খুঁজুন
রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫, ১ আষাঢ়, ১৪৩২

মাদরাসাবিরোধী আইন বাতিল করলো ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৪, ৮:২০ অপরাহ্ণ
মাদরাসাবিরোধী আইন বাতিল করলো ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে দিল ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট। ফলে উত্তরপ্রদেশে মাদরাসা চালানোয় আর কোনো সমস্যা থাকলো না।

২০০৪ সালে উত্তরপ্রদেশের তৎকালীন সমাজবাদী পার্টির সরকার একটি আইন তৈরি করেছিল। যে আইন উত্তরপ্রদেশ বোর্ড অফ মাদরাসা এডুকেশন আইন নামে পরিচিত। এই বোর্ডের তত্ত্বাবধানে রাজ্যের সমস্ত মাদরাসা চালানো হবে, এমনই স্থির হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, মাদরাসা শিক্ষার পাঠ্যক্রমের সঙ্গে জেনারেল বোর্ডের পাঠ্যক্রমের সমন্বয় তৈরি করাও ছিল এই বোর্ডের অন্যতম কাজ।

উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে বিজেপির সরকার তৈরি হওয়ার পর এই আইনটি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা হয়। এবং হাইকোর্ট জানায় আইনটি সাংবিধানিক নয়। সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রের পরিপন্থী এই আইন। এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই রায়ের ফলে সমস্যায় পড়ে উত্তরপ্রদেশের প্রায় ১৬ হাজার মাদরাসা। আদৌ এই মাদ্রাসাগুলি বৈধ কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বেশ কিছু মাদরাসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়।

মাদরাসা ইউনিয়নের বক্তব্য, এর ফলে প্রায় ১৭ লাখ ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ সংশয়ের মুখে পড়ে। হাইকোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় তিনটি মাদরাসার সঙ্গে যুক্ত সংগঠন।

তাদের মূল বক্তব্য ছিল, হাইকোর্ট ২০০৪ সালের আইনের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে হাইকোর্টে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ হাইকোর্টের রায় খারিজ করে দেয়। প্রধান বিচারপতির পাশাপাশি ওই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র।

রায় ঘোষণার সময় বিচারপতিরা জানান, হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছিল, উত্তরপ্রদেশের মাদরাসা আইন ভারতীয় সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রের পরিপন্থী। কিন্তু বাস্তবে তা ঠিক নয়। শিক্ষার অধিকার সকলের আছে। এবং মাদরাসা বোর্ড সাধারণ বা জেনারেল শিক্ষার সঙ্গে মাদরাসা শিক্ষার সমন্বয় তৈরি করেছে। ফলে এই আইনকে কখনোই অসাংবিধানিক বলা যায় না।

মাদরাসা বোর্ডে পড়াশোনা করার পরে ছাত্রছাত্রীদের সার্টিফিকেট দেয়া হয়। সেই সার্টিফিকেট নিয়ে পরবর্তী স্তরে যে কোনো সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে পারেন ছাত্রছাত্রীরা। ফলে আইনটি কখনোই অসাংবিধানিক নয়। তবে একই সঙ্গে কওমি এবং খারিজি মাদরাসা নিয়ে মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এই ধরনের মাদরাসা কতটা আইনসংগত তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

জামিয়াত ওলামায় ইসলামের মুখপাত্র ফজলুর রহমান বলেছেন, মাদরাসা নিয়ে একাধিক মামলা চলছে আদালতে। এদিন সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে, তা কেবলমাত্র উত্তর প্রদেশ নিয়ে। এই রায়কে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।

ফজলুর জানিয়েছেন, একাধিক বিজেপি রাজ্যে মাদরাসা বন্ধ করার চেষ্টা চলছে। উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশ এবং আসামে একাধিক মাদরাসা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে সেখানকার রাজ্য সরকার। বহু মাদরাসাকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। আদালতে তা নিয়েও মামলা চলছে। সেই মামলায় এদিনের রায় প্রভাব ফেলবে বলেই তিনি মনে করেন।

সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। কংগ্রেসও এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। বিজেপির তরফে বলা হয়েছে, তারা সুপ্রিম কোর্টের রায়কে সম্মান জানাবে।

যুক্তরাষ্ট্রে ফাইজারের বিরুদ্ধে মামলা

ফাইজারের গর্ভনিরোধক টিকা নিয়ে ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত ৪০০ নারী!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫, ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ
ফাইজারের গর্ভনিরোধক টিকা নিয়ে ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত ৪০০ নারী!

যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয় জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন ডেপো-প্রোভেরা ব্যবহারের পর ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়েছেন শত শত নারী— এমন অভিযোগে ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান ফাইজারের বিরুদ্ধে বড় ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

মোট প্রায় ৪০০ নারী একটি সম্মিলিত মামলায় অভিযোগ করেছেন, ফাইজার আগে থেকেই জানত ইনজেকশনটির সঙ্গে মেনিনজিওমা নামক ব্রেন টিউমারের সম্পর্ক রয়েছে, তবে তারা মার্কিন নারীদের এ সম্পর্কে সতর্ক করেনি। অথচ কানাডা ও যুক্তরাজ্যের মতো কিছু দেশে ওষুধটির প্যাকেটেই সতর্কতামূলক লেবেল সংযুক্ত করা হয়েছে।

সম্প্রতি ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল-এ প্রকাশিত ২০২৪ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, ডেপো-প্রোভেরা ইনজেকশন ব্যবহারকারীদের ৫.৬ গুণ বেশি মেনিনজিওমার ঝুঁকি রয়েছে। যদিও এই টিউমার ক্যানসার নয়, তবে এটি মস্তিষ্কে চাপ, মাথাব্যথা, চোখে সমস্যা, এমনকি পক্ষাঘাতের মতো গুরুতর জটিলতা তৈরি করতে পারে।

মামলায় অংশগ্রহণকারী অনেক নারী জানিয়েছেন, তারা অন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিতে সমস্যার কারণে ডেপো-প্রোভেরা বেছে নিয়েছিলেন, কিন্তু ইনজেকশনের এই ঝুঁকি সম্পর্কে কোনো তথ্য তাদের জানানো হয়নি। ভুক্তভোগীদের একজন, অ্যান্ড্রিয়া ফক্স, জানান—দীর্ঘদিন ধরে তিনি মাথা ঘোরা, স্মৃতিভ্রংশ ও স্নায়ুবিক দুর্বলতা অনুভব করছিলেন। পরে পরীক্ষায় মস্তিষ্কে টিউমার ধরা পড়ে।

মামলাটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও, এটি যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধ নিরাপত্তা, তথ্য স্বচ্ছতা ও ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির দায়বদ্ধতা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

ভুক্তভোগীরা মনে করছেন, দীর্ঘদিনের শারীরিক ও মানসিক কষ্টের পরে এই মামলা তাঁদের ন্যায়বিচারের পথে এগিয়ে নেবে। তবে তারা এটাও বলছেন, কোনো রায়ই বছরের পর বছর ভোগা যন্ত্রণা ফিরিয়ে দিতে পারবে না।

সূত্র: স্টক টাইটান

নিজের মামলাতেই ধরাশায়ী তিনি

সৎ মা ইস্যুতে ফেঁসে যাচ্ছেন বিতর্কিত অভিনেত্রী শাওন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫, ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ
সৎ মা ইস্যুতে ফেঁসে যাচ্ছেন বিতর্কিত অভিনেত্রী শাওন

তুমুল বিতর্কিত অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন তাঁর সৎ মা নিশি ইসলাম-কে নিয়ে দায়ের করা এক প্রতারণা মামলায় বিপাকে পড়তে যাচ্ছেন। পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মামলার অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। একইসঙ্গে, মামলার বাদী মাহিন আফরোজ শিঞ্জন (শাওনের বোন)-এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

