খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

১৩ বছরের কিশোরীও বাদ যায়নি

১১১ নারীকে ধর্ষণ–যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত ধনকুবের ফায়েদ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪, ৭:৩৮ অপরাহ্ণ
১১১ নারীকে ধর্ষণ–যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত ধনকুবের ফায়েদ

লন্ডনের বিখ্যাত অভিজাত ডিপার্টমেন্ট স্টোর হ্যারডসের সাবেক মালিক আল ফায়েদ শুরুতে ঠাণ্ডাপানীয় বিক্রেতা ছিলেন। এরপর সেলাইমেশিনের বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে তিনি আবাসন ও জাহাজ নির্মাণ কাজের ব্যবসা করেন। এভাবে নিজের ভাগ্য গড়ে তোলেন মিসরীয় ধনকুবের ফায়েদ।

তবে টানা চার দশকে ১১১ জনের বেশি নারীকে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে এই ধনকুবেরের বিরুদ্ধে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সি ভুক্তভোগীর বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর। যা নিয়ে রীতিমতো হৈচৈ শুরু হয়েছে।

ফায়েদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে লন্ডনের মেফেয়ার এলাকার ওই নারী জানান, ঘটনার সময় তিনি ছিলেন একজন কিশোরী। ফায়েদ একজন রাক্ষসের মতো ছিলেন। তার মধ্যে কোনো নৈতিকতা ছিল না। হ্যারডসের সব কর্মী তার কাছে ছিলেন ‘খেলনার’ মতো।

যুক্তরাজ্যের লন্ডন, ফ্রান্সের প্যারিস ও সেন্ট ত্রোপেজ এলাকা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে ফায়েদের যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের ঘটনাগুলো ঘটেছে। ভুক্তভোগী কয়েকজন নারীর হয়ে কাজ করেন আইনজীবী ব্রুস ড্রামমন্ড।

তিনি বলেন, হ্যারডসের ভেতরে দুর্নীতি ও নিপীড়নের যে জাল বোনা হয়েছিল, তা ছিল অবিশ্বাস্য ও খুবই অন্ধকারের।

ভুক্তভোগী এক নারী হ্যারডসের অন্ধকার জগতের বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, লন্ডনের পার্ক লেনের একটি বাসায় তাকে ধর্ষণ করেছিলেন ফায়েদ। এতে তার কোনো সম্মতি ছিল না। সেটা ফায়েদকেও জানিয়েছিলেন। তবে কোনো কাজ হয়নি।

তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের যত অভিযোগ আনা হয়েছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে কুখ্যাত যৌন নির্যাতনকারীদের একজন হতে চলেছেন তিনি।

এসব ঘটনায় লন্ডনের অভিজাত ডিপার্টমেন্ট স্টোর হ্যারডসের সাবেক মালিক ফায়েদের দুষ্কর্মের সহযোগী হিসেবে পাঁচ সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তর স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। তাদের কারও নাম প্রকাশ করা হয়নি।

গত মাসে দ্য গার্ডিয়ান এক খবরে জানিয়েছে, দুর্নীতিগ্রস্ত কতিপয় পুলিশ সদস্য ফায়েদকে তার নারী কর্মীদের ধর্ষণ ও নিপীড়নে সহায়তা করেছেন। ভুক্তভোগীদের মধ্যে কম বয়সী এক তরুণীও ছিলেন, যিনি হ্যারডসের ওই মালিকের যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন।

২০০৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে অভিযোগকারী ১১১ নারীর মধ্যে ২১ জন নির্যাতনের শিকার হওয়ার কথা পুলিশকে জানান। গত সেপ্টেম্বর মাসে ফায়েদের ওপর বিবিসি একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করার পর ৯০ জন নারী অভিযোগ জানাতে এগিয়ে আসেন।

লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, ১৯৭৭ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ধর্ষণ-যৌন নিপীড়নে আল ফায়েদের যুক্ত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে ৫০ হাজারের বেশি পৃষ্ঠার প্রমাণ পর্যালোচনা করেছে তারা। প্রমাণের মধ্যে ভুক্তভোগীদের বিবৃতিও রয়েছে।

এদিকে তদন্তের অংশ হিসেবে ‘ডাইরেক্টরেট অব প্রফেশনাল স্ট্যান্ডার্ডস’–এর গোয়েন্দারা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক ও বর্তমান কোনো সদস্য ফায়েদের দুষ্কর্মে সহযোগিতা করেছেন কিনা, তা-ও বের করার চেষ্টা করছেন।

সাক্ষী হিসেবে দেওয়া এক বিবৃতিতে হ্যারডসের একজন সাবেক নিরাপত্তা পরিচালক বব লফটাস (৮৩) দাবি করেছিলেন, লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক একজন কমান্ডার হ্যারডসকে সহায়তা করার বিনিময়ে বিলাসবহুল উপহার গ্রহণ করেছিলেন। তার এ বক্তব্যও খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।

এর আগে লফটাস দাবি করেন, একজন গোয়েন্দা কনস্টেবল ফায়েদের অনৈতিক চাওয়া-পাওয়া পূরণ করে দেওয়ার বিনিময়ে ঘুস হিসেবে নিয়মিত অর্থ নিতেন। এমনকি হ্যারডস থেকে গোপনে একটি মুঠোফোন দেওয়া হয় তাকে।

হ্যারডসে ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন লফটাস। তিনি অসুস্থ থাকায় দ্য গার্ডিয়ান তার কোনো মন্তব্য নিতে পারেনি। তবে তার সহকারী ইমন কোল বলেন, লফটাসের ওই বিবৃতি সঠিক হতে পারে।

প্রসঙ্গত, ছেলে দোদি ও ডায়ানার মৃত্যুর পেছনে ব্রিটিশ রাজপরিবারের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছিলেন আল ফায়েদ। প্রিন্স ফিলিপের নির্দেশে তাদের হত্যা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ছিল তার। গত বছর ৯৪ বছর বয়সে আল ফায়েদের মৃত্যু হয়।

“সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।”

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।