খুঁজুন
শনিবার, ৩ মে, ২০২৫, ২০ বৈশাখ, ১৪৩২

বিক্রম মিশ্রির সফরে বরফ গলতে পারে ঢাকা-দিল্লির

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৭ অপরাহ্ণ
বিক্রম মিশ্রির সফরে বরফ গলতে পারে ঢাকা-দিল্লির

বাংলাদেশ ও ভারতের চলমান উত্তেজনার মধ্যেই সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। একদিনের সংক্ষিপ্ত সফরে তিনি ঢাকায় আসছেন। সব কিছু ঠিক থাকলে এটিই হবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ভারতীয় কোনো সিনিয়র কর্মকর্তার প্রথম ঢাকা সফর।

এই সময়ে এই সফরকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষকরা। এই সফর ঘিরে ঢাকা-দিল্লির সম্পর্কের বরফ গলতে পারে। এমন ইঙ্গিত মিলেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলমের কথাতেও।

তিনি বলেছেন, বিক্রম মিশ্রির সফরের মাধ্যমে চলমান অস্থিরতার নিরসন হবে, এমনটা আশা করছি। আমরা চাইবো ভারতের সঙ্গে সম্পর্কটা আরও ভালো জায়গায় যাক। যেন দু’দেশের মানুষই এর সুফল ভোগ করে। একই সঙ্গে চাচ্ছি ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা ন্যায্যতা, সমতা ও মর্যাদাপূর্ণ হবে। সেদিকেই আমাদের ফোকাস থাকবে।

আজ রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা সফরকালে ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন বলেও জানান তিনি।

এই সফরে দু’দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিরসন হবে কি না—এমন প্রশ্নে শফিকুল আলম বলেন, আমরা আশা করছি ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা ভালো হবে। তাদের সঙ্গে আমাদের বহুমুখী সম্পর্ক রয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠকে সরকারের কি বিষয়ে আলোচনা হতে পারে জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, ভারত আমাদের প্রতিবেশী। তাদের সঙ্গে আমাদের ভাষাগত, ইতিহাস ও সংস্কৃতিগত যোগাযোগ রয়েছে। অভিন্ন অনেক নদী রয়েছে। ভারতের সঙ্গে আমাদের যে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্টতার বিষয় রয়েছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হবে। প্রতিটি বিষয়ই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

ভারতের সঙ্গে করা ‘অসম’ চুক্তির বিষয়ে দেশটির পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে আলোচনা হবে কি না—এমন প্রশ্নে অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, ভারতের সঙ্গে আগামীতে কী ধরনের সম্পর্ক হবে তা ভবিষ্যত বলতে পারে। তবে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো ছাড়া অসম যেসব চুক্তি রয়েছে তা নিয়ে ভবিষ্যতে অবশ্যই আলোচনা হবে। এটি সামনে বোঝা যাবে।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোকে ‘মিথ্যাচার’ না করে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, আমরা তাদের বলতে পারি, আপনারা আসেন। এসে মাঠে থেকে রিপোর্ট করে যান। ঘটনাস্থলে না এসে কারও মুখের কথায় কোনো প্রতিবেদনে সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায় না। সেজন্য আমরা তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। কারণ, আমরা স্বচ্ছতায় বিশ্বাসী। বিশ্বাস করি যে, তারা এখানে এলে ভারতের টিভি ও গণমাধ্যমে যে ‘অপতথ্য’ ছড়ানো হচ্ছে তা অনেকাংশে দূর হবে।

শেখ হাসিনাকে ফেরাতে সরকার মৌখিকভাবে এখনও কেন ভারতকে বলছে না-এমন প্রশ্নে করলে তিনি বলেন, সরকার শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনে সমর্পণ করতে চায়। তার আমলে গণহত্যা হলো, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যার মূল নির্দেশদাতা শেখ হাসিনা। তার আমলে গুম হয়েছে। জনগণের ট্যাক্সের টাকা পাচার হয়েছে। পুরো বিষয়ে জবাবদিহির জন্য শেখ হাসিনাকে আইনের আওতায় আনা সরকারের কমিটমেন্ট। এটা করবো।

প্রেস সচিব ভারতের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তির বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, এ চুক্তির কিছু আইনি দিক আছে। সেগুলো পূরণ করে ফেরত চাওয়া যেতে পারে। সে প্রসিডিউরগুলো সরকার পূরণ করছে। তারপর আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের কাছে ফেরত চাইবো।

