খুঁজুন
রবিবার, ৪ মে, ২০২৫, ২১ বৈশাখ, ১৪৩২

‘বিদেশিদের অবৈধভাবে বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৯ অপরাহ্ণ
‘বিদেশিদের অবৈধভাবে বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না’

অবৈধ বিদেশিদের বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, দেশে কতজন বিদেশি আছেন সেই তালিকা পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত হবে তারা কতদিন থাকতে পারবেন। আজ রবিবার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ দেশে বসবাসকারী ভারতের নাগরিকদের ইঙ্গিত করে বলেন, এটি হঠাৎ কোনো সিদ্ধান্ত নয়। কতজন বিদেশি আছেন, কোন কোন দেশের বিদেশিরা আছেন সেই তালিকা পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তারা কতদিন পর্যন্ত এ দেশে থাকতে পারবেন।

সীমান্ত এলাকা পুরোপুরি নিরাপত্তার মধ্যে আছে জানিয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রির বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটি পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে বৈঠক হবে।

আগামীকাল ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) উপলক্ষে বাংলাদেশ আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, ফরেন অফিস কনসাল্টেশন বৈঠকে ভারতের নেতৃত্ব দেবেন বিক্রম মিশ্রি। তার মূল বৈঠকটি হবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মোহম্মদ জসীম উদ্দিনের সঙ্গে। পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা আছে তার।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এই প্রথম উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হচ্ছে দুই দেশের মধ্যে। অবশ্য ড. ইউনূস সরকারের গত চার মাসে দু-দেশের মধ্যে তিনটি টেকনিক্যাল কমিটির বৈঠক করেছে।

সবশেষ দুদেশের মধ্যে ফরেন অফিস কনসাল্টেশন বৈঠক ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবারের এই বৈঠকে ভারতের অর্থায়নে উন্নয়ন প্রকল্প পুনরায় শুরু করা, ভিসা ব্যবস্থার সহজীকরণ, সরাসরি ফ্লাইট বাড়ানো এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিষয়গুলো আলোচনা করা হবে বলে জানা গেছে। দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা প্রশমন এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে এবারের বৈঠকটিকে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংগঠিত গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই এক ধরনের টানাপোড়েন চলে আসছে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে। এখন নতুন করে সংখ্যালঘু ইস্যু সামনে নিয়ে আসছে দেশটি।

সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের পর পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়। তাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে হয়েছে ভারতের একাধিক স্থানে। এ ছাড়া গত সোমবার (২ ডিসেম্বর) ত্রিপুরার আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এ ঘটনায় শক্ত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ। ঘটনার একদিন পর ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে ক্ষোভও প্রকাশ করে ঢাকা।

পরবর্তীতে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় ভারতও গভীরভাবে দুঃখপ্রকাশ করে। এ ছাড়া হামলার ঘটনায় জড়িত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেইসঙ্গে বরখাস্ত করা হয় তিন পুলিশ সদস্যকে। এ ছাড়া দুদেশের এই প্রেক্ষাপটে গত কয়েকদিন ধরে ভারতের প্রচারমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে ব্যাপক মিথ্যাচার করছে, ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ধরা পড়ছে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: শনিবার, ৩ মে, ২০২৫, ১:২০ অপরাহ্ণ
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ

নারী সংস্কার কমিশন বাতিল ও শাপলা চত্বরে নৃশংসতার বিচারসহ চার দফা দাবিতে মহাসমাবেশ করছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

শনিবার (০৩ মে) সকাল ৯টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সমাবেশ শুরু হয়। দলটির আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী সভাপতিত্বে সমাবেশে শীর্ষ ওলামা-মাশায়েখ ও ইসলামী চিন্তাবিদরা বক্তব্য রাখবেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, সমাবেশকে কেন্দ্র করে ভোর থেকেই সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। কানায় কানায় পরিপূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। মহাসমাবেশ সফল করতে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের সব জেলা, উপজেলা থেকে লাখো মানুষ অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম থেকেই অর্ধলক্ষাধিক নেতাকর্মী মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছেন বলে জানান হেফাজতের নেতারা।

সমাবেশে যোগ দেওয়া দলটির নেতাকর্মীরা ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর’, ‘ইসলামের শত্রুরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ ইত্যাদি স্লোগান এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যানার নিয়ে আসতে দেখা গেছে।

হেফাজতের চার দাবি হচ্ছে- নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব বাতিল, সংবিধানে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের আমলে করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যাসহ সব হত্যার বিচার এবং ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিম গণহত্যা ও নিপীড়ন বন্ধ করা।

কেন দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, ‘স্ট্রেইট কাট’ জানালেন পিনাকী ভট্টাচার্য

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৩ মে, ২০২৫, ১:১০ অপরাহ্ণ
কেন দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, ‘স্ট্রেইট কাট’ জানালেন পিনাকী ভট্টাচার্য

কেন দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন লেখক, অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক পিনাকী ভট্টাচার্য? এক অনুষ্ঠানে নিজেই দিলেন এর উত্তর।

শুক্রবার (২ মে) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ২০ মিনিটে অনুষ্ঠিত চ্যানেল আই-এর পর্দায় সালাম স্টিল ‘স্ট্রেট কাট’-এর আয়োজনে ভার্চুয়ালি অংশ নেন পিনাকী ভট্টাচার্য।

অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে পিনাকী ভট্টাচার্য বলেন, ‘২০১৮ সালে যখন নিরাপদ সড়ক আন্দোলন চলছিল, যেদিন শহীদুল আলমকে গ্রেপ্তার করা হলো সেদিন আমাকে সকালে ডিজিএফআই থেকে ডাকা হলো তাদের অফিসে যাওয়ার জন্য। যিনি ফোন করেছিলেন তিনি নিজের পরিচয় দেন মেজর ফারহান বলে। ভদ্রতা করেই আমাকে বলা হয়েছিল, ডিজিএফআই অফিসে যেতে হবে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, আমি সিভিলিয়ান আমাকে কেন ডিজিএফআই ডাকবে? বললো আমাদের কিছু জরুরি আলাপ আছে আপনার সাথে।’

পিনাকী জানান, দ্বিতীয় কলে রূঢ়ভাবে তাকে জানানো হয়, সেদিনই যেতে হবে এবং সন্ধ্যার আগেই তাকে ডিজিএফআই অফিসে যেতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আমি আমার বন্ধুবান্ধব এবং যাদের সাথে হিউম্যান রাইটস নিয়ে অ্যাক্টিভিজম করতাম তাদেরকে সঙ্গে কথা বললাম। উনারা সবাই বললেন আমি যেন না যাই এবং আমি যেন লুকিয়ে পড়ি। তখনই আমি লুকিয়ে পড়ি। পরদিন আমার বাসায় ডিজিএফআই রেইড করে, অফিসে রেইড করে আমি কোথায় তা জানার জন্য। আমি ৫ মাস প্রায় আত্মগোপনে ছিলাম নানা জায়গায় ঢাকা শহরেই। তারপরে নির্বাচন হয়ে গেলে তখন মনে করলাম লুকিয়ে থাকাটা অনুচিত। আমার বাসার সামনে ডিজিএফআই গার্ড বসালো, সারাক্ষণ ধরে নজরদারী এবং আমাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। তারপরে আমার দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া। তা না হলে তো ডিজিএফআই আমাকে ধরে নিয়ে যেত।’

পিনাকী বলেন, ‘আমরা জানি ডিজিএফআই যাদেরকে ধরে তাদের বেশিরভাগই ফেরে না। আমি ওই সময় আসলে যারা গুম হয়েছে তাদের একটা ডকুমেন্টেশন করছিলাম। সে সময় আমি জানতে পেরেছি যে যারা গুম হয় তাদেরকে ডিজিএফআই এভাবেই ডেকে নিয়ে যায়। সে যায়, সে ভিক্টিম তারপর্ আর সে কখনোই ফিরে আসে না। ন্যাচারালি তখন আমিও এটাই ভেবেছি যে আমার কপালেই সম্ভবত এটাই ঘটতে যাচ্ছে। সেজন্যই আত্মগোপনে যাওয়া এবং দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া।’

ফ্রান্সে যাওয়ার কারণ প্রসঙ্গে এই আ্যাক্টিভিস্ট বলেন, ‘তখন আমি একটা ফ্রেন্স হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশনের সঙ্গে কাজ করতাম। তারাই আমার ভিসা পাওয়ার যাবতিয় ব্যবস্থা করে দেয় এবং এখানে আশ্রয় পাওয়ার জন্য তারা সর্বোতভাবে আমাকে সাহায্য করে।

