্র হত্যার মামলা রয়েছে। এ মামলায় তিনি আসামি হলেও এজাহারে তার বাবার নাম ভুল হওয়ায় থানায় যাচাই করে কোনো মামলা খুঁজে পাওয়া যায়নি, তাই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি। তবে আমরা বিষয়টা খতিয়ে দেখছি।’

তবে এমন বিতর্কিত ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ সাধারণ জনগণ। তারা বলছেন, বাটা দুলালের মতো এমন মাদক সম্রাট, বিতর্কিত নেতা হঠাৎ করে ফেরেশতা হয়ে গেলো ? নাকি মোটা অঙ্কের টাকা খেয়ে ওসি কামরুজ্জামান দুলালকে ফেরেশতা বানিয়ে দিলো ? আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই।’

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।