খুঁজুন
রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫, ১ আষাঢ়, ১৪৩২

কারা থাকতে পারেন ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভায়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১১:৩৯ অপরাহ্ণ
কারা থাকতে পারেন ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভায়

ইতিহাস গড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। শপথ গ্রহণ করবেন আগামী ২০ জানুয়ারি। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে কারা থাকছেন ট্রাম্পের মন্ত্রিসভায়। কেমন হচ্ছে সাবেক প্রেসিডেন্টের এবারের মন্ত্রিসভা।

প্রতিরক্ষা, গোয়েন্দা, পররাষ্ট্র, বাণিজ্য, অর্থনীতি, অভিবাসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেখভালের জন্য ট্রাম্পের পছন্দের সম্ভাব্য তালিকায় কোন কোন ব্যক্তি স্থান পেতে পারেন, তার একটা ধারণা দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

সম্ভাব্য তালিকাটি দেখে নেওয়া যাক:

ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারেন স্কট বেসেন্ট। তিনি ট্রাম্পের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক উপদেষ্টা। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক বছর ধরে শিক্ষকতা করা বেসেন্টকে অর্থমন্ত্রী হিসেবে অন্যতম প্রধান প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

তবে এই পদে আসতে পারেন জন পলসনও। মার্কিন ধনকুবের ও ট্রাম্পের তহবিলে অন্যতম শীর্ষ অনুদান দাতা পলসন এই পদে কাজ করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন তার ঘনিষ্ঠরা।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনে অর্থমন্ত্রী হতে পারেন—এমন লোকদের তালিকায় আরেকজন হলেন, ল্যারি কুডলো। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন অর্থমন্ত্রী হিসেবে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে আছেন ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কের ব্যক্তিত্ব ল্যারি কুডলো। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা কুডলোর সুযোগ থাকলেও তার পছন্দের ভিত্তিতে তিনি অর্থনীতিকেন্দ্রিক অন্য কোনো পদে যাওয়ার সুযোগও পেতে পারেন।

সম্ভাব্য অর্থমন্ত্রী হিসেবে আলোচনায় আছেন, ট্রাম্পের বাণিজ্য প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা রবার্ট লাইটহাইজারও। যদিও অর্থমন্ত্রীর পদে সম্ভাবনা বেশি হেনরি বেসেন্ট ও জন পলসনের, লাইটহাইজারেরও সেই পদে যাওয়ার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তিনি চাইলে আবারও তার পুরোনো দায়িত্বে ফিরতে পারেন। এ ছাড়া ট্রাম্পের ট্রানজিশন টিমের সহসভাপতি এবং অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান ক্যান্টর ফিটজেরাল্ডের প্রধান নির্বাহী হাওয়ার্ড লুটনিকও অর্থমন্ত্রীর দৌড়ে রয়েছেন।

ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পেতে পারেন রিচার্ড গ্রেনেল। গ্রেনেল ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ পররাষ্ট্রনীতি পরামর্শকদের একজন। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে তিনি জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এবং জার্মানিতে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। গত সেপ্টেম্বরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকে গ্রেনেল ব্যক্তিগত আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে তিন সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে একজন হলেন রবার্ট ও’ব্রায়েন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে তিনি কিছুদিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ আছে। এই পদের জন্য বিবেচিত আরেক প্রার্থী বিল হ্যাগার্টি। টেনেসির সিনেটর বিল হ্যাগার্টি ট্রাম্পের ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারণা এবং প্রশাসন গঠন প্রক্রিয়ায় কাজ করেছেন। তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম দিকে জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া ফ্লোরিডার মার্কিন সিনেটর ও ২০১৬ সালের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মার্কো রুবিওকেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে যেসব নাম আলোচনায় তাদের মধ্যে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও বর্তমানে ফ্লোরিডার কংগ্রেসম্যান মাইক ওয়াল্টজ অন্যতম।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে পম্পেওকে বেছে নিতে পারেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে পম্পেও সিআইএর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পরে তাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করেছিলেন ট্রাম্প। এবার জাতীয় নিরাপত্তা, গোয়েন্দা বা কূটনীতিসংশ্লিষ্ট পদেও বসাতে পারেন ট্রাম্প।

ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পদে সম্ভাব্য চার প্রার্থীর মধ্যে কিথ কেলগ জাতীয় নিরাপত্তার সংশ্লিষ্ট কোনো পদে দায়িত্ব পেতে পারেন। অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল কিথ কেলগ ট্রাম্পের আগের প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের চিফ অব স্টাফ ছিলেন।

অন্যান্য পদের সম্ভাব্য প্রার্থী:

যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি-বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে টম হোমানকে বিবেচনায় নিতে পারেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে তার প্রশাসনে কাজ করেছিলেন তিনি। ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসেবে দেড় বছর দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। একই পদে বিবেচনায় আসতে পারেন চাদ ওলফ। তিনি ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে প্রায় ১৪ মাস হোমল্যান্ড সিকিউরিটি-বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন। এ ছাড়া এই পদে মার্ক গ্রিনকেও নিয়োগ দিতে পারেন ট্রাম্প। গ্রিন বর্তমানে প্রতিনিধি পরিষদের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি-বিষয়ক কমিটির চেয়ারমানের দায়িত্ব আছেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল পদে জন র‍্যাটক্লিফকে বাছাই করতে পারেন ট্রাম্প। তিনি সাবেক কংগ্রেস সদস্য ও প্রসিকিউটর। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে তিনি ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এই পদে বিবেচনায় আসতে পারেন সাবেক প্রসিকিউটর মাইক লি। তিনি উটাহ অঙ্গরাজ্যের বর্তমান সিনেটর।

হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের চিফ অব স্টাফ পদে সুসি উইলসকে দেখা যেতে পারে। তিনি ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রমের সহব্যবস্থাপক।

৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট ভোটে ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৯৫ ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। জয়ের জন্য তার প্রয়োজন ছিল ২৭০টি। কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২২৬ ইলেকটোরাল ভোট।

যুক্তরাষ্ট্রে ফাইজারের বিরুদ্ধে মামলা

ফাইজারের গর্ভনিরোধক টিকা নিয়ে ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত ৪০০ নারী!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫, ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ
ফাইজারের গর্ভনিরোধক টিকা নিয়ে ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত ৪০০ নারী!

যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয় জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন ডেপো-প্রোভেরা ব্যবহারের পর ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়েছেন শত শত নারী— এমন অভিযোগে ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান ফাইজারের বিরুদ্ধে বড় ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

মোট প্রায় ৪০০ নারী একটি সম্মিলিত মামলায় অভিযোগ করেছেন, ফাইজার আগে থেকেই জানত ইনজেকশনটির সঙ্গে মেনিনজিওমা নামক ব্রেন টিউমারের সম্পর্ক রয়েছে, তবে তারা মার্কিন নারীদের এ সম্পর্কে সতর্ক করেনি। অথচ কানাডা ও যুক্তরাজ্যের মতো কিছু দেশে ওষুধটির প্যাকেটেই সতর্কতামূলক লেবেল সংযুক্ত করা হয়েছে।

সম্প্রতি ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল-এ প্রকাশিত ২০২৪ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, ডেপো-প্রোভেরা ইনজেকশন ব্যবহারকারীদের ৫.৬ গুণ বেশি মেনিনজিওমার ঝুঁকি রয়েছে। যদিও এই টিউমার ক্যানসার নয়, তবে এটি মস্তিষ্কে চাপ, মাথাব্যথা, চোখে সমস্যা, এমনকি পক্ষাঘাতের মতো গুরুতর জটিলতা তৈরি করতে পারে।

মামলায় অংশগ্রহণকারী অনেক নারী জানিয়েছেন, তারা অন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিতে সমস্যার কারণে ডেপো-প্রোভেরা বেছে নিয়েছিলেন, কিন্তু ইনজেকশনের এই ঝুঁকি সম্পর্কে কোনো তথ্য তাদের জানানো হয়নি। ভুক্তভোগীদের একজন, অ্যান্ড্রিয়া ফক্স, জানান—দীর্ঘদিন ধরে তিনি মাথা ঘোরা, স্মৃতিভ্রংশ ও স্নায়ুবিক দুর্বলতা অনুভব করছিলেন। পরে পরীক্ষায় মস্তিষ্কে টিউমার ধরা পড়ে।

মামলাটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও, এটি যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধ নিরাপত্তা, তথ্য স্বচ্ছতা ও ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির দায়বদ্ধতা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

ভুক্তভোগীরা মনে করছেন, দীর্ঘদিনের শারীরিক ও মানসিক কষ্টের পরে এই মামলা তাঁদের ন্যায়বিচারের পথে এগিয়ে নেবে। তবে তারা এটাও বলছেন, কোনো রায়ই বছরের পর বছর ভোগা যন্ত্রণা ফিরিয়ে দিতে পারবে না।

সূত্র: স্টক টাইটান

নিজের মামলাতেই ধরাশায়ী তিনি

সৎ মা ইস্যুতে ফেঁসে যাচ্ছেন বিতর্কিত অভিনেত্রী শাওন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫, ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ
সৎ মা ইস্যুতে ফেঁসে যাচ্ছেন বিতর্কিত অভিনেত্রী শাওন

