খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩০ পৌষ, ১৪৩১

মৃত্যুর আগে ছেলে হত্যার বিচারের আশায় বাবা-মা

এক যুগেও শেষ হয়নি বিশ্বজিৎ হত্যার বিচার

মোঃ হাসানুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬:০৪ অপরাহ্ণ
এক যুগেও শেষ হয়নি বিশ্বজিৎ হত্যার বিচার

এখন থেকে ১২ বছর আগে পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে প্রকাশ্য দিবালকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয় দর্জি ব্যবসায়ী বিশ্বজিত দাসকে। শিবির সন্দেহে সশস্ত্রভাবে শত শত মানুষ, পুলিশ, সাংবাদিক সকলের সামনেই ঘটে সেই নারকীয় হত্যাকান্ড। হত্যাকারীরা ছিলেন তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বিতর্কিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। ওই সময়ে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডটি গোটা দেশকে আলোড়িত করলেও, আজ পর্যন্ত তার হত্যার বিচার কার্যকর হয়নি। এতে হতাশ হয়ে পড়েছেন বিশ্বজিতের পরিবার।

নিহত বিশ্বজিতের বাবা-মায়ের আকুতি, অন্তত মৃত্যুর আগে সন্তানের হত্যাকারীদের বিচার দেখে যেতে চান নিজেদের চোখে। এতেই অন্তত কিছুটা স্বস্তি পাবেন তারা।

আমরা খোঁজ নিতে গেলে দেখতে পায়, ঘরে থাকা ছেলের ছবির দিকে অপলকভাবে তাকিয়ে আছেন মা কল্পনা দাস। কিছুক্ষণ পর ছেলের একটি ছবি নিয়ে পরম যত্নে আঁচল দিয়ে পরিষ্কার করছেন। আর ছেলের কথা মনে পড়তেই ফুপিয়ে কেঁদে উঠছেন তিনি। তার কান্নার শব্দ পেয়ে কেঁদে উঠছেন বাবা অনন্ত দাসও। কারণ ছবির মতোই মানুষটাও যে এখন শুধুই স্মৃতি। তবুও ছেলের জন্য দীর্ঘ একযুগ ধরে নীরবে চোখের জল ফেলে চলেছেন মা কল্পনা দাস ও তার পরিবার।

শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের মশুরা গ্রামের অনন্ত দাস ও কল্পনা দাসের ছোট ছেলে বিশ্বজিৎ দাস। ছোটবেলা থেকেই ভীষণ শান্ত স্বভাবের ছিলো সে। পড়ালেখায় মন বসতো না বিশ্বজিতের। তাই পরিবারের আর্থিক অবস্থা ততোটা ভালো না হওয়ায় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে ছোটবেলা থেকে ঢাকার শাঁখারী বাজারে বড় ভাইয়ের দোকানে দর্জির কাজ শিখেছিলেন বিশ্বজিৎ। এরপর ভাইয়ের পাশাপাশি নিজেও ধরেছিলেন সংসারের হাল। অধিকাংশ সময় ঢাকায় থাকলেও মা-বাবাকে দেখতে প্রায়ই বাড়ি আসতেন। তবে ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮-দলের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে শিবির সন্দেহে ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্ক এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বিশ্বজিৎ দাসকে। আর সেই থেকেই গ্রামে বৃদ্ধ বাবা-মাকে দেখতে যাওয়া চিরতরে থমকে গিয়েছে বিশ্বজিতের।

হতাশা প্রকাশ করে বিশ্বজিৎ দাসের বড় ভাই উত্তম দাস বলেন, ‘আমরা অনেকদিন ধরে মামলার অগ্রগতি জানি না। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমার ভাইকে হত্যা করলেও, আওয়ামী লীগ সরকার তার বিচার করেনি। এখন তো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় নেই, আমাদের আশা এখন নতুন সরকারের কাছে। এই হত্যার যেন সঠিক বিচার করা হয়।’

একযুগ আগে ছোট ভাইয়ের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে উত্তম দাস বলেন, ‘আমরা ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় রয়েছি। আমরা কোন ক্ষতিপূরন চাই না, আমরা শুধু ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই। টাকা দিয়ে কি করবো ? যা দুই টাকা আয় করি- কোনরকম ডালভাত খেয়ে বেঁচে থাকলেই আমরা খুশি।’

বহুল আলোচিত বিশ্বজিৎ হত্যার ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ অনুযায়ী সরাসরি জড়িতরা হলো তৎকালীন আওয়ামিলীগের সরকার দলীয় ছাত্রলীগ। তাদের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র মাহফুজুর রহমান নাহিদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মীর নূরে আলম লিমন, শাকিলসহ বেশ কয়েকজনের নাম স্পষ্টভাবে জানা যায়। আ’লীগের আমলে নানান গুরুতর অপরাধ সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জেরে সম্প্রতি নিষিদ্ধ হয়েছে ছাত্রলীগ। কিন্তু শেষ হয়নি বিশ্বজিতের বিচার।

বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করার পর ঢাকার দ্রুত বিচার টাইব্যুনালে রায়ে ২১ আসামির মধ্যে আট জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনের যাবজ্জীবন সাজা হয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ৮ আসামির মধ্যে ৬ জনই সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দেওয়া হয়। আর দুই জনের ফাঁসির আদেশ হলেও তা কার্যকর হয়নি দীর্ঘ ১২ বছরে। স্থানীয়দের অভিযোগ অনুযায়ী ওই হত্যাকান্ডে আরও কিছু আসামি থাকলেও সবাইকে মামলার চার্জশিটে আনা হয়নি।

ছেলের ছবি বুকে জড়িয়ে ধরে কান্নাভেজা চোখে বিশ্বজিৎ দাসের মা কল্পনা দাস বলেন, ‘আমার বিশ্ব (বিশ্বজিৎ) তো কখনো রাজনীতি করেনি। আমার ছেলে কাজ করে সংসার চালাতো। ছেলেকে জগন্নাথের ছাত্রলীগের পোলাপাইন মেরে ফেললো। আজ ১২ বছর হয়ে গেলো অপরাধীদের বিচার হলো না। তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর আমরা বিচার চাইতে চাইতে ক্লান্ত। আমি আমার বিশ্ব হত্যার বিচার চাই।’

ছেলে হারানো অসহায় বিশ্বজিৎ দাসের বাবা অনন্ত দাস বলেন, ‘ছেলে আমাদের ভরণপোষণ দিত। ছেলেকে প্রকাশ্যে দিন দুপুরে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। আজ ১২ বছর ধরে এখনো বিচার পেলাম না। এই সরকারের আমলে আমার ছেলের হত্যার বিচার দেখে যেতে পারি। তাহলে মরে গেলো অন্তত আত্মা শান্তি পাবে।’

এদিকে বিশ্বজিত হত্যা মামলার আইনজীবী এস এম শাজাহান জানান, মামলাটি দ্রুত শুনানির জন্য আদালতের নজরে আনা হবে এবং আশা করা যাচ্ছে শিগগিরই এর সমাধান হবে।

মূলত বিশ্বজিত দাসের হত্যাকাণ্ডের পর তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের নানান টালবাহানায় মামলার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে তাদের একমাত্র আশা হল দ্রুত বিচার এবং হত্যাকারীদের শাস্তি।

বলা বাহুল্য, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের অবরোধের মধ্যে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের (ভিক্টোরিয়া পার্ক) সামনে বিশ্বজিৎ দাসকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তখন বিশ্বজিৎ চিৎকার করে বলেছিল, “আমি শিবির নই, আমি হিন্দু। আপনারা চাইলে আমি প্যান্ট খুলে দেখাচ্ছি। আমি মুসলমান না, আমি হিন্দু।”

সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচতে মৃত্যুর আগ মূহুর্তে বিশ্বজিতের সেই করুণ চিৎকার আজও কাঁদায় বাংলাদেশের মানুষদের। শত শত মানুষ, পুলিশ, সাংবাদিক দাঁড়িয়ে দেখেছিল সেই হত্যাকান্ড। কিন্তু সাহায্যের জন্য এগিয়ে যাওয়ার সাহস হয়নি কারো। শাঁখারীবাজারে দরজির দোকান ছিল বিশ্বজিতের। তাঁর গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে হলেও রাজধানীর লক্ষ্মীবাজারে থাকতেন তিনি।

গত বিশ্বকাপের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আফগানদের দল ঘোষণা

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ২:৪৪ অপরাহ্ণ
গত বিশ্বকাপের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আফগানদের দল ঘোষণা

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ১৫ জনের দল ঘোষণা করেছে আফগানিস্তান। দলে ফিরলেন ইবরাহিম জাদরান। তার গোড়ালিতে চোট ছিল। তবে চোট সারিয়ে জাদরান ফিরলেও আফগানিস্তান পাবে না স্পিনার মুজিব-উর রহমানকে। তবে দলে তার পরিবর্তে জায়গা করে নিয়েছেন বর্তমান সময়ের আলোচিত স্পিনার আল্লা গজনফার।

আফগান দলকে নেতৃত্ব দেবেন হাশমতুল্লা শহিদি। দলে রয়েছেন তারকা স্পিনার রশিদ খান। রয়েছেন সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি। দলে রয়েছেন জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে নজর কাড়া সেদিকুল্লাহ অটল। তিন ম্যাচের সিরিজে একটি শতরান এবং একটি অর্ধশতরান করেছিলেন তিনি।

আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মিরওয়াসিস আশরাফ বলেন, ‘২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভাল খেলেছিল দল। ২০২৪ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে উঠেছিল। এই দুই প্রতিযোগিতায় ভাল ফল আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে দলের। এবারেও তাই ভাল ফলের আশা করছি আমরা।’

আফগানিস্তানের গ্রুপে রয়েছে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। এর মধ্যে ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার তাদের দেশের বোর্ডকে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ না খেলার অনুরোধ করেছে।

যদিও ইংল্যান্ড বোর্ড জানিয়ে দিয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তারা আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলবে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আফগানিস্তানের প্রথম ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। ২১ ফেব্রুয়ারি করাচিতে অনুষ্ঠিত হবে সেই ম্যাচ। ২৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলবে আফগানিস্তান। গ্রুপের শেষ ম্যাচও সেই মাঠেই। ২৮ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে লাহোরে খেলবে তারা।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল:
হাশমতুল্লাহ শহিদি (অধিনায়ক), ইবরাহিম জাদরান, রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), সেদিকুল্লাহ অটল, রহমত শাহ, ইকরাম আলিখিল, গুলবাদিন নাইব, আজমাতুল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবি, রশিদ খান, আল্লাহ গজনফার, নুর আহমেদ, ফজলহক ফারুকি, ফরিদ মালিক এবং নাভিদ জাদরান।

এইচএমপিভি নিয়ে বিমানবন্দরে বিশেষ নির্দেশনা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ২:৪০ অপরাহ্ণ
এইচএমপিভি নিয়ে বিমানবন্দরে বিশেষ নির্দেশনা

বাংলাদেশেও হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক কামরুল ইসলাম দেশের সব এয়ারলাইন্স ও বিমানবন্দরসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নির্দেশনা দেয়।

নির্দেশনায় বিমানবন্দরের যাত্রী, স্টাফ ও দর্শনার্থীদের সবাইকে মুখে মাস্ক রাখা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে উৎসাহিত করা হয়েছে। যদি কারো মধ্যে জ্বর, কফ, শ্বাসকষ্ট হওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয় সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে বিমানবন্দরের হেলথ সার্ভিসে জানাতে বলা হয়েছে।

সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার নির্দেশনা অনুযায়ী, বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট সবাইকে এইচএমপিভির বিষয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। তবে বিষয়টি নিয়ে আপাতত আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলেও চিঠিতে জানানো হয়েছে।

বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনাকারী দেশি-বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এবং যেসব দেশে এইচএমপিভির আক্রান্ত রোগী রয়েছে সেসব দেশ থেকে যাত্রী আনার ক্ষেত্রেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। প্লেনের ভেতর যদি কারো মধ্যে জ্বর বা কফসহ এইচএমপিভির লক্ষণ দেখা দেয় সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে বিমানবন্দরের হেলথ সার্ভিসে জানাতে হবে।

ফ্লাইটে এইচএমপিভি আক্রান্ত রোগী থাকলে তাদের কীভাবে হ্যান্ডেল করতে হবে সে বিষয়ে এয়ারলাইন্সের ক্রু ও যাত্রীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নির্দেশনাবলি জানার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ঢাকার বায়ু আজ ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ২:৩৮ অপরাহ্ণ
ঢাকার বায়ু আজ ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’

বায়ুদূষণের তালিকায় আজ শীর্ষে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। দ্বিতীয় নম্বরে রয়েছে ভিয়েতনামের হো চি মিন শহর। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৮টা ২১ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ার জানিয়েছে এসব তথ্য।

রাজধানী ঢাকার দূষণ স্কোর ২৩৬ অর্থাৎ এখানকার বাতাসের মান আজ খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। একই অবস্থা হো চি মিন শহরের।

বায়ুদূষণের তালিকায় তৃতীয় নম্বরে রয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয় এবং চতুর্থ নম্বরে রয়েছে ভারতের দিল্লি। পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ভারতের আরেক শহর মুম্বাই।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।