খুঁজুন
সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

জনগণের দুর্ভোগে জড়িত থাকলে ব্যবস্থা: আমিনুল হক

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:১২ পূর্বাহ্ণ
জনগণের দুর্ভোগে জড়িত থাকলে ব্যবস্থা: আমিনুল হক

বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক, পরিচ্ছন্ন ইমেজের রাজনীতিবিদ জনাব আমিনুল হক বলেছেন, জনগণের পাশে থেকে কাজ করতে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা দিয়েছেন। বিএনপি জনগণের দল। সুতরাং জনগণের দুর্ভোগ-কষ্ট-হয়রানি হয়, জনগণ অসন্তুষ্ট হয়-এমন কোনো কাজ আমাদের দলের নেতাকর্মীদের করা যাবে না। জনগণের দুর্ভোগে যদি কেউ জড়িত থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত এবং সাংগঠনিক দুটি ব্যবস্থাই নেওয়া হবে।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর রুপনগরস্থ আরামবাগ ঈদগাহ মাঠে থানা যুবদল ৬ নম্বর আঞ্চলিক ওয়ার্ডের উদ্যোগে এক কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।

এ-সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আমিনুল হক বলেন, আগামী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত দলের কেউ কোথাও অফিস করার চিন্তা করবেন না। গত ১৭ বছর আমরা স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। তখন তো আমাদের কোনো অফিসের প্রয়োজন হয়নি। এ ছাড়া নিজেকে প্রচার ও জাহির করার জন্য কোনো প্রকার পোস্টার-ব্যানার লাগানো যাবে না। এটা দলীয় সিদ্ধান্ত।

তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ চায়- দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে, বিচার বিভাগ স্বাধীনমতো কাজ করবে, সংবাদপত্র স্বাধীনভাবে কাজ করবে, সাধারণ মানুষ স্বাধীনভাবে চলতে পারবে। মানুষ তার নাগরিক ও মৌলিক অধিকার ভোগ করতে পারবে। এটাই বাংলাদেশের মানুষের চাওয়া এবং সেই চাওয়া পূরণ করার দায়িত্ব এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের। এ জন্য আমরা তাদেরকে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, আপনারা দ্রুত সময়ের মধ্যে একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন- যাতে দেশে একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়, যে সরকার জনগণের কথামতো চলবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আহ্বায়ক শরীফ উদ্দীন জুয়েল বলেন, গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে যেখানেই পাবেন সেখানেই প্রতিহত করুন। গত ১৬ বছরে আমরা আমাদের বহু ভাইকে হারিয়েছি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি এবং থাকব।

তিনি বলেন, যুবদলের নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে থেকে জনকল্যাণমূলক কাজে সম্পৃক্ত থাকবে। জনগণ অসন্তুষ্ট হয়, এমন কোনো কাজ তারা করবে না।

মহানগর উত্তর যুবদলের সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজ বলেন, শক্তিশালী সংগঠন গড়তে ঐক্যের বিকল্প নেই। দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রেখে নেতাকর্মীদের এগিয়ে যেতে হবে।

রুপনগর থানা যুবদল ৬ নম্বর আঞ্চলিক ওয়ার্ডের আহ্বায়ক মো. সালাউদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং থানা যুবদলের আহ্বায়ক সোয়েব খান ও সদস্য সচিব হাদিউল ইসলাম রাজিবের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম স্বপন, আবুল হাসান টিটু, মহিলা দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব অ্যাড. রুনা লায়লা, রুপনগর থানা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল হক প্রমুখ।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার-আহতদের জন্য ৪০৫ কোটি বরাদ্দ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ১১:৫৪ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার-আহতদের জন্য ৪০৫ কোটি বরাদ্দ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার এবং আহতদের জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৪০৫ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সোমবার বিকেলে বাজেট প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সময় তিনি এই বরাদ্দ দেওয়ার কথা জানান।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস ও চেতনাকে রাষ্ট্রীয় জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে নানা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। শহীদ পরিবার ও আহতদের ভাতা, চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের বিষয়টি এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

তিনি বলেন, শিগগির জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের পরিবার এবং আহতদের জন্য ভাতা প্রদানের লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। এছাড়া, তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার এবং আহতদের জন্য ৪০৫ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করছি।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা খাতের ব্যাপ্তি এবং গুরুত্ব বিবেচনায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করছি। এক্ষেত্রে পেনশন ব্যতীত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দের পরিমাণ দাঁড়াবে ৯১ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা।