২০২৪ সালের ৫ এপ্রিল, মাহিন আফরোজ শিঞ্জন বাড্ডা থানায় অভিযোগ করেন- নিশি ইসলাম ও আল মাহফুজ খান তাঁর বাবাকে প্রতারণার মাধ্যমে জোর করে বিয়ে করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা পরিচয়, ভয়ভীতি ও অর্থ আদায়ের অভিযোগ তোলেন তিনি।

তদন্তে উঠে আসে, নিশি ইসলাম ও আল মাহফুজ খান একসময় দাম্পত্য সম্পর্কে আবদ্ধ থাকলেও ২০২৩ সালের মে মাসে তাদের বিচ্ছেদ হয়। পরে ইঞ্জিনিয়ার মো. আলী (শাওনের বাবা) নিজের ইচ্ছায় ম্যারেজ মিডিয়ার মাধ্যমে নিশি ইসলামের সঙ্গে পরিচিত হন এবং পরস্পরের সম্মতিতে ২০২৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেন।

চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিয়েটি ছিল “হাস্যোজ্জ্বল পরিবেশে, স্বেচ্ছায় সম্পন্ন” এবং অর্থ আদায়ের অভিযোগও অসত্য। এ মামলায় পুলিশ নিশি ইসলামকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।

এছাড়া, মামলার সাক্ষীরা শাওনের বোন ও বন্ধুবান্ধব হওয়ায়, তারা নিরপেক্ষ ছিলেন না বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে, চলতি বছরের ১৩ মার্চ নিশি ইসলাম হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে শাওনসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় শাওনের বাবা, বোন, স্বামীসহ পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা ও আত্মীয়-স্বজনকেও আসামি করা হয়।

২২ এপ্রিল আদালত এই মামলার শুনানি গ্রহণ করে দুই পুলিশ সদস্যকে জামিন দেন এবং বাকি ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে আদালত অভিনেত্রী শাওন ও সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

প্রতারণা মামলার পরবর্তী শুনানি: ১০ জুলাই ২০২৫, নিশি ইসলামের মামলার পরবর্তী তারিখ: ১ জুলাই ২০২৫

নিশি ইসলাম জানান, “আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে, রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। আমি বিচার চাই।”

অন্যদিকে, শাওনের বোন মাহিন আফরোজ সাংবাদিকদের বলেন, “বিষয়টি এখন আদালতের বিবেচনায়। এ বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না।”

ইরানের হামলায় ইসরাইলে নিহত ৮, আহত ২০০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫, ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ
ইরানের হামলায় ইসরাইলে নিহত ৮, আহত ২০০

ইসরাইলে শনিবার মধ্যরাত ও রোববার ভোরে দুই দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এতে অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ২০০ জন।

নিহতদের মধ্যে শুধু উত্তর ইসরাইলে প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন। নিহতরা আরব ইসরাইলি বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল।

তারা খাতিব পরিবারের সদস্য। শহরটি ফিলিস্তিনি-ইসরাইলি অধ্যুষিত।

অপরদিকে ভোরের হামলায় ৬০ বছর বয়সি এক নারী প্রাণ হারিয়েছেন।ইসরাইলের জরুরি সেবা সংস্থা মেগান ডেভিড আদম জানিয়েছে,মধ্য ইসরাইলের বাত ইয়ামে ওই নারী নিহত হয়েছেন। এছাড়া সেখানে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩০ জন। যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক।

অপরদিকে রেহেবোতে দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

ইরানি হামলায় বাণিজ্যিক রাজধানী তেলআবিব এবং রামাত গানেও বেশ কিছু অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত এবং হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তবে সেখানকার হতাহতের সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি

ইরানের এ হামলার আগে ইসরাইলিদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়সেনাবাহিনী। তবে এখন তারা এ নির্দেশনা তুলে দিয়েছে।

সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, ইসরাইলের ওই আরব শহরটিতে হতাহতের সংখ্যা বেশি কারণ সেখানে আশ্রয় নেওয়ার মতো খুব বেশি সুবিধা নেই।