খুঁজুন
শনিবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ২০ পৌষ, ১৪৩১

‘যারা আপনাদের সর্বনাশ করবে, সেই ব্যক্তি নামটা প্রকাশ করে দেন’

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:৪৫ অপরাহ্ণ
‘যারা আপনাদের সর্বনাশ করবে, সেই ব্যক্তি  নামটা প্রকাশ করে দেন’

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘যারা আপনাদের সর্বনাশ করবে, সেই যেই ব্যক্তি হোক না কেনো-তাদের নামটা প্রকাশ করে দেন। সেই ব্যক্তি আমি হলেও আমার নামটাও বলে দেবেন। সমাজের ভণ্ডদের পরিচয় করিয়ে দেয়া উচিত। কোনো সচেতন মুসলমান কোনো ধরনের দুষ্কর্ম করতে পারে না।’

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা সরকারি কলেজ মাঠে পথসভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বীরগঞ্জ উপজেলা শাখার আমীর ক্বারী মোঃ আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াত কোনো দিন ক্ষমতায় গেলে প্রথমে শিক্ষার দিকে নজর দেয়া হবে। তিনি বলেন, আমরা একটা কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। যে রাষ্ট্রে কোন বৈষম্য থাকবে না, কোন চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজ থাকবে না। মানুষ যার যার সম্মান ও মর্যাদা নিয়ে বসবাস করবে।

ডা. শফিকুর রহমান আরো বলেন,’ আমাদের দুর্নীতি-চাঁদাবাজির রাজনীতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এই দেশটা আমাদের সবার। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে সবাই দেশকে ভালবাসবো। সবার আগে শিক্ষা ও ন্যায় বিচার নিশ্চিতের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেব।

তিনি বলেন, আমরা এমন একটি দেশ গড়তে চাই যে দেশে কোনো বৈষম্য থাকবে না। সব ধর্মের সব বর্ণের মানুষ মিলেমিশে সমান অধিকারের ভিত্তিতে বসবাস করবে। সর্বক্ষেত্রে দেশাত্ববোধের মাধ্যমে দেশকে উন্নত করতে সচেষ্ট থাকবে। কোনো চাঁদাবাজ, দুষ্কৃতকারী, দুর্নীতিবাজ থাকবে না। কেউ কোনোভাবে অন্যায়ের শিকার হবে না। দেশকে আমরা সাজানো বাগান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এজন্য সবার ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতা প্রয়োজন। তাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। তাহলে অর্থনৈতিকভাবে শেষ করে দেওয়া দেশকে আবার সমৃদ্ধ ও কল্যাণমুখী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। কৃষকরা ফসল ফলাবে দেশকে সহযোগিতা করতে এবং দেশের মান উন্নত করতে। কোনো ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তার প্রতিষ্ঠান কেড়ে নেওয়া হবে না। কাউকে জুলুমের মাধ্যমে দমিয়ে রাখা হবে না। শিল্প, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সর্বক্ষেত্রে সমান্তরাল সমৃদ্ধ করে জাতিকে সাজানো বাগানের মতো দেশ উপহার দেব ইনশাআল্লাহ।’

পথসভায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য মো. আনোয়ারুল ইসলাম, দিনাজপুর জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর আলহাজ্ব আফতাব উদ্দীন মোল্লা, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা আফজালুল আনাম, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান, মাওলানা মুজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট মাইনুল আলম, দিনাজপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান,জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ড.এনামুল হক,বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা শাখার সম্মানিত সহ-সভাপতি মোঃ রাশেদুন নবী (বাবু), বীরগঞ্জ উপজেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি মোঃ একে.এম দেলোয়ার হোসেন ও জেলা ছাত্রশিবিরের (উত্তর) এর সাবেক সভাপতি এবং বীরগঞ্জ উপজেলা শাখার মিডিয়া ও প্রচার বিভাগ সেক্রেটারি মাওঃ মোঃ আমিনুল ইসলামসহ দলীয় নেতা-কর্মী অসংখ্য মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

পথসভা শেষে জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান বীরগঞ্জে দলুয়ায় মাওলানা খোদা বখস (রহ.) এর কবর জিয়ারত ও পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে ঠাকুরগাঁও সার্কিট হাউজে গমন করেন।

সাউথইস্ট ব্যাংকের ৫২৬ কোটি টাকা লুটপাট, ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ৫:১৩ অপরাহ্ণ
সাউথইস্ট ব্যাংকের ৫২৬ কোটি টাকা লুটপাট, ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সাউথইস্ট ব্যাংক থেকে ৫২৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পাঠান ও পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুইটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার দুদকের উপপরিচালক আজিজুল হক বাদী হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