তিনি আরও বলেন, ফেসবুক দেখছে বাংলাদেশকে ঘিরে কী ধরনের অপতথ্য প্রচার হচ্ছে। মেটার হয়ে এখানে তৃতীয়পক্ষ কাজ করে। যারা ফেক নিউজ, অপতথ্য, ভুল তথ্য ডিটেক্ট করেন, তারা মেটাকে তাদের বিষয়ে অল্যার্ট করবেন। অবশ্যই মেটা তা দেখবে। কারণ, এখানে তাদের ব্যবসা আছে। আমরা চাচ্ছি যেগুলো মিথ্যা, অপতথ্য সেগুলো রিমুভ করা হোক।

সম্পর্কের টানাপোড়েন:

গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে তিনি ভারতের আশ্রয়েই আছেন। এটা নিয়েই বাংলাদেশ ভারতের প্রথম টানাপোড়েন শুরু হয়। এরই মধ্যে বাংলাদেশিদের ভারতীয় ভিসা দেওয়া প্রায় বন্ধ আছে। বাংলাদেশও ভিসানীতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে যাচ্ছে। সনাতনী জাগরণ মঞ্চের চিন্ময় দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও বাংলাদেশের পতাকা পোড়ানোর পর দুই কূটনীতিককে ফেরত এনেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশিদের ভারতে চিকিৎসা, হোটেল ভাড়া না দেওয়ার ব্যাপারেও কোনো কোনো রাজ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। স্থলপথে পণ্য আমদানিও বন্ধ আছে কোথাও কোথাও।

এছাড়া মমতা ব্যানার্জির বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী মোতায়েনের প্রস্তাব পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করেছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে জাতীয় ঐক্যের ডাক দেওয়া হয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশেও নানা ধরনের প্রতিবাদ হচ্ছে।

বাংলাদেশ এখন যে বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় আছে, তা হলো- ভারতের কিছু সংবাদ মাধ্যমের ‘অপপ্রচার ও ফেক নিউজ’। বিশেষ করে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের যেসব খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রচার হচ্ছে, তাকে ‘অপপ্রচার’ বলছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশে ফ্যাক্ট চেকের বেসরকারি সংগঠন ‘রিউমর স্ক্যানার বাংলাদেশ’ বলছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে ভুয়া খবর ও গুজব ছড়িয়েছে। এমন ভুয়া খবর প্রচারের তালিকায় ভারতের অন্তত ৪৯টি গণমাধ্যমের নাম উঠে এসেছে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: শনিবার, ৩ মে, ২০২৫, ১:২০ অপরাহ্ণ
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ

নারী সংস্কার কমিশন বাতিল ও শাপলা চত্বরে নৃশংসতার বিচারসহ চার দফা দাবিতে মহাসমাবেশ করছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

শনিবার (০৩ মে) সকাল ৯টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সমাবেশ শুরু হয়। দলটির আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী সভাপতিত্বে সমাবেশে শীর্ষ ওলামা-মাশায়েখ ও ইসলামী চিন্তাবিদরা বক্তব্য রাখবেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, সমাবেশকে কেন্দ্র করে ভোর থেকেই সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। কানায় কানায় পরিপূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। মহাসমাবেশ সফল করতে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের সব জেলা, উপজেলা থেকে লাখো মানুষ অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম থেকেই অর্ধলক্ষাধিক নেতাকর্মী মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছেন বলে জানান হেফাজতের নেতারা।

সমাবেশে যোগ দেওয়া দলটির নেতাকর্মীরা ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর’, ‘ইসলামের শত্রুরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ ইত্যাদি স্লোগান এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যানার নিয়ে আসতে দেখা গেছে।

হেফাজতের চার দাবি হচ্ছে- নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব বাতিল, সংবিধানে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের আমলে করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যাসহ সব হত্যার বিচার এবং ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিম গণহত্যা ও নিপীড়ন বন্ধ করা।

কেন দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, ‘স্ট্রেইট কাট’ জানালেন পিনাকী ভট্টাচার্য

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৩ মে, ২০২৫, ১:১০ অপরাহ্ণ
কেন দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, ‘স্ট্রেইট কাট’ জানালেন পিনাকী ভট্টাচার্য