তুমুল বিতর্কিত অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন তাঁর সৎ মা নিশি ইসলাম-কে নিয়ে দায়ের করা এক প্রতারণা মামলায় বিপাকে পড়তে যাচ্ছেন। পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মামলার অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। একইসঙ্গে, মামলার বাদী মাহিন আফরোজ শিঞ্জন (শাওনের বোন)-এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

২০২৪ সালের ৫ এপ্রিল, মাহিন আফরোজ শিঞ্জন বাড্ডা থানায় অভিযোগ করেন- নিশি ইসলাম ও আল মাহফুজ খান তাঁর বাবাকে প্রতারণার মাধ্যমে জোর করে বিয়ে করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা পরিচয়, ভয়ভীতি ও অর্থ আদায়ের অভিযোগ তোলেন তিনি।

তদন্তে উঠে আসে, নিশি ইসলাম ও আল মাহফুজ খান একসময় দাম্পত্য সম্পর্কে আবদ্ধ থাকলেও ২০২৩ সালের মে মাসে তাদের বিচ্ছেদ হয়। পরে ইঞ্জিনিয়ার মো. আলী (শাওনের বাবা) নিজের ইচ্ছায় ম্যারেজ মিডিয়ার মাধ্যমে নিশি ইসলামের সঙ্গে পরিচিত হন এবং পরস্পরের সম্মতিতে ২০২৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেন।

চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিয়েটি ছিল “হাস্যোজ্জ্বল পরিবেশে, স্বেচ্ছায় সম্পন্ন” এবং অর্থ আদায়ের অভিযোগও অসত্য। এ মামলায় পুলিশ নিশি ইসলামকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।

এছাড়া, মামলার সাক্ষীরা শাওনের বোন ও বন্ধুবান্ধব হওয়ায়, তারা নিরপেক্ষ ছিলেন না বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে, চলতি বছরের ১৩ মার্চ নিশি ইসলাম হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে শাওনসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় শাওনের বাবা, বোন, স্বামীসহ পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা ও আত্মীয়-স্বজনকেও আসামি করা হয়।

২২ এপ্রিল আদালত এই মামলার শুনানি গ্রহণ করে দুই পুলিশ সদস্যকে জামিন দেন এবং বাকি ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে আদালত অভিনেত্রী শাওন ও সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

প্রতারণা মামলার পরবর্তী শুনানি: ১০ জুলাই ২০২৫, নিশি ইসলামের মামলার পরবর্তী তারিখ: ১ জুলাই ২০২৫

নিশি ইসলাম জানান, “আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে, রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। আমি বিচার চাই।”

অন্যদিকে, শাওনের বোন মাহিন আফরোজ সাংবাদিকদের বলেন, “বিষয়টি এখন আদালতের বিবেচনায়। এ বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না।”

ইরানের হামলায় ইসরাইলে নিহত ৮, আহত ২০০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫, ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ
ইরানের হামলায় ইসরাইলে নিহত ৮, আহত ২০০

ইসরাইলে শনিবার মধ্যরাত ও রোববার ভোরে দুই দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এতে অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ২০০ জন।

নিহতদের মধ্যে শুধু উত্তর ইসরাইলে প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন। নিহতরা আরব ইসরাইলি বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল।

তারা খাতিব পরিবারের সদস্য। শহরটি ফিলিস্তিনি-ইসরাইলি অধ্যুষিত।

অপরদিকে ভোরের হামলায় ৬০ বছর বয়সি এক নারী প্রাণ হারিয়েছেন।ইসরাইলের জরুরি সেবা সংস্থা মেগান ডেভিড আদম জানিয়েছে,মধ্য ইসরাইলের বাত ইয়ামে ওই নারী নিহত হয়েছেন। এছাড়া সেখানে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩০ জন। যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক।

অপরদিকে রেহেবোতে দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

ইরানি হামলায় বাণিজ্যিক রাজধানী তেলআবিব এবং রামাত গানেও বেশ কিছু অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত এবং হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তবে সেখানকার হতাহতের সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি

ইরানের এ হামলার আগে ইসরাইলিদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়সেনাবাহিনী। তবে এখন তারা এ নির্দেশনা তুলে দিয়েছে।

সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, ইসরাইলের ওই আরব শহরটিতে হতাহতের সংখ্যা বেশি কারণ সেখানে আশ্রয় নেওয়ার মতো খুব বেশি সুবিধা নেই।