খুঁজুন
শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ১৯ পৌষ, ১৪৩১

নরসিংদীর মাধবদী থানায় হামলা, ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:১৭ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদী থানায় হামলা, ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা

মাধবদী থানা থেকে ডাকাতি মামলার আসামি এবং জব্দকৃত মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিতে হামলা ও ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ নজরুল ইসলাম।

সূত্রে জানা যায়, সরকার পতনের পর থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আড়াইহাজার উপজেলার পাঁচরুখী, পুরিন্দা, ছনপাড়াসহ এসব এলাকায় সড়ক গুলিতে মালবাহী ট্রাক ছিনতাইয়ের ঘটনা প্রতিনিয়ত আগের তুলনায় বেড়ে গেছে।

জানা যায়, গত কয়েকদিন আগে চট্টগ্রাম থেকে একটি তেলবোঝাই ট্রাক ময়মনসিংহ যাচ্ছিল। তেল বোঝাই ট্রাকটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবদী এলাকা থেকে ছিনতাই করে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। ওই ঘটনায় তেলের মালিক মাধবদী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরই ভিত্তিতে মাধবদী টাটাপাড়া ৬নং ওয়ার্ডের পৌরসভার সাবেক কমিশনার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে তানবির হোসেনকে আটক করে মাধবদী থানা পুলিশ।

আরো জানা যায়, সোমবার দুপুরে একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। এরই জের ধরে জব্দকৃত মোটরসাইকেলের লোকজন এবং মাধবদী পৌরসভার সাবেক কমিশনার দেলোয়ার হোসেন ও তার ছেলে তানবির হোসেনের সমর্থকরা মাধবদী থানায় হামলা চালায়। ওই সময় থানার জানালার গ্লাসসহ বেশ কিছু স্থানে ভাঙচুর চালায় তারা। পরে নরসিংদী গোয়েন্দা সংস্থা ডিবি ও অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে থানা হাজতে থাকা অভিযুক্ত তানভির ও জব্দকৃত মোটরসাইকেলটি ছিনিয়ে নিতে পারেনি হামলাকারীরা।

এ বিষয়ে মাধবদী থানার ওসি মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, আসামি ছিনিয়ের নেয়ার জন্য কিছু দুষ্কৃতিকারী থানার গেইটে হামলা করেছিল। সোমবার দুপুরে একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। আমরা ধারনা করছি, এই দুইটির একটি কারণে দুর্বৃত্তরা থানায় হামলা করেছে। তবে আমরা এলার্ট ছিলাম। তারা ভেতরে ঢুকতে পারেনি। অভিযুক্তরা থানায় নিরাপদে রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে, মাধবদী সাবেক দেলোয়ার কমিশনারের মোবাইলে একাধিক বার ফোন দিলেও ওনার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি তো ভাই অসুস্থ চিকিৎসার জন্য ২৮ তারিখে থাইল্যান্ড চলে আসছি। তানভীর পুলিশের হেফাজতেই রয়েছে। কে বা কাহারা ভাঙচুর করেছে এটা আমি জানি না।

সাউথইস্ট ব্যাংকের ৫২৬ কোটি টাকা লুটপাট, ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ৫:১৩ অপরাহ্ণ
সাউথইস্ট ব্যাংকের ৫২৬ কোটি টাকা লুটপাট, ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সাউথইস্ট ব্যাংক থেকে ৫২৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পাঠান ও পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুইটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার দুদকের উপপরিচালক আজিজুল হক বাদী হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

প্রথম মামলায় মোট ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন- কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পাঠান, সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের তৎকালীন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও গুলশান শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ক্রেডিট ইনচার্জ মো. মোর্শেদ আলম মামুন, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা প্রধান মো. রেজওয়ানুল কবির, সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এক্সপোর্ট ইনচার্জ অমীয় কুমার মল্লিক ও এসএভিপি অ্যান্ড এক্সপোর্ট ইনচার্জ মো. আশরাফুল ইসলাম।

এজাহারে বলা হয়েছে, সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় থেকে কোনো প্রকার ঋণ অনুমোদন ছাড়াই ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ৪৯৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে আসামিরা।