কেন দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন লেখক, অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক পিনাকী ভট্টাচার্য? এক অনুষ্ঠানে নিজেই দিলেন এর উত্তর।

শুক্রবার (২ মে) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ২০ মিনিটে অনুষ্ঠিত চ্যানেল আই-এর পর্দায় সালাম স্টিল ‘স্ট্রেট কাট’-এর আয়োজনে ভার্চুয়ালি অংশ নেন পিনাকী ভট্টাচার্য।

অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে পিনাকী ভট্টাচার্য বলেন, ‘২০১৮ সালে যখন নিরাপদ সড়ক আন্দোলন চলছিল, যেদিন শহীদুল আলমকে গ্রেপ্তার করা হলো সেদিন আমাকে সকালে ডিজিএফআই থেকে ডাকা হলো তাদের অফিসে যাওয়ার জন্য। যিনি ফোন করেছিলেন তিনি নিজের পরিচয় দেন মেজর ফারহান বলে। ভদ্রতা করেই আমাকে বলা হয়েছিল, ডিজিএফআই অফিসে যেতে হবে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, আমি সিভিলিয়ান আমাকে কেন ডিজিএফআই ডাকবে? বললো আমাদের কিছু জরুরি আলাপ আছে আপনার সাথে।’

পিনাকী জানান, দ্বিতীয় কলে রূঢ়ভাবে তাকে জানানো হয়, সেদিনই যেতে হবে এবং সন্ধ্যার আগেই তাকে ডিজিএফআই অফিসে যেতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আমি আমার বন্ধুবান্ধব এবং যাদের সাথে হিউম্যান রাইটস নিয়ে অ্যাক্টিভিজম করতাম তাদেরকে সঙ্গে কথা বললাম। উনারা সবাই বললেন আমি যেন না যাই এবং আমি যেন লুকিয়ে পড়ি। তখনই আমি লুকিয়ে পড়ি। পরদিন আমার বাসায় ডিজিএফআই রেইড করে, অফিসে রেইড করে আমি কোথায় তা জানার জন্য। আমি ৫ মাস প্রায় আত্মগোপনে ছিলাম নানা জায়গায় ঢাকা শহরেই। তারপরে নির্বাচন হয়ে গেলে তখন মনে করলাম লুকিয়ে থাকাটা অনুচিত। আমার বাসার সামনে ডিজিএফআই গার্ড বসালো, সারাক্ষণ ধরে নজরদারী এবং আমাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। তারপরে আমার দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া। তা না হলে তো ডিজিএফআই আমাকে ধরে নিয়ে যেত।’

পিনাকী বলেন, ‘আমরা জানি ডিজিএফআই যাদেরকে ধরে তাদের বেশিরভাগই ফেরে না। আমি ওই সময় আসলে যারা গুম হয়েছে তাদের একটা ডকুমেন্টেশন করছিলাম। সে সময় আমি জানতে পেরেছি যে যারা গুম হয় তাদেরকে ডিজিএফআই এভাবেই ডেকে নিয়ে যায়। সে যায়, সে ভিক্টিম তারপর্ আর সে কখনোই ফিরে আসে না। ন্যাচারালি তখন আমিও এটাই ভেবেছি যে আমার কপালেই সম্ভবত এটাই ঘটতে যাচ্ছে। সেজন্যই আত্মগোপনে যাওয়া এবং দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া।’

ফ্রান্সে যাওয়ার কারণ প্রসঙ্গে এই আ্যাক্টিভিস্ট বলেন, ‘তখন আমি একটা ফ্রেন্স হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশনের সঙ্গে কাজ করতাম। তারাই আমার ভিসা পাওয়ার যাবতিয় ব্যবস্থা করে দেয় এবং এখানে আশ্রয় পাওয়ার জন্য তারা সর্বোতভাবে আমাকে সাহায্য করে।