প্রথম মামলায় মোট ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন- কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পাঠান, সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের তৎকালীন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও গুলশান শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ক্রেডিট ইনচার্জ মো. মোর্শেদ আলম মামুন, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা প্রধান মো. রেজওয়ানুল কবির, সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এক্সপোর্ট ইনচার্জ অমীয় কুমার মল্লিক ও এসএভিপি অ্যান্ড এক্সপোর্ট ইনচার্জ মো. আশরাফুল ইসলাম।

এজাহারে বলা হয়েছে, সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় থেকে কোনো প্রকার ঋণ অনুমোদন ছাড়াই ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ৪৯৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে আসামিরা।

দ্বিতীয় মামলায় মোট চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন- কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পাঠান, সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের তৎকালীন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও গুলশান শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ক্রেডিট ইনচার্জ মো. মোর্শেদ আলম মামুন ও এসএভিপি অ্যান্ড এক্সপোর্ট ইনচার্জ মো. আশরাফুল ইসলাম।

এজাহারে বলা হয়, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাউথইস্ট ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ২৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে আসামিরা। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাগুলো করা হয়েছে।

ঢাকা ও সিলেটে ভূমিকম্প

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ৫:১২ অপরাহ্ণ
ঢাকা ও সিলেটে ভূমিকম্প

রাজধানী ঢাকা ও সিলেটে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ভূমিকম্প নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে, মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর ইউএসজিএস জানিয়েছে, আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৩২ মিনিটে ভারতের নাগাল্যান্ডের ফেক শহরে একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ইউএসজিএস জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫।

ঢাকা-সিলেটের পাশপাশি কুমিল্লাতেও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে বলে অনেকে স্ট্যাটাস দিয়ে জানিয়েছেন ফেসবুকে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুবায়েত কবীর বলেন, ঢাকা থেকে ৪৮২ কিলোমিটার দূরে মিয়ানমারের একটি স্থান এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। এর প্রভাবে রাজধানীসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট এবং এর আশপাশের কিছু এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছে।

যশোরে নির্বাচনমুখী কার্যক্রমে জামায়াত

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ৫:১০ অপরাহ্ণ
যশোরে নির্বাচনমুখী কার্যক্রমে জামায়াত

নির্বাচন কবে হবে, তা নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে ঝড় চলছে। কোনো দিন-তারিখ নির্ধারণ না হলেও যশোরে নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আসন্ন নির্বাচনে লড়তে রাজনৈতিক কৌশল ও কর্মপন্থা ধরে এগিয়ে যাচ্ছেন দলটির নেতাকর্মীরা।

ইতোমধ্যে জামায়াত জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে নিজেদের সম্ভাব্য প্রার্থী নির্ধারণ করেছে। এসব প্রার্থী দলীয় কর্মসূচির পাশাপাশি সামাজিক কর্মসূচি ও অনুষ্ঠানে সক্রিয় রয়েছেন।

জামায়াতে ইসলামীর জেলা পর্যায়ের নেতা ও স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে দলটির সাংগঠনিক তৎপরতায় বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। অবশ্য দলটির নেতারা বলেছেন, প্রার্থীদের যে তালিকা করা হয়েছে তা প্রাথমিক। চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে সেটি পরিবর্তনও হতে পারে। জোটগত নির্বাচনের সম্ভাব্যতা তৈরি হলে শরিকদের বিষয়টিও বিবেচিত হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

জামায়াতে ইসলামীর যশোর জেলা আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল বলেছেন, আমরা নির্বাচনের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি। জেলার ছয়টি আসনের সবকটিতেই আমাদের সম্ভাব্য প্রার্থী বাছাই হয়ে গেছে।

নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে জামায়াত যাদের নির্ধারণ করেছে, তারা হলেন- যশোর-১ (শার্শা) আসনে মাওলানা আজিজুর রহমান। তিনি এর আগেও নির্বাচন করেছিলেন। ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দিনের কাছে মাত্র পাঁচ হাজার ভোটে হেরেছিলেন। দিন বদল হওয়ায় ফের আজিজুরে ভরসা করছে জামায়াত।

যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনের প্রার্থী মাওলানা আরশাদুল আলম। তিনি ঝিকরগাছা গাজীর দরগাহ মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক।