দ্বিতীয় মামলায় মোট চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন- কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পাঠান, সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের তৎকালীন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও গুলশান শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ক্রেডিট ইনচার্জ মো. মোর্শেদ আলম মামুন ও এসএভিপি অ্যান্ড এক্সপোর্ট ইনচার্জ মো. আশরাফুল ইসলাম।

এজাহারে বলা হয়, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাউথইস্ট ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ২৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে আসামিরা। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাগুলো করা হয়েছে।

ঢাকা ও সিলেটে ভূমিকম্প

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ৫:১২ অপরাহ্ণ
ঢাকা ও সিলেটে ভূমিকম্প

রাজধানী ঢাকা ও সিলেটে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ভূমিকম্প নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে, মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর ইউএসজিএস জানিয়েছে, আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৩২ মিনিটে ভারতের নাগাল্যান্ডের ফেক শহরে একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ইউএসজিএস জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫।

ঢাকা-সিলেটের পাশপাশি কুমিল্লাতেও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে বলে অনেকে স্ট্যাটাস দিয়ে জানিয়েছেন ফেসবুকে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুবায়েত কবীর বলেন, ঢাকা থেকে ৪৮২ কিলোমিটার দূরে মিয়ানমারের একটি স্থান এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। এর প্রভাবে রাজধানীসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট এবং এর আশপাশের কিছু এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছে।

যশোরে নির্বাচনমুখী কার্যক্রমে জামায়াত

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ৫:১০ অপরাহ্ণ
যশোরে নির্বাচনমুখী কার্যক্রমে জামায়াত

নির্বাচন কবে হবে, তা নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে ঝড় চলছে। কোনো দিন-তারিখ নির্ধারণ না হলেও যশোরে নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আসন্ন নির্বাচনে লড়তে রাজনৈতিক কৌশল ও কর্মপন্থা ধরে এগিয়ে যাচ্ছেন দলটির নেতাকর্মীরা।

ইতোমধ্যে জামায়াত জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে নিজেদের সম্ভাব্য প্রার্থী নির্ধারণ করেছে। এসব প্রার্থী দলীয় কর্মসূচির পাশাপাশি সামাজিক কর্মসূচি ও অনুষ্ঠানে সক্রিয় রয়েছেন।

জামায়াতে ইসলামীর জেলা পর্যায়ের নেতা ও স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে দলটির সাংগঠনিক তৎপরতায় বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। অবশ্য দলটির নেতারা বলেছেন, প্রার্থীদের যে তালিকা করা হয়েছে তা প্রাথমিক। চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে সেটি পরিবর্তনও হতে পারে। জোটগত নির্বাচনের সম্ভাব্যতা তৈরি হলে শরিকদের বিষয়টিও বিবেচিত হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

জামায়াতে ইসলামীর যশোর জেলা আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল বলেছেন, আমরা নির্বাচনের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি। জেলার ছয়টি আসনের সবকটিতেই আমাদের সম্ভাব্য প্রার্থী বাছাই হয়ে গেছে।

নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে জামায়াত যাদের নির্ধারণ করেছে, তারা হলেন- যশোর-১ (শার্শা) আসনে মাওলানা আজিজুর রহমান। তিনি এর আগেও নির্বাচন করেছিলেন। ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দিনের কাছে মাত্র পাঁচ হাজার ভোটে হেরেছিলেন। দিন বদল হওয়ায় ফের আজিজুরে ভরসা করছে জামায়াত।

যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনের প্রার্থী মাওলানা আরশাদুল আলম। তিনি ঝিকরগাছা গাজীর দরগাহ মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক।

জেলার ভিআইপি আসন হিসেবে পরিচিত যশোর-৩। জেলা সদরের এ আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী সরকারি এমএম কলেজের সাবেক ভিপি আব্দুল কাদের। আসনে দলের প্রয়াত নেতা মাস্টার নুরুন্নবীকে প্রথমে প্রার্থী ভাবা হয়েছিল। তার মৃত্যুর পর আব্দুল কাদেরকেই প্রার্থী করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সাবেক ছাত্রনেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হিসেবে আব্দুল কাদেরের পরিচিতিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে দলের নেতাকর্মীরা মনে করেন।