কনটেন্টে আক্রমণাত্মক ভাষা, অশ্রাব্য ভাষা কেন ব্যবহার করেন— অনুষ্ঠানের হোস্ট দীপ্তি চৌধুরীর এই প্রশ্নের জবাবে পিনাকী ভট্টাচার্য বাংলাদেশে নানা সংকটের কিছু কারণও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের যে দুর্দশা, এই দুর্দশার জন্য দায়ী কারা? এই দুর্দশার জন্য দায়ী হচ্ছে বাংলাদেশের এলিটরা। যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকে এবং যারা সমাজকে নিয়ন্ত্রণ করে—সেই শিক্ষিত শ্রেণিই বাংলাদেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করে। আর সেই কারণেই বাংলাদেশের এত দুর্দশা।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণ মানুষ কখনোই বাংলাদেশের সম্পদ কোথাও পাচার করেনি; বরং তারা বাইরে থেকে উপার্জন করে দেশে নিয়ে আসে। এরাই সেই মানুষ, যারা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখছে। বাংলাদেশের এলিটরা অর্থনীতিতে এক ফোঁটা টাকাও কন্ট্রিবিউট করে না। বাংলাদেশ অর্থনীতিতে অবদান রাখে তারাই, যারা গার্মেন্টসে মেশিন চালায়, যারা ঠেলাগাড়ি ঠেলে, যারা রিকশা চালায়, যারা শ্রমিক হিসেবে হাতুড়ি চালিয়ে বিল্ডিং তৈরি করে, যারা বাস চালায়, টেম্পু চালায়, ক্ষেতে ফসল ফলায়—তারাই হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি। এবং এদের উৎপাদিত সম্পদ চুরি করে বিদেশে পাচার করে কারা? এলিটরা।’

পিনাকী বলেন, ‘এলিটদের তিনটা ভয়—একটা সম্মান হারানোর ভয়, একটা মার খাওয়ার ভয়, আরেকটা সম্পদ হারানোর ভয়। আমি তো আর মারতে পারব না তাদের, তাই তাদের গালি দিই। সম্মান হারানোর ভয়—এটলিস্ট এই গালির কারণে যেন তারা ঠিক থাকে। এই গালির তোড়ে যদি তারা ঠিক থাকে, তাহলে বাংলাদেশকে আমরা কিছুটা সাইজ করতে পারব। আদারওয়াইজ, এরা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের জীবনকে দাসের জীবন বানিয়ে রাখবে। এবং যারা আসলে দাসের জীবন বানিয়ে রাখছে, তাদের জন্য তো গালিই প্রাপ্য।’

গাজার উদ্দেশে ত্রাণ নিয়ে যাত্রা করা জাহাজে বোমা হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ১১:৩৩ অপরাহ্ণ
গাজার উদ্দেশে ত্রাণ নিয়ে যাত্রা করা জাহাজে বোমা হামলা

মানবিক সহায়তা নিয়ে ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাওয়া একটি জাহাজে ড্রোন দিয়ে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। মাল্টা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় এ হামলা চালানো হয়েছে। শুক্রবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে ওই মানবিক সহায়তা আয়োজনকারী সংগঠন ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) এক বিবৃতিতে হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। ত্রাণবাহী জাহাজটি বর্তমানে মাল্টা উপকূল থেকে ১৪ নটিক্যাল মাইল (২৫ কিলোমিটার) দূরে অবস্থান করছে। জাহাজে গাজাবাসীর জন্য মানবিক সহায়তার পাশাপাশি অধিকারকর্মীরা ছিলেন।

সংগঠনটি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ২৩ মিনিটে নিরস্ত্র বেসামরিক জাহাজটির সম্মুখভাগে সশস্ত্র ড্রোন দিয়ে দুইবার হামলা চালানো হয়েছে। এতে জাহাজটিতে আগুন ধরে যায় এবং এর কাঠামোয় বড় ধরনের ফাটল দেখা দেয়। হামলার পরপর জাহাজ থেকে এসওএস সিগন্যাল পাঠানো হয়।

অধিকার কর্মীরা জানিয়েছেন, জাহাজের জেনারেটর লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এতে জাহাজটি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে এবং ডুবে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের পোস্ট করা ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, জাহাজের ওপর আগুন জ্বলছে ও বিস্ফোরণ ঘটছে।

তবে এ বিষয়ে এখনো ইসরায়েল কোনো মন্তব্য করেনি।

মাল্টা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাহাজে ১২ জন নাবিক ও ৪ জন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন। তারা সবাই নিরাপদে আছেন। রাতেই জাহাজের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন জানিয়েছে, ২১ দেশের অধিকারকর্মীরা জাহাজটিতে ছিলেন। ইসরায়েলের বেআইনিভাবে গাজা অবরোধ করে সেখানে হত্যাযজ্ঞ চালানোর প্রতিবাদ এবং গাজাবাসীর জীবন রক্ষার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে তারা যাত্রা করেছিলেন।