কনটেন্টে আক্রমণাত্মক ভাষা, অশ্রাব্য ভাষা কেন ব্যবহার করেন— অনুষ্ঠানের হোস্ট দীপ্তি চৌধুরীর এই প্রশ্নের জবাবে পিনাকী ভট্টাচার্য বাংলাদেশে নানা সংকটের কিছু কারণও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের যে দুর্দশা, এই দুর্দশার জন্য দায়ী কারা? এই দুর্দশার জন্য দায়ী হচ্ছে বাংলাদেশের এলিটরা। যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকে এবং যারা সমাজকে নিয়ন্ত্রণ করে—সেই শিক্ষিত শ্রেণিই বাংলাদেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করে। আর সেই কারণেই বাংলাদেশের এত দুর্দশা।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণ মানুষ কখনোই বাংলাদেশের সম্পদ কোথাও পাচার করেনি; বরং তারা বাইরে থেকে উপার্জন করে দেশে নিয়ে আসে। এরাই সেই মানুষ, যারা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখছে। বাংলাদেশের এলিটরা অর্থনীতিতে এক ফোঁটা টাকাও কন্ট্রিবিউট করে না। বাংলাদেশ অর্থনীতিতে অবদান রাখে তারাই, যারা গার্মেন্টসে মেশিন চালায়, যারা ঠেলাগাড়ি ঠেলে, যারা রিকশা চালায়, যারা শ্রমিক হিসেবে হাতুড়ি চালিয়ে বিল্ডিং তৈরি করে, যারা বাস চালায়, টেম্পু চালায়, ক্ষেতে ফসল ফলায়—তারাই হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি। এবং এদের উৎপাদিত সম্পদ চুরি করে বিদেশে পাচার করে কারা? এলিটরা।’

পিনাকী বলেন, ‘এলিটদের তিনটা ভয়—একটা সম্মান হারানোর ভয়, একটা মার খাওয়ার ভয়, আরেকটা সম্পদ হারানোর ভয়। আমি তো আর মারতে পারব না তাদের, তাই তাদের গালি দিই। সম্মান হারানোর ভয়—এটলিস্ট এই গালির কারণে যেন তারা ঠিক থাকে। এই গালির তোড়ে যদি তারা ঠিক থাকে, তাহলে বাংলাদেশকে আমরা কিছুটা সাইজ করতে পারব। আদারওয়াইজ, এরা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের জীবনকে দাসের জীবন বানিয়ে রাখবে। এবং যারা আসলে দাসের জীবন বানিয়ে রাখছে, তাদের জন্য তো গালিই প্রাপ্য।’

গাজার উদ্দেশে ত্রাণ নিয়ে যাত্রা করা জাহাজে বোমা হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ১১:৩৩ অপরাহ্ণ
গাজার উদ্দেশে ত্রাণ নিয়ে যাত্রা করা জাহাজে বোমা হামলা

মানবিক সহায়তা নিয়ে ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাওয়া একটি জাহাজে ড্রোন দিয়ে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। মাল্টা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় এ হামলা চালানো হয়েছে। শুক্রবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে ওই মানবিক সহায়তা আয়োজনকারী সংগঠন ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) এক বিবৃতিতে হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। ত্রাণবাহী জাহাজটি বর্তমানে মাল্টা উপকূল থেকে ১৪ নটিক্যাল মাইল (২৫ কিলোমিটার) দূরে অবস্থান করছে। জাহাজে গাজাবাসীর জন্য মানবিক সহায়তার পাশাপাশি অধিকারকর্মীরা ছিলেন।

সংগঠনটি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ২৩ মিনিটে নিরস্ত্র বেসামরিক জাহাজটির সম্মুখভাগে সশস্ত্র ড্রোন দিয়ে দুইবার হামলা চালানো হয়েছে। এতে জাহাজটিতে আগুন ধরে যায় এবং এর কাঠামোয় বড় ধরনের ফাটল দেখা দেয়। হামলার পরপর জাহাজ থেকে এসওএস সিগন্যাল পাঠানো হয়।

অধিকার কর্মীরা জানিয়েছেন, জাহাজের জেনারেটর লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এতে জাহাজটি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে এবং ডুবে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের পোস্ট করা ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, জাহাজের ওপর আগুন জ্বলছে ও বিস্ফোরণ ঘটছে।

তবে এ বিষয়ে এখনো ইসরায়েল কোনো মন্তব্য করেনি।

মাল্টা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাহাজে ১২ জন নাবিক ও ৪ জন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন। তারা সবাই নিরাপদে আছেন। রাতেই জাহাজের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন জানিয়েছে, ২১ দেশের অধিকারকর্মীরা জাহাজটিতে ছিলেন। ইসরায়েলের বেআইনিভাবে গাজা অবরোধ করে সেখানে হত্যাযজ্ঞ চালানোর প্রতিবাদ এবং গাজাবাসীর জীবন রক্ষার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে তারা যাত্রা করেছিলেন।