খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

জনগণের দুর্ভোগে জড়িত থাকলে ব্যবস্থা: আমিনুল হক

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:১২ পূর্বাহ্ণ
জনগণের দুর্ভোগে জড়িত থাকলে ব্যবস্থা: আমিনুল হক

বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক, পরিচ্ছন্ন ইমেজের রাজনীতিবিদ জনাব আমিনুল হক বলেছেন, জনগণের পাশে থেকে কাজ করতে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা দিয়েছেন। বিএনপি জনগণের দল। সুতরাং জনগণের দুর্ভোগ-কষ্ট-হয়রানি হয়, জনগণ অসন্তুষ্ট হয়-এমন কোনো কাজ আমাদের দলের নেতাকর্মীদের করা যাবে না। জনগণের দুর্ভোগে যদি কেউ জড়িত থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত এবং সাংগঠনিক দুটি ব্যবস্থাই নেওয়া হবে।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর রুপনগরস্থ আরামবাগ ঈদগাহ মাঠে থানা যুবদল ৬ নম্বর আঞ্চলিক ওয়ার্ডের উদ্যোগে এক কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।

এ-সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আমিনুল হক বলেন, আগামী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত দলের কেউ কোথাও অফিস করার চিন্তা করবেন না। গত ১৭ বছর আমরা স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। তখন তো আমাদের কোনো অফিসের প্রয়োজন হয়নি। এ ছাড়া নিজেকে প্রচার ও জাহির করার জন্য কোনো প্রকার পোস্টার-ব্যানার লাগানো যাবে না। এটা দলীয় সিদ্ধান্ত।

তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ চায়- দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে, বিচার বিভাগ স্বাধীনমতো কাজ করবে, সংবাদপত্র স্বাধীনভাবে কাজ করবে, সাধারণ মানুষ স্বাধীনভাবে চলতে পারবে। মানুষ তার নাগরিক ও মৌলিক অধিকার ভোগ করতে পারবে। এটাই বাংলাদেশের মানুষের চাওয়া এবং সেই চাওয়া পূরণ করার দায়িত্ব এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের। এ জন্য আমরা তাদেরকে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, আপনারা দ্রুত সময়ের মধ্যে একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন- যাতে দেশে একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়, যে সরকার জনগণের কথামতো চলবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আহ্বায়ক শরীফ উদ্দীন জুয়েল বলেন, গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে যেখানেই পাবেন সেখানেই প্রতিহত করুন। গত ১৬ বছরে আমরা আমাদের বহু ভাইকে হারিয়েছি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি এবং থাকব।

তিনি বলেন, যুবদলের নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে থেকে জনকল্যাণমূলক কাজে সম্পৃক্ত থাকবে। জনগণ অসন্তুষ্ট হয়, এমন কোনো কাজ তারা করবে না।

মহানগর উত্তর যুবদলের সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজ বলেন, শক্তিশালী সংগঠন গড়তে ঐক্যের বিকল্প নেই। দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রেখে নেতাকর্মীদের এগিয়ে যেতে হবে।

রুপনগর থানা যুবদল ৬ নম্বর আঞ্চলিক ওয়ার্ডের আহ্বায়ক মো. সালাউদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং থানা যুবদলের আহ্বায়ক সোয়েব খান ও সদস্য সচিব হাদিউল ইসলাম রাজিবের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম স্বপন, আবুল হাসান টিটু, মহিলা দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব অ্যাড. রুনা লায়লা, রুপনগর থানা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল হক প্রমুখ।

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।