জেলার ভিআইপি আসন হিসেবে পরিচিত যশোর-৩। জেলা সদরের এ আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী সরকারি এমএম কলেজের সাবেক ভিপি আব্দুল কাদের। আসনে দলের প্রয়াত নেতা মাস্টার নুরুন্নবীকে প্রথমে প্রার্থী ভাবা হয়েছিল। তার মৃত্যুর পর আব্দুল কাদেরকেই প্রার্থী করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সাবেক ছাত্রনেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হিসেবে আব্দুল কাদেরের পরিচিতিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে দলের নেতাকর্মীরা মনে করেন।

যশোর-৪ (বাঘারপাড়া, অভয়নগর ও বসুন্দিয়া) আসনের প্রার্থী অধ্যাপক গোলাম রসুল নিজে। যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনের প্রার্থী অ্যাডভোকেট গাজী এনামুল হক। তিনি একজন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি। সুবক্তা হিসেবে দলীয় পরিসরের বাইরেও তার পরিচিতি আছে।

যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের প্রার্থী অধ্যাপক মোক্তার আলী। তিনি ১৯৯৬ সালেও এই আসন থেকে দলের প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু সেবার তিনি ভালো ফলাফল করতে পারেননি। অধ্যাপক মোক্তার আলী কেশবপুর কলেজের ইংরেজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক।

অধ্যাপক গোলাম রসুল বলেছেন, সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা নিজ নিজ এলাকায় রাজনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। অংশ নিচ্ছেন সামাজিক কর্মসূচিসহ নানা অনুষ্ঠানেও। আমরা এসব প্রার্থীকে ‘সম্ভাব্য’ বলছি। শেষ পর্যন্ত তাদের চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ বা বেশি জনপ্রিয় কোনো নেতাকেও প্রার্থী করা হতে পারে।

দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করার পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামী জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টিকেও সমানভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। এক্ষেত্রে জেলার নেতারা বলেছেন, ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে একটা নির্বাচনী ঐক্য করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে দল। সেক্ষেত্রে জোট হলে জাতির বৃহত্তর স্বার্থের বিষয়টি বিবেচনা করে জামায়াত সর্বোচ্চ ছাড় দিতেও প্রস্তুত।

দীর্ঘদিন ধরে যশোর জেলা জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয় বন্ধ করে রেখেছিল পতিত আওয়ামী লীগ সরকার। জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এর পরপরই জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা সেই কার্যালয় পুনরুদ্ধার করেন। এখন সেখানেই দলীয় কার্যক্রম চলছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই যশোরে জামায়াতের সাংগঠনিক পুনর্গঠন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। এর আগের পৃথক তিনটি জেলা কমিটিকে একটিতে পরিণত করা হয়েছে। ১১টি সাংগঠনিক থানা, আটটি পৌরসভা ও ৯৩টি ইউনিয়ন কমিটি গঠন শেষ হয়েছে। কয়েকটি এলাকায় ওয়ার্ড কমিটি গঠন বাকি থাকলেও তা চলতি জানুয়ারি মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।

এদিকে, সদর থেকে শুরু করে জেলার সর্বত্রই দলটি যেভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে, তাতে ‘জামায়াত নির্বাচনী রাজনীতি করছে’ বলে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

ইতোমধ্যে জেলা সদরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে দলীয় কার্যালয় খোলা হয়েছে। উপজেলা, ইউনিয়ন ও তৃণমূল পর্যায়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতেও কার্যালয় খোলা হয়েছে। মূল দলের পাশাপাশি সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটিও পুনর্গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি কার্যালয় প্রতিদিন নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সরব থাকতে দেখা যাচ্ছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জামায়াত, তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও দায়িত্বশীলরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। ছোট ছোট গ্রুপে মানুষকে উপস্থিত করে আলোচনা করছেন। বিভিন্ন দিবসে বা আয়োজনে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের সেবায় নানা সহায়তা দিচ্ছেন। যোগ দিচ্ছেন বিয়ে, বৌ-ভাত, আকিকা, মুসলমানিসহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠানেও। জামায়াতের নারী সদস্যরাও এসব কাজে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান যশোরে একটি কর্মী সম্মেলনও করেছেন। রাজনীতি সচেতনদের ধারণা, সম্মেলনটি ছিল জামায়াতের নির্বাচনী শো-ডাউন। কারণ, সম্মেলনটিকে কেন্দ্র করে জেলা জামায়াত কয়েকদিন থেকেই স্থানীয় রাজনীতির পুরো ফোকাস দলের দিকে রাখতে নানা কার্যক্রমও পরিচালনা করে। যশোর ঈদগাহে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনটি কার্যত জনসভায় রূপ নেয়। সেদিন ঈদগাহ ও এর আশপাশের এলাকায় নেতাকর্মীতে পরিপূর্ণ ছিল।