যশোর-৪ (বাঘারপাড়া, অভয়নগর ও বসুন্দিয়া) আসনের প্রার্থী অধ্যাপক গোলাম রসুল নিজে। যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনের প্রার্থী অ্যাডভোকেট গাজী এনামুল হক। তিনি একজন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি। সুবক্তা হিসেবে দলীয় পরিসরের বাইরেও তার পরিচিতি আছে।

যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের প্রার্থী অধ্যাপক মোক্তার আলী। তিনি ১৯৯৬ সালেও এই আসন থেকে দলের প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু সেবার তিনি ভালো ফলাফল করতে পারেননি। অধ্যাপক মোক্তার আলী কেশবপুর কলেজের ইংরেজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক।

অধ্যাপক গোলাম রসুল বলেছেন, সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা নিজ নিজ এলাকায় রাজনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। অংশ নিচ্ছেন সামাজিক কর্মসূচিসহ নানা অনুষ্ঠানেও। আমরা এসব প্রার্থীকে ‘সম্ভাব্য’ বলছি। শেষ পর্যন্ত তাদের চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ বা বেশি জনপ্রিয় কোনো নেতাকেও প্রার্থী করা হতে পারে।

দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করার পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামী জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টিকেও সমানভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। এক্ষেত্রে জেলার নেতারা বলেছেন, ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে একটা নির্বাচনী ঐক্য করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে দল। সেক্ষেত্রে জোট হলে জাতির বৃহত্তর স্বার্থের বিষয়টি বিবেচনা করে জামায়াত সর্বোচ্চ ছাড় দিতেও প্রস্তুত।

দীর্ঘদিন ধরে যশোর জেলা জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয় বন্ধ করে রেখেছিল পতিত আওয়ামী লীগ সরকার। জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এর পরপরই জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা সেই কার্যালয় পুনরুদ্ধার করেন। এখন সেখানেই দলীয় কার্যক্রম চলছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই যশোরে জামায়াতের সাংগঠনিক পুনর্গঠন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। এর আগের পৃথক তিনটি জেলা কমিটিকে একটিতে পরিণত করা হয়েছে। ১১টি সাংগঠনিক থানা, আটটি পৌরসভা ও ৯৩টি ইউনিয়ন কমিটি গঠন শেষ হয়েছে। কয়েকটি এলাকায় ওয়ার্ড কমিটি গঠন বাকি থাকলেও তা চলতি জানুয়ারি মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।

এদিকে, সদর থেকে শুরু করে জেলার সর্বত্রই দলটি যেভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে, তাতে ‘জামায়াত নির্বাচনী রাজনীতি করছে’ বলে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

ইতোমধ্যে জেলা সদরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে দলীয় কার্যালয় খোলা হয়েছে। উপজেলা, ইউনিয়ন ও তৃণমূল পর্যায়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতেও কার্যালয় খোলা হয়েছে। মূল দলের পাশাপাশি সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটিও পুনর্গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি কার্যালয় প্রতিদিন নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সরব থাকতে দেখা যাচ্ছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জামায়াত, তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও দায়িত্বশীলরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। ছোট ছোট গ্রুপে মানুষকে উপস্থিত করে আলোচনা করছেন। বিভিন্ন দিবসে বা আয়োজনে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের সেবায় নানা সহায়তা দিচ্ছেন। যোগ দিচ্ছেন বিয়ে, বৌ-ভাত, আকিকা, মুসলমানিসহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠানেও। জামায়াতের নারী সদস্যরাও এসব কাজে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান যশোরে একটি কর্মী সম্মেলনও করেছেন। রাজনীতি সচেতনদের ধারণা, সম্মেলনটি ছিল জামায়াতের নির্বাচনী শো-ডাউন। কারণ, সম্মেলনটিকে কেন্দ্র করে জেলা জামায়াত কয়েকদিন থেকেই স্থানীয় রাজনীতির পুরো ফোকাস দলের দিকে রাখতে নানা কার্যক্রমও পরিচালনা করে। যশোর ঈদগাহে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনটি কার্যত জনসভায় রূপ নেয়। সেদিন ঈদগাহ ও এর আশপাশের এলাকায় নেতাকর্মীতে পরিপূর্ণ ছিল।