তিনি আরও বলেন, সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় দরিদ্র, প্রান্তিক ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য কমানোর বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেয়েছে।

বৈঠকে অনুমোদন পাওয়ার পর রাষ্ট্রপতি একটি অধ্যাদেশ জারি করে বাজেটটি কার্যকর করবেন, যা আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।

ঈদযাত্রায় ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধের দাবি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ১১:৫২ অপরাহ্ণ
ঈদযাত্রায় ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধের দাবি

ঈদযাত্রায় যাত্রী দুর্ভোগ, দুর্ঘটনা, যানজট ও মানুষের ভোগান্তি কমাতে সব পথে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধের দাবি জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। আজ সোমবার সকালে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান সমিতির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ জকরিয়া ও মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর।

এতে বলা হয়, প্রতিবছর ঈদে ফিটনেসবিহীন, লক্কড়-ঝক্কড় বাস, ট্রাক, লেগুনা, টেম্পু, মাইক্রোবাস, কার, নছিমন-করিমন ও সিটি সার্ভিসের বাস-মিনিবাস দূরপাল্লার বহরে যাত্রীপরিবহনে নেমে পড়ে। মেয়াদ উত্তীর্ণ নৌযান দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করে। রেলপথেও মেয়াদ উত্তীর্ণ কোচ, ইঞ্জিন, রেলপথের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ও লাইনচ্যুতির ঘটনায় প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি যানজট ও ভোগান্তি তৈরি করে। এবারের ঈদে সকলপথে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

সারাদেশে প্রায় ৫ লক্ষাধিক যানবাহনের ফিটনেস নেই। ৫ লাখ ইজিবাইক, ৬০ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৭ লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা, ১ লাখ নছিমন করিমন, ২০ লাখ মোটরসাইকেল প্রতিদিন জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে চলাচল করছে। এছাড়াও মহাসড়কের পাশে পশুরহাট, পশুবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে যানবাহন দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসের গতি কমানোর পাশাপাশি যানজটের সৃষ্টি করছে। এসব যানবাহন জাতীয় মহাসড়ক থেকে জরুরি ভিত্তিতে উচ্ছেদ করতে হবে। সড়ক-মহাসড়কের প্রতি ইঞ্চি বেদখলমুক্ত করে বাধাহীন যানবাহন চলাচলে উদ্যোগ নিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা, পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে।

এ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ আনফিট নৌযানের চলাচল বন্ধ করা, প্রতিটি নৌযানের লোডলাইন অনুযায়ী অতিরিক্ত যাত্রীবহন কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। সবপথের প্রতিটি রুটে যাত্রীসাধারণের নিরাপত্তা বিধান করা, বাস টার্মিনাল, লঞ্চ টার্মিনাল, ও রেলস্টেশনে অপেক্ষমান যাত্রীদের বসার ব্যবস্থা করা, ব্যবহার উপযোগী প্রয়োজনীয় শৌচাগারের ব্যবস্থা করা, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার বিধান নিশ্চিত করা জরুরি। বাসা থেকে বের হলেই পথে পথে ছিনতাই, অজ্ঞানপাটি, মলমপাটি, টানাপাটিসহ যে কোনও দুষ্কৃতিকারীদের নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো, গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হচ্ছে।

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ১১:৫০ অপরাহ্ণ
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন

২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার বাজেট প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে অনুমোদন হয়েছে। আজ সোমবার এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠকসূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় শেষ হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠক। অনুমোদন হয়েছে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার বাজেট।

সূত্র জানায়, বিকেল ৩টা থেকে পূর্ব-রেকর্ডকৃত বাজেট ভাষণটি বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) এবং বাংলাদেশ বেতারের মাধ্যমে সম্প্রচারিত হবে।

এছাড়া ব্যাপক প্রচার নিশ্চিত করার জন্য বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এবং রেডিও স্টেশনগুলোকে বিটিভি থেকে ফিড নিয়ে বাজেট ভাষণটি একই সময়ে সম্প্রচার করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

এদিকে প্রথম দফায় আলোচনা শেষে যেসব মতানৈক্য ছিল সেগুলো দূর করতে আজ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় আলোচনা শুরু করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের চেয়ারম্যান এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ বিকেল সাড়ে ৪টায় দ্বিতীয় দফার সংলাপ শুরু করবেন।

সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের ওপর গঠিত পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কমিশনের জমা দেওয়া সুপারিশ পর্যালোচনা এবং চূড়ান্ত করার জন্য ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়েছিল।

১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত আলোচনার প্রথম ধাপে ৩৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল।