খুঁজুন
শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

সাতক্ষীরায় স্কুল ছাত্রীকে হত্যার পর লাশ গুমের চেষ্টা, আটক ১

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:১৬ অপরাহ্ণ
সাতক্ষীরায় স্কুল ছাত্রীকে হত্যার পর লাশ গুমের চেষ্টা, আটক ১

মাদকের টাকা যোগাড় করতে মাদক সেবী পার্টনার এর মেয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে বন্ধুর বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কানের সোনার দুল ছিনতাই করা হয়েছে। ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় দুই হাত ও দুই হাত বেঁধে ওই ছাত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ গুম করতে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

শনিবার বিকেল ৫টার দিকে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আগরদাঁড়ি গ্রামের কলেজ শিক্ষক লুৎফর রহমানের পরিত্যক্ত বাড়ির সামনের পুকুর থেকে ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় একই গ্রামের রেজোয়ান কবীর জনি নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত রেজোয়ান কবীর জনি (২২) আশাশুনি উপজেলার আগরদাঁড়ি গ্রামের মোঃ আব্দুর রাজ্জাক সরদারের ছেলে।

নিহতেরন নাম নুসরত জাহান রাহী ( সাড়ে ৮ বছর)। সে আশাশুনি উপজেলার আগরদাঁড়ি গ্রামের ভ্যানচালক রবিউল ইসলাম রুবেল এর মেয়ে ও আগরদাঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।

স্থানীয় আব্দুর রউফ ও আব্দুর রহমান সরদার জানান, ভ্যানচালক রবিউল ইসলাম রুবেল ও প্রতিবেশী রেজোয়ান কবীর জনি একই সাথে গাজা সেবন করতো। পারিবারিকভাবে নেশার টাকা যোগাড় করতে না পেরে রবিউলের স্ত্রী সাবিনার কাছে মাঝে মাঝে টাকা চাইতো।

রবিউল ইসলাম রুবেল এর স্ত্রী সাবিনা খাতুৃন জানান, শনিবার সকালে জনি তার কাছে ৫০০ টাকা ধার চাইতে আসে। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তার মেয়ে নুসরত জাহান রাহীকে শনিবার দুপুরে পার্শ্ববর্তা প্রভাত কুমার বসুর মেয়ে সহপাঠি মিতা বসুর সাথে খেলা করার সময় ডেকে নিয়ে কলেজ শিক্ষক লুৎফর রহমানের নির্জন হলুদ খেতে নিয়ে যায় রেজোয়ান কবীর জনি। সেখানে কানের সোনার দুল ছিড়ে নিলে রাহী চিৎকার শুরু করে।

একপর্যায়ে রাহীর পরিহিত সোয়েটার ছিড়ে দুই হাত ও দুই পা বেঁধে ফেলার পর জনি তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ গুম করতে পাশের পুকুরে ফেলে দেয়। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে স্থানীয় সোলায়মান আজিজের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন শনিবার বিকেল লুৎফর রহমানের পুকুরে নুসরত জাহান রাহীর ভাসমান লাশ দেখতে পান। বিকেল ৫টার দিকে পুলিশ রাহীর লাশ দেখতে পায়। সন্ধ্যায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একই গ্রামের মুদি দোকানী আব্দুস সালামের দোকানের সামনে থেকে জনিকে আটক করে।

আগরদাঁড়ি গ্রামের শম্পা বসু জানান, তার মেয়ে মিতা বসুর সঙ্গে একই শ্রেণীতে পড়তো রাহী। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিজ বাড়ির সামনে রাস্তায় রাহী ও মিতা খেলা করছিল। ভাত খাওয়ানোর জন্য মিতাকে ডেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এ সময় জনি রাস্তা থেকে রাহীকে ডেকে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে আগরদাঁড়ি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক সরদার জানান, তার ছেলে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার মোহাম্মদপুরে একটি অফিসের লিফটম্যান হিসেবে কাজ করতো। সেখনে গত ২৮ রোজায় ফরিদপুরের ভাঙা এলাকার এক দাখিল পরীক্ষার্থীকে বিয়ে করে। সম্প্রতি সে সস্ত্রীক বাড়িতে চলে আসে। শনিবার জার্সি গরুকে বীজ দেওয়ার জন্য তিনি, ছেলে জনি, পুত্রবধু তানজিলাসহ কয়েকজন লুৎফরের পরিত্যক্ত বাড়ির সামনে ছিলেন। কিছুক্ষণ পর তারা জনিকে রেখে বাড়ি চলে আসেন। পরে জানতে পারেন যে জনি প্রতিবেশী রবিউলের মেয়ে রাহীর কানের দুল ছিনতাই করতে বাধা দেওয়ায় তাকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলেছে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।

আশাশুনি থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ফয়সাল আহম্মেদ জানান, নিহতের বাবা রবিউল ইসলাম রুবেল বাদি হয়ে রবিবার কারো নাম উল্লেখ না করে থানায় একটি হত্যা মামলা (৪নং) দায়ের করেছেন। নিহত নূসরত জানান রাহীর লাশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে রবিবার বিকেলে তার স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রেজাউল কবীর জনি নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ি নিহতের খোয়া যাওয়া কানের এক জোড়া সোনার দুল উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সস্ত্রীক সাক্ষাৎ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ৬:২৩ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সস্ত্রীক সাক্ষাৎ

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। শনিবার (৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সেনাপ্রধানের স্ত্রীও সঙ্গে ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে তারা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কিছু সময় অতিবাহিত করেন বলে জানা গেছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া একটি পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি লিখেন, ‘ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ও তার স্ত্রী।’

উল্লেখ্য, একই দিনে দুপুরে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসানও তার স্ত্রীসহ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ঈদ উপলক্ষে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের এই সাক্ষাৎ ছিল রাষ্ট্রীয় সৌজন্যের অংশ হিসেবে।

ঈদুল আজহার দিনে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অতর্কিত হামলা, নিহত ৪২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ৬:১৯ অপরাহ্ণ
ঈদুল আজহার দিনে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অতর্কিত হামলা, নিহত ৪২

ঈদুল আজহার দিনেও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় অতর্কিত হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। খবর আল জাজিরার।

গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে নিহত ১৬ জনের মৃতদেহ নগরীর আল নাসের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এ ছাড়া গাজার উত্তরাঞ্চলে নিহত ১৬ জনের মৃতদেহ নেওয়া হয় আল-শিফা হাসপাতালে।

নগরীর আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে নিহত পাঁচজনের মৃতদেহ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দাইর আল-বালাহ শহরে নিহত আরও পাঁচজনের মৃতদেহ নেওয়া হয় আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে।

দাইর আল-বালাহ থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু-আজৌম বলেন, গাজায় ঈদ এমনই দেখা যাচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, গাজায় এ বছর আনন্দের বদলে বোমাবর্ষণ, বাস্তুচ্যুতি ও প্রাণহানির মধ্যে দিয়ে ঈদের দিনটি পার হচ্ছে।

১৯ মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এতে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫২ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে লক্ষাধিক। সেই সঙ্গে ঘর ছাড়া হয়েছে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করলো ইয়েমেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ
ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করলো ইয়েমেন

অবরুদ্ধ গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরাইল অধিকৃত ভূখণ্ডে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে হুথি আনসারুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী। এ হামলার ফলে দখলকৃত ভূখণ্ডে বসবাসরত ইসরাইলি বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার সময় অনেক ইহুদি বাসিন্দা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালিয়ে যান।

ইসরাইলি সূত্র নিশ্চিত করেছে, ইয়েমেন থেকে অন্তত একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দখলদার ভূখণ্ডের দিকে ছোড়া হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ইয়েমেনি নেতারা বারবার ঘোষণা দিয়েছেন, তাদের এ ধরনের হামলা গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের জবাবে এবং গাজাবাসীদের প্রতি সংহতির অংশ হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। এটি বৃহত্তর আঞ্চলিক প্রতিরোধ কৌশলের অংশ।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় হামাসসহ ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো ‘আল আকসা ঝড়’ নামে এক আকস্মিক পাল্টা হামলা চালানোর পর থেকে ইসরাইল গাজায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। সেই থেকে ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ স্পষ্টভাবে ফিলিস্তিনের সংগ্রামের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং একাধিকবার ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়